Monday, 11 November 2024
ইন্টার্ন অনন্যা...
ইন্টার্ন অনন্যা...
অনন্যা নামের মেয়েটি আমাদের অফিসে ইন্টার্নশিপ করছে। বয়স সদ্য কুড়ির ঘরে পরেছে। ফর্শা, অসাধারন সুন্দরী মেয়ে। তবে কাজে মনযোগ একদম কম, আর কথা বলে বড্ড বেশি।
আমাদের টিমের যার আন্ডারে ও ইন্টার্নশিপ করছে সে কয়েকবার অভিযোগ করেছে- " একদম পাকা মেয়ে, কোন কথা মন দিয়ে শোনে না। সারাক্ষন শুধু ফালতু বকে চলেছে। এরকম করলে একে এক্সপেরিএন্স সার্টিফিকেট দেওয়া উচিত না।"
কাল দুপুরের দিকে মেয়েটি এসে আমাকে অভিযোগ করল, " অনন্যার মত ইন্টার্ন আমার দরকার নেই, ওকে দিয়ে কাজ করানো অসম্ভব। তার চেয়ে নিজে করে নেওয়া সহজ।" শুনলাম অতি সহজ এক কাজে বড় ব্লান্ডার মিস্টেক করেছে আজ ও, সেই অমনযোগী হয়ে কথা বলতে বলতে।
আমি ওকে বলে দিলাম অনন্যাকে আমার ঘরে পাঠাতে।
মিনিট দশেক পরে অনন্যা ঢুকল, চুইংগাম চিবাতে চিবাতে। এই ক্যাজুয়াল চাপলেস এটিচিউডই ওর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। ওর পরনে কালো আর কমলা রঙ মেশানো টপ, ফেডেড জিন্স, পায়ে কালোর উপরে কমলা কাজ করা স্নিকার্স। জুতোর তলাটা পুরো কমলা। ( মেয়েটির কমলা আর কালো শিওর ফেভারিট রঙ, আগেরদিনও পায়ে ছিল কমলা আর কালো মেশানো পুমার একটা কিটো জুতো)।
মেয়েটি ঢুকেই বলল, " হাই সুমনদা, আমাকে ডেকেছ?"
এত ছোট হওয়ার পরেও ওর আমাকে স্যার বা আপনি না বলে দাদা আর তুমি করে ডাকাও আমার ভাল লাগে কোন সন্দেহ নেই। আমিও দিব্বি উঠে দাঁড়িয়ে ওকে সম্মান দিয়ে ওরদিকে ভাল চেয়ারটা এগিয়ে দিয়ে নিজে খারাপটায় বসলাম। আমার মত ভয়ানক সাবমিসিভ কেউ সুন্দরী মেয়ে দেখলে যেটা খুব স্বাভাবিক আর কি!
আমি ওকে ভুল গুলো একটু বোঝানোর চেষ্টা করলাম, বা বলা ভাল বাধ্য হলাম। কিন্তু ও অর্ধেক কথা শোনে আর একটু পরপরই এই ওই কথা তুলে প্রশংগ বদলাতে চেষ্টা করে। অফিসের কাজের বোরিং খুটিনাটিতে ওর মন বসার অভ্যাস এখনো হয়নি। আমি আবার পয়েন্টে ফিরলেই ও চুইংগাম চিবাতে চিবাতে হাতের পেনটাকে আনমনে ঘোরাতে থাকে।
এভাবে পেন ঘোরাতে ঘোরাতেই সেটাকে ও টেবিলের নিচে ফেলল। আর আমার সৌভাগ্য হল ওর পায়ের কাছে হাঁটুগেড়ে বসে পেন তোলার। " তুমি বসো, আমি তুলছি" বলে আমি সাথে সাথে সুযোগের সদব্যাবহার করলাম। অনন্যা বাঁ পায়ের উপরে ডান পা তুলে বসে আছে। পেনটা পরেছে ওর ডান পায়ের ঠিক সামনে।
আমি পেনটা হাতে নিয়ে তুলতে গিয়েও থমকে গেলাম। ও ততক্ষনে আবার অন্য এক বিষয়ে কথা বলা শুরু করেছে। বাঁ পায়ের উপরে রাখা ডান পা টা তখন আমার থেকে ৬ ইঞ্চি মত দূরে। ওর পা টেবিলের তলায় থাকায় ওর চোখে পরছে না। আমি সাহস করে ওর দুই জুতোর উপরে দিকে হালকা করে হাত বুলিয়ে মাথায় আর কপালে ওর জুতোর ময়লা ঠেকালাম, অনেকটা প্রনামের মত করে। তারপরে আরো সাহস করে পুরো ডান হাতের তালুটা ওর ডান জুতোর তলায় বুলিয়ে ওর জুতোর তলার পুরো ময়লাটা হাতে করে মুছে আনলাম। একবার সামনে থেকে পিছনে, তারপরে পিছন থেকে সামনে। উত্তেজনায় আমার বুক ধুকপুক করছিল তখন!
