রাই আর রাজা……
এক……
খাটে শুয়ে
শুন্য দৃষ্টিতে ছাদের দিকে তাকিয়ে ভেবে চলেছিলাম এখন কি করব। সত্যি, একটু বাড়াবাড়ি
করে ফেলেছিলাম বুঝতে পারছি এখন। সত্যি বলতে এই বাড়াবাড়িটা অদ্ভুত ভাল লাগত আমার,
মনকে ওক অদ্ভুত অতুলনীয় আনন্দ দিত এটা। যদিও মনে মনে চিরদিনই মনে হয়েছিল এতটা করা
ঠিক হচ্ছে না, যতই পৃথিবীর বুকে যুগ যুগ ধরে আমার মতো অসংখ্য নারী পুরুষদের কাছে
বঞ্চনার স্বীকার হোক, তবু। হাজার হোক, রাজা তো আমারই ছেলে । আর ও নিজে তো এখনও কোন
অন্যায় করেনি।
কি করব সেই
সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারব না বুঝতে পারছিলাম ভালই। একদিকে সমস্ত যুক্তি বলছে যা
করেছি ঠিক করিনি। অন্যদিকে যাবতীয় উগ্র বন্য আবেগ চাইছে সেটাই চালিয়ে যেতে। রাজাকে
রাইয়ের হাতে অত্যাচারিত হতে দেখে যে তীব্র সুখ জেগে ওঠে দেহের কোষে কোষে ,
মস্তিস্কের কোন অজানা প্রকোষ্ঠে, তা যেন সত্যিই আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে। রাই যদি
আমার প্রাথমিক অনুরোধেই অত্যাচার কমাতে রাজি হত তাহলে অন্য কথা ছিল। কিন্তু এখন এই
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা আর আমার নিজের পক্ষে সম্ভব না। কারন আমার যাবতীয়
যুক্তিবোধের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে আমার মস্তিস্কের কোন অজানা অংশে লুকিয়ে
থাকা তীব্র আদিম আনন্দ, যা রাইয়ের কাছে রাজাকে অত্যাচারিত হতে দেখে তীব্র সুখে
উদ্বেলিত হয়।
আমি কি করব
ঠিক করে ফেলেছিলাম। হ্যাঁ, আজ থেকে ৮ বছর আগে নিজের তীব্র মানসিক সমস্যার সময় যে
আমাকে উদ্ধার করেছিল তার কাছেই যাব।
সীমা রায়ের
কথা মনে পড়তেই মনটা আস্বস্ত হল। সে সত্যিই এমন একজন যাকে চোখ বুজে ভরসা করতে পারি
আমি এখন।
এখনও চোখ
বুঝলেই ৮ বছর আগের সেই দিন গুলোর কথা মনে পরে। সত্যি, জীবনের শুরু থেকেই পুরুষ
জাতির দ্বারা প্রতারিত হয়েছি আমি। ছোটবেলায়, আমার যখন মাত্র কয়েক বছর বয়স, তখন
আমার বাবা, যাকে বাবা বলতে ঘৃনা হয় আমার, আমাকে আর মাকে ছেড়ে অন্য নারীর সাথে
বাইরে চলে যায়। কি চরম কষ্টে যে আমাদের শৈশব কেটেছিল তা আমি কোনদিন ভুলতে পারব না।
নিজেদের এই অসীম দুঃখের জন্য বাবাকে আমি কোনদিন ক্ষমা করতে পারব না। পুরুষ জাতির
প্রতি এক তীব্র বিদ্বেষ বোধহয় মনের সব যুক্তি বোধ সরিয়ে দিয়ে সেই শৈশবেই ঘাটি
গেড়েছিল আমার ভিতরে।
কলেজের
অন্তিম বর্ষে পড়ার সময়ই মা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলে। আর্থিক কারনে তাছাড়া উপায়ও
কিছু ছিল না। বিএসসি পাস করতে না করতেই পুরদমে সংসারী হয়ে উঠতে হয় আমাকে, রাজেশের
স্ত্রী রূপে।
রাজেশকে
প্রথমদিকে খুব খারাপ লাগত না। আমার মধ্যে লুকিয়ে থাকা পুরুষ বিদ্বেষ নেক কমে আসছিল
সেই সময়ে। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই আমি গর্ভবতী হলাম। আমার যমজ সন্তান রাই আর রাজা
যখন জন্ম নিল তখন আমার বয়স ২২।
এর ২ বছর পর
থেকেই রাজেশের উপর সন্দেহ হতে শুরু করল আমার। কাজের অজুহাতে মাঝে মাঝেই বাইরে চলে
যায়। সন্দেহ কাটাতে ওর অফিসে খোঁজ নিয়ে বুঝলাম অফিসের কাজে কোথাও যেতে হয় না।
ক্রমে ওর উপর চাপ দিতে শেষে সত্যিটা বেড়িয়ে এল। দূরে অন্য এক শহরে আরেকটা মেয়ের
সাথে সংসার পেতেছে ও।
আমার পক্ষে
এটা মেনে নেওয়া সম্ভব হল না। সেরকম ঝগড়া কিছু হল না, আইনগত ডিভোর্স ও না। ও আমাদের
ছেড়ে সেই মেয়ের সাথে থাকতে শুরু করল। ছেলে- মেয়ের খরচ হিসাবে মাসে সামান্য কিছু
টাকা পাঠাত যা দিয়ে কোনভাবেই চালানো সম্ভব না। আর বছরে কয়েকবার এসে দেখে যেত ছেলে-
মেয়েকে।
৫ বছরে রাই ও
রাজাকে নিয়ে আমি পড়লাম অকুল পাথারে। কিভাবে ওদের মানুষ করব আমি? একবার মনে হল
আত্মহত্যা করি। একা হলে হয়ত করেও ফেলতাম। কিন্তু নিজের ছেলে মেয়েকে কি করে মারি?
বুঝতে পারছিলাম ওদের বড় করতে হলে আমাকে শক্ত হতে হবে, একটা মোটামুটি ভাল চাকরি
যোগাড় করতে হবে। কিন্তু ছেলে মেয়ের খেয়াল রাখা, সংসার সামলানোর পর প্রস্তুতি নিয়ে
চাকরি যোগাড় করব এত মানসিক সামর্থ্য আমার ছিল না। আমি পুরো ভেঙ্গে পরেছিলাম
মানসিকভাবে, কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
সেই সময়েই
আমার পরিচয় হল আমার পাড়ার শ্রেয়ার সাথে। বয়সে আমার চেয়ে কয়েক বছরের ছোট, ডিভোর্সী।
একটা নারীবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত। আমাকে সাহায্য করতে ও প্রায় নিস্বার্থভাবেই
এগিয়ে এল। পরিস্থিতির ফলে ও অতি নারীবাদী শ্রেয়ার সংস্পর্শে আবার আমার মনে
পুরুষবিদ্বেষ নতুনভাবে বাড়তে শুরু করল। এবার অনেক উগ্রভাবে।
শ্রেয়া আমাকে
নিয়ে গিয়েছিল মনোবিদ সীমা রায়ের কাছে। সেও একই নারীবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত এবং
বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট। তার সহানুভুতিপুর্ন ব্যবহার ও সঠিক কাউন্সেলিং আমাকে যেন মৃত্যুর
মুখ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছিল, আমি আমার আত্ববিশ্বাস ফিরে
পেয়েছিলাম। সাহস পেয়েছিলাম নতুনভাবে জীবন যুদ্ধে লড়তে।
নিজের
পরিশ্রম ও কিছুটা হয়ত ভাগ্যের সহায়তায় আমি পরের বছরই সরকারী স্কুলে শিক্ষকের চাকরি
পেয়ে গেলাম। মাথার উপর থেকে এক বিশাল বোঝা যেন নেমে গেল আমার । সেই দিন গুলো আমি
কোনদিন ভুলতে পারব না। শ্রেয়া বা সীমার প্রতি কৃতজ্ঞতাও কোনদিন ভুলতে পারব না। আর
আজ যখন আবার চরম এক মানসিক চাপের সামনে দাঁড়িয়ে সীমার কথা মনে পড়ল, মনে পরল কিভাবে
সেদিন এরচেয়েও অনেক বড় বিপদে আমার পাশে থেকে আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল সে তখন
মন আশ্বস্ত হল। ঠিক করলাম নিজের মধ্যে আর আবেগ ও যুক্তির লড়াই চালাব না। সীমা
সাইকোলজিস্ট, ও যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব।
দুই......
আমাদের
নারীবাদী সংগঠন ‘উড়ান’ এর অফিসে আমরা প্রতি শনিবার আলোচনায় বসি। কোন প্রোগ্রাম
থাকলে তাই নিয়ে কথা হয়, নাহলে শুধু গল্প করেই কাটিয়ে দিই। এখানকার পরিবেশ
সত্যিই খুব ভাল, সবার অন্যের প্রতি আন্তরিকতা আছে, একে অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দেয়।
আমি সীমাকে
দেখেই বললাম ,” আমার মনে হয় আমি একটা খারাপ কাজ করে চলেছি বহু বছর ধরে । কি করব
সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। তোমার স্মরনাপন্ন
হব আবার। একটু সময় লাগবে বলতে। কখন ফ্রি পাব তোমাকে?”
সীমা আমার
কাঁধে হাত রেখে বলল “কাল সকালে আমার বাড়িতে চলে এস। আর বেশি
চিন্তা কর না। আমি আছি
তো”।
পরদিন সকাল
১০টায় আমি সীমার বাড়ি গিয়ে পৌছালাম। চায়ের কাপ হাতে ধরানোর পর সীমা জিজ্ঞাসা করল “
আগে বল তোমার ছেলে মেয়ে কেমনাছে। অনেকদিন দেখিনি ওদের”।
আমি মাথা
নিচু করে ফেললাম গ্লানিতে। মাথা নিচু করে বললাম, ‘ রাজা ভাল নেই, ও হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছিল এই সপ্তাহে”।
“কেন? কি
হয়েছিল?” সীমা প্রশ্ন করল।
“ রাইয়ের
কাছে মার খেয়ে। অবশ্য দোষ তো আমারই”। আমি বুঝতে পারছিলাম রাইয়ের কাছে রাজার মার
খাওয়ার কথা বলতে গিয়ে অদ্ভুত আনন্দ রাজার প্রতি আমার স্নেহ ঢেকে দিচ্ছে। এক তীব্র
আনন্দ গ্লানি ছাপিয়ে এক তীব্র আনন্দে মনকে ভরিয়ে দিচ্ছে।
“ কেন? কি
করেছিল ও? অবাক হয়ে সীমা জিজ্ঞাসা করল”।
‘প্রথম থেকে
বলছি। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে তোমার’।
সীমা শুধু
ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিল। বলল , “একটু ডিটেইলসেই বল,
বুঝতে সুবিধা হবে”।
আমি চা শেষ করে কাপটা নামিয়ে রাখলাম টেবিলে। তারপর বলে চললাম।
“তুমি তো
আমার ইতিহাস মোটামুটি জান। ছোটবেলাতেই বাবা মা আর আমাকে ছেড়ে চলে যায়। চরম কষ্টে
মানুষ হই আমি। আমার মধ্যে তখন থেকেই পুরুষ বিদ্বেষ জন্ম নিতে শুরু করে। এরপর
স্বামীও একইভাবে আমাকে চরম বিপদে ফেলে ছেলে-মেয়ে সহ আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। মাসে
সামান্য কিছু টাকা পাঠায় শুধু আর বছরে ২-৩ বার দেখে যায় ছেলে মেয়েদের, এখন শুধু
এইটুকুই সম্পর্ক। আমার জীবনে পুরুষ মানুষের এই ভুমিকা আমাকে ভিতরে ভিতরে তীব্র
পুরুষ বিদ্বেষী করে তুলেছিল। আর সেটা যে অযৌক্তিক রকমের বেশি হয়ে গেছে সেটাও আমি
বুঝি । কিন্তু নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। সেই ক্ষমতা আমার নেই। পুরুষ বিদ্বেষ আমাকে
যেন নেশায় আচ্ছন্ন করে দেয়। সেটা নিজের ছেলের ক্ষতি করছে , ওর প্রাণ বিপন্ন করতে
পারে বুঝতে পারলেও নিজেকে থামাতে পারি না।
প্রথমে যখন
এইসব শুরু করেছিলাম তখন এটা এতদুর যাবে সেটা ধারনায় ছিল না। ভেবেছিলাম রাজাকে
কিছুতেই আমার বাবা বা স্বামীর মতো হতে দেব না। ও মেয়েদের সম্মান করতে শিখবে, অনেক
অনেক সম্মান। মেয়েকে ওর চেয়ে অনেক বেশি অধিকার দিয়ে বড় করব ঠিক করে নিয়েছিলাম। একই
বয়সী যমজ বোন হলেও ও যাতে রাইকে সম্মান দেখায়, ওর সেবা করতে শেখে সেটা আমি ছোট
থেকেই ওকে শেখাতে শুরু করেছিলাম। তখন ওদের ৬-৭ বছর বয়স। রাজাকে শিখিয়েছিলাম ও যেন
রোজ সকালে উঠে রাইয়ের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করে, ওর সব কাজ নিজে থেকে করে দেয়।
সব মেয়েকেই এইভাবে সম্মান দেখান উচিত এই ধারনা ওর মাথায় ঢোকাতে চেয়েছিলাম আমি।
আমার কোন ধারনা ছিল না এর ফল এতদূর পর্যন্ত গড়াবে।
বাবার আচরনে
হয়ত রাইয়ের মনেও ওই বয়সেই পুরুষ বিদ্বেষ জন্ম নিয়েছিল। ওই বয়সেই ভাইয়ের চেয়ে ওকে
বেশি অধিকার দেওয়া, অনেক বেশি জামা-জুতো কিনে দেওয়া বা বেশি হাতখরচ দেওয়া ও ভয়ানক
বেশি উপভোগ করত। আরও বেশি উপভোগ করত যমজ
ভাইকে সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন করার যে অধিকার আমি ওকে দিয়েছিলাম সেটা। আমি যখন বাইরে
থাকতাম বাইরে যেতে হলে রাজাকে রাইয়ের কাছ
থেকে অনুমতি নিত। খেলার মাঠ থেকে ফিরতে দেরী হওয়ার অজুহাতে ও প্রায়ই ভাইয়ের কান
ধরে টানতে টানতে মাঠ থেকে ফেরত আনত। আমি উপভোগই করতাম এটা, যদিও এটা যে কখনও বাড়াবাড়ি
পর্যায়ে পৌছাবে তখনও ভাবিনি।
যদিও ওরা
যমজ, একইসঙ্গে এই পৃথিবীর মুখ দেখেছে, তবু রাই বানিয়ে বলত ও বড়, তাই রাজা যেন ওকে
দিদি আর তুমি বলে ডাকে। তখন ওদের বয়স মাত্র ৯। একদিন সকালে আমার সামনেই রাজার গালে
জোর পরপর দুটো থাপ্পর মেরে রাই বলল আর যেন কোনদিন আমাকে নাম ধরে ডাকতে না শুনি”।
অস্বীকার করব
না, রাইয়ের হাতে রাজাকে ডমিনেটেড হতে দেখতে চিরকালই খুব ভাল লাগে আমার। মেয়ে
হিসাবে সারাজীবন অত্যাচারিত হইয়ে যে অদৃশ্য ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে আমার ভিতরে, তার উপর
যেন মলম লাগিয়ে দেয় এই ঘটনা। অদ্ভুত আনন্দ পাই।
আমি রাজাকে
বললাম রাইয়ের সব কথা তোকে মেনে চলতে বলেছি না? আজ থেকে ওকে দিদি আর তুমি করে বলবি।
যমজ ভাই রাজার থেকে সত্যিই এইভাবে দিদি আর তুমি
সম্বোধন সেইদিন থেকে আদায় করে নিয়েছিল রাই।
রাজা রোজ
সকালে উঠে আমার নির্দেশ মতো রাইয়ের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ওকে প্রনাম করত ওর ৬-৭ বছর
বয়স থেকে। সুন্দরী বোনের চটি পরা পায়ের উপর মাথা ঠেকিয়ে ওকে সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করত
রাজা। প্রায় ৫ মিনিট এইভাবে বোনের চটি পরা পায়ের উপর মাথা রেখে পরে থাকত ও। রাই ওর
সুন্দর মুখে হাসি ঝুলিয়ে চেয়ারে বসে যমজ ভাই রাজার প্রনাম নিত। তারপর চটি পরা একটা
পা তুলে ভাইয়ের মাথার উপর রাখত। চটির তলাটা ভাইয়ের মাথার উপর ঘষত কিছুক্ষণ। তারপর
পা সরিয়ে নিলে তখন রাজা উঠত।
বয়স বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে রাজার উপর ডমিনেশন ক্রমাগত বাড়াচ্ছিল রাই। ৯ বছর বয়সেই ও একদিন রাজার
কান ধরে টানতে টানতে ওকে মাঠ থেকে বাড়িতে নিয়ে এল বিকালে। তাপর ওর দুই গালে থাপ্পর
মেরে বলল, কতক্ষন খেলছিস হুঁশ থাকে না তোর? আজ থেকে তোর মাঠে খেলতে যাওয়া বন্ধ।
রাজা এসে আমার কাছেও অনেক কান্নাকাটি করল, কিন্তু রাইয়ের হাতে রাজাকে ডমিনেটেড হতে
দেখতে আমার দারুন ভাল লাগত। সাথে মনে হত এরফলে রাজার ভালই হবে, ও আমার বাবা বা
স্বামীর মতো হবে না। মেয়েদের মেনে চলতে শিখবে। তাই
আমি রাজাকে বললাম রাই তোর দিদি হয়। তোর ওকে শ্রদ্ধা করা উচিত। তোকে ও যা বলবে তুই
তাই করবি।
রাজা গিয়ে
তখন রাইয়ের পায়ে পরে গেল। রাই চেয়ারে বসে টিভি দেখগছিল তখন। সুন্দরী যমজ বোন
রাইয়ের পায়ের উপর মাথা রেখে শুয়ে পরল রাজা। রাইয়ের চটি পরা পায়ের উপর মাথা ঘসতে
ঘসতে রাজা বারবার বলতে লাগল প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও দিদি, প্লিজ।
রাই শুধু
মাঝে মাঝে চটি পরা একটা পা তুলে রাজার মাথার উপর বোলাতে লাগল, মুখে কিছুই বলল না।
রাজা প্রায় এক ঘন্টা ধরে সেইদিন রাইয়ের চটি পড়া পায়ের উপর মাথা ঘসা চালিয়ে গেল। তারপর রাই চটি পরা পা দিয়ে ওর মাথাটা সরিয়ে দিয়ে
বলল আমার কথার নড়চড় হয়না। এখন থেকে তোর মাঠে গিয়ে খেলা বন্ধ। আমি বিকালে যখন টিভি
দেখি বা কম্পিউটারে গেম খেলি, তখন তুই আমার পায়ের কাছে বসে আমার পা টিপে দিবি। আমি
সব শুনেও কিছু বললাম না। রাজু যখন রাতে কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে অভিযোগ করল তোমরা
আমার প্রতি এত নিষ্ঠুর কেন?, তখন গম্ভীর মুখে ওকে শুধু বলেছিলাম আমরা যা করছি ওর
ভালর জন্যই করছি। সব ছেলেদেরই ছোট থেকে বোনেদের সেবা করা উচিত যাতে বড় হয় তারে
মেয়েদের মেনে চলতে শেখে। নাহলে ছেলেরা সবাই তোর বাবার মতো হয় আর বউ বাচ্চাকে ছেড়ে
চলে যায়। তুই কি ওরকম হতে চাস?
রাজা মাথা
নিচু করে মাথা নাড়ল।
তাহলে রাইয়ের
সব কথা শুনে চল, তোর ভালই হবে ওর কথা শুনে চললে , ওর সেবা করলে, বুঝলি? আমি ওর
মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেছিলাম। রাইয়ের হাতে এইভাবে রাজার ডমিনেটেড ঝওয়া
ভিতরে ভিতরে আমাকে অবশ্য তীব্র সুখ দিয়েছিল যা বলে বোঝানো সম্ভব না।
রাইয়ের আদেশ
মতো পরদিন থেকে এটাই রোজকার রুটিন হয়ে গেল। রোজ বিকালে রাই টিভি দেখত বা কম্পিউটার
খুলে বস্ত, আর রাজা ওর পায়ের কাছে বসে মন দিয়ে ওর পা টিপে যেত। মনে হত ও যেন
রাইয়ের যমজ ভাই না, ওর চাকর। রাজাকে বিকালে ওর কোন বন্ধু ডাকতে এলে অবাক হয়ে দেখত
ও চাকরের মতো ওর বোনের পায়ের কাছে বসে ওর পা টিপছে। রাইয়ের কোন বান্ধবী এলে তার
সাথে রাই বসে গল্প করত, আর রাজা ওর পায়ের কাছে বসে পা টিপে যেত।
এইভাবেই আমার
প্রচ্ছন্ন সমর্থনে রাজার উপর ডমিনেশন বাড়াচ্ছিল রাই। তখন অবশ্য আমি ভাবতে পারিনি
এটা এতদূর চলে যাবে।
তখন রাজেশ বছরে
দুই তিনবার ছেলে মেয়েকে দেখতে আসত। ওরা কেউ অবশ্য বাবাকে তেমন পছন্দ করত না, বিশেষ
করে রাই। ওরা তখন সবে ১০ বছরে পড়েছে। এক রবিবার সকালে ওদের দেখতে রাজেশ এসেছিল,
সঙ্গে ওদের জন্য কিছু জামা কিনে। রাই সরাসরি সেই জামা বাবার মুখে ছুড়ে মারল। রাজেশ
অবশ্য কিছু বলেনি মুখে। ও ভাল করেই জানত মেয়ের কাছে এরকম ব্যবহারই ওর প্রাপ্য। সে
ছেলে মেয়েকে ছেড়ে চলে গেছে, তাদের পুর্ন দায়িত্ব ও নিতে চায়না। যদিও সে ওদের একদম
ভুলতে পারেনা, তবু এরচেয়ে বেশি ভাল ব্যবহার সে ছেল মেয়ের থেকে আশা করতে পারে না।
ওদের তো রাগ হওয়াই স্বাভাবিক।
বাবাকে দেখলে
চিরদিনই বাবা তথা পুরুষ জাতির প্রতি রাগ উগড়ে দিত রাই। ভাইকে বাবার সামনে বেশি করে
শাসন করে পুরুষজাতির প্রতি সেই রাগ উগড়ে দিতে চাইত। সেদিন সকালে বাবার মুখের উপর
জামা ছুড়ে ফেলে দেওয়ার পর ও টিভি চালিয়ে চেয়ারে বসে ভাইকে বলল, আমার পায়ের কাছে
বসে পা টিপে দে।
ততদিন এটা
রাজার দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে। ও রাইয়ের পায়ের কাছে বসে বাবার সামনেই যমজ বোন
রাইয়ের পা টিপে দিতে লাগল। রাজেশ শুধু একবার আড়চোখে দেখল। কিছু বলল না। রাজা বাবার
সামনেই বোনের পা দুটো কোলের উপর রেখে চাকরের মতো ওর পা টিপে চলল।
দুপুরে
খাওয়ার পর রাই চেয়ারে বসে আবার টিভি দেখতে লাগল। বাবার সামনে রাইয়ের রাজাকে দিয়ে
পা টেপানো আমাকে দুর্দান্ত সুখে আচ্ছন্ন করে তুলেছিল। পুরুষজাতির প্রতি আমাদের
বিদ্বেষ আমি রাজেশের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাইছিলাম। আমি নিজে থেকেই
রাজাকে বললাম, যা , দিদির পায়ের কাছে বসে আবার পা টিপে দে।
রাজা রাইয়ের
পায়ের কাছে বসতে গেলে রাই ওকে হুকুম করল আমার পায়ের তলায় শুয়ে পর।
রাজা অবাক
হয়ে বলল, কেন দিদি?
রাজার দুই
গালে বেশ জোরে দুটো থাপ্পর মেরে রাই বলল, তোর সাহস হয় কি করে আমাকে অমান্য করার?
যা বলেছি তাই কর।
রাজা আর কিছু
বলার সাহস পেল না। একবার অসহায়ের মতো রাইয়ের মুখের দিকে তাকাল, তারপর আমার মুখের
দিকে।
আমি বললাম
তুই ও কি বাবার মতো অবাধ্য খারাপ পুরুষ হতে চাস? না চাইলে দিদি যা বলছে তাই কর।
রাজা আর কিছু
বলল না, ওর সুন্দরী যমজ বোন রাইয়ের পায়ের
কাছে মাথা রেখে শুয়ে পরল। রাইয়ের পরনে ছিল কালো প্রিন্টেড টপ আর সাদা বারমুডা,
পায়ে লাল চটি। ও ওর ফর্শা মুখে হাসি ঝুলিয়ে মুহুর্তের মধ্যে নিজের চটি পরা পা দুটো
যমজ ভাই রাজার মুখের উপর তুলে দিল। চটির তলা দুটো ভাইয়ের মুখের উপর ঘসতে ঘসতে বলল,
এবার মন দিয়ে আমার পা টিপে দে।
রাজা হাত
বাড়িয়ে ওর মুখের উপর রাখা রাইয়ের চটি পরা পা দুটো মন দিয়ে টিপতে লাগল। রাই যমজ
ভাইয়ের মুখের উপর চটির তলা দুটো ঘসতে ঘসতে টিভি দেখতে লাগল, আর মাঝে মাঝে আড়চোখে
ওর বাবা মায়ের প্রতিক্রিয়া দেখতে লাগল। এক তীব্র আনন্দ আমার বুকের মধ্যে ডানা
ঝাপটাতে লাগল যেন।
রাজেশ
কিছুক্ষণ অবাক হয়ে ওর ছেলে মেয়েকে দেখতে লাগল। তারপর আর সহ্য করতে না পেরে আমাকে
বলল, টিনা, আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃনা কর, হয়ত সব পুরুষকেই আমার মতো ভেবে ঘৃনা কর।
আমি যে তোমাদের প্রতি অপরাধ করেছি, তোমাদের ঘৃনার যোগ্য সে কথা আমি অস্বীকার করি
না। তাই বলে আমার অপরাধের শাস্তি রাজাকে এইভাবে দেওয়া কি ঠিক? ও তো তোমারই ছেলে।
রাজেশের
সামনে রাজার সাথে রাইয়ের এই আচরন যেন আমার সারাজীবনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও
পুরুষদের কাছে অত্বাচারিত হওয়া সত্বার ঘায়ের উপর মলম লাগাচ্ছিল। এটা ঠিক হচ্ছে না
বুঝেও এক অদ্ভুত আনন্দের সাগরে ভাসছিলাম আমি।
কঠোর স্বরে আমি রাজেশকে বললাম, তুমি যখন নিজে বাবা হয়েও ছেলে মেয়ের প্রতি
কোন দায়িত্ব নেবে না, তখন ওদের কিভাবে বড় করব সেটা নাহয় আমাকেই ঠিক করতে দাও।
নাহলে ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে সঠিক ভাবে ওকে বড় করে দায়িত্ববান পিতার পরিচয়
দাও।
আমি জানতাম
রাজাকে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়া রাজেশের পক্ষে সম্ভব না। ও অসহায় হয়ে চুপ করে গেল
কিছুক্ষনের জন্য। রাজা আর রাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ অসহায়ের মতো। রাই তখন
বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে ভাইয়ের সারামুখে নিজের চটির তলা দুটো ঘষছে । আর
রাজা চাকরের মতো নিজের মুখের উপর রাখা ফর্শা সুন্দরী যমজ বোন রাইয়ের চটি পরা পা
দুটো টিপে চলেছে।
রাজেশ
কিছুক্ষণ অসহায়ের মতো ওদের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর বলল, ঠিক আছে। তুমি যেভাবে চাও
সেভাবেই ওদের বড় কর। আমি কিছু বলব না। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ভুলের শাস্তি
আমাদের ছেলেকে দিও না প্লিজ।
এত ছোট
অনুরোধ আমার এতদিনের ক্ষতে মলম লাগাতে পারে নি। আমি হাসিমুখে রাজেশের সামনে রাইয়ের
পায়ের তলায় রাজাকে ডমিনেটেড হতে দেখতে লাগলাম হাসিমুখে। সেইদিন প্রায় ৩ ঘন্টা
এইভাবে ভাইয়ের মুখের উপর চটি পরা পা রেখে বসে পা টিপিয়েছিল রাই। আর এরপর থেকে এটাও
রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়াল। রোজ বিকালে যখন রাজাকে দিয়ে পা টেপাত রাই , এইভাবেই
রাজাকে নিজের পায়ের তলায় শোয়াত। চটি পরা পা ভাইয়ের মুখের উপর তুলে দিয়ে ভাইয়ের
সারামুখে সেই চটির তলা ঘসতে ঘসতে ভাইকে দিয়ে পা টেপাত রাই। আর আমি মা হয়েও মেয়ের
কাছে ছেলের এই অসহায় আত্মসমর্পন দেখে এক বিকৃত সুখে উতফুল্ল হতাম।
এইভাবে দিন
এগচ্ছিল। যতদিন যাচ্ছিল রাজার উপর ক্রমশ ডমিনেশন বাড়িয়ে চলেছিল রাই। রাজাকে বাইরে
বেরতে দিত না, খেলতে দিত না, বন্ধুদের সাথে মিশ্তে দিত না। নিজে যখন টিভি দেখত,
গেম খেলত বাঁ বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে তখন নিজের যমজ ভাইয়ের মুখের উপর চটি পরা পা
রেখে বসে ওকে দিয়ে পা টেপাত রাই। রাজার মুখের উপর চটির তলা ঘসত।
ওদের যখন ১১
বছর বয়স তখন লক্ষ্য করলাম রাই স্কুল থেকে ফিরেই রাজাকে নিজের পায়ের তলায় শুতে বলে।
তারপর পাপোশের মতো যমজ ভাইয়ের মুখের উপর নিজের স্নিকার বাঁ মেরি জেন শ্যুর তলাটা
ঘষে পরিষ্কার করে। রাজা বহুবার কাতর স্বরে আমাকে অনুরোধ করেছে। যেন আমি ওর উপর দয়া
করি, যেন রাইকে বলি ওর উপর অত্যাচার কমাতে, ওকে বাইরে যেতে দিতে। আমি সেটা করিনি,
ওকে উল্টে বুঝিয়েছি এভাবে রাইয়ের সেবা করলে ওর ভালই হবে, চরিত্রের উন্নতি হবে।
বহুবার দেখেছি একা ঘরের কোনে বসে অসহায়ের মতো রাজাকে ফুপিয়ে কাঁদতে। আমার খারাপ
লাগত ঠিকই, কিন্তু সেই খারাপ লাগার অনুভুতি ছাপিয়ে এক অজানা আনন্দ মনকে ভরিয়ে দিত।
আমি যেন ক্রমএ সত্যিই চাইছিলাম রাজাকে সারাজীবন চাকরের মতো ব্যবহার করুক ওর বোন
রাই, ওকে নিয়ে যা খুশি করুক নিজের সম্পত্তির মতো, এটা ঠিক নয় বুঝেও।
আমার ধারনা
ছিল না আমি যা দেখছি তার চেয়েও বেশি করে রাই রাজাকে ডমিনেট করে আমার চোখের আড়ালে।
আজ থেকে মাস তিনেকের আগের কথা। রাই আর রাজার ক্লাস এইট। রাই ওর বান্ধবীদের সাথে
শপিংয়ে বেড়িয়েছিল বিকালে স্কুল থেকে ফেরার পর। আমি তখন স্কুল থেকে সবে ফিরেছি। অল্প
টিফিন করে ভাবছিলাম একটু বিছানায় গড়িয়ে নেব। হঠাত রাজা এসে দাঁড়াল আমার সামনে।
লক্ষ্য করলাম ওর মুখের উপর একটা স্পষ্ট জুতোর তলার ছাপ, ওর বোন রাইয়ের স্কুলে পরার
সাদা স্নিকারের তলার। এতটা গভির ছাপ শুধু মুখের উপর জুতো পরা পা রেখে বসে থাকলে
হতে পারে না। রাই কি তাহলে ওর ভাইয়ের মুখের উপর জুতো পরা পায়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলো? উফ
! ভাবতেই এক তীব্র আনন্দের সুখ দেহের মধেখেলে গেল তরঙ্গের মতো ! সত্যি, আমি রাই ও
রাজা দুজনেরই মা হলেও রাইকে যত রাজার উপর অত্যাচার করতে দেখি এক অকল্পনীয় সুখ আমার
মস্তিস্কে সুখের ঝড় তোলে!
-মা, প্লিজ!
দিদি আমার উপর এত অত্যাচার করে কেন? আমি কি অপরাধ করেছি মা? আমি আর পারছি না সহ্য
করতে। প্লিজ মা! আমি তো বলিনি আমি দিদির সেবা করব না, মেয়েদের শ্রদ্ধা করব
না। কিন্তু মা, আমিও তো মানুষ! এত
অত্যাচার আমি সহ্য করতে পারছি না আর, প্লিজ মা!
- রাই যা করে
তোর ভালর জন্য করে, এত অভিযোগ করার কি আছে তোর?
- মা, প্লিজ,
একটু বলতে দাও আমাকে। দিদি তোমার সামনে যা করে, তুমি না থাকলে তার চেয়েও অনেক বেশি
অত্যাচার করে আজকাল। এই দেখ, প্রায় ৩০ মিনিট জুতো পরা পায়ে আমার মুখের উপর
দাঁড়িয়েছিলো স্কুল থেকে ফেরার পর, আমার মুখের উপর দিদির জুতোর তলার ছাপ এখনও দেখতে
পাবে তুমি। আমার জিভের অবস্থা দেখ তুমি, এই বলে রাজা নিজের জিভটা মুখের বাইরে
সম্পুর্ন বার করে দিল। অবাক হয়ে দেখলাম ওর জিভের উপর কাদার পুরু স্তর জিভটাকে যেন
কালো আবরনে ঢেকে দিয়েছে।
- রোজ তুমি
না থাকলে স্কুল থেকে ফেরার পর বা বাইরে থেকে এলে দিদি নিজের জুতোর তলা আমার জিভের
উপর ঘষে পরিষ্কার করে। ওর বান্ধবীরাও অনেকেই একই কাজ করে। দিদি আমাকে বাহ্য করে
ওদের জুতোর তলার ময়লা গিলে খেতে। এত কাদা কি পেটে সহ্য হয়? আমার বমি উঠে আসে, পেটে
ভয়ানক ব্যথা হয় মা। আমার মুখে জুতো পরা পায়ে জোরে জোরে লাথি মারে দিদি, থাপ্পর
মারে গালে, বেল্ট খুলে চাবুকের মতো পিঠে মারে অকারনে। ওর বান্ধবীদের দিয়েও মারায়।
আমার মনে হয় নাক মুখ ভেঙ্গে যাবে দিদির লাথি খেয়ে, মনে হয় পিঠের চামড়া উঠে আসবে
ওদের বেল্টের মার খেয়ে। এই দেখ আমার পিঠের অবস্থা।
এই বলে ওর
নীল শার্টটা খুলে পিঠটা দেখাল আমাকে। অবাক হয়ে দেখলাম ওর ফর্শা পিঠে বেল্টের
অসংখ্য দাগ পিঠটাকে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে।
মা , আমি তো
কোন অপরাধ করিনি। প্লিজ, দিদিকে আমার উপর অত্যাচার একটু কমাতে বল, প্লিজ। আমি তো
কোন অন্যায় করিনি মা, প্লিজ। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, প্লিজ মা। রাজা মেঝেতে
শুয়ে দুইহাতে আমার পা দুটো জড়িয়ে ধরল।
আমি
প্রথমবারের জন্য বুঝতে পারছিলাম ব্যাপারটা বড্ড বেশি দূরে, নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে
যাচ্ছে ক্রমশ। আমার যাবতীয় যুক্তিবোধ বলছিল ব্যাপারটায় এবার রাশ টানা উচিত। কিন্তু
মনের এক অন্য অংশ সেটাকে ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। দেহের প্রতিটা কোষে কোষে
তুলেছিল এড্রিনালিনের ঝড়। মস্তিস্কের লিম্বিক সিস্টেমে ক্ষরিত হওয়া ডোপামাইন আমাকে
যেন সম্পুর্ন নেশাচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। এমন নেশা যার উপর যুক্তিবোধের কোন নিয়ন্ত্রন
নেই।
আমি রাজাকে
নিজের পায়ের কাছ থেকে টেনে তুলে বসালাম। চেয়ারে বসা আমার পায়ের কাছে মেঝেতে ও উঠে
বসলে আমি রাজার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম – ঠিক আছে, আমি রাইয়ের সাথে কথা বলব।
তবে তোকে কিন্তু সহ্যশক্তি বাড়াতে হবে। বোনের হাতে মার খেলে ভাইদের যে ভাল হয়
সেটাও বুঝতে হবে। আর শুধু নিজের কষ্টের কথা ভাবলেই হবে? ওকে মেরে তোর দিদি যে
আনন্দ পাচ্ছে সেটাও তো ভাবতে হবে। দিদির আনন্দের জন্য একটু কষ্ট সহ্য করতে পারবি
না? মনে রাখিস শুধু সেই পরিবারই সুখী হয় যেখানে মেয়েদের সুখের জন্য ছেলেরা সব কষ্ট
হাসিমুখে সহ্য করতে রাজি থাকে।
রাজা মুখে
কিছু বলল না, ওর চোখ দিয়ে জলের ধারা বেরিয়ে বেয়ে পরতে লাগল ওর গাল বেয়ে, যেন গালের
উপর তখনও স্পষ্ট হয়ে বসে থাকা ওর যমজ বোনের জুতোর তলার ছাপ মুছে দেওয়ার চেষ্টা
করতে লাগল জুতোর তলার ছাপ দিয়ে। আমি আর কিছু বললাম না, উঠে নিজের ঘরে এসে খাটে
শুলাম। আমার ছেলে রাজা একটু সরে ওই ঘরের কোনায় গিয়ে হাতের পাতায় মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে
কাঁদতে লাগল। কিন্তু সেই দুঃখ আমাকে সেভাবে আর স্পর্শ করছিল না আর। মেয়ের হাতে
ছেলেকে অত্যাচারিত হতে দেখার গভীর নেশায় আমি তখন আচ্ছন্ন, যার প্রভাব আমার কাছে
হয়ত ড্রাগের চেয়েও বেশি।
আমি একটু
তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পরেছিলাম, আমার তন্দ্রাচ্ছন্ন মস্তিস্ক এক অলীক নেশার জগতে
ঘুরপাক খাচ্ছিল। হুঁশ ফিরল সেই নেশার জগতের নায়িকা, আমার মেয়ে রাইয়ের মিষ্টি গলার
স্বরে, - মা এই দেখ, অনেক শপিং করে আনলাম।
রাইয়ের ফর্শা
সুন্দর মুখ জুড়ে মন ভাল করে দেওয়া হাসি। ওর পরনে সাদা টপ, ফেডেড জিন্স, পায়ে সাদা
মোজা আর স্নিকার। ও জুতো পরেই ঘরে ঢুকে যায়, ওর জুতোর তলার ময়লা মোছার দায়িত্ব ওর
যমজ ভাই রাজার। আর ওর পায়ে জুতো পরিয়ে দেওয়া বা খুলিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটাও বহুবছর
ধরে রাজারই। ওর দুই হাত ভর্তি শপিং এর ব্যাগ। ও এক এক করে খুলে ওর শপিং দেখাতে
লাগল। চুড়িদার, টপ , জিন্স মিলিয়ে চার জোড়া জামা। সাথে তিন জোড়া মোজা, একটা পিংক
স্নিকার, একটা কালো বুট, একটা চপ্পল আর একটা কিটো। গত এক বছরে রাই প্রায় ২০ জোড়া
জামা কিনেছে অথচ এই এক বছরে রাজাকে একটাও জামা কিনে দেওয়া হয়নি।
আমি ওর শপিং
এর প্রশংসা করে বললাম – বাহ, সব খুব সুন্দর হয়েছে, তারপর পরম স্নেহে ওর মাথায় হাত
বুলিয়ে দিতে লাগলাম।
- মা, আমার চাকরটা কোথায়? , রাই জিজ্ঞাসা করল।
- পাশের ঘরে কোনায় বসে আছে। আচ্ছা, আমি না
থাকলে তুই কি ওকে ভিশন বেশি মারিস? তোর ইচ্ছা হলে মারবি ঠিক আছে, কিন্তু একটু
খেয়াল রাখিস যেন সিরিয়াস কিছু হয়ে না যায়।
- রাইয়ের মুখে উগ্র রাগ ফুটে উঠল। বোন হয়ে
ভাইকে একটু মারতে পারব না? তার জন্য ও আবার তোমাকে নালিশ করেছে? কি বলেছে ও? আমি ওকে খুব মারি? ওর নালিশ করা
বের করছি আমি । এতদিন তো কিছুই মারতাম না, নালিশ করার সাহস পায় যখন , তখন ওকে
দেখিয়ে ছাড়ব মার কাকে বলে। ও কি ভেবেছে তোমার সামনে মারতে পারব না? তোমার সামনে
মারব, সারা পাড়ার সামনে মারব, স্কুলে সবার সামনে মারব। সবাই জানবে ও আমার চাকর, ও
আমার দাস। চল মা, ওকে শিক্ষা দিতে হবে।
- আমি রাইয়ের সঙ্গে পাশের টিভির ঘরে এসে
দাড়ালাম। আমি বুঝতে পারছিলাম পরিস্থিতে হাতের বাইরে যেতে বসেছে, কিন্তু আমার তখন
আর নিজের উপর নিয়ন্ত্রন নেই। এক অদ্ভুত নেশা আমাকে তখন পুরোপুরি গ্রাস করে তুলেছে।
যার তুলনায় ড্রাগের নেশাও অতি তুচ্ছ, যার স্বাদ শুধু মেয়েদের হাতে ছেলেদের
অত্যাচারিত হতে দেখলেই পাওয়া যায়।
- রাজা তখনও ঘরের কোনায় মেঝেতে বসে ফুঁপিয়ে
কেঁদে চলেছিল। আমাদের এক সাথে ঢুকতে দেখে
মুখ তুলে তