কালীনগর....
সৃজিতা ক্লাস ৭ এ পড়ে, বয়স ১২। স্কুলের হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষায় বেশ খারাপ রেজাল্ট করে ভয়ে ভয়ে বাড়ি ঢুকল। ওর বাবা ভিশন রাগী, বাবাকে কি জবাব দেবে তাই ভেবে অস্থির হচ্ছিল ও। বাবা বকবে, রেজাল্টে সই না করে দিলে সে কি করবে এইসব ভাবছিল। অথচ সে কি ভাবছিল আর বাড়ি এসে কি দেখল!
তার বাবা সরকারী চাকরি করে। তাদের বাড়িতে আছে সে, তার চেয়ে ৪ বছরের বড় দাদা, আর বাবা মা। ২ বছর আগে তারা উত্তরবঙ্গের ছোট শহর কালীনগরে এসেছে তার বাবার পোস্টিং এখানে হওয়ায়।
তার বাবা অমল সৎ সরকারী কর্মচারী না, মাঝে মাঝেই ঘুষ নেয়। এইভাবে বেশ অনেক টাকা জমিয়েছে সে। অথচ অমল নিজেও এই নিয়ে মানসিক টানাপোড়েনে ভোগে মাঝে মাঝে। অপরাধবোধ পীড়া দিলে মা কালীর মন্দিরে দক্ষিনা দিয়ে বা বলী দিয়ে অপরাধবোধ কাটায় সে। আর সেই উদ্বেগ কাটাতে সে বাড়িতে ছেলে-মেয়ে-বউয়ের উপরে বেশ হম্বিতম্বি করে, বিশেষ করে মেয়ের উপরে।
সৃজিতার সাথে বাড়িতে মায়ের সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল, দাদার সাথে মোটামুটি। মাঝে সাঝে ঝগড়া হয়, আবার ভাব হয়ে যায়। আর বাবাকে সে চিরদিনই ভয় করে চলে। আজ বাড়িতে ফিরে সে দেখল মার মুড খুব ভাল, ভিশন হাসিখুশি, যেমনটা সে কোনদিন থাকে না। সে মা শর্মীকে রেজাল্টের কথা বলতেই মা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, " তোর জীবন পুরো বদলে গেছে রে। তোকে আর কোনদিন কাউকে ভয় করে চলতে হবে না। অন্তত তোর বাবাকে তো নয়ই।"
" কেন মা কি হয়েছে?", সৃজিতা অবাক হয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করল।
তোর বাবা কালীনগরের জাগ্রত কালীমন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল আজ সকালে। আমিও গিয়েছিলাম। আর কিছু এখন বলব না। বাকিটা তোর বাবা এলেই বুঝবি। একটু সাস্পেন্স থাক। এই বলে ওর মা আদর করে ওর কপালে একটা চুম্বন এঁকে দিল।
কালীনগরের কালী জাগ্রত সে এখানে এসেই শুনেছে। তবে আরো এক প্রথা এখানে প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে। কোন পুরুষ যদি মনে করে সে কোন বড় অপরাধ করেছে তবে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য প্রতি অমাবস্যায় কালীমন্দিরে গিয়ে মায়ের পুজো করতে থাকে মায়ের দয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। যেদিন মা দয়া করেন সেদিন সে তার পরিচিত কোন কিশোরী মেয়েকে মা কালী রুপে দেখতে পায়। তারপর সেই পুরুষকে বাকি সারাজীবন সেই কিশোরী মেয়েকেই দেবীজ্ঞানে পুজো করতে হয় মায়ের ক্ষমা পাওয়ার জন্যে কারন মা শুধু সেই মেয়ের মাধ্যমেই নাকি পুজো নিতে চান ওই পুরুষের কাছ থেকে। প্রায় ৫০০ বছর আগে কালীনগরের রাজা যুদ্ধে এক শিশুহত্যা করে অপরাধবোধে ভুগে মা কালীর চরণে যখন আশ্রয় চেয়েছিল তখন মা নাকি তাকে দেখা দিয়ে বলেছিলেন তার ১১ বছর বয়সী কন্যার মাধ্যমেই শুধু তিনি পুজো গ্রহন করবেন। সেই থেকে সেই রাজা সারাজীবন নিজের মেয়েকে দেবীজ্ঞানে পুজো করে কাটিয়ে দিয়েছিলেন।
এই প্রথা এখনও এখানে প্রচলিত এবং কালীনগরের প্রতিটা মানুষই প্রায় এতে বিশ্বাস করে। এখন শুধু একজন জীবিত মানুষই মা কালীর পুজোর মাধ্যমে এভাবে স্বপ্নাদেশ পেয়েছে বলে শুনেছে সৃজিতা। সে পাশের এক কোয়েড স্কুলের টিচার, তার বাবার মতই গুরুগম্ভীর মানুষ ছিল। তার অত্যধিক শাসন সহ্য করতে না পেরে তার একমাত্র ছেলে আত্মহত্যা করে। সেই শোকে তার স্ত্রীও মারা যায়। প্রবল অপরাধবোধে সে তখন মা কালীর মন্দিরে গিয়ে মায়ের চরনে দিনের পর দিন মাথা কুটতে থাকে। অবশেষে মা তাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলে তিনি ওর অপরাধ ক্ষমা করবেন যদি বাকি জীবনটা সে তার ছাত্রী সুনন্দাকে মা কালী ভেবে ভক্তিভরে পুজো করে কাটাতে পারে। মা শুধু সুনন্দার মাধ্যমেই পুজো নেবেন তার কাছ থেকে। তাকে বাকি জীবনটা সুনন্দার দাস হয়ে কাটাতে হবে। সুনন্দার প্রতিটা আদেশ যেভাবেই হোক পালন করতে হবে।
সুনন্দা এখন ক্লাস ১১ এ পড়ে। তার বোন সোহিনী ওদের মতই ক্লাস ৭ এ পড়ে। সৃজিতা শুনেছে কোয়েড স্কুলে ওই দুই বোন সবার সামনেই তাদের স্যার অমিয়র সাথে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করে, জবাবে অমিয় ভক্তিভরে দেবীজ্ঞানে সেবা করে দুই বোনের। কালীনগরের মানুষের কাছে এটা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। মা কালী স্বয়ং চান অমিয় সুনন্দার মাধ্যমে তার পুজা করুক, আর সেই সুনন্দার আদেশ তার মত একই রকম ভক্তিভরে অমিয়কে তার বোন সোহিনীরও সেবা করতে হবে। অমিয় মাসের সম্পুর্ন মাইনে দুই ছাত্রীর হাতে তুলে দেয়। তারপরে নিজের খাওয়ার জন্য মাসে ২-৩ হাজার টাকার জন্য দুই বোনের জুতোয় চুম্বন করতে করতে অনুরোধ করতে থাকে। তার দুই ছাত্রী জবাবে স্যারের মাথায় জুতো পরা পায় লাথি মারে, সবার সামনে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করে স্যারকে। উফ, বন্ধু প্রিয়ার কাছে এই ঘটনা শুনে সৃজিতার বেশ হিংসা হয়েছিল। ইশ, তার ভাগ্যও যদি এরকম হত!
সে বাইরের ঘরের সোফায় বসে জুতো খুলতে গেলে মা বাধা দিয়ে বলল, " জুতো খুলতে হবে না। আয়, ভিতরের ঘরে জুতো পরেই আয়"। অথচ সে জানে ভুলেও জুতো পরে ভিতরের ঘরে গেলে বাবা ভিশন রেগে যায়। সে জুতো পরেই ভিতরের ঘরে গেল আর মার যত্ন করে বানানো টিফিন খেতে লাগল স্কুলের জামা জুতো পরেই। তার মনে তখন ভিশন কৌতুহল। ঘুষ নেওয়া থেকে বাবার অপরাধবোধ, তারপরে জাগ্রত মা কালীর মন্দিরে গিয়ে মায়ের ক্ষমা প্রার্থনা পর্যন্ত সে বুঝতে পারছিল। তারপরে কি হয়েছে? সে এসবে ঠিক বিশ্বাস করে না। মানসিক উতকন্ঠা ও বিশ্বাসের মিশ্রনে তার বাবাও কি শেষ পর্যন্ত অমিয়বাবুর মত মা কালীর দর্শন ও স্বপ্নাদেশ পেয়েছে? কোন কিশোরী মেয়েকে দেবী হিসাবে পুজো করার আদেশ পেয়েছে বাবা? নিজের মেয়েকেই নয়ত? উফ, সম্ভাবনাটার কথা ভাবতেই আনন্দে তার সারা শরীর দিয়ে বিদ্যুৎ স্রোত বয়ে গেল। আর তখনই সে খেয়াল করল, বাবা এসে গেছে। আর এসেই সোজা লুটিয়ে পরেছে তার স্কুল জুতো পরা পায়ের উপরে। প্রবল ভক্তিতে তার বাবা নিজেফ মেয়ের স্কুল জুতো পরা পায়ের উপরে নিজের কপাল ঘসছে আর মাঝে মাঝেই প্রবল ভক্তিভরে চুম্বন করছে তার স্কুল জুতোর উপরে। তার মা ঠিক তার পাশে বসে হাসিমুখে নিজের স্বামীর কর্মকান্ড দেখছে হাসিমুখে।
আনন্দে সৃজিতা প্রায় পাগল হয়ে যাবে ভাবছিল। উফ, সে এক ঘন্টা আগেও এই বাবার ভয়ে কম্পিত বুকে বাড়ি ফিরেছে! আর এখন সেই বাবাই তার জুতো পরা পায়ের উপরে চুম্বন করে ক্ষমা চাইছে তার কাছে! এর মানে বাবা সত্যিই নির্দেশ পেয়েছে তার মাধ্যমে মা কালীর পুজো করতে। বাবা সারাজীবনই এইভাবে তাকে দেবীর মত ভক্তি দেখাবে তার মানে! সৃজিতা বাবার মাথার উপরে জুতো পরা ডান পা টা বোলাল একটু। তার বাবা তখনো ভক্তিভরে তার জুতো পরা বাঁ পায়ের উপরে চুম্বন করে যাচ্ছে। এরপরে সৃজিতা ডান পা টা তুলে বেশ জোরেই লাথি মারল নিজের বাবার মাথার উপরে। " এই অমল, উঠে আমার পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বস।"
" জ্বী দেবী", বলে অমল নিজের মেয়ের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসল।
সৃজিতা সাথে সাথে জুতো পরা দুই পা দিয়ে পরপর দুটো লাথি মারল বাবার মুখে। অবাক হয়ে দেখল, জবাবে বাবা তার জুতো পরা দুই পায়ের উপরে পরপর দুবার চুম্বন করে বলল," ধন্যবাদ দেবী, আমার মুখে লাথি মারার জন্য"।
সৃজিতা আনন্দে পাশে বসা মাকে একবার জড়িয়ে ধরে বলল, " নিজের রাগী বাবার মুখের উপরে এইভাবে জুতো পরা পায়ে লাথি মারছি, ভাবতেই দারুন মজা মা"।
ওর মা জবাবে ওর মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, " বাকি সারাজীবনই বাবা তোর ভক্ত, দাস। তুই সারাজীবনই বাবাকে নিয়ে যা খুশি করতে পারিস।"
সৃজিতা ওর পায়ের কাছে হাটুগেড়ে হাতজোড় করে বসে থাকা বাবার দুই গালে পরপর কয়েকটা থাপ্পর মারল প্রথমে। তারপর আবার আগের মত বাবার মুখের উপরে জোরে জোরে সাদা স্নিকার পরা দুই পায়ে লাথি মারতে লাগল। আর অমল মেয়ের পায়ের কাছে ভক্তিভরে হাতজোড় করে বসে মুখের সর্বত্র মেয়ের স্কুলজুতো পরা পায়ের লাথি খেতে লাগল। নিজের ১২ বছর মেয়ে এখন তার কাছে মায়ের অবতার। তার পরম সৌভাগ্য যে মা তার অপরাধ দূর করতে এইভাবে জুতো পরা পায়ে জোরে জোরে লাথি মারছে তার মুখে!
সৃজিতা ক্লাস ৭ এ পড়ে, বয়স ১২। স্কুলের হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষায় বেশ খারাপ রেজাল্ট করে ভয়ে ভয়ে বাড়ি ঢুকল। ওর বাবা ভিশন রাগী, বাবাকে কি জবাব দেবে তাই ভেবে অস্থির হচ্ছিল ও। বাবা বকবে, রেজাল্টে সই না করে দিলে সে কি করবে এইসব ভাবছিল। অথচ সে কি ভাবছিল আর বাড়ি এসে কি দেখল!
তার বাবা সরকারী চাকরি করে। তাদের বাড়িতে আছে সে, তার চেয়ে ৪ বছরের বড় দাদা, আর বাবা মা। ২ বছর আগে তারা উত্তরবঙ্গের ছোট শহর কালীনগরে এসেছে তার বাবার পোস্টিং এখানে হওয়ায়।
তার বাবা অমল সৎ সরকারী কর্মচারী না, মাঝে মাঝেই ঘুষ নেয়। এইভাবে বেশ অনেক টাকা জমিয়েছে সে। অথচ অমল নিজেও এই নিয়ে মানসিক টানাপোড়েনে ভোগে মাঝে মাঝে। অপরাধবোধ পীড়া দিলে মা কালীর মন্দিরে দক্ষিনা দিয়ে বা বলী দিয়ে অপরাধবোধ কাটায় সে। আর সেই উদ্বেগ কাটাতে সে বাড়িতে ছেলে-মেয়ে-বউয়ের উপরে বেশ হম্বিতম্বি করে, বিশেষ করে মেয়ের উপরে।
সৃজিতার সাথে বাড়িতে মায়ের সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল, দাদার সাথে মোটামুটি। মাঝে সাঝে ঝগড়া হয়, আবার ভাব হয়ে যায়। আর বাবাকে সে চিরদিনই ভয় করে চলে। আজ বাড়িতে ফিরে সে দেখল মার মুড খুব ভাল, ভিশন হাসিখুশি, যেমনটা সে কোনদিন থাকে না। সে মা শর্মীকে রেজাল্টের কথা বলতেই মা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, " তোর জীবন পুরো বদলে গেছে রে। তোকে আর কোনদিন কাউকে ভয় করে চলতে হবে না। অন্তত তোর বাবাকে তো নয়ই।"
" কেন মা কি হয়েছে?", সৃজিতা অবাক হয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করল।
তোর বাবা কালীনগরের জাগ্রত কালীমন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল আজ সকালে। আমিও গিয়েছিলাম। আর কিছু এখন বলব না। বাকিটা তোর বাবা এলেই বুঝবি। একটু সাস্পেন্স থাক। এই বলে ওর মা আদর করে ওর কপালে একটা চুম্বন এঁকে দিল।
কালীনগরের কালী জাগ্রত সে এখানে এসেই শুনেছে। তবে আরো এক প্রথা এখানে প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে। কোন পুরুষ যদি মনে করে সে কোন বড় অপরাধ করেছে তবে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য প্রতি অমাবস্যায় কালীমন্দিরে গিয়ে মায়ের পুজো করতে থাকে মায়ের দয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। যেদিন মা দয়া করেন সেদিন সে তার পরিচিত কোন কিশোরী মেয়েকে মা কালী রুপে দেখতে পায়। তারপর সেই পুরুষকে বাকি সারাজীবন সেই কিশোরী মেয়েকেই দেবীজ্ঞানে পুজো করতে হয় মায়ের ক্ষমা পাওয়ার জন্যে কারন মা শুধু সেই মেয়ের মাধ্যমেই নাকি পুজো নিতে চান ওই পুরুষের কাছ থেকে। প্রায় ৫০০ বছর আগে কালীনগরের রাজা যুদ্ধে এক শিশুহত্যা করে অপরাধবোধে ভুগে মা কালীর চরণে যখন আশ্রয় চেয়েছিল তখন মা নাকি তাকে দেখা দিয়ে বলেছিলেন তার ১১ বছর বয়সী কন্যার মাধ্যমেই শুধু তিনি পুজো গ্রহন করবেন। সেই থেকে সেই রাজা সারাজীবন নিজের মেয়েকে দেবীজ্ঞানে পুজো করে কাটিয়ে দিয়েছিলেন।
এই প্রথা এখনও এখানে প্রচলিত এবং কালীনগরের প্রতিটা মানুষই প্রায় এতে বিশ্বাস করে। এখন শুধু একজন জীবিত মানুষই মা কালীর পুজোর মাধ্যমে এভাবে স্বপ্নাদেশ পেয়েছে বলে শুনেছে সৃজিতা। সে পাশের এক কোয়েড স্কুলের টিচার, তার বাবার মতই গুরুগম্ভীর মানুষ ছিল। তার অত্যধিক শাসন সহ্য করতে না পেরে তার একমাত্র ছেলে আত্মহত্যা করে। সেই শোকে তার স্ত্রীও মারা যায়। প্রবল অপরাধবোধে সে তখন মা কালীর মন্দিরে গিয়ে মায়ের চরনে দিনের পর দিন মাথা কুটতে থাকে। অবশেষে মা তাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলে তিনি ওর অপরাধ ক্ষমা করবেন যদি বাকি জীবনটা সে তার ছাত্রী সুনন্দাকে মা কালী ভেবে ভক্তিভরে পুজো করে কাটাতে পারে। মা শুধু সুনন্দার মাধ্যমেই পুজো নেবেন তার কাছ থেকে। তাকে বাকি জীবনটা সুনন্দার দাস হয়ে কাটাতে হবে। সুনন্দার প্রতিটা আদেশ যেভাবেই হোক পালন করতে হবে।
সুনন্দা এখন ক্লাস ১১ এ পড়ে। তার বোন সোহিনী ওদের মতই ক্লাস ৭ এ পড়ে। সৃজিতা শুনেছে কোয়েড স্কুলে ওই দুই বোন সবার সামনেই তাদের স্যার অমিয়র সাথে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করে, জবাবে অমিয় ভক্তিভরে দেবীজ্ঞানে সেবা করে দুই বোনের। কালীনগরের মানুষের কাছে এটা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। মা কালী স্বয়ং চান অমিয় সুনন্দার মাধ্যমে তার পুজা করুক, আর সেই সুনন্দার আদেশ তার মত একই রকম ভক্তিভরে অমিয়কে তার বোন সোহিনীরও সেবা করতে হবে। অমিয় মাসের সম্পুর্ন মাইনে দুই ছাত্রীর হাতে তুলে দেয়। তারপরে নিজের খাওয়ার জন্য মাসে ২-৩ হাজার টাকার জন্য দুই বোনের জুতোয় চুম্বন করতে করতে অনুরোধ করতে থাকে। তার দুই ছাত্রী জবাবে স্যারের মাথায় জুতো পরা পায় লাথি মারে, সবার সামনে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করে স্যারকে। উফ, বন্ধু প্রিয়ার কাছে এই ঘটনা শুনে সৃজিতার বেশ হিংসা হয়েছিল। ইশ, তার ভাগ্যও যদি এরকম হত!
সে বাইরের ঘরের সোফায় বসে জুতো খুলতে গেলে মা বাধা দিয়ে বলল, " জুতো খুলতে হবে না। আয়, ভিতরের ঘরে জুতো পরেই আয়"। অথচ সে জানে ভুলেও জুতো পরে ভিতরের ঘরে গেলে বাবা ভিশন রেগে যায়। সে জুতো পরেই ভিতরের ঘরে গেল আর মার যত্ন করে বানানো টিফিন খেতে লাগল স্কুলের জামা জুতো পরেই। তার মনে তখন ভিশন কৌতুহল। ঘুষ নেওয়া থেকে বাবার অপরাধবোধ, তারপরে জাগ্রত মা কালীর মন্দিরে গিয়ে মায়ের ক্ষমা প্রার্থনা পর্যন্ত সে বুঝতে পারছিল। তারপরে কি হয়েছে? সে এসবে ঠিক বিশ্বাস করে না। মানসিক উতকন্ঠা ও বিশ্বাসের মিশ্রনে তার বাবাও কি শেষ পর্যন্ত অমিয়বাবুর মত মা কালীর দর্শন ও স্বপ্নাদেশ পেয়েছে? কোন কিশোরী মেয়েকে দেবী হিসাবে পুজো করার আদেশ পেয়েছে বাবা? নিজের মেয়েকেই নয়ত? উফ, সম্ভাবনাটার কথা ভাবতেই আনন্দে তার সারা শরীর দিয়ে বিদ্যুৎ স্রোত বয়ে গেল। আর তখনই সে খেয়াল করল, বাবা এসে গেছে। আর এসেই সোজা লুটিয়ে পরেছে তার স্কুল জুতো পরা পায়ের উপরে। প্রবল ভক্তিতে তার বাবা নিজেফ মেয়ের স্কুল জুতো পরা পায়ের উপরে নিজের কপাল ঘসছে আর মাঝে মাঝেই প্রবল ভক্তিভরে চুম্বন করছে তার স্কুল জুতোর উপরে। তার মা ঠিক তার পাশে বসে হাসিমুখে নিজের স্বামীর কর্মকান্ড দেখছে হাসিমুখে।
আনন্দে সৃজিতা প্রায় পাগল হয়ে যাবে ভাবছিল। উফ, সে এক ঘন্টা আগেও এই বাবার ভয়ে কম্পিত বুকে বাড়ি ফিরেছে! আর এখন সেই বাবাই তার জুতো পরা পায়ের উপরে চুম্বন করে ক্ষমা চাইছে তার কাছে! এর মানে বাবা সত্যিই নির্দেশ পেয়েছে তার মাধ্যমে মা কালীর পুজো করতে। বাবা সারাজীবনই এইভাবে তাকে দেবীর মত ভক্তি দেখাবে তার মানে! সৃজিতা বাবার মাথার উপরে জুতো পরা ডান পা টা বোলাল একটু। তার বাবা তখনো ভক্তিভরে তার জুতো পরা বাঁ পায়ের উপরে চুম্বন করে যাচ্ছে। এরপরে সৃজিতা ডান পা টা তুলে বেশ জোরেই লাথি মারল নিজের বাবার মাথার উপরে। " এই অমল, উঠে আমার পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বস।"
" জ্বী দেবী", বলে অমল নিজের মেয়ের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসল।
সৃজিতা সাথে সাথে জুতো পরা দুই পা দিয়ে পরপর দুটো লাথি মারল বাবার মুখে। অবাক হয়ে দেখল, জবাবে বাবা তার জুতো পরা দুই পায়ের উপরে পরপর দুবার চুম্বন করে বলল," ধন্যবাদ দেবী, আমার মুখে লাথি মারার জন্য"।
সৃজিতা আনন্দে পাশে বসা মাকে একবার জড়িয়ে ধরে বলল, " নিজের রাগী বাবার মুখের উপরে এইভাবে জুতো পরা পায়ে লাথি মারছি, ভাবতেই দারুন মজা মা"।
ওর মা জবাবে ওর মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, " বাকি সারাজীবনই বাবা তোর ভক্ত, দাস। তুই সারাজীবনই বাবাকে নিয়ে যা খুশি করতে পারিস।"
সৃজিতা ওর পায়ের কাছে হাটুগেড়ে হাতজোড় করে বসে থাকা বাবার দুই গালে পরপর কয়েকটা থাপ্পর মারল প্রথমে। তারপর আবার আগের মত বাবার মুখের উপরে জোরে জোরে সাদা স্নিকার পরা দুই পায়ে লাথি মারতে লাগল। আর অমল মেয়ের পায়ের কাছে ভক্তিভরে হাতজোড় করে বসে মুখের সর্বত্র মেয়ের স্কুলজুতো পরা পায়ের লাথি খেতে লাগল। নিজের ১২ বছর মেয়ে এখন তার কাছে মায়ের অবতার। তার পরম সৌভাগ্য যে মা তার অপরাধ দূর করতে এইভাবে জুতো পরা পায়ে জোরে জোরে লাথি মারছে তার মুখে!
No comments:
Post a Comment