Tuesday, 25 December 2018
রনির ডায়েরি - story plot!
রনির ডায়েরি গল্পের চতুর্থ অধ্যায়/ পার্ট পরের মাসের ১ তারিখে প্রকাশ করার কথা। এখনো কিছু লিখে ওঠা হয় নি। জানি না লেখা হয়ে উঠবে কিনা।
আসলে এরকম গল্প শুরু করা সহজ। কিন্তু ঠিক যেরকম লিখতে চাইছি সেটা লিখতে গেলে গল্প এত বড় হয়ে যায় যে সময় করে গুছিয়ে লিখে শেষ করে ওঠা হয় না।
এই গল্পের স্ক্রিপ্ট টা মোটামুটি এরকম। রনিকে ছোট থেকে তার আড়াই বছরের বড় দিদি মৌ চাকরের মত ইউজ করত। মেধাবী সুন্দরী মেয়ের প্রতি ভালবাসা থেকে রনির বাবা মা সেভাবে কখনো এতে বাধা দেয় নি। রনির দিদি ক্লাস ১১ -১২ এ পড়ার সময়ে রনিকে নিজের খুড়তুতো কাকিমার সামনেই ডমিনেট করত, চাকরের মত ইউজ করত। রনি জন্মসুত্রে তার ভাই হলেও মৌয়ের চোখে রনি ওর চাকরের বেশি কিছু ছিল না। বরং বয়সে মাত্র ৫ বছরের বড় রিমা কাকিমাকে মৌ নিজের দিদির চোখেই দেখত, ভালবাসত। রিমার কাছেও মৌ তার ছোট বোনের মতই ছিল, আর রনি ছিল পারিবারিক বিনা পয়সার চাকরের মত, যাকে যত খুশি ব্যাবহার করে জীবনকে সহজ করে নেওয়া যায়।
কলেজে উঠে মৌ বাইরে অন্য শহরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যায়। বছরে ৩-৪ বার মাত্র বাড়ি আসে। এরপরে কলেজ পাশ করেই মৌ চাকরি নিয়ে চলে যায় বিদেশে। ফলে রনিকে প্রায় দাসের মত ব্যাবহার করার আর কেউ থাকে না। যেটা ভয়ানক সাবমিসিভ রনিকে খুব কষ্ট দিতে থাকে।
রনিকে যদিও তার কাকিমা চাকরের মত ব্যাবহার করতে থাকে কিছুটা। মানে ওদের বাড়িতে গিয়ে ঘর গুছিয়ে বা পরিষ্কার করে দিয়ে আসা। শপিং এ সাহায্য করা, ব্যাগ বয়ে দেওয়া। জুতো পালিশ করে রাখা। মাঝে মধ্যে পা টিপে দেওয়া। কাকিমার দুই মেয়ে মানি ও তানি এই দেখেই বড় হতে থাকে। বড়দের সামনে খুব বেশি না করলেও আড়ালে মানি আর তানিও রনিকে বেশ ডমিনেট করতে থাকে। রনিকে দিয়ে পা টেপানো থেকে ওর টাকায় শপিং করা এসবে মানি প্রথমে সচ্ছন্দ হয়। আর দিদির দেখাদেখি তার বোন তানিও একই কাজ করতে থাকে।
কিন্তু পুরো ব্যাপারটাকে আরো বেশির দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে তানিই। তখন তানির বয়স ১১, মানির ১৬, ওদের মায়ের ৩৫ আর রনির ৩০।
মা আর দিদির সামনেই রনিকে বকা বা চড় লাথি মারা এসব ক্রমেই বাড়তে থাকে। নামমাত্র বাধা দিয়ে শেষে সবই মেনে নেয় রিমা কাকিমা। ক্রমে তানি মা আর দিদির সামনেই রনির মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে বসে পা টেপানো থেকে তুচ্ছ অজুহাতে রনির মুখে জুতো পরা পায়ে একের পর এক লাথি মারা বা রনিকে দিয়ে নিজের পায়ে পরা জুতোর তলা চাটিয়ে পরিষ্কার করানো সবই চলতে থাকে। তানির সাথে মানি, এমনকি ওদের মা রিমাও অল্প বিস্তর ডমিনেট করতে থাকে রনিকে।
কিন্তু ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকে না। ক্রমে রনিকে নিজেদের বান্ধবী সোনা (১৮) আর ডোনার (১৪) সামনেই ক্যাজুয়ালি ডমিনেট করতে থাকে মানি আর তানি। তানি যেমন খামিখেয়ালি ডমিনেটিং বাচ্চা, তেমনই ডোনা খুব শেল্ফিশ,মুডি, ডমিনেটিং টিন এজ গার্ল। আর ৩ বছরের পার্থক্য স্বত্ত্বেও দুজনের গলায় গলায় ভাব! তানিকে রনিকে এইভাবে ডমিনেট করতে দেখে ডোনাও রনিকে ডমিনেট করা শুরু করবে। কথায় কথায় লাথি মারবে, জুতো চাটাবে। আর রনির টাকায় শপিং করা বা ফুর্তি করা তো আছেই!
রিমা কাকিমা এর মধ্যে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করবে। আসলে মেয়ের দুই প্রানের বন্ধু সোনা ও ডোনাকে রিমা নিজের মেয়ের মতই ভালবাসে। অথচ ডোনারা খুব গরীব। আর ভাড়া বাড়িতে থাকা ডোনা নিজের বাড়িওয়ালার ছেলেকে চড় মারায় বাড়িওয়ালা সেই মাসেই ওদের বাড়ি থেকে বার করে দেবে বলেছে। আর নতুন বাড়ি ভাড়া নেওয়ার মত টাকা তখন ডোনাদের নেই।
তাই রিমা কাকিমা চাইছে রনিকে নিজেদের হাতের মুঠোয় বা জুতোর তলায় নিয়ে এসে তার শরীর আত্মা সম্পদ সব কিছুর দখল নেওয়া। যাতে ওকে দিয়ে নিজেদের বাড়ির কাজ করানো, মেয়েদের একটা দাস ইউজ করার আনন্দ, তার টাকায় যা খুশি শপিং করতে দেওয়ার পাশাপাশি ডোনাদের রনির বাড়িতে ফ্রি তে থাকতে দিয়ে ওদের এই জটিল সমস্যা থেকে বার করে আনা যায়।
রিমা কাকিমার প্লান সফল হবে। ডোনারা ফ্রি তে রনিদের বাড়িতে থাকতে চলে আসবে। ডোনা শুধু ফ্রি বাড়ি পেয়েই খুশি হবে না। রনির মুখে লাথি মেরে অর্ডার করবে ডোনার মত প্রভু দয়া করে রনির বাড়িতে আছে এই সৌভাগ্যের জন্য রনিকে প্রতি মাসে ডোনাকে ভাড়া দিতে হবে। সাথে ওকে শপিং করাতে হবে, চাকরের মত ওদের ঘরের কাজ করতে হবে। পা টিপে সেবা করা আর জুতো চেটে পালিশ তো আছেই! ক্রমে রনি দুটো পরিবারের ক্রীতদাসে পরিনত হবে।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। আগের বাড়িওয়ালার ছেলে চড় খাওয়ার প্রতিশোধ নিতে একদিন ডোনাকে কুকথা নলায় ডোনা রাগে ওর মাথায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারবে। ছেলেটা ওখানেই মারা যাবে। রিমা কাকিমার আদেশে রনি ওদের বাড়ির পিছনের জলা জমিতে ওই দেহ পুঁতে দেবে রাতের অন্ধকারে। রিমা আদেশ দেবে ওই জমি এবারে এক প্রমোটারকে চড়া দামে বেচে দিতে যাতে ফ্লাট হয়ে গেলে ওই জমি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার পরে কঠিন হয়ে যায়। আর পরে সত্যিই দেহ উদ্ধার হলে প্রভু ডোনার বদলে তাকেই খুন করার অভিযোগ মাথা পেতে নিয়ে জেলে যাওয়া বা ফাঁসিকাঠে ঝোলার আদেশ দেয় রিমা। রনি সেই আদেশ মাথা পেতে নেয়। প্রভু ডোনা নাবালিকা। খুন করলেও তার শাস্তি বছর দুই হোমে থাকা। কিন্তু প্রভু ডোনা ওইটুকু শাস্তিই বা নেবে কেন যখন রনির মত দাস আছে? এর চেয়ে তার মত নগন্য দাসের ফাঁসিকাঠে ঝোলা অনেক ভাল। প্রভুকে সামান্য আরাম দিতে দাস নিজের জীবন উতসর্গ না করলে সে আর কেমন দাস?
লাশ পুঁতে ফেলা রনিদের ওই জমি বিক্রির টাকা রিমা কাকিমারা , ডোনারা আর রনির দিদি মৌ সমান ভাগ করে নেবে। রনির মায়ের মৃত্যুর পরে মায়ের দিক থেকে পাওয়া জমির পুরোটাই নিয়ে নেবে রনির দিদি মৌ। বিদেশ থেকে ফিরে সেই জমিতে নিজের অফিস খুলবে সে। রনির এই বাড়িও ভাগ বাটোয়ারা করে নেবে মৌ আর রিমা। আপাতত সেখানে ভাড়া থাকার জন্য ডোনাদের উলটে মাসে মাসে ভাড়া দিতে থাকবে রনি। আর তার রোজগারের টাকাটা বেশিরভাগটাই ওড়াতে থাকবে মানি-তানি-ডোনা। বাকিটাও নিজের একাউন্টে নিয়ে নেবে রিমা কাকিমা। আর মৌ পাবে তাদের প্রয়োজনীয় জমি ও বাড়ি, ছোট থেকে চাকরের চোখে দেখা আপন ভাইকে কোন ভাগ না দিয়েই!
মৌও নিজের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবে এরপরে। রনির দিন কাটবে মানি-তানি-রিমা কাকিমা, ডোনা-সোনা-ওদের মা, দিদি-ভাগ্নী এদের সবার ক্রীতদাস হয়ে, চড় লাথি চাবুক খেয়ে আর জুতো চেটে। জবাবে ওরা সবাই পাবে একজন ফুল টাইম চাকর কাম স্লেভ! রনির দিন কাটতে থাকবে এতজন প্রভুর সেবা করার পাশাপাশি যেকোন দিন ডোনার করা খুনের দায়ভার মাথায় নিয়ে ফাঁসিকাঠে ঝোলার সম্ভাবনা মাথায় নিয়ে। কিন্তু তাতে তার কোন আপত্তি নেই। প্রভু ডোনা বা তানির জুতোর তলার একটু ময়লার দামও তার জীবনের চেয়ে বেশি! তাই ওদের ডোনাকে খুন করার শাস্তি হিসাবে হোমে যেতে হওয়ার চেয়ে তার মত দাসের ফাঁসি কাঠে ঝোলা তার কাছে যেকোন দিন অনেক বেশি কাম্য!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment