Thursday, 1 May 2025
" ষড়যন্ত্র! "
" শীতের সকাল " নামের অনেক পুরনো একটা গল্প, এডিট করে হেভি ফেমডম থেকে অনেক লাইট করে নতুন ভাবে পোস্ট করছি।
" ষড়যন্ত্র! "
সেটা ছিল ছয় বছর আগের একটা শীতের সকাল । আমি ছাদে মাদুর পেতে বসে রোদ পোয়াচ্ছি । হঠাত গালে একজোড়া ঠাণ্ডা কনকনে হাতের স্পর্শ পেলাম । সঙ্গে বোনের খুকখুক হাসি । তাকিয়ে দেখি সদ্য স্নান সেরে বোন আমার পিছনে এসে দাড়িয়েছে । ঠান্ডা জলে স্নান করে ওর হাত দুটো কনকনে ঠান্ডা হয়ে গেছে ।
সেই ঠান্ডা হাত দুটো আমার গালে ঠেকিয়ে আমার ক্লাস এইটে পড়া সুন্দরী বোন রিয়া বলল ,
- দ্যাখ দাদা , স্নান করে হাত দুটো কি ঠান্ডা হয়ে গেছে ।
তোর গালে ঘষে একটু গরম করে নি । এই বলে ও আমার গালে ওর হাতদুটো ঘষে গরম করতে লাগল ।
- কয়েকদিন ধরে কেন জানিনা , বোনের কাছ থেকে কষ্ট পেতে খুব ভাল লাগছে আমার । আমি চুপচাপ বোনকে আমার গালে হাত ঘষে গরম করতে দিলাম । এতে বোনের আরাম হচ্ছে , আর আমার কষ্ট , এই অনুভুতিটা খুব ভাল লাগতে লাগল আমার ।
- হাত গরম করা হয়ে গেলে বোন আমার গাল টিপে দিয়ে বলল,
- এই তো , এই জন্যেই তোকে আমি এত্ত ভালবাসি । তোর মোবাইলটা দে এবার ।
- আমি মোবাইলে চ্যাট করছিলাম , অফ করে মোবাইলটা বোনের হাতে তুলে দিলাম ।
- বোন ছাদের কোন থেকে একটা চেয়ার টেনে এনে বসল আমার ঠিক সামনে । চটি খুলে পা দুটো তুলে দিল আমার কোলে । আমার হাতে একটা পা ঘষে বলল
- দ্যাখ দাদা, পা দুটোও হাতের মত ঠান্ডা হয়ে গেছে ।
- আমি বললাম , দে আমি ঘষে তোর পা গরম করে দিচ্ছি । তুই গেম খেল ।
- এই বলে আমি বোনের পা দুটো হাত দিয়ে আসতে আসতে ঘষতে লাগলাম । বোন আমার নাকটা ডান হাতে ধরে আমার মাথাটা এপাশ থেকে ওপাশে নাড়িয়ে বলল ,
- - ওয়াহ, বেশ আরাম লাগছে । তুই আমার পা টেপ , আমি তোর মোবাইলে একটু গেম খেলি ।
- আমি আমার ৪ বছরের ছোট ক্লাস ৮ এ পড়া ফর্শা , সুন্দরী বোনের পা দুটো আসতে আসতে টিপতে লাগলাম ওর পায়ের কাছে বসে । আর আমার বোন আমার কোলের ওপর ওর পা দুটো রেখে আমার মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে আমার সেবা নিতে লাগল । উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে বোনের বয়সী একটা মেয়ে চোখ বড় বড় করে আমাদের দেখতে লাগল ।
- বেশ কিছুক্ষণ বোনের ডান পাটা টেপার পর বোন ওর বাঁ পাটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বলল ,
- -এবার এই পা টা টেপ । এই বলে ডান পাটা তুলে নিয়ে চটিটা পরে নিল পায়ে । তারপর চটি পরা ডান পা টা আমার কাঁধে তুলে দিল । উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার মুখ হাঁ হয়ে গেল তাই দেখে । বোন এমনভাবে ওর চটি পরা ডান পা আমার কাধে রেখে গেম খেলতে লাগল যেন এটা ভীষণ স্বাভাবিক । ওর ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা আলতো হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছিল ও ভীষণ উপভোগ করছে এই ঘটনা ।
- আমি মাথা নিচু করে বোনের বাঁ পাটা টিপতে লাগলাম।
- তোরা কি করছিস ? হঠাত ছাদের দরজার মুখ থেকে মায়ের গলার আওয়াজে আমরা দুজনেই চমকে উঠলাম । মা কখন এসে দরজার সামনে দাড়িয়েছে কেউ লক্ষ করিনি ।
- স্নান করে পা দুটো ঠান্ডা হয়ে গেছে মা , তাই দাদাকে দিয়ে একটু পা টেপাচ্ছিলাম। বোন বলল.
- আর অন্য পাটা দাদার কাধে রেখেছিস কেন ?
- আমার কি দোষ , দাদাই তো রাখতে বলল । বোন ঠোঁট উলটে বলল । মা অবাক চোখে আমার দিকে তাকাল ।
- বোন এখন আমার কাঁধে চটি পরা ডান পাটা রেখে বসে আছে । মায়ের সামনে বোনের পায়ের তলায় বসে থাকতে কেন জানিনা আরো বেশী ভাল লাগছিল আমার ।
- বোনের এভাবে বসতে আরাম হবে ,তাই বলেছিলাম । আমি বললাম মাকে ।
- "তুই যেভাবে বসে ওর পা টিপছিস , দেখে মনে হচ্ছে ও তোর বোন না , মনিব । আর তুই ওর চাকর । তোর কিছুদিন থেকে কি হয়েছে বলতো ? বোন যা বলে তাই শুনছিস , নিজের সব জিনিস ওকে দিয়ে দিচ্ছিস । ব্যাপার টা কি তোর ?"
- বা রে , ও আমার একমাত্র আদরের ছোট বোন , ওকে দেব না তো কাকে দেব ? এই বলে মায়ের সামনেই বোনের লাল চটি পরা ডান পাটা ধরে মুখের সামনে এনে বোনের পায়ের পাতায় একটা চুমু খাই ।
- নাহ , তোদের সামলানো আমার কম্ম না , তোদের বাবাকে বলতে হবে । এই বলে মা হাল ছেড়ে দিয়ে ছাদে কাপড় মেলতে লাগল । মায়ের সামনেই আমি বোনের ডান পা কাধে নিয়ে ওর বাঁ পাটা টিপতে লাগলাম ।
মা কাপড় মেলে নিচে চলে গেল । আমি বোনের পা টিপে যেতে লাগলাম । প্রায় একঘন্টা পর বোন উঠে পড়ল আমার কোলের উপর থেকে পা সরিয়ে ।
-নিচে আয় দাদা , এই বলে বোন নিচে চলে গেল ।
আমিও আমার ‘মালকিন’ এর আদেশ পালন করে নিচে নেমে এলাম ।
নিচে নামতে বোন চোখ পাকিয়ে বলল
- যা , চান করে নিয়ে পড়তে বস ভাল ছেলের মত । আমার তখন ইচ্ছা করছিল বোনের পা টিপে ওর সেবা করতে । কিন্তু বোন আমাকে হুকুম করছে , এটাও বেশ ভাল লাগল ।
- যাচ্ছি বোন , বলে আমি চান করতে চলে গেলাম । চান করে এসে বোনকে ঘরে দেখতে পেলাম না । আমার পড়তে ইচ্ছা করছিল না , তাই টিভি খুলে বসলাম ।
- তোর সামনে h.s., আর তুই বসে বসে টিভি দেখছিস ? মা রাগ দেখিয়ে বলল ।
- একটু দেখি মা , তারপর পড়তে বসছি । আমি বললাম । যদিও আমার পড়তে বসার কোন ইচ্ছা ছিল না । আমি টিভি দেখে যেতে লাগলাম ।
- ২০ মিনিট পর বাইরে থেকে বোন ঘরে ঢুকল । মা বোনকে ঘরে ঢুকতে দেখে বলল
- – তোর দাদা তো এখন আর কার কথা শোনে না , তোর কথা ছাড়া । দেখ তো টিভি ছেড়ে ওকে পড়তে পাঠাতে পারিস কিনা ?
- এটা আবার একটা ব্যাপার হল ? এই বলে বোন আমার দিকে এগিয়ে এল । ওর মুখে আলতো হাসি । আমার পাশে এসে আমার কান ধরে আলতো মোচড় দিল বোন ,
- – এই ছেলে , তোর না সামনে h.s.? আর তুই এখন টিভি দেখছিস ? যা পড়তে বস গিয়ে । আমি টিভি দেখব এখন ।
এই বলে বোন আমার কানে বেশ জোরে একটা মোচড় দিল ।
- সরি বোন, আমি যাচ্ছি পড়তে ।
- এই বলে আমি উঠে পড়লাম । আর বোন চেয়ারটা দখল করে ওর পছন্দের চ্যানেল চালিয়ে দিল ।
মা অবাক হয়ে ব্যাপারটা হজম করার চেস্টা করতে লাগল । কি হচ্ছে বলতো তোদের মধ্যে ? তুই ৪ বছরের বড় দাদার কানমুলে ওকে পড়তে যেতে বললি , আর ও তোকে সরি বলে পড়তে চলে গেল ? আশ্চর্য তো !
বোন মুচকি হাসতে লাগল মায়ের কথা শুনে , কোন উত্তর দিল না।
আমি পাশের ঘরে পড়তে চলে গেলাম । পড়তে ভাল না লাগলেও আমার ৪ বছরের ছোট বোনের হুকুমে পড়তে বসেছি এই অনুভূতিটা খুব ভাল লাগছিল আমার ।
ঘন্টা দুয়েক পড়ার পর মা খেতে ডাকল । আমি খাওয়া হয়ে গেলে আবার ভুল করে টিভি ঘরে গিয়ে টিভি খুলে ফেললাম । মা আর বোন তখন পাশের ঘরে খাচ্ছে । মা পাশের ঘর থেকেই চেঁচিয়ে বলল ,
-তুই আবার টিভি খুলেছিস ?
– আমি বললাম , প্লিজ , একটু দেখি মা । অনেকক্ষন তো পরলাম ।
মা হতাশ হয়ে বোনকে বলল , দ্যাখ , তুই যদি কিছু করতে পারিস ।
- আমি বোনের গলা শুনতে পেলাম , চল মা , আমি দেখছি ।
- বোন এই ঘরে ঢুকে আমার দিকে এগিয়ে এল , পিছনে মা । ও এসেই ওর এঁটো ডান হাত দিয়ে সজোরে আমার বাঁ গালে একটা থাপ্পর মারল । আমি ভেবাচেকা খেয়ে গালে হাত বোলাতে বোলাতে বোনের মুখের দিকে তাকালাম । ওর মুখে আলতো হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছিল ও ব্যাপারটা খুব উপভোগ করছে ।
- তুই আবার টিভি খুলেছিস ? বোন রাগী ভাব ফোটাল গলায় ।
- সরি বোন ।
- বারবার ভুল হয় কেন? এবার শুধু সরিতে হবেনা , ক্ষমা চাইতে হবে ।
- কিভাবে বোন ? আমি জিজ্ঞাসা করি । মায়ের সামনে ছোট বোনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ভেবে বেশ আনন্দ হতে থাকে আমার ।
- মা আর আমার দুজনের কাছেই ক্ষমা চা । যেভাবে চাওয়া তোর ঠিক মনে হয় সেভাবে ।
- আমি প্রথমে মায়ের দিকে এগিয়ে যাই । মায়ের পায়ের কাছে হাটুগেরে বসে মাকে বলি ,
- আমি সরি মা , এরকম ভুল আর হবে না । এই বলে মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করি ।
- ঠিক আছে , এরকম ভুল যেন আর না হয় । এই বলে মা আমার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে । আমি উঠে একইভাবে বোনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে ওরদিকে এগিয়ে যাই । ওর লাল চটি পরা পায়ের কাছে হাটুগেরে বসে হাতজোড় করে বলি ,
- আমার ভুল হয়ে গেছে বোন , আমাকে ক্ষমা করে দে ।
- এই বলে ওর পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করব ভেবেছিলাম , কিন্তু কেন জানিনা তার বদলে নিজের মাথাটা বোনের চটি পরা পায়ের উপর নামিয়ে দিলাম। ওর পায়ের উপর নিজের কপালটা ঘষতে ঘষতে বারবার ওর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকি । মা বেশ বড় বড় চোখ করে আমাদের কান্ড দেখতে থাকে ।
- একটু পরে বোন ওর লাল চটি পরা ডান পা আমার মাথার উপর রেখে বলে , যা ক্ষমা করে দিলাম এবারের মত । গিয়ে পড়তে বস । আমি যা বলি সেভাবে চল , তোরই ভাল হবে দাদা ।
- আমি ওর পায়ে আলতো একটা চুমু খেয়ে বলি ,
- -সেটা আমি জানি বোন । এখন থেকে আমি তোর সব কথা শুনব । এই বলে আমি উঠে পড়তে চলে যাই । মা আর বোন খুশী মনে আবার খেতে যায় ।
- যা হল এক্ষুনি আমার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না । সত্যি আমি মায়ের সামনে নিজের ছোট বোনের চটি পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম ? ভাবতেই দারুন ভাল লাগছিল আমার ।
*****
- সন্ধ্যা ৬ টায় মা টিফিন করতে ডাকল । টানা ৪ ঘন্টা পড়ে আমি উঠলাম। মন ভাল থাকলে পড়া যে সত্যি ভাল হয় সেটা আজ বুঝতে পারছিলাম। আজ ৪ ঘন্টায় আমি যা পড়েছি অন্যদিন ৪০ ঘণ্টায়ও তা পড়া হয়না আমার । বোন আমার মাথায় চটি পরা পা রেখে আশীর্বাদ করাতেই আমার এত উন্নতি হয়েছে , মনে মনে এটাই ভাবছিলাম , আর মন খুশিতে ভরে উঠছিল ।
- টিভির ঘরে খাটে বাবা বসে আর মেঝেতে চেয়ারে বোন । বাবা যে কখন অফিস থেকে ফিরেছে খেয়ালই করিনি আমি । মা সবার হাতে টিফিন দিল । আমি নিজে থেকেই বোনের পায়ের কাছে মেঝেতে বসে পরলাম । ওর পরনে ছাই রঙের জ্যাকেট , কালো প্যান্ট , পায়ে লাল চটি । ফরসা মুখে হাসি ঝুলিয়ে বাঁ পায়ের উপর ডান পা তুলে বসে ছিল আমার বোন রিয়া , যাকে দেখলেই প্রভু বলে ডাক ছেড়ে পা জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করে আমার ।
- তোকে এভাবে মন দিয়ে পড়তে দেখে খুব ভাল লাগল । এভাবে পড়লে দেখবি h.s এ খুব ভাল রেসাল্ট করবি । বাবা বলল ।
- এর ক্রেডিটটা কিন্তু তোমার মেয়ে রিয়ারই পাওয়া উচিত । আজকেও খাওয়ার পর টিভি খুলেছিল রাজু । আমি বললাম , রাজু শুনল না । রিয়া গিয়ে থাপ্পর মারতে কাজ হয়েছে । সেই থেকে টানা ৪ ঘন্টা পরেছে ও । বললে বিশ্বাস করবে না , রিয়া রাজুকে নিজের পায়ে মাথা রেখে ক্ষমাও চাইয়েছে । এখন বুঝছি ভালই করেছে , মা বলল বাবাকে ।
বাবার মুখ দেখে বুঝলাম, যা শুনছে, বিশ্বাস করতে পারছে না । অফিস থেকে ফিরে এসে যদি কোন বাবা শোনে তার ছেলে ছোট বোনকে প্রনাম করে একদম ভাল ছেলে হয়ে গেছে , কারই বা বিশ্বাস হবে?
- যাক গে , ও ঠিক ঠাক পড়ছে , এটাই বড় কথা । রিয়া , তোর দাদা যখন তোর কথা শোনে , তখন ও না পড়লে এখন থেকে তোর যা ইচ্ছা শাস্তি দিবি তুই ওকে ।
- বোনের মুখে হাসি ফুটে উঠল বাবার কথা শুনে ।
- সে তো দেবই বাবা । ছেলেদের মানুষ করতে হলে একটু শাস্তি দিতে হয় । ওর কথা শুনে আমার মনে হল যেন ও আমার ৪ বছরের বড় দিদি ।
- দাদা, আমার পা টিপে দে তোএকটু খেতে খেতে । এই বলে বোন ওর চটি পরা পা দিয়ে আমাকে একটু খোচা দিল ।
- আমি ঘুরে বসলাম বোনের পায়ের কাছে । বোন চটি খুলল না , চটি পরা পা দুটোই আমার কোলে তুলে দিল ।
- মা বাবাকে বলল , এদের ব্যাপারটা কি তুমি একটু বোঝার চেস্টা কর তো? রাজু হঠাত রিয়ার এত বাধ্য হয়ে গেল কেন ?
- আমি বোনের লাল চটি পরা পা দুটো বেশ মন দিয়ে টিপতে লাগলাম । বাবা , মা ভুরু কুচকে দেখতে লাগল আমাদের ।
- আর একটু জোরে টেপ দাদা , বেশ আরাম হচ্ছে ।
- বোনের কথায় আমি আরো মন দিয়ে ওর পা টিপতে লাগলাম , আর মাঝে মাঝে ওর পা থেকে হাত সরিয়ে পাশে রাখা থালা থেকে টিফিন খেতে লাগলাম । ফলে বোনের চটির তলার ময়লা আমার হাত থেকে লুচি তরকারিতে লেগে যেতে লাগল । আমি বোনের চটির তলার ময়লা মেশা খাবার খাচ্ছি, এই অনুভূতি টাও দারুন ভাল লাগতে লাগল।
- বোন হঠাত ওর চটি পরা ডান পাটা আমার কোল থেকে তুলে আমার কাঁধে রাখল ।
- মন দিয়ে আমার সেবা কর দাদা , এতে তোর মনঃসংযোগ বাড়বে , আরো ভাল পড়া মনে রাখতে পারবি ।
- বোনের লাল চটি পরা ডান পা আমার কাধে রাখা, আর আমি ওর বাঁ পা টা মন দিয়ে টিপছি , বাবা মায়ের সামনেই ।
- তোদের ব্যাপারটা কি বলতো ? বাবা ভুরু কুচকে আমাকে জিজ্ঞাসা করল ।
- কিছু না বাবা , আমার সেবা করলে দাদার পড়ায় মন বসে , তাই না দাদা ? রিয়া আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ।
- আমি রিয়ার চটি পরা পা টিপতে টিপতে উত্তর দিলাম ,
- হ্যাঁ বাবা ।
- বেশ , এতে তো খারাপ কিছু নেই । এতে তোর পড়াশোনায় উন্নতি হলে তো ভালই । কিন্তু ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত লাগছে । বাবা বলল ।
বাবার মুখ দেখে বুঝলাম, যা শুনছে, বিশ্বাস করতে পারছে না । অফিস থেকে ফিরে এসে যদি কোন বাবা শোনে তার ছেলে ছোট বোনকে প্রনাম করে একদম ভাল ছেলে হয়ে গেছে , কারই বা বিশ্বাস হবে?
- যাক গে , ও ঠিক ঠাক পড়ছে , এটাই বড় কথা । রিয়া , তোর দাদা যখন তোর কথা শোনে , তখন ও না পড়লে এখন থেকে তোর যা ইচ্ছা শাস্তি দিবি তুই ওকে ।
- বোনের মুখে হাসি ফুটে উঠল বাবার কথা শুনে ।
- সে তো দেবই বাবা । ছেলেদের মানুষ করতে হলে একটু শাস্তি দিতে হয় । ওর কথা শুনে আমার মনে হল যেন ও আমার ৪ বছরের বড় দিদি ।
- দাদা, আমার পা টিপে দে তোএকটু খেতে খেতে । এই বলে বোন ওর চটি পরা পা দিয়ে আমাকে একটু খোচা দিল ।
- আমি ঘুরে বসলাম বোনের পায়ের কাছে । বোন চটি খুলল না , চটি পরা পা দুটোই আমার কোলে তুলে দিল ।
- মা বাবাকে বলল , এদের ব্যাপারটা কি তুমি একটু বোঝার চেস্টা কর তো? রাজু হঠাত রিয়ার এত বাধ্য হয়ে গেল কেন ?
- আমি বোনের লাল চটি পরা পা দুটো বেশ মন দিয়ে টিপতে লাগলাম । বাবা , মা ভুরু কুচকে দেখতে লাগল আমাদের ।
- আর একটু জোরে টেপ দাদা , বেশ আরাম হচ্ছে ।
- বোনের কথায় আমি আরো মন দিয়ে ওর পা টিপতে লাগলাম , আর মাঝে মাঝে ওর পা থেকে হাত সরিয়ে পাশে রাখা থালা থেকে টিফিন খেতে লাগলাম । ফলে বোনের চটির তলার ময়লা আমার হাত থেকে লুচি তরকারিতে লেগে যেতে লাগল । আমি বোনের চটির তলার ময়লা মেশা খাবার খাচ্ছি, এই অনুভূতি টাও দারুন ভাল লাগতে লাগল।
- বোন হঠাত ওর চটি পরা ডান পাটা আমার কোল থেকে তুলে আমার কাঁধে রাখল ।
- মন দিয়ে আমার সেবা কর দাদা , এতে তোর মনঃসংযোগ বাড়বে , আরো ভাল পড়া মনে রাখতে পারবি ।
- বোনের লাল চটি পরা ডান পা আমার কাধে রাখা, আর আমি ওর বাঁ পা টা মন দিয়ে টিপছি , বাবা মায়ের সামনেই ।
- তোদের ব্যাপারটা কি বলতো ? বাবা ভুরু কুচকে আমাকে জিজ্ঞাসা করল ।
- কিছু না বাবা , আমার সেবা করলে দাদার পড়ায় মন বসে , তাই না দাদা ? রিয়া আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ।
- আমি রিয়ার চটি পরা পা টিপতে টিপতে উত্তর দিলাম ,
- হ্যাঁ বাবা ।
- বেশ , এতে তো খারাপ কিছু নেই । এতে তোর পড়াশোনায় উন্নতি হলে তো ভালই । কিন্তু ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত লাগছে । বাবা বলল ।
- আমি কোন উত্তর দিলাম না । বোন ওর চটি পরা বাঁ পাটা আমার কাধে তুলে দিয়েছে এখন । আর আমি ওর ডান পাটা টিপে দিচ্ছি । আমি বোনের লাল চটি পরা ডান পাটা নিজের বুকের মাঝখানে চেপে ধরে মন দিয়ে টিপতে লাগলাম । বোন ঠোটের কোনে হাসি ঝুলিয়ে আমার সেবা নিতে নিতে টিভি দেখতে লাগল । আর বাবা মা আশ্চর্য হয়ে আমাদের অদ্ভুত কান্ড দেখে যেতে লাগল ।
প্রায় ৩০ মিনিট বোনের পা টেপার পর বোন ওর চটি পরা ডান পাটা আমার মুখে রাখল । আমি অবাক হয়ে বোনের দিকে তাকালাম । আলতো করে একটা চুমুও খেলাম ওর লাল চটির তলায় । বোন ওর চটির তলাটা আমার মুখে একটু ঘষল , তারপর আমার মুখটা চটি পরা পায়ের তলা দিয়ে ঠেলে বলল,
"এই ছেলে , এবার গিয়ে পড়তে বস । মন দিয়ে পড়বি , নাহলে কিন্তু মার খাবি আমার কাছে ।"
আমি বোনের চটি পরা পাদুটো দুহাতে ধরলাম । তারপর নিজের মাথাটা নামিয়ে দিলাম ওর পায়ের উপর । ওর পায়ের পাতায় নিজের মাথা ঠেকিয়ে বললাম ,
"আমার মাথায় পা রেখে একবার আমাকে আশীর্বাদ করে দে বোন, আমার পড়া খুব ভাল হয় তোর আশীর্বাদ পেলে । তারপরও যদি তোর যদি মনে হয় আমি মন দিয়ে পরছি না তুই আমাকে যত খুশি মারতে পারিস ।"
- বোন মুখে হাসি ফুটিয়ে ওর চটি পরা ডান পাটা আমার মাথার উপর রাখল,
-" ভাল করে পড় দাদা , আমার আশীর্বাদ তোর সাথে রইল ।"
- বাবা মা চোখ বড় বড় করে আমাদের দেখতে লাগল । হয়তো আমাদের বাধা দিত অন্য সময়ে , কিন্তু যেহেতু এই আচরণের মাধ্যমে বোন আমাকে পড়তে পাঠাচ্ছে , তাই আর কিছু বলল না বাবা মা ।
আমি উঠে চলে আসার সময়ে দেখি মায়ের চোখে মুখে আশ্চর্য ভাবের বদলে মুখে একটা মুচকি হাসি ফুটে উঠেছে।
*****
আমি নিজের ঘরে গিয়ে পড়তে বসলাম । মন আজ অসম্ভব খুশি । নিজেকে বোঝাতে লাগলাম যেভাবেই হোক ভাল রেসাল্ট করতে হবে । আমার ছোট বোন আমার মাথায় চটি পরা পা রেখে আমাকে আশীর্বাদ করেছে । এই আশীর্বাদ বৃথা হতে দেওয়া যায়না । আর রেসাল্ট ভাল হলে চিরদিন এভাবে বাবা মায়ের সামনে ছোট বোনের সেবা করতে পারব । বোনের সেবা করে আমার উন্নতি হচ্ছে বুঝতে পারলে বাবা মা আমাকে কিছু বলবে না বুঝতে পারছিলাম । তখনও অবশ্য বুঝতে পারিনি , আমার "মগজ ধোলাই" করে পড়াশোনা করিয়ে নিয়ে ভাল রেজাল্ট আর কেরিয়ার বানানোর জন্য মা, মাসি, রিয়া আর রিমা ( আমার ৪ মাসের ছোট একই ক্লাসে পড়া মাসির মেয়ে) মিলে কত বড় "ষড়যন্ত্র" করছে, আর রিয়ার হঠাত অতিরিক্ত ডমিনেশান তারই অংশ!
আমি বেশ মন দিয়ে পড়ছিলাম । হঠাত চুলে টান পড়ায় তাকিয়ে দেখি আমার বোন রিয়া আমার পাশে দাঁড়িয়ে বাঁ হাত দিয়ে আমার চুল মুঠো করে ধরে টানছে । আমার বেশ ব্যাথা লাগছিল , তবু কিছু বললাম না বোনকে । আমার উপর অত্যাচার চালিয়ে যেতে দিলাম ওকে ।
বেশ কিছুক্ষণ আমার চুল টেনে যেতে লাগল বোন । একটু পড়ে খুব ব্যাথা লাগতে তাকিয়ে দেখি আমার মাথা থেকে কয়েকটা চুল ছিঁড়ে বোনের হাতে চলে গেছে ।
বোন চোখ বড় বড় করে বলল , "তোর এতগুলো চুল টেনে ছিড়ে দিলাম, তুই কিছু বললি না ? তোর কি ব্যাথাও লাগে না ?"
বোন খাটের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল । আমি খাট থেকে উঠে ওর পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসে পড়লাম । ওর সামনে হাত জোড় করে বললাম , "সে তো লাগেই । কিন্তু তুমি আমার মালকিন, আমার প্রভু । তুমি আমাকে যত খুশি ব্যাথা দিতে পার । আমার কোন অধিকার নেই তোমাকে বাধা দেওয়ার ।"
শুনে বোন খাটে বসে পরে হো হো করে হাসতে লাগল । আমি ওর পা দুটো দুহাতে ধরে আবার নিজের মাথাটা ওর পায়ের উপর নামিয়ে দিলাম ।
একটু পরে বোন হাসি থামিয়ে চটি পরা বাঁ পাটা আমার মাথায় বোলাতে বোলাতে বলল ,
"ওরে বুদ্ধু , আমি তোর প্রভু হতে যাব কেন ? তুই আমার দাদা ,আমি তোর ছোট বোন । অন্য বোনেরা বড় দাদাদের ভয় পায় ,আর তুই আমার পায়ে মাথা ঘষিস । পরীক্ষার চাপে তোর মাথাটা একদম গেছে রে দাদা ।"
আমি ওর চোখের দিকে কাতর দৃষ্টিতে তাকাই । "প্লিজ বোন ,আমার খুব ভাল লাগে তোকে নিজের মনিব বলে ভাবতে , তোর সেবা করতে । প্লিজ বোন ,আমাকে তোর সেবা করতে দিস রোজ এভাবে । তোর সেবা করতে পেলে আমি জীবনে সব করতে পারব । প্লিজ বোন , আমার উপর একটু দয়া কর ।"
এই বলে আমি বোনের পায়ে একের পর এক চুমু খেতে থাকি । বোন বাধা দেয়না । আমার মাথায় অন্য পাটা বোলাতে বোলাতে বলে ,
‘আমার তো ভালই লাগছে রে দাদা । সবার সামনে বড় দাদাকে এভাবে কন্ট্রোল করার মজাই আলাদা। আর এর ফলে তুই যেরকম মন দিয়ে পড়ছিস তাতে তোর ভালই হবে। আমরা সবাই সেটাই চাই শুধু।"
আমি বোনের পায়ের তলায় শুয়ে পরি । ওর চটি পরা পা দুটো নিজের মুখের উপর তুলে নিয়ে ওর চটির তলায় চুম্বন করতে করতে বলি ‘থ্যাঙ্ক ইউ বোন । তোকে আমি খুব ভালবাসি, তোর সেবা করতে আমার খুব ভাল লাগে’ । আমি ওর পা টিপতে টিপতে আসতে আসতে চুমু খেতে থাকি ওর চটির তলায় ।
‘আমিও তোকে খুব ভালবাসি দাদা । আর তুই যখন আমার সেবা করতে এত ভালবাসিস , আর আমারও সেটা ভাল লাগে তাহলে আমরা এভাবে মনিব- চাকরের মত সময় কাটাতেই পারি । এতে আমাদের দুজনেরই লাভ দাদা। আর আমার কথা শুনে তুই টিভি আর গেমের নেশা ছেড়ে পড়ছিস এটা সবচেয়ে বড় কথা। হাজার হোক, আমি তোর বোন, তুই আমার দাদা। আমরা একে অপরকে ভাল হতে, খুশি থাকতে এগিয়ে যেতে সাহায্য না করলে আর কে করবে বল?’ -বোন বলে , আমার মুখের উপর ওর লাল চটির তলা ঘষতে ঘষতে ।
আমি মন দিয়ে বোনের পা টিপতে টিপতে ওর চটি পরা পায়ের আদর খেতে থাকি ,আর চুমু খেতে থাকি ওর চটির তলায় । মাঝে মাঝে জিভ বার করে আসতে আসতে চাটতে থাকি ওর চটির তলা । জবাবে বোন আমার মুখে আলতো করে একটা লাথি মেরে আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে থাকে ।
হঠাত দেখি আমার ঘরের দরজা ঠেলে বাবা ঘরে ঢোকে ।
আমি তখন নিজের ঘরে খাটে বসা বোনের পায়ের তলায় শুয়ে বোনের চটির তলায় চুমু খেতে খেতে ওর পা টিপে দিচ্ছি ।
আমাদের এই অবস্থায় দেখে বাবার চোখ কপালে উঠে যায় ।
‘এসব কি করছিস তোরা ?’ বাবা একটু সামলে নিয়ে প্রশ্ন করে ।
‘কিছু না বাবা , এএ...’ আমার ঠোঁট জোড়া বোন চটি পরা ডান পা দিয়ে চেপে ধরায় আমার উত্তর আটকে যায় । বাবার সামনেই বোন আমার ঠোঁট দুটো চটি পরা ডান পা দিয়ে ঘষতে থাকে । আমার ঠোঁট দুটো বোন চটি পরা পা দিয়ে একবার বাঁদিকে , একবার ডানদিকে ঘষতে থাকে । এক তীব্র আনন্দ আমার সাড়া শরীরে যেন ঝঙ্কার তুলতে থাকে ।
বাবার সামনেই আমার ছোট বোন আমার কপাল আর ঠোঁট চটি পরা পা দিয়ে ঘষতে থাকে । বাবা যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে । চুপ করে এক দৃষ্টিতে দেখতে থাকে আমাদের ।
- "কিছু না বাবা , দাদাকে দিয়ে পা টেপাচ্ছি আর দাদার মুখে পা রেখে একটু আশীর্বাদ করছি ওকে । এভাবে রোজ আমার আশীর্বাদ পেলে দেখবে ও খুব ভাল রেসাল্ট করবে ।"
‘তুই তো রাজুর থেকে ছোট , তোর আশীর্বাদে ওর কি করে এত ভাল হবে ?’ বাবা প্রশ্ন করে ।
‘আমি ছোট তো কি হয়েছে ? মেয়ে তো । খারাপ ছেলেরা মেয়েদের আশীর্বাদ পেলে খুব ভাল হয়ে যায় । দেখছ না দাদা আজ কি সুন্দর পড়াশোনা করছে ?’ বোন ভুরু নাচিয়ে এমন হাসি মেশানো স্বরে কথাটা বলে বাবাকে যে বোঝাই যায় ও মজা করছে।
ওর ডান চটির তলা আমার ঠোঁট দুটোকে নিয়ে খেলা চালিয়ে যায় । আমিও বোনের পা টিপতে টিপতে ওর চটির তলায় আসতে আসতে চুমু খেতে থাকি আমাদের বাবার সামনেই ।
‘তাই তো দেখছি । কি জানি , কি যে হচ্ছে, আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না’ । বাবা হতাশ গলায় বলে ।
‘তুমি ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাওনা ? দেখবে , আমার সেবা করে কিরকম ও ভাল কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিঙে চান্স পেয়ে যাবে’ ।
‘তাহলে তো খুবই ভাল হয় । কিন্তু রাজুর পড়াশোনার যা অবস্থা ! ও কি পারবে ?’
‘তুমি শুধু দেখে যাও বাবা । না পেলে আমাকে বল । এখন থেকে ওর সাথে আমার আশীর্বাদ থাকবে । ও এখন সব পারবে। আসলে ও খুবই ভাল ছাত্র, কিন্তু খুব ফাঁকিবাজ। কিন্তু আমার কন্ট্রোলে থাকলে ও পড়াশোনা করে টিভি দেখা বা গেম খেলার চেয়েও বেশ আনন্দ পাবে’ ।
এই বলে বোন আমার মুখে আলতো করে একটা লাথি মারল চটি পরা পা দিয়ে ,
‘কি রে গাধা , আমার কথা ঠিক না?’
আমি আমার বোন রিয়ার চটি পরা পায়ের তলায় চুমু খেয়ে উত্তর দিলাম,
‘ একদম ঠিক। আর তোমার আশীর্বাদ সাথে থাকলে আমি সব পারব প্রভু’ ।
‘যা , একটা বাটি আর জল নিয়ে এসে আমার পা ধুয়ে জল খা এখন । মা কেও ডেকে আন , মাও দেখুক কি করে তার ছেলের উন্নতি হচ্ছে’ । বোন মুখে হাসি ঝুলিয়ে বলে ।
‘যো হুকুম মালকিন’ , বলে আমি বোনের অন্য চটির তলায় একটা চুমু খেয়ে উঠতে যাই বোনের পা ধুয়ে জল খাওয়ার জন্য বাটি আর জল আনতে । আমার বুকের মধ্যে তখন যেন কেউ হাজারটা ঢাক পেটাচ্ছে একসাথে ! উফফ, কি যে আনন্দ হচ্ছে আমার !! তখনই আমার মুখের উপরে বোনের লাল চটি পরা ডান পায়ের লাথি এসে পরে।
" আমি মজা করছিলাম রে ছাগল। যা, মাকে রাতে আমার জন্য মাংসের সাথে লুচি করতে বলে আয়, আমার খুব লুচি খেতে ইচ্ছা করছে। আর এসে সাথে সাথে পড়তে বসবি। ফাঁকি দিতে দেখলে ঘুসি মেরে তোর দাঁত ফেলে দেব।" - আমাকে মজাচ্ছলে করা ডমিনেশানে রিয়া নিজেই হাসতে থাকে।
আমি রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মা নেই। মায়ের ঘরে গিয়ে দেখি মা দরজার দিকে পিছন ফিরে চেয়ারে বসে কার সাথে যেন ভিডিও চ্যাট করছে। আমি দরজার ঠিক বাইরে মিনিট খানেক অপেক্ষা করেই বুঝি মা তার জমজ বোন, আমার মাসি, আর তার মেয়ে রিমার সাথে ভিডিও কলে ব্যাস্ত। আর কিছুক্ষন অপেক্ষা করতেই বুঝতে পারি আমাকে নিয়ে কি গভীর "চক্রান্ত" তারা করেছে!
এই চক্রান্তে মা, মাসি, রিয়া, রিমা সবাই যুক্ত। মাস খানেক আগে টেস্ট পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে মাসির বাড়ি গিয়ে আমার বন্ধুর মত কাজিন বোন রিমাকে গল্প করতে করতেই রিয়ার প্রতি আমার অতিরিক্ত সাবমিসিভ ফিলিং প্রকাশ করে ফেলেছিলাম। সে আমার " বিশ্বাসভঙ্গ" করে সেটা রিয়ার কাছে প্রকাশ করে দিয়েছে! আর তারপরে মা আর মাসির সাথে বসে দুই বোন আমার সেই দূর্বলতার "ফায়দা" তুলে আমাকে দিয়ে ভাল রেজাল্ট করানোর গভীর চক্রান্ত করছে! ভাগ্যিস, আমি এই সময়েই মায়ের ঘরে এসেছিলাম, তাই সব জানতে পারলাম।
মিনিট ৫ আমি চুপিচুপি ওদের কথা শুনে ঘরে ঢুকে এলাম। তারপরে মাকে বললাম, " ও, নিজেই চক্রান্ত করে আবার আমার রিয়ার পা টিপে দেওয়ায় অবাক হচ্ছিলে?"
মা হেসে বলে " সব তোর ভালর জন্যই। আর আসল চক্রান্ত তোর দুই বোন করেছে, বিশেষ করে রিমা। যা বলবি ওকে বল!"
আমি ভিডিও চ্যাটে মুখ দেখিয়ে বলি " এটা তুই ভাল করলি না রিমা। তোকে বিশ্বাস করে যা বলেছিলাম সবার সামনে ফাঁস করে দিলি বিশ্বাসঘাতকের মত? তোকে সামনে পেলে আমি এর প্রতিশোধ নেব!"
আমার কথা শুনে রিমা হাসিতে ফেটে পরে বলে কি প্রতিশোধ নিবি? রিয়ার মত আমার জুতোতেও চুমু খেতে খেতে আমাকেও প্রভু বলে ডাকবি, তাই তো?"
সত্যি বলতে আমার আপন বোন রিয়ার মত কাজিন বোন রিমাও আমার খুব কাছের। রিমাকেও আমি রিয়ার মতই ভালবাসি শ্রদ্ধা করি। রিয়ার মত রিমার প্রতিও আমি একইরকম সাবমিসিভ ফিল করি। কিন্তু সেটা ওকে আমি বলিনি, তবু ও বুঝে নিয়েছে বা আন্দাজ করেছে যেভাবেই হোক।
" হ্যাঁ, সেটাই প্রতিশোধ হবে।" - আমি খুশি হয়ে বলে ফেলি।
" শোন গাধা! পরীক্ষার আগে একা পড়তে চাপ আর বোর লাগে। তাই আমি ঠিক করেছি কালই তোদের বাড়ি চলে যাব। পরীক্ষা শেষ হওয়া অবধি তোদের বাড়িতেই থাকব আর দুজনে একসাথে পড়ব। তুই মন খুলে যত ইচ্ছা ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাস রিয়াকে আর আমাকে, যত ইচ্ছা সেবা করিস আমাদের। কিন্তু এই কয়েক মাস নো টিভি, নো মোবাইল! আমরা দুই বোন যা বলব তাই শুনবি তুই। নাহলে একটা থাপ্পরও তোর গালের বাইরে পরবে না!"
" আর লাথি?" - আমি জিজ্ঞাসা করেই ফেলি।
" ওটা কথা শুনলে তোর পুরষ্কার হবে গাধা!" এই বলে রিমা বেশ খানিকটা হেসে বলে দুজনকেই কিন্তু সিরিয়াস হতে হবে এই কয়েক মাস।
আমাদের দুজনেরই বেসিক ভাল। যদি কয়েক মাস একসাথে কষ্ট করি আর একসাথে ভাল সরকারী কলেজে ভাল ডিপার্টমেন্টে ইঞ্জিনিয়ারিং এ চাবস পাই তাহলে কি ভাল লাগবে জাস্ট ভাব!"
" তুই যা রেজাল্ট করেছিস টেস্টে তুই তো পেয়েই যাবি।"- আমি রিমাকে বলি।
"আর তুই?"
রিমার প্রশ্নের উত্তরে আমি বলি, " আপনারা দুই বোন মেরে ধরে পড়ালে আমিও বাধ্য হবে পেতে ম্যাডাম !"
" যা, এবার রিয়ার পায়ে মাথা রেখে প্রণাম করে টানা ৩ ঘন্টা পড়ে ফেল। কাল বিকালে আমি তোদের বাড়িতে এলে আমাকেও একইভাবে ভক্তিভরে প্রণাম করবি কিন্তু!"
" আর যদি না করি?"
" জুতো পরা পায়ের লাথি সোজা তোর নাকের উপরে পরবে। এখন যা! তোকে পরের কয়েক মাস কিভাবে গিনিপিগ বানিয়ে রেখে ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাঠানো যায় সেই নিয়ে মাসির সাথে আমাদের সিক্রেট কথা চলছে। তুই যা এখন!"
আমি মাকে বোনের লুচির বায়নার কথা বলে বোনের ঘরে গিয়ে দেখি সেও পড়তে বসেছে। আমি শাষ্টাঙ্গে ওর চটি পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে নিজেও পড়তে বসে গেলাম।
পরের কয়েক মাস আমার জীবনে এভাবেই চলল। রিয়া আর রিমার সেবা করা আর পড়া ছাড়া আর কোনদিকে তাকাই নি আমি। H.S. এর রেজাল্টে রিমার এল ৯১%, আমার ৮৪%। আমি যা সময় দিয়েছি গত ২ বছরে তার তুলনায় অনেক ভাল। আর আরো আশ্চর্য, আমাদের দুজনের রাজ্যের জয়েন্টের rank এল একদম পরপর, তাও হাজারের মধ্যে। দুজনেই একই সরকারী কলেজে একই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হলাম আমরা।
আমার আশংকা অবশ্য সত্যি হয় নি। কলেজ পাওয়ার পরেও আমাকে খেলাচ্ছলে চাকরের মত ব্যবহার করা, কথায় কথায় মারা আর অপমান করা, চাকরের মত কাজ করানো বা মুখের উপরে জুতো পরা পা তুলে দিয়ে বসে পা টেপানো, কোনটাই রিয়া আর রিমা বন্ধ করে নি, বরং আরো বাড়িয়েছে। আর সত্যি বলতে নিজের কেরিয়ারের সাফল্যের চেয়ে এটাই আমার অনেক বেশি ভাল লাগে!!
Subscribe to:
Posts (Atom)