Monday 1 March 2021
মিস্ট্রেস মারজানা ও গোলাম হাসিব
মিস্ট্রেস মারজানা ও গোলাম হাসিব part 1
লেখক - Hasib Ahmed
হাসিব সারাদিন অফিস করলেও বাসায় যাওয়া হয়না। কারণ সারাদিন যতই কাজই করুক তার কোন মূল্য নেই।কারণ বেঁচে থাকার জন্য তার চাকুরী করাই লাগবে। কিন্তু চাকুরীর চেয়েও বড় দায়িত্ব তার কাছে রাতের চাকরি। মানে মিস্ট্রেস মারজানার সেবা করা। মিস্ট্রেস মারজানা কিছুদিন আগেও হাসিবের বন্ধু ছিলো। কিন্তু হাসিবের বন্ধুত্ব মারজানা ম্যামের পায়ের সৌন্দর্যের কাছে হার মানে। দীর্ঘদিন ধরেই হাসিব মারজানার পায়ের ভক্ত। তার স্বপ্ন যেকোনোভাবেই হোক মারজানার সেবা করা। কিন্তু হাসিব তা কখনোই মারজানাকে বলার সুযোগ পায়নি। কিছুদিন আগে হাসিব গোপনে মারজানা ম্যামের পায়ের ছবি তুলছিল যা ম্যাম দেখে ফেলে। ম্যাম জানতে চাইলে হাসিব মারজানা ম্যামের পায়ের প্রতি দীর্ঘদিনের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে।মারজানা ম্যাম অবাক হয়ে যায় বন্ধুর এমন আচরণে। পরদিন ম্যাম পায়ের প্রতি মানুষের কেন আকর্ষণ হয় তা গুগল করলেন। তিনি জানতে পারলেন যারা মেয়েদের পা লাইক করে তারা ফুট ফেটিসিজম পছন্দ করে।যার একটা ধাপ হলো ওই নারীর পা পছন্দ করা না শুধু। তার সেবা করে তাকে খুসি রাখাও। মানে ফেমডম। কিন্তু যারা পা পছন্দ করে সবাই তো ফেমডম পছন্দ নাও করতে পারে। তাই মারজানা ম্যাম চিন্তা করল তিনি হাসিব ফেমডম পছন্দ করে কিনা তা যাচাই করবেন। মানে তিনি হাসিবকে তার সেবক বানাবেন যদি হাসিব ফেমডম পছন্দ করে। কয়েকদিন পর হাসিব আবার মারজানার সাথে দেখা করার জন্য তার বাসায় যায়।গিয়ে দেখে বাসায় কেউ নেই। মারজানা মেম তার বিচানায় শুয়ে আছেন। হাসিব রুমে ডুকে মেমের সাথে দেখা করার পর একটু লজ্জা পাচ্ছিলেন কথা বলতে।লজ্জা ম্যামও পাচ্ছিলেন কিছুটা। কিন্তু মেম চিন্তা করলেন হাসিবকে তার পায়ের গোলাম বানাবেন।তাকে আর বন্ধু রাখবেন না।কারণ একটা বন্ধুর চেয়ে একটা গোলাম লাইফে অনেক মূল্যবান। মেম বললেন তুই আমার পা কতটা পছন্দ করিস। হাসিব বলে অনেক অনেক। তাহলে আমার পা টা একটু ব্যাথা করছে। ম্যাসেজ করে দিবি? হাসিব অনেক খুসি হয়ে গেলো। এটা যেন স্বপ্ন পূরণের থেকেও বেশি কিছু। হাসিব মেম এর পায়ের তলায় বসে পড়লো। তখন বাজে রাত নয়টা। ম্যাসেজ করতে করতে হাসিব ভুলেই গেলো তার বাসায় যাওয়ার কথা।রাত বেজে গেলো ১২ টা।যেহেতু বাসায় কেউ নেই তাই বাসায় কোন শব্দও নেই। মারজানা মেম তার বিচানায় আরামে ঘুমাচ্ছে।হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে থেকে হাসিব এখনো যত্নসহকারে পা ম্যাসেজ করে যাচ্ছে। মেম এর বাসায় রাতের খাবার ছিলো শুধুমাত্র একজনের। মেম তা নিজে খেয়ে নিলেন।হাসিবকে বলল তোর জন্য আজ কোন কিছু নেই খাবার মত। তুই আমার পা ধুয়ে পানি খা। যদিও মেম মজা করে বলছেন। কিন্তু হাসিব সেটাই করলেন। যত্নসহকারে পা ধুয়ে ঢকঢক করে পানিটা খেয়ে ফেললো। মেম অবাক হলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য মনে হলোনা।যেহেতু ফেমডমে মিস্ট্রেস এর পায়ের পানি খাওয়ার বিষয়টি খুবি স্বাভাবিক। খাওয়া শেষ করে মেম আবার ঘুমাতে গেলেন।হাসিব কোথায় ঘুমাবে জিজ্ঞেস করলে মেম বলে তুই ঘুমালে আমার পা ম্যাসেজ করবে কে শুনি। এইকথা বলেই বিচানায় শুয়ে গেলো।হাসিব আস্তে আস্তে মারজানা ম্যামের পায়ের তলায় গিয়ে পা টিপতে লাগলো। পা টিপতে টিপতে পায়ের তলায় ঘুমিয়ে পড়লো। পরদিন মেম বললেন তুই আমার পা ম্যাসেজ করে দিলে আমার ঘুম ভালো হয়।কাল থেকে প্রতিদিন রাতে আমার পা ম্যাসেজ করবি। হাসিব শোনা মাত্রই রাজি হয়ে গেলো।
পরদিন হাসিব অফিস শেষ করে মারজানা ম্যামের বাসায় গেলো। মেম হাসিবকে দেরি কেন হলো জিজ্ঞেস করাতে হাসিব পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইলো।আর দেরি হবেনা বলে পা ম্যাসেজ শুরু করলো। কিন্তু মারজানা মেম বললো ক্ষমা হবেনা।অনেকটা মজার ছলেই বললেন যে এটার শাস্তি পেতেই হবে। বন্ধুর মুখে শাস্তির কথা শুনে হাসিব কিছুটা অবাক হলো। কিন্তু সে বলে ফেললো কি শাস্তি।মেম বললো ২০ বার কান ধরে ওঠবস করা লাগবে।হাসিব কোন তর্ক না করে সাথে সাথে ২০ বার কান ধরে ওঠবস করলো। তারপর পা ম্যাসেজ শুরু করলো। পা ম্যাসেজ করে পায়ের তলায় ঘুমিয়ে পড়লো।
এভাবেই প্রতিদিন চলতে থাকে। একদিন মেম হাসিবকে বলে তুই যেহেতু আমার সেবা করিস আজ থেকে তুই আমাকে মেম বলে ডাকবি। হাসিব রাজি হয়ে গেলো।এভাবেই বন্ধু থেকে গোলাম হয়ে গেলো হাসিব। আর মারজানা হয়ে গেলো মিস্ট্রেস মারজানা।
মিস্ট্রেস মারজানা ও গোলাম হাসিব ( নিয়ম কানুন)part 2
লেখক - Hasib Ahmed
প্রতিদিন রাতজেগে গভীর রাত পর্যন্ত মিস্ট্রেস মারজানার সেবা করাটা নিয়মে পরিণত হল গোলাম হাসিবের জন্য। মেম এইরকম বোরিং গোলামী খুব একটা পছন্দ করছেন না ইদানীং। তাই মেম হাসিবকে আরো ভালো গোলাম ও আরো অনুগত করতে কিছু নিয়ম কানুন রেডি করলেন। তিনি ঠিক করলেন হাসিব আজকে আসা মাত্রই তাকে নিয়মকানুন বলে দিবেন।
মেম অপেক্ষা করছেন হাসিবের জন্য। হাসিব একজোড়া পায়েল ও মেমের জন্য কিছু পছন্দের খাবার কিনে নিয়ে আসলো। যার জন্য আজকেও আসতে লেট হয়ে গেলো। রুমে এসেই বরাবরের মত মেম এর পায়ের কাছে বসে পায়েল জোড়া ও খাবার গুলো দিলো। মেম দেরি কেন হলো এটা জিজ্ঞেস করাতে হাসিব তার কেনাকাটার কারণ দেখালো।মেম খুব বিরক্ত হলো। মুখে থুতু মারলো ও জোরে চড় দিলো।হাসিব অবাক হয়ে গেলো। সে কিছুই বললনা।কিন্তু মেম তার এই আচরণেও খুসি না। কেন জানি মনের মত হচ্ছেনা।
মেম হাসিবকে আবার চড় মারলেন। কিন্তু আজকে হাসিব কিছুই বুঝতে পারছেনা।মেম এর পায়ে হাত দিতে গেলে মেম তার পা দুটো সরিয়ে নেয়। হাসিব অবাক হয়ে যায়। হাসিব বুঝতে পারছে সে ভুল করছে।তাই সে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলো মেম এর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে। মেম মাথার উপর পা রাখলেন। এরপর হাসিবকে উঠতে বললেন।
হাসিব কিছুটা স্বস্তি পেলো।
মেম এর মাথা এইবার কিছুটা ঠান্ডা হলো।তাই মেম তার স্লেভকে কিছু নিয়ম কানুন দিয়ে দিলেন।
১) প্রতিদিন মেম বাহির থেকে আসে সন্ধ্যা ৭ টায়। তার আগেই স্লেভ হাসিবকে তার কক্ষে দেখতে চান।কারণ মেম আসা মাত্রই স্লেভকে দিয়ে জুতা খোলাতে চান। স্লেভ হাসিব আগেই এসে মেম এর বেড এর নিচে বসে থাকবে। মেম এসে হাত ক্লেপ করার সাথে সাথে স্লেভ বের হয়ে মেম এর জুতা খুলে তা পরিষ্কার করে রেখে দিবে এবং মেম এর পায়ে চুমু খাবে। তাই হাসিবকে যেকোনো মূল্যে তার অফিসের কাজ দ্রুত শেষ করে মেম এর সেবার জন্য রেডি থাকতে হবে।।
২) হাসিব যতই ক্লান্ত থাকুক অথবা ঘুম চোখে থাকুক প্রতিদিন সকালে মেম ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেই পায়ে চুমু দিয়ে পা ম্যাসেজ করে দিতে হবে এবং রাতেও পা ম্যাসেজ করে দিতে হবে গভীর রাত পর্যন্ত। রাতে ঘুম ভেঙে গেলেও হাসিব যেন পা ম্যাসেজ করা অবস্থায় থাকে। নাহলে শাস্তি পেতে হবে।
৩) হাসিব যখনই রুম এ ঢুকবে ও বের হবে মেম এর পায়ে কিস করে বের হতে হবে। আর বাহিরে যাওয়া ও আসা হবে সম্পূর্ণ মেমের ইচ্ছায়।
৪) মেমকে সবসময় মেম বলে ডাকতে হবে। আর স্লেভকে মেম ফুটবয় / গোলাম/ স্লেভ/ ডগি এইসব নামে ডাকবে। মেম স্লেভের সেবায় খুসি হয়ে গুড মাই ফুটবয়,মাইস্লেভ বলার সাথে সাথে পায়ে চুমু খেয়ে থ্যানক্স মেম বলতেই হবে।
৫) মেমের পা অথবা জুতা পরিষ্কার করতে বললে তা জিহবা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে করা যাবেনা। পায়ে বা জুতায় যতই ময়লা থাকুক তা জিহবা দিয়েই ক্লিন করা লাগবে।
৬) সেবা চলাকালীন অবস্থায় মেম স্টপ বলার সাথে সাথেই থামা লাগবে। এইসময় মেম কোন কারণ ছাড়াই যেকোনো শাস্তি অথবা অপমান করতে পারবে।
৭) মেমের পায়ের প্রতি দুর্বলতা দেখাতে হবে সবসময়। সেবা করার সময় এটাই লাইফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করতে হবে।
৮) যা বলবে তাই করা লাগবে। কোন কাজে না অথবা বিরক্তি প্রকাশ করা যাবেনা।
৯) সবসময় মেমকে সুন্দরী মানতে হবে এবং নিজেকে মেমের গোলাম হিসেবে ভাগ্যবান বলে মেমের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
১০) মেম এর সামনে কথা বলা যাবেনা খুব বেশি এবং মাথা নিচু রাখতে হবে।
১১) মেম এর সামনে মেনলি অথবা ফরমাল পোশাক পরে থাকা যাবেনা। মেম যেভাবে বলবে ওইভাবেই পোশাক পরতে হবে।
১২) মেমের লাইফের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩) মেমের অনুমতি ছাড়া কারো সাথে মেমের বিষয়ে কথা বলা যাবেনা।
১৪) যেকোনো সময় যেকোন শাস্তি মেনে নিতে হবে।
১৫) কোন কাজ না করতে পারলে অজুহাত দাড় করানো যাবেনা। এটা করা অসম্ভব হলেও না পারলে মেম শাস্তি দিতে পারবেন।
মিস্ট্রেস মারজানা ও গোলাম হাসিব ( পার্ট ৩)
লেখক - Hasib Ahmed
বন্ধু থেকে হাসিব এখন পুরোপুরি ফিটস্লেভ হয়ে সেবা চালিয়ে যাচ্ছের মিস্ট্রেস মারজানার। গোলামকে রাতে পায়ের তলায় না পেলে মেমের রাতের ঘুম হয়না। হাসিব ও যেন পায়ের তলার সাধারণ কোন জিনিস ছাড়া আর কিছু নয়। বেশিরভাগ সময় রাতের খাবার খাওয়া হয়না হাসিবের।কারণ মেম খাওয়ার সময় দেয়না। মেমের কথা হচ্ছে পা চাটলেই এনার্জি চলে আসবে। হাসিবও তাই মনে করে। মাঝে মাঝে যেটুকু খাবার পায় তাও মেমের খাওয়ার পর অবশিষ্টাংশ। আর রাতে যে পানি দিয়ে মেমের পা ধুয়ে দেয় ওটাই হাসিবের খাওয়া লাগে। কারণ হাসিবের কাছে মেমের পায়ে যাই লাগবে তাই পবিত্র। ময়লা সাধারণত থাকেনা মেমের পায়ে। তাও যেটুকু থাকে ওটাকে পবিত্র মনে করে খেয়ে নিতে হয়।
এখন শীতের রাত। মেম রাতে দামি কম্বলের নিছে ঘুমায়। হাসিবের খুব কমই সৌভাগ্য হয় কম্বলের নিচে যাওয়ার।হাসিব তখনই কম্বল পায় যখন মেম বলে বুকে পা রেখে ঘুমাবে। এইছাড়াও পোশাকেরও তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি হাসিবের। মানে শীতের রাতেও হাসিবকে খালি গায়ে এবং শর্ট প্যান্ট পরে থাকতে হবে। কিন্তু হাসিবের কাছে মেমের সিদ্ধান্তই বেশি মূল্যবান। কারণ এই কষ্টের থেকেও বেশি আনন্দ মেমের সেবা করতে পারা। মেম রাতে উঠে দেখে তার গোলাম পায়ের নিচে বসে পা ম্যাসেজ করছে কম্বলের উপর দিয়ে। মেম মুচকি হাসি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। হাসিব চাইলে মেম যখন গভীর ঘুমে থাকে তখন মেম এর কম্বলের নিচের দিকে ঢুকে গা গরম করে নিতে পারে।কিন্তু সে মেমের প্রতিটি হুকুম মেনে চলে। তাই এটা করার সাহস সে করতে পারেনা।
মেম শুরুতে কিছুটা ইতস্তত বোধ করলেও এখন তিনি হাসিবকে পুরোপুরি কন্ট্রোল করছেন। নতুন নতুন শাস্তিও দিচ্ছেন।এইসব শাস্তি মাঝে মাঝে হাসিবের ছোট ভুলের জন্য দিলেও বেশীরভাগ সময় দেয় মেমের ডোমিনেশন বজায় রাখার জন্য। শাস্তিগুলো খুব কঠিন না।কিন্তু শাস্তি হিসেবে বেশ উপভোগ্য মেমের কাছে। তবে মাঝে মাঝে মেমের মেজাজ খারাপ থাকলে হাসিবের বড় ধরনের শাস্তিও পেতে হয়। যা হাসিব ভয় পেলেও কিছু করার থাকেনা।
হাসিবের শাস্তির ধরনগুলো নিয়ে পরের পার্ট লিখা হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সাবমিসিভনেস main theme হলে গল্প বেশি জমে।
ReplyDelete