"পেনটা পাওনি সুমনদা?"
ভাগ্যিস অনন্যা প্রশ্নটা করে তবে নিচে উঁকি দিল! নাহলে দেখতে পেত ও ফাঁকি দেওয়ার শাস্তিস্বরুপ ওর বস নিজের হাত দিয়ে ঘসে ওর জুতো পালিশ করছে!
" এই পেলাম" বলে আমি উঠে এলাম আর রিস্ক না নিয়ে।"
" আচ্ছা সুমনদা, রিতাদি কি এসে আমার নামে কম্পলেন করে গেছে?"
আমি হেসে বলি " কম্পলেন ঠিক না। তুমি মন দিয়ে কাজ কর না বলে ভুল কর অনেক, সেটা বলে গেছে। তাই আমি তোমাকে ডাকলাম একটু বোঝাতে।"
অনন্যা হেসে বলে, " আমি সব বুঝি সুমনদা। রিতা খুব বোরিং আর খিটখিটে। ওর সাথে সারাদিন কাজ করা একদম ইম্পসিবল। আর ও বেতন পায় তাই মন দিয়ে কাজ করে। আমি তো করছি ফ্রি ইন্টার্নশিপ, শুধু একটা সার্টিফিকেটের জন্য । আমার এত মন বসবে কেন তুমিই বলো সুমনদা?"
"আমি হেসে বলি স্টাইপেন্ড পেলে কাজে মন বসত? ঠিক আছে, তোমাকে আমি স্পেশাল স্টাইপেন্ড দেওয়ার ব্যাবস্থা করছি। কাল একবার এসে কনফার্ম হয়ে যেও।"
স্টাইপেন্ডের লোভে অনন্যা খুশি হয়ে আমার অফিস ছাড়ল। পরদিন একই সময়ে ও আমার রুমে এসে হাজির। কোন ফর্মালিটির বালাই নেই, সোজা ঘরে ঢুকে বসে পরল ভাল চেয়ারটায়। আমি তখন একটু রুমের বাইরে বেরিয়েছিলাম, ফিরে দেখি পায়ের উপর পা তুলে বসে দিব্বি মোবাইল ঘাঁটছে ও!
আমি দরজা খুলে ওকে দেখেই ইয়ার্কির সুরে বললাম " মে আই কাম ইন ম্যাম?" যদিও এটা সিরিয়াস সুরে বলতে পারলেই আমার বেশি ভাল লাগত।
ও কিন্তু দিব্বি উত্তর দিল " আসো সুমনদা, তোমার খোঁজেই এসেছিলাম। আমার স্টাইপেন্ডের খবর নিতে।"
" ও হ্যাঁ, ওটার পারমিশান আমি করিয়ে নেব। তোমাকে মাসে ১২ হাজার করে দেওয়া হবে।"
আমি ভেবেছিলাম ও খুব খুশি হবে। হওয়ারই কথা। ও যা কাজ করছে তাতে আমার মত সাবমিসিভ বস নাহলে এই মার্কেটে সার্টিফিকেটই দিত না, টাকা তো দূর!
কিন্তু অনন্যা অন্য ধাতুতে গড়া! তাই মুখ বেজার করে বলল, " only 12,000? আমি ভেবেছিলাম হাজার ১৮-২০ দেবে, তাহলে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপের টাকা জমিয়ে আমি একটা Iphone কিনতাম!"
" আচ্ছা, আমি দেখছি। জানি এটা অনেক কম টাকা,,কিন্তু বাকি ২ ইন্টার্ন কিন্তু পুরো ৬ মাস কিছু এলাউন্স ছাড়া ফ্রি তেই কাজ করছে। তবু, আমি দেখছি। তুমি একটু মন দিয়ে কাজ কর, যাতে আমি তোমার সুনাম করে স্টাইপেন্ড বাড়ানোর চেষ্টা করলে কেউ প্রতিবাদ করে না বসে!"
অনন্যা হাই তুলে বলল, " এই অফিসের কাজ এত বোরিং। হয় মাথা নিজে থেকে অন্য ইন্টারেস্টিং টপিকে চলে যায়, নাহলে এরকম ঘুম পায়। আমার কি দোষ বলো?"
আমি কালকের অনন্যার মত হাতে পেন নিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে বললাম " না, তোমার কোন দোষ নেই। কিন্তু সব অফিসই এরকম বোরিং কাজ কর্মই করে unfortunately!" এই বলে আমি পেনটা ইচ্ছা করে হাত থেকে টেবিলের নিচে ফেলে " উফস" বলে পেনটা তুলতে অনন্যার পায়ের কাছে হাঁটুগেড়ে বসলাম। আজ ওর পায়ে adidas এর আরেক জোড়া কমলা কালো মেশানো জুতো, আজকেরটায় কমলার ভাগ আরেকটু বেশি। আমি পেনটা কুড়িয়ে তাড়াতাড়ি ওর দুই জুতোয় হাত ছুঁইয়ে মাথা আর কপালে হাত ছোঁয়ালাম, তারপরে আরো সাহস করে নিজের কপালটা,সোজা ওর দুই জুতো পরা পায়ের উপরে নামিয়ে দিলাম! ৩-৪ সেকেন্ডের বেশি যদিও সাহস হল না এইভাবে প্রভু অনন্যাকে ভক্তিভরে জুতো পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করার। আমি মাথা তুলতেই দেখি অনন্যা মাথা নামাচ্ছে!
আমি সাহস করে অনন্যার জুতোর উপরে হাত দিলাম। অনন্যাকে মাথা নিচু করতে দেখে ওর জুতোয় হালকা হাত বুলিয়ে বললাম " তোমার জুতোর কালার আর শেপটা দারুন। আর জুতোটাও খুব সফট সুন্দর। তোমাকে দারুন মানাচ্ছে অনন্যা।
অনন্যা আমার কান্ড দেখে মুচকি হেসে বলল, " তুমি বস হয়ে আমার জুতো পরা পায়ে হাত দিচ্ছ সুমনদা?"
আমি উঠে আবার চেয়ারে বসে বলি, " আসলে কি জান অনন্যা? আমি লেখাপড়া শিখে আজ ১০ বছর এই অফিসে ভাল চাকরি করলেও আমাদের পারিবারিক জুতোর দোকানের ব্যাবসা। আমার ঠাকুরদা, বাবা-কাকা সবাই এই করেই পেট চালিয়েছে। এখনো বাবা-দাদা এই করেই সংসার চালাচ্ছে। আমিও অনেকদিন দোকানে বসেছি। আর কথায় বলে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে! নাপিতের চোখ যেমন না চাইতেও সবার চুলের ছাঁট লক্ষ্য করে বেরায় তেমনই আমাদের জুতো ব্যাবসায়ী পরিবারের লোকের চোখ যায় লোকের জুতোর দিকে। আর তোমার মত কম বয়সী মেয়ের পায়ে এত সুন্দর জুতো থাকলে চোখ তো আটকাবেই, আর জুতোর অত কাছ থেকে চোখ গেলে তো কথাই নেই!"
অনন্যার চোখ খুশিতে চিকচিক করে উঠল আমার কথা শুনে। ও বলল, " এটা এডিডাসের জুতো। ৩০০০ টাকা দিয়ে কিনেছি, ভাল তো হবেই। কিন্তু এখন আর বাবা এত টাকা দিতে চায় না, বলে আমি নাকি দু হাতে ওড়াই। সেই জন্যই আমার ভাল স্টাইপেন্ড খুব দরকার সুমনদা। আর তুমিই বলো, আমার মত মেয়েকে এরকম দামী ব্র্যান্ডের জামা জুতো ছাড়া মানায়?"
" না, একদমই মানায় না অনন্যা। আচ্ছা, আমার মাথায় একটা প্লান এসেছে,যদি তুমি শুনতে চাও তো বলি।"
" বলো, শুনি কি প্লান।" অনন্যা বলে।
আমাদের জুতোর দোকানের জন্য প্রতিবছর মডেল দিয়ে এড করানো হয়। যদি তুমি রাজি থাক তো এবছর তোমাকে মডেল রাখা যায়। বিভিন্ন পোজে তোমার আর তোমার পায়ে পরা জুতোর ফটো তোলা হবে, বদলে তুমি পাবে চুক্তি মত টাকা আর আমাদের দোকানের তরফ থেকে কয়েকটা ব্রান্ডেড জুতো। রাজি?"
কথাটা শুনে অনন্যার মুখে চওড়া হাসি ফুটল, " অফিসের বোরিং কাজের তুলনায় এটা অনেক ইন্টারেস্টিং অফার!"
ইন্টার্ন অনন্যা ২...
" তার মানে তুমি রাজি, তাই তো?"- আমি অনন্যাকে জিজ্ঞাসা করি।
এত ভাল অফারে ঘটে সামান্য বুদ্ধি আছে এমন কেউ কখনো না করবে না। শুধু অফারের ডিটেলসটা শুনতে চাই কনফার্ম করার আগে।"- অনন্যা মিষ্টি হেসে বলল।
আমি উত্তর দেওয়ার আগে অনন্যার দিকে তাকালাম একবার। কাল ওর cv খুলে দেখেছি এখন ওর বয়স মাত্র ২০। ফর্শা, মিষ্টি চেহারা, উচ্চতা ৫'২"-৫'৩" মত হবে। বেশ রোগা, ওজন ওই ৪৮ কেজির কাছাকাছি। আজ ওর পরনে কমলা ঢোলা একটা টি শার্ট, কালো ফেডেড জিন্স আর কমলা শর্ট মোজার উপরে কমলা কালো মেশান এডিডাসের স্নিকার যার উপরে মাথা রেখে একটু আগেই আমি ওকে প্রনাম করেছি ওর অজান্তে।
আমি একটু ভেবে বললাম " মাসে ১২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডে তুমি খুশি নও। ১৮-২০ হাজার টাকা চাও। তাই তো? আর যদি বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে ৩ দিন ২ ঘন্টা করে সময় দিতে হয় তাহলে কত টাকা এক্সপেক্ট করো তুমি?"
অনন্যা একটু ভেবে বলল, " স্টাইপেন্ড টা ২০ হাজার হলে ভাল হয়। তবে ১৫ হাজার হলেও চলে যাবে। আমার ৬ মাসের ইন্টার্নশিপের মধ্যে আড়াই মাস হয়ে গেছে। যদি এই আড়াই মাসের জন্যেও স্টাইপেন্ড টা দিয়ে দেয় তাহলে ওই ১২ হাজার দিলেও আমি মাইন্ড করব না। আর এডের জন্য কিরকম ফি দেওয়া হয় I have no idea! তবে টোটাল ৬ ঘন্টা শুটিং এর জন্য হাজার ৬ টাকা আর ৩-৪ টে ব্রান্ডেড শু পেলে খারাপ হয় না!"
" তুমি অনেক কমই চাইছ অনন্যা। মডেলদের পারিশ্রমিক অনেক বেশি হয়। ৩ দিনের জন্য তোমাকে ১৫ হাজার টাকা আর ৫ জোড়া ব্রান্ডেড শু দিলে খুশি তো?"
অনন্যার চোখ জোড়া খুশিতে চিকচিক করে উঠল। " তুমি খুব ভাল সুমনদা। কিন্তু আমার মডেলিং এর কোন এক্সপেরিএন্স নেই। কি করতে হবে আমাকে ভাল করে বুঝিয়ে দিও কিন্তু। আর স্টাইপেন্ডের ব্যাপারটাও ফাইনাল করে জানিও।"
" হুঁ, জানাব। তুমি ধরে নিতে পার ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড কনফার্ম তোমার। পুরো ৬ মাসের জন্য। আর সাথে আমি খুব চেষ্টা করব এই ৬ মাসের পরে তোমাকে এই অফিসে পার্মানেন্ট পোস্টে চাকরিতে ঢুকিয়ে নেওয়ার।"
অনন্যার চোখ বড় বড় হয়ে গেল বিষ্ময়ে। তারপরে ও হেসে ফেলে বলল, " আমি কাজে খুব ফাঁকি দিই এই অভিযোগ করে রিতাদি আমাকে তোমার কাছে পাঠাল আমার ফ্রি ইন্টার্নশিপ ক্যান্সেল করে দেওয়ার জন্য। আর তুমি সব শুনে আমার স্টাইপেন্ডের ব্যাবস্থা তো করেই দিলে, এখন আবার বলছ আমাকে পার্মানেন্ট পোস্টে চাকরিতে নিয়ে নেবে! রিতাদি শুনলে তো ওর হার্ট এটাক করবে!"
"তোমার স্টাইপেন্ডের এমাউন্ট শুনলে করতেই পারে। ও ৫ বছর চাকরির পরেও এখন ১৫ হাজার টাকা হাতে পায় মাত্র।"
" আমাকে এত টাকা আর চাকরি অফার করছ কেন তুমি সুমনদা? যেখানে আমি সত্যিই এত্ত ফাঁকিবাজ! আমি এড করতে রাজি হলাম বলে? কিন্তু সেটাতেও তো আমারই লাভ বেশি। I am highly curious সুমনদা। তুমি না হয় অন্য কেউ হলে আমি এতক্ষনে ভেবে বসতাম তার অন্য কোন ধান্দা আছে।"
আমি মনে মনে বললাম - ধান্দা তো আছেই। তোমাকে প্রভু হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে দাসজ্ঞানে তোমার সেবা করার ধান্দা!
মুখে বললাম, " তোমার মধ্যে আমি অন্য এক বড় গুন দেখতে পাচ্ছি, যেই রোলে তুমি দারুন পারফর্ম করতে পারবে। সেটাই মূল কারন। সাথে তোমার মত একটা মেয়েকে মডেল হিসাবে পাওয়ার কৃতজ্ঞতাও আছে। এর আগের বছর অবধি এডের কন্সেপ্ট স্ক্রিপ্ট শুটিং সব এড এজেন্সিকে দিয়ে করানো হত। কিন্তু তাতে অনেক খরচ আর ফলও তেমন ভাল পাই না। তাই এবারে ইচ্ছা আছে নিজেই পুরোটা করব আমি। আর লোকে ফটোতে তোমাকে দেখেই জুতো কিনবে যখন তখন ওই টাকাটা এড এজেন্সিকে না দিয়ে তোমাকে দেওয়াই কি উচিত না? শুধু একটাই সমস্যা আছে এখন।"
আমার বানানো গল্পে মুগ্ধ হয়ে অনন্যা জিজ্ঞাসা করল, " সেটাই ভাল সুমনদা। যদিও স্ক্রিপ্ট ফটো শুট এইসব নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই তবু দরকার মত আমি যত সম্ভব হেল্প করব। তাতে আমার তোমার দুজনেরই লাভ। আর আমার মনে হয় এই শুটিং এর ব্যাপারটা অফিসের কাজের মত এত বোরিং হবে না।"
"আমারও তাই মনে হয়। সমস্যা হল এখনো আমার মাথায় কোন ভাল কন্সেপ্ট নেই এমন ফটো আর ভিডিও করার যা দেখে লোকে আকৃষ্ট হবে। তোমাকে একটা রিকোয়েস্ট করব অনন্যা? তোমার পায়ে পরা জুতোই তো পুরো শুটিং এর মেইন ফোকাস। তাই আমি কি একটু ক্লোসলি তোমার জুতো পরা পা দুটো দেখতে আর জুতোতে টাচ করতে পারি? নাহলে স্ক্রিপ্ট কিছু মাথায় আসছে না। প্লিজ!"
অনন্যা হাসিমুখে বলল, " সত্যি সুমনদা! তুমি পারও বটে। বস হয়ে তোমার ইন্টার্নকে রিকোয়েস্ট করছ তার পায়ে পরা জুতোয় হাত দেওয়ার জন্য! রিতাদি দেখলে ১০০% হার্ট এটাক করবে। আমি damn sure!" এই বলে ও বেশ হাসিমুখে ওর জুতো পরা পা দুটো টেবিলের উপরে তুলে দিল গদি মোড়া চেয়ারে হেলান দিয়ে। এখন ওর জুতো পরা পা দুটো টেবিলে ওর উলটো দিকে বসা আমার থেকে ১ ফুট মত দূরে।
আমার সব দিবাস্বপ্ন সত্যি হচ্ছে যেন! আমি সামনে ঝুঁকে ওর জুতো পরা পা দুটো দুই হাতে ধরলাম। ওর জুতোর উপর দিক, সাইড, তলা সব জায়গায় হাত বোলাতে লাগলাম আসতে আসতে। সাথে আমার মাথা ওর জুতোর খুব কাছে নিয়ে গিয়ে ক্লোজলি ওর জুতোর তলা দুটোর দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার খুব ইচ্ছা করছিল ওর জুতোর তলায় মুখ ঘসতে। কিন্তু ঠিক কি অজুহাত দিয়ে সেটা করা যায় সেটা ঠিক মাথায় আসছিল না।
ঠিক তখন দরজায় নকের শব্দ শুনলাম। " মে আই কাম ইন স্যার?" - গলা শুনে বুঝলাম এটা রিতা।
" ইয়েস প্লিজ" বলে আমি অনন্যার জুতো থেকে হাত সরিয়ে দরজার দিকে সামান্য মুখ ঘুরিয়ে বসলাম। কিন্তু অনন্যা টেবিলের উপর থেকে জুতো পরা পা সরানোর কোন লক্ষন দেখাল না। অফিসের বস আমার মুখের সামনে জুতো শুদ্ধু পা তুলে ও বসে আছে এটা দেখে রিতার কি রিএকশান হয় সেই মজা দেখার জন্যই সম্ভবত ও মুখে হালকা হাসি ঝুলিয়ে ওইভাবেই বসে রইল।
রিতা দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে কি একটা বলার জন্য মুখ খুলল, কিন্তু ওর মুখ থেকে কোন শব্দ বেরোল না। ওর চোখ একবার আমার মুখের দিকে আর একবার আমার ঠিক সামনে টেবিলের উপরে রাখা অনন্যার জুতো পরা পায়ের দিকে ঘুরতে লাগল। বিষ্ময়ে ও মুখের হাঁ বন্ধ করতেও ভুলে গেল।
আমি ঘাবড়ালাম না। শান্ত গলায় বললাম "কিছু বলবে রিতা?"
আমার শান্ত গলার স্বরে রিতা আরো ঘাবড়ে গেল। অনেক কষ্টে " না, মানে স্যার, অনন্যা এইভাবে স্যার... না স্যার.. আমি স্যার বলতে এসেছিলাম ওই ওর মিস্টেকের জন্য... না মানে স্যার... যেই প্রব্লেম টা হয়েছে স্যার..." ও এত অবাক হয়েছে যে কি বলবে সেটা ও গুছিয়ে কিছুতেই বলে উঠতে পারছিল না। ওর অদ্ভুত আচরন দেখে অনন্যা দুহাতে মুখ ঢেকে হাসি চাপার ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগল।
আমি বললাম " তুমি বোধহয় কোন কারনে একটু ঘাবড়ে আছ রিতা। একটু টাইম নাও। ৩০ মিনিট বাইরে ঘুরে একটু মাথাটা হালকা করে এসে বলো তুমি কি বলতে চাও, কেমন?"
" ওকে স্যার" এই বলে ২৮-২৯ বছর বয়সী এভারেজ লুকিং রিতা আরেকবার করে আমার মুখ আর তার সামনেই টেবিলে রাখা অনন্যার জুতো পরা পায়ের দিকে তাকাল। তারপরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
ও বেরোতেই অনন্যা মুখ থেকে হাত সরিয়ে হাসিতে ফেটে পরল। " উফ, সুমনদা! বোরিং অফিসে এখন অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিস হচ্ছে! রিতাদির মুখটা যা হয়েছিল না! ও যদি দেখত তুমি আমার জুতোর তলায় হাত বোলাচ্ছ তাহলে যে কি হত! আর আমার চাকরির অফার আর স্যালারির অংকটা ওর কানে গেলে এক্ষুনি আমাদের এম্বুলেন্স ডাকতে হত!"
আমি হাসতে হাসতে বললাম, " ঠিক বলেছ অনন্যা। আমি ভাবছিলাম এইভাবে ওর চোখের সামনে তোমার জুতো পরা পায়ের উপরে নিজের মাথাটা নামিয়ে দিই। তাহলে ওর রিএকশানটা দেখার মত হত!" এই বলে আমি সুযোগের সদব্যাবহার করে মজার এক্টিং করে অনন্যার কালো কমলা মেশানো স্মিকারের উপরে নিজের মাথা টা নামিয়ে দিলাম।আমার মাথার চুল টাচ করল ওর জুতোর তলায়।
বস ওর জুতো পরা পায়ে মাথা রেখেছে! তবু অনন্যা তেমন কোন রিএকশান দেখাল না। বরং হাসতে হাসতে বলল, " ৩০ মিনিট পরে রিতাদি আবার আসবে তো। তখন এটাই করো। দারুন মজা হবে সুমনদা!"
আমি ওর কথা শুনে ওর মুখের দিকে তাকানোর জন্য মুখ তুললাম। ফলে ওর জুতোর তলা এবার আমার চুলের বদলে সরাসরি আমার মুখ স্পর্শ করল। পাশাপাশি রাখা ওর দুই জুতোর তলা আমার মুখের দুই পাশ টাচ করে আছে। আমি আর পারলাম না। অনন্যার চোখে চোখ রেখে হালকা করে একবার করে ওর দুই জুতোর তলায় গাঢ় চুম্বন করলাম। তারপর গলায় মজা এনে বললাম আর যদি ওর সামনে এইভাবে তোমার জুতোর তলায় কিস করি?"
অনন্যা এই বোরিং অফিসে বেশ মজা পাচ্ছিল বুঝতে পারলাম। আমাকে ওর জুতোর তলায় কিস করতে দেখে ও এবারে টেবিলের উপরে বাঁ পায়ের উপরে ডান পা তুলে বসল। তারপরে ডান জুতোর তলা দিয়ে আমার মুখে পরপর দুবার ট্যাপ করে বলল " দারুন হবে সুমনদা!" তারপরে মুখে একটু কনসার্ন ভাব এনে বলল, " কিন্তু আমার বাইরে পরার জুতো এটা। তলাটা তো খুবই নোংরা হবে। তুমি এটার তলায় কিস করলে, তোমার খারাপ লাগল না?"
আমি এবারে ওর দুই জুতোর তলায় আরো দুবার ডিপ কিস করে বললাম, " তোমার মত মেয়ের জুতোর তলায় কিস করতে পারাও ভাগ্যের ব্যাপার অনন্যা!"
অনন্যা আমার ওর প্রতি ভক্তি আর ওর প্রশংসা শুনে খুশি মনে বলল, " আমার বাবা থেকে অফিসের এই রিতা সবার মুখে চিরকাল শুনে এলাম আমি কোন কম্মের না! আর তুমি বস হয়ে যেভাবে আমাকে ট্রিট করছ তাতে নিজেকে কিরকম গড গড ফিল হচ্ছে সুমনদা!"
আমি আবার ওর দুই জুতোর তলায় একবার করে ডিপ কিস করে বললাম " এর মধ্যে কোনটা তোমার ভাল লাগে?"
অবশ্যই তুমি যেভাবে ট্রিট করছ সেটা সুমনদা।" অনন্যা কথাটা বলে আমার মুখে ডান জুতোর তলা দিয়ে হালকা ট্যাপ করল ৩-৪ বার।
" থ্যাংক ইউ অনন্যা। সত্যি বলতে তোমার মধ্যে আমি কিরকম একটা গড গড ভাইব পাই অনন্যা। কিরকম একটা সুপিরিওর টাইপ ফিল আসে তোমার প্রতি যেটা আগে আর কখনো কারো প্রতি আসেনি।" এই বলে আমি অনন্যার জুতো পরা পা দুটো দুই হাতে ধরে তার তলায় নিজের মুখটা ঘসতে থাকি।
" তুমি পাগল হয়ে যাচ্ছ মনে হয় সুমনদা, তাই আমার মধ্যে ভগবান দেখ। তবে তাতে আমার তো ভালই। রিতাদি এলে এইভাবেই আমার জুতোর তলায় কিস করো আর মুখ ঘসো, কেমন? দারুন মজা হবে!"
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete