Friday, 1 March 2024
ক্রীতদাস!
আমি ক্রীতদাস? হ্যাঁ!!
কিন্তু কার? দিশার? নাকি আমার সম্পুর্ন অচেনা কোন বিদেশী লোকের? প্রশ্নটা ইদানিং সারাদিনই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
দিশাকে আমি প্রথম দেখি আমাদের কলেজের পাশের স্টেশানের কাছের এক চায়ের দোকানের স্টলে। বাড়ি থেকে অনেক দূরের এক ছোট শহরের কলেজে কন্ট্রাকচুয়াল প্রফেসারের চাকরি নিয়ে এসে আমি প্রথমদিন স্টেশান থেকে বেরিয়ে চায়ের দোকানে মেয়েটিকে প্রথম দেখি। ফর্শা, রোগা ডানাকাটা পরী যেন। বয়স ১৭-১৮ হবে। পরনে গোলাপী টপ, কালো জিন্স আর পায়ে গোলাপি স্ট্রাইপ কাটা কালো জুতো। আমি মেয়েটির মুখের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মোহিত হয়ে যাই। একেই আমি লাজুক, তার উপরে ৩০ বছর বয়সে এসে ১৮ এর মেয়ের দিকে তাকানো ভাল দেখায় না।
আমি চোখ নামিয়ে মেয়েটির জুতোর দিকে তাকাই। কিন্তু এবার আর চোখ সরাতে পারি না। তাকিয়েই থাকি। ইচ্ছা করতে থাকে মেয়েটির পায়ের উপরে ঝাঁপিয়ে পরে তাকে প্রভু সম্বোধন করে তার জুতো দুটো চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিতে।
আমি বুঝতে পারি এইভাবে আমার ওর জুতোর দিকে তাকিয়ে থাকা মেয়েটি লক্ষ্য করছে। কিন্তু আমি চোখ সরাতে পারি না। তাকিয়েই থাকি। মনে মনে মেয়েটিকে প্রভু ও ভগবান বলে সম্বোধন করি। অনেক কষ্টে সম্বরন করি তার পায়ে মাথা নামানোর ইচ্ছাটা। মেয়েটি ডানা কাটা পরীর মত সুন্দরী বলেই কি আমার এই ইচ্ছা হচ্ছে? নাকি বাইরে চাকরি করতে আসার চাপে? নাকি মেয়েটি আসলেই কোন দেবী? প্রথম দুটোর কম্বিনেশান বাস্তব সম্মত হলেও আমার তৃতীয় কারন টাকেই সত্যি ভাবতে বেশি ভাল লাগে।
কলেজে প্রথম দিন ক্লাস নিতে গিয়েই বুঝতে পারি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম। মেয়েটি আমারই ছাত্রী! এই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী! আমার ওইভাবে ওর জুতোর দিকে তাকানোর ফল হয় আমাকে দেখে ক্লাসের বাকি সবাই উঠে দাড়ালেও মেয়েটি ওঠে না। দিন কাটতে থাকে। মেয়েটির নাম দিশা জানতে পারি। কিন্তু আমি প্রফেসার হলেও ও কখনো আমাকে ক্লাসে ঢুকতে দেখে উঠে দাঁড়ায় না।
আমার এই ঘটনা খুব ভাল লাগতে থাকে। আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না পুরো। ক্লাসের সামনেই প্রায়ই তাকিয়ে ফেলি দিশার জুতো পরা পায়ের দিকে। রোজই ও পায়ে স্নিকার পরে আসে। বেশিরভাগ দিনই এই কালোর উপরে গোলাপি স্ট্রাইপ স্নিকারটা। আমি প্রফেসার হয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত ক্লাসের সবার সামনে রোজ প্রায় ৫ মিনিট করে বোধহয় শুধু দিশার জুতোর দিকে তাকিয়ে থেকেই কাটাই!
দিশা আমাকে ইগ্নোর ও অসম্মান করে যতটা পারে। যেমন ক্লাস চলাকালীন আমাকে না বলেই ক্লাসে ঢোকা বা বেরিয়ে যাওয়া। আমি ওকে কিছুই বলিনা। বা বলতে পারি না। শুধু ঘরে ফিরে কল্পনায় ওর জুতোয় চুম্বনের স্বপ্ন দেখি ও কাল্পনিক গল্প লিখতে থাকি ওকে নিজের প্রভু ভেবে।
ঠিক এই সময়েই আমার চোখে পরে এই app টা। কারো ফটো দিয়ে তাকে নিয়ে কিরকম ভিডিও চাই লিখে দিলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ভিডিও রেডি হয়ে যাচ্ছে। আমি দিশা আর আমার ফটো দিয়ে কাল্পনিক ফেমডম ডেস্ক্রিপশান দিই। আর ১০ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে যায় ভিডিও। ভিডিওতে আমি কখনো দিশাকে মন্দিরের দেবীর জায়গায় বসাই আর নিজেকে পুজারীর। কখনো বা ওই টি স্টলে বসা দিশার জুতোয় আমি চুমু খেতে থাকি বাকি সবার চোখের সামনে। যতদিন যায় আমার চাহিদা এক্সট্রিম হতে থাকে। ভিডিওতে দিশা আমাকে পোষা কুকুরের মত গলায় বেল্ট বেধে প্রকাশ্য রাস্তায় হেঁটে যায় আর আমি ওর জুতোয় চুম্বন করতে থাকি। ওর জুতো চেটে পরিস্কার করি কখনো। আর প্রভু দিশা আমার মুখে ইচ্ছা মত লাথি মারে আমাকে লুজার বলে।
ডেস্ক্রিপশানে যতই এক্সট্রিম ফেমডম থাক, ভিডিও বানানোতে কোন অব্জেকশান দেখি না। আমি ক্রমে এক নেশার জালে জড়িয়ে পরি। এইভাবে মাস তিনেক যায়। হঠাত একদিন ভিডিও বানানোর app এ ফটো ও ডেস্ক্রিপশান দেওয়ার পরে ভিডিও আসে না। আসে এক মেসেজ। "your free service is over. Please subscribe."
অনেক ভাবে চেষ্টা করেও আর ওই app free তে ইউজ করতে পারি না। বাধ্য হয়ে সাবস্ক্রিপশান নিই। মাসে ১০০ ডলার ফি দিয়ে!
আমার মন চায় আমি প্রভু দিশাকে টাকা দেব, আর সে আমাকে ক্রীতদাসের মত ট্রিট করবে। কিন্তু বাস্তবে এই সম্পর্কের মাঝে ঢুকে পরে এক অচেনা app. আমি টাকা দিই সেই অজানা app এর মালিককে। আর সে A.I. দিয়ে একদম অরিজিনালের মত দেখতে ভিডিওর মাধ্যমে আমার সেই চাহিদা পুরন করে।
এভাবেই দিন কাটতে থাকে। app er subscription এর ফি বাড়তে থাকে ক্রমে। আমাকে এই বাড়তি ফি দিতে টিউশান পড়ানো ধরতে হয়। বাকি সব খরচ কাটছাট করতে হয়। কিন্তু কিছুতেই এই নেশা কাটাতে পারি না। চোখের সামনে ভিডিওতে যখন দিশা কলেজের সবার চোখের সামনে আমাকে অপমান করে ওর পায়ে পরে নোংরা স্নিকারের তলা চাটিয়ে পরিস্কার করায় বা আমার মুখে লাথি মারতে মারতে আমার নাক মুখ থেকে রক্ত বার করে অজ্ঞান করে দেয়, তখন এক অদ্ভুত ভাল লাগা কাজ করে। উফ, A.I. কি করে যে এত রিয়ালিস্টিক ভিডিও বানায় কে জানে? যেমন ছবি, তেমনই সাউন্ড। একদম যেন রিয়াল! শুধু ফিজিকালি মার খাওয়ার কষ্টটাই যা হয় না!
যদিও আমি বুঝতে পারি আমি সত্যিই ক্রীতদাস হয়ে উঠছি হয়ত। A.I. এর ক্রীতদাস। অথবা এই কম্পানির মালিক এক অচেনা লোকের ক্রীতদাস। যাকে প্রতি মাসে আমি নিজের পুরো স্যালারি টাই দিয়ে দিচ্ছি এই নেশাদ্রব্য জোগাড়ের জন্য। আমার মত কত লক্ষ, কত কোটি জন এরকম নেশার কাছে নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছে কে জানে? কত লক্ষ কোটি ডলার মাসে মাসে কামাচ্ছে এর মালিক তাই বা কে জানে? একবিংশ শতাব্দি হয়ত এরকম স্লেভারিরই যুগ, যেখানে স্লেভকে নেশায় ফেলে তার সর্বস্ব কেড়ে নেবে কোন অচেনা মালিক!
আমার ভাবতে খুব খারাপ লাগে।
আমি ভাবি এই নেশা ছেড়ে দেব। কিন্তু পারি না। আমার মাস মাইনে ৩০ হাজার। আর তার চেয়েও বেশি টাকা প্রতি মাসে যেতে থাকে এই app এর পিছনে। টিউশানি করে ডাল ভাত খেয়েও কোন রকমে টিকে থাকতে ধার দেনা করা শুরু করতে হয়। শেষে বুঝতে পারি এই নেশার সাথে লড়াই করা অসম্ভব আমার পক্ষে যদি না এর চেয়েও বড় কোন নেশা পাই।
এমনিতে তো এই app এর পাল্লায় পরে দেনা করে মরতেই হবে। রিয়ালে কিছু চেষ্টা করেই দেখি। দিশার প্রতি সাবমিসিভ হওয়ার চেষ্টা করেই দেখা যাক। হয়ত চাকরি ছাড়তে হবে অঘটন ঘটলে, হয়ত বা অসম্মানের সাথে কোন কেসও হতে পারে। হয়ত সুইসাইডই করব শেষে! কিন্তু অচেনা app এর মালিককে যে টাকা দিচ্ছি সেটা প্রভু দিশাকে দিতে পারলে আর রিয়ালে তার জুতো পরা পায়ে একবার চুম্বন করতে পারলেই আমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। দেখাই যাক না!
আমি ভাবি। আর উত্তেজনায় আমার বুক ধুকপুক করতে থাকে। কিভাবে এগোব বুঝতে পারি না।
তখনই সন্ধান পাই অন্য এক app এর। এই অ্যাপ এ যেকোন সিচুয়েশান আর final outcome হিসাবে কি চাই লিখলে কিভাবে এগোতে হবে A.I. লিখে বুঝিয়ে দেয়। একমাস ইউজ ফ্রি!
আমি উত্তেজনায় লাফাতে থাকি! কাঁপা হাতে টাইপ করি আমার সিচুয়েশান ও কি চাই। তারপরে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। প্রায় ৫ মিনিট অপেক্ষার পরে উত্তর ভেসে আসে কম্পিউটারের পর্দায়!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment