Monday, 1 July 2019
সাবমিসিভনেস বা ফুট ফেটিশের কারন!
সাবমিসিভনেস বা ফেটিশিজম সম্পর্কে বর্তমান বিজ্ঞান ও সাইকোলজিস্টদের প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গী ( DSM-5) নিয়ে আগে একবার ছোট একটি পোস্ট করেছিলাম। আজ পোস্ট করছি এই সম্পর্কে আমার মত নিয়ে।
সাবমিসিভনেস বা ফেটিসিজমকে একটু গভীরে গিয়ে বুঝতে হলে আমাদের বোঝা দরকার basic human need গুলো ঠিক কি কি? একদম শৈশবে খাদ্য ও নিরাপত্তার পাশাপাশি দরকার হয় প্রাপ্তবয়স্কদের যত্ন বা কেয়ার। এরপরে কৈশোর বা যৌবনে গিয়ে বংশবৃদ্ধির প্রয়োজনে আসে যৌনতা। সাথে দরকার হয় অন্যান্য মানুষের সাথে সম্পর্ক বা কানেকশান। মানুষ শারীরিক ভাবে খুবই দূর্বল প্রাণী। একার জোরে সে প্রকৃতিতে অন্যান্য শক্তিশালী প্রাণীদের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে পারত না। প্রজাতিগত ভাবে তাদের দরকার ছিল দলবদ্ধভাবে এক হয়ে থাকা ও নিজের সবচেয়ে বড় অস্ত্র মস্তিস্কের ব্যাবহার করা, আর এক প্রজন্মে সঞ্চিত জ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চালন করা।
কিন্তু এর জন্য দরকার ছিল ভাষা। যা আজ থেকে ১.৫ থেকে ২ লক্ষ বছর আগে আধুনিক মানুষের উতপত্তির সাথে সাথেই ক্রমে বিকশিত হতে থাকে।
এর আগে আদিম মানব অন্যান্য পশুদের ডাকের মতই কিছু শব্দ করে মনের ভাব প্রকাশ করত। আর সেই সাথে ছিল স্পর্শ বা টাচ। সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীরাই স্পর্শের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। স্পর্শের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ ও অন্য প্রাণীদের সাথে কানেক্ট করার ব্যাপারটা আমাদের পূর্বপুরুষেরা কয়েক লক্ষ বছর ধরে করে আসছে। আজ আমরা কাউকে স্পর্শ করা মানেই যৌন আচরন ধরে নিই। আদপে ব্যাপারটা তা নয়। স্পর্শ করার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ, emotional connection ইত্যাদি আমাদের DNA তে বহু লক্ষ বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে আসছে। যা evolutionary ভাবে যত প্রাচীন, তার গভীরতাও তত বেশি। তাই আমাদের touch craving ও যৌনতার মত অতি আদিম এক প্রয়োজনীয়তা। এই স্পর্শ যৌনতার অংশ হতেও পারে, আবার নাও পারে। টাচ করে আমাদের ইমোশনাল ফিল গুড হয়। সেই জন্যই লোকে বিড়াল, কুকুর ইত্যাদি পুষলে তাদের ফিজিকালি টাচ করে, আর এতে পোষ্যের প্রতি তাদের গভীর ইমোশনাল কানেকশান ও ভালবাসা তৈরি হয়। এটা সমাজে খুব গ্রহণযোগ্য। কিন্তু মানুষ ও মানুষের টাচের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষের টাচের ক্ষেত্রে। মেয়েদের অন্য মেয়েকে জড়িয়ে ধরা কিছুটা গ্রহণযোগ্য।
মেয়েরা দূর্বল, ইমোশনাল প্রাণী! তাই এই অবলারা এসব করতে পারে। তাই বলে পুরুষ হয়ে অন্য পুরুষকে টাচ করা? মানে ব্যাটা gay, বা ব্যাটার মধ্যে অন্য ঘোরতর সমস্যা আছে।
পুরুষের স্পর্শ মানেই যৌনতা! সে পুরুষকেই করুক আর নারীকে! পুরুষ হয়ে পুরুষকে টাচ করা সম্পর্কেই যেখানে এরকম মত সেখানে নারীকে টাচ করার কথা নাই বলা ভাল। যৌনতার সম্পর্কে বউ বা সেরকম কাউকে যৌন প্রয়োজন ব্যাতীত টাচ করা একদমই নিষিদ্ধ ব্যাপার!
মেয়েরা যেখানে অন্য মেয়েদের সহজেই জড়িয়ে ধরতে পারে। একজন মা প্রকাশ্যে তার ১০ বছরের বাচ্চা ছেলেকে কোলে নিয়ে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু খেতে পারে। কিন্তু একজন ছেলে এইভাবে তার বন্ধুকে জড়িয়ে ধরলে বা বাবা তার মেয়েকে প্রকাশ্যে কোলে নিয়ে জড়িয়ে ধরে গালে চুম্বন করলে সমাজ কি চোখে দেখবে তা সহজেই অনুমেয়। এই ব্যাপারে শুধু আমাদের মত ৩য় বিশ্বের দেশ শুধু না, পশ্চিমারাও একই রকম গোড়া! তারা যৌনতা জিনিসটা ভালই বোঝে, প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই বোঝে সম্ভবত। কিন্তু টাচের মত বেসিক ক্রেভিং তাদের সমাজেও নিষিদ্ধ। পুরুষের এই বেসিক নেসেসিটি মেটানোর একমাত্র জায়গা হল যৌন সম্পর্ক আর পোষ্য কুকুর!
এখনও অব্ধি মানুষের দুই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসের উল্লেখ করলাম, যৌনতা ও স্পর্শ। এগুলো দেশ- কাল- সামাজিক গঠন নির্বিশেষে মানুষের দরকার। সেরকম আরো এক আদিম প্রবৃত্তি হচ্ছে সাবমিশান ও ডমিনেশান। যদিও এটি দেশ কাল সমাজ নির্বিশেষে আবশ্যিক নয়। সমাজের গঠনে যত ভেদাভেদ থাকবে, তত এর প্রভাব বাড়বে। আবার যদি সমাজে খাদ্য - নিরাপত্তা সহ সকল বেসিক নেসেসিটি যথেষ্ট বেশি থাকে ও সমাজে ভেদাভেদ অতি কম থাকে তাহলে এর গুরুত্বও নগন্য হওয়ার কথা।
প্রাচীন যুগের দুটি আলাদা সমাজের উল্লেখ করে বোঝা যাক। ধরব যাক আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগের এক মানব সমাজ। সেখানে এক গোষ্ঠীতে ২০ জন নারী ও ২০ জন পুরুষ আছে। তাদের অধীনের জমিতে যা ফসল হয় তা তাদের প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। এই পরিবেশে যদি সবাই সেফ ও well connected feel করে হতেই পারে সেই সমাজে সবার অধিকার কাছাকাছি ছিল, কেউ কাউকে ডমিনেট করত না। সেখানে সমাজে কারো জীবনে সাবমিসিভনেসের গুরুত্ব কম।
আবার ধরা যাক এমন এক প্রাচীন গোষ্ঠী যেখানে ২০ জন নারী ও ২০ জন পুরুষ আছে। এদের মধ্যে ১০ জন নারী ও পুরুষ reproductive age এর আশেপাশের। আবার এই সমাজে অনেক সময় খাদ্য ইত্যাদির অভাব হয়। স্বাভাবিকভাবেই এখানে গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা দেবে খাদ্যের জন্য।
খাদ্যের পাশাপাশি যৌনতার জন্য প্রতিযোগিতাও স্বাভাবিক, বিশেষত পুরুষদের মধ্যে। এই ১০ জন পুরুষের মধ্যে এক জনই এই ১০ নারীকে গর্ভবতী করার জন্য যথেষ্ট। আবার মেয়েদের মধ্যেও প্রাকৃতিক কারনে সবচেয়ে আকর্ষক বা ফিট পুরুষটির সাথে যৌনতা করার ইচ্ছা প্রকাশ পায়, যাতে তার সন্তানেরা সম্ভাব্য শ্রেষ্ঠ জিন পায় ও ফিট হয়ে প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারে।
এর ফলে ওই ১০ জন মেয়ের সবারই ১-২ বা ৩ জন পুরুষের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষন হওয়ার কথা। আবার এই পুরুষরাই সম্ভবত সবচেয়ে ফিট। তাই মেয়েদের সমর্থনে তাদের বাকি পুরুষদের ডমিনেট করা খুবই স্বাভাবিক। ফলে ৪০ জনের গ্রুপে এই ১০ জন মেয়ে ও ২ জন ছেলে সবচেয়ে ভাল খাদ্য সবার আগে খাবে। মেয়েদের সাথে যৌনতা শুধু এই ২ জনই করবে। বাকি পুরুষরা এর বিরোধীতা করলে এদের সাথে লড়তে হবে, যা রিস্কি! জিতলে সে আলফা মেলের জায়গা পেতে পারে বটে, তবে তার চান্স খুবই কম। আর সে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বিনা যৌনতায় ও সবচেয়ে খারাপ মানের ও কম পরিমানের খাদ্য খেয়ে গোষ্ঠীর জন্য মন প্রান দিয়ে খাটতে রাজি হলে আলফারা নিজেদের স্বার্থেই এদের আক্রমন করবে না বা গ্রুপ থেকে তাড়িয়ে দেবে না। এখানে আলফার স্বার্থ পরিষ্কার। আর বিটা মেলের স্বার্থ হল স্রেফ বেঁচে থাকা!
এই হল সাবমিসিভনেসের মূল কথা। যেখানে কম ফিট প্রাণী মূলত টিকে থাকার স্বার্থে ডমিনেটিং কারো কাছে সাবমিট করে। আর ডমিনেটিং আল্ফা ডমিনেট করে তার নিজের স্বার্থে, ভাল খাদ্য বিনা বা কম পরিশ্রমে পাওয়ার জন্য ও অবাধ যৌনতা লাভের জন্য। ক্রমে সমাজে এই ১-২ জন আলফা মেল বিটাদের পরিশ্রমে উতপন্ন খাদ্য খায় ও প্রানভরে মেয়েদের দেহ ভোগ করে। তারা হয়ে ওঠে ডমিনেটিং আলফা। আর যারা শুধু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সাবমিট করে টিকে থাকে আলফাদের হাতে শ্রেষ্ঠ খাদ্য তুলে দিয়ে আর আলফাদের যৌনতা ভোগ করতে দেখে তার হয় সাবমিসিভ বিটা। এইভাবে উতপত্তি হয় সাবমিসিভ- ডমিনেন্ট স্কেলের।
তিনটে আলাদা অতি প্রয়োজনীয় জৈবিক চাহিদার কথা বললাম এখনো, যৌনতা, স্পর্শ ও সাবমিশান-ডমিনেশান। এগুলো প্রতিটা আলাদা ও পরস্পর ভিন্ন। তিনটে আলাদা মাত্রার মত। অনেকটা ত্রিমাত্রিক স্থানে x-y-z axis দিয়ে আঁকা মানচিত্রের মত। কারো গতি ত্রিমাত্রিক স্থানে যেমন শুধু এক অক্ষ বরাবর, দুই অক্ষ বরাবর, বা তিন অক্ষ বরাবরই হতে পারে। তেমনই মানুষের কোন আচরন এই তিন আদিম চাহিদার একটি, দুটি বা তিনটির যেকোন ১,২ বা ৩ টিরই ফল হতে পারে।
যেমন ধরা যাক যৌনতা। এখানে শুধু যোনিতে পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে বীর্যস্খলনই যথেস্ট। তবুও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ নারীকে বহু সময় ধরে সারা দেহে হাত ও মুখ দিয়ে স্পর্শ করে নানাভাবে "ভোগ" করে। অর্থাৎ সে এক আদিম প্রবৃত্তি যৌনতার সাথে সাথেই আরেক চাহিদা স্পর্শকেও যতটা সম্ভব পুরন করে নেয়। তেমনই স্পর্শের প্রয়োজনে বহু সময় ধরে একজন পুরুষ একজন নারীর দেহ ইচ্ছামত স্পর্শ করতে থাকলে তার আরেক আদিম প্রবৃত্তি যৌনতা সহজেই জেগে উঠতে পারে। বিভিন্ন জটিল কারনে যৌনতা ট্যাবু হয়ে যাওয়ার পরে এই কারনেই সমাজ এক সময়ে পুরুষকে স্পর্শের প্রয়োজনে সামান্যও নারী দেহ স্পর্শ করার অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে সম্ভবত।
এবারে আসা যাক সাবমিশান অক্ষে। কারো সাবমিসিভ আচরন শুধুই সাবমিশান হতে পারে। সে ফসল ফলাচ্ছে, ডমিনেটিং আলফাকে সব দিয়ে দিচ্ছে। তার চোখের সামনে আলফা সেক্স করছে।
এতে মুশকিল হল বিটার বেঁচে থাকতে এতে সমস্যা নাহলেও তার দুই আদি প্রবৃত্তি যৌনতা ও স্পর্শের একটিও এর মাধ্যমে পুর্নতা পাচ্ছে না। ফলে বিটার পক্ষে এই জিনিস সহ্য করে টিকে থাকতে গেলে তার জীবনে খুব স্ট্রেসের সৃষ্টি হবে।
এই সাবমিশান সেক্সের সাথে যুক্ত হতে পারে। এর আদর্শ উদাহরন কয়েকশো বছর আগের আদর্শ গৃহবধুর কন্সেপ্ট। মেয়েটি স্বামীর কথায় উঠবে বসবে। স্বামী গায়ে হাত তুললেও তা নিয়ে সে প্রশ্ন তুলবে না। স্বামী তাকে পেটালেও সে মাথা নিচু করে সব সহ্য করে স্বামীকে প্রনাম করে ভাত বেড়ে দেবে। আর খাওয়ার পরে স্বামীকে নিজের দেহ ভোগ করতে দেবে ইচ্ছামত। এখানে সাবমিট করার ফলে গৃহবধুর বেঁচে থাকা সহজ হচ্ছে। সাথে তার যৌন প্রয়োজনীয়তা মিটছে। আবার যৌনতার সময়ে টাচও সে পাচ্ছে স্বামীর থেকেই। ফলে তার জীবনে সাবমিশান- সেক্সের পাশাপাশি কিছুটা টাচ এবং স্বামীর পরিবারের অংশ হওয়ার সুবাদে এক বড় গোষ্ঠীর অংশ হওয়ার আদিম মানসিক শান্তি সে সবই পাচ্ছে।
এই সাবমিশান সেক্সের পরিবর্তে মূলত টাচের সাথেও যুক্ত হতে পারে। একজন বিটা পুরুষ, যার যৌনতা করার সুযোগ খুব কম সেটা সে কম বয়সেই নিজের সামাজিক অবস্থান থেকে বুঝে গেছে তার ইচ্ছা পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। যেখানে তার সামনে আলফা মেল মেয়েদের ভোগ করলেও তার রাগ হয় না। সে আলফা মেল ও তার একাধিক যৌন সংগী নারী সবার পায়ে বা পায়ে পরা জুতোয় চুম্বন করে। আলফা মুখ ঘসে মেয়েটির স্তন আর খোলা বুকে। আর বিটা মুখ ঘসে মেয়েটির পায়ের তলায়। এতে তার স্পর্শের আদিম চাহিদা মেটে। মেটে সাবমিশানের চাহিদাও। এখন এই সাবমিশানের দিকে মূল ফোকাস করলে এটা সাবমিসিভনেস। আর পায়ে মুখ ঘসার দিকে ফোকাস করলে ফুট ফেটিশ। তবে সাবমিসিভের আকর্ষন মেয়েটির পায়ের দিকে হওয়ার একমাত্র কারন হল পা মেয়েটির দেহের সর্বনিম্ন অংগ। আর এখানে মুখ ঘসা মানে যে সে নিজের পরাজয় স্বীকার করছে সেটা মানুষ নয়, পশুও বোঝে। যে কারনে কুকুর তার মনিবের পা চাটে আর পায়ে মাথা ঘসে।
বিটা মেল নিজের স্পর্শের সুখ আর সাবমিশান প্রকাশ দুই একসাথে করার জন্যই পায়ে মাথা ঘসে বা জুতো চাটে। পায়ের বদলে জুতো চাটলে স্পর্শের সুখ সামান্য কমলেও সাবমিশান বা হিউমিলিয়েশানের সুখ এতে বাড়ে। এই কাজ সে আলফা মেলের সাথেও করতে পারে বা তার যৌন সংগী মেয়ের সাথে। মেয়েটির সাথে করলে তার স্পর্শ সুখ সামান্য বেশি হবে। যৌনতার সুখও সে সামান্য পেতে পারে এর ফলে, কারন তার sexually hungry body একটা মেয়ের দেহের নিম্নতম অংশকে হলেও সামান্য স্পর্শ করতে পারছে ( যেমন কয়েকদিন না খাওয়া লোকের কাছে বাসী সস্তা খাদ্যও অমৃত মনে হয়!)। আবার যৌনতা রত আলফা মেলের জুতোর তলায় চুম্বনে সে পেতে পারে সাবমিশান, হিউমিলিয়েটিং টাচের মিশ্রণে এক অভুতপূর্ব স্বর্গ সুখ!
ডমিনেটিং মেলের কাছে পুরোটাই একদম সোনায় সোহাগা! সে একাধিক নারীর সাথে যেমন খুশি যখন খুশি যৌনতার অধিকার পাওয়ায় তার যৌনতার প্রবৃত্তি সম্পুর্ন মিটছে। আর এরকম যৌনতা মানেই তো নারীর দেহকে যেভাবে খুশি স্পর্শ করারও অধিকার। সেটাও তার পুরন হচ্ছেই। আর একাধিক পুরুষ ও নারী তার কাছে সাবমিট করছে, তার পায়ে পরা জুতোর তলা জিভ দিয়ে চাটছে, তার মুখ দিয়ে অর্ডার বেরনোর আগেই তারা পালন করছে মানে সে তাদের চোখে ভগবানের মত! অর্থাৎ যে কোন প্রয়োজনে তাকে এরা জীবন দিয়ে রক্ষা করবে। আর সে একাধিক নারীদেহ যত খুশি ভোগ করে বহু বাচ্চার জন্ম দেবে!
সাবমিসিভ কারা বেশি হয়? নারী না পুরুষ?
অবশ্যই নারী। তবে এক্সট্রিম সাবমিসিভ ধরলে বা সাবমিশানের সাথে টাচকে ফেটিশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাওয়া বা সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি যোগ করার কথা ধরলে এর উত্তর হবে পুরুষ। মেয়েরা সাবমিসিভ হলে তাকে সে খুব সহজে সামাজিক উপায়ে প্রকাশ করতে পারে। সে নিজের বাবা দাদা স্বামী ছেলের প্রতি সাবমিসিভ হলে তাকে এখনো আদর্শ নারী বলেই ধরা হয়। আর তার স্পর্শ ও যৌনতার চাহিদাও স্বামীর থেকে ( স্পর্শের ক্ষেত্রে অন্যান্য নারী এবং শিশু সন্তানের থেকেও) খুব সহজেই পুরন হয়। তাই সাবমিসিভ নারীকে খুব out of the box কিছু করতে হয় না এই সমাজে।
সমাজ প্রতিটা পুরুষের থেকে আশা করে সে আজকের এই অকারনে highly competitive সমাজে সফল ভাবে compete করে top 5-10% স্থান দখল করবে। সেটা যারা পারে না তাদের জীবন সব দিক থেকেই খুব কঠিন। তাদের submissiveness, touch crave, sexual need, কোনকিছুই সহজে প্রকাশ করা বা পুরন করার কোন উপায় সমাজে নেই। সে হয়ত নিম্ন শ্রেণীর একটা চাকরি জোটাল, " yes boss" করে চাকরিতে টিকেও গেল। কিন্তু তার টাচ ক্রেভ আর যৌনতা এভাবে পুরন হয়না। বিয়ে করলেও নয়। কারন তার লো ফিল, সাবমিশিভনেস আর বউয়ের সাথে তার সেক্স ও টাচ দুটো আলাদা জগত যা তার মনে কনফিউশান ক্রিয়েট করে। সে না সুখ পায় বউয়ের সাথে টাচ ও সেক্সে। না সুখ পায় বসের কথায় উঠে বসে।
এখানেই সম্ভবত সুচনা হয় কাকোল্ড ও ফেটিশ নামের দুই তথাকথিত ফেটিশের। যখন এই বসের ইচ্ছায় বাস্তবে, বা কল্পনায় সে নিজের বউকে তুলে দেয় বসের হাতে ভোগের জন্য তখন তার এই দুই জগত এক হয়ে যায়। বস সারা সপ্তাহ তার চোখের সামনে অফিসে তার বউকে ভোগ করবে আর সে বসের অনুমতি পেলে মাঝে মধ্যে বউয়ের সাথে করতে পারবে এই অদ্ভুত অবস্থায় তার সাবমিসিভ ফিলিং ও বউয়ের সাথে তার সামান্য টাচ ও সেক্স দুই আলাদা জগত থেকে একই জগতে এসে উপস্থিত হয়।
আর ফেটিশ? most common fetish হল female foot fetish! যেখানে বিটা মেল কোন এক নারীর পায়ে নিজের মুখ ঘসে, পা টিপে দেয়। নিজেকে সে মেয়েটির সেবক রূপে কল্পনা করে। তার টাচ ফিলিং পুরন হয় মেয়েটির পায়ের টাচে। মেয়েটির পায়ের সাথে তার মুখের স্পর্শর এই সিম্বল পুরন করে তার সাবমিসিভ চাহিদা। মেয়েটির স্পর্শে তার যৌন চাহিদা সামান্য মেটে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তার নারী দেহের প্রতি আকর্ষন, টাচ ক্রেভিং, আর হেরে যাওয়ার যন্ত্রনা- কোনভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা থেকে সাবমিসিভ ফিলিং, সবগুলো বেসিক নিডই একটাই কাজের ফলে অল্প বা বেশি পুরন হয়- মেয়েটির পায়ে মুখ ঘসা! যাকে চলতি কথায় বলে ফুট ফেটিশ, তার পিছনে এই বেসিক নিডগুলোই কাজ করে।
এই ৩ আদিম চাহিদা বিভিন্ন মাত্রায় কাজ করে আমাদের মস্তিস্কে। আমরা যা করি তা এদেরই মিলিত resultant force! আর সেটাকেই আমরা সহজ ভাষায় ফেটিশ বলি !
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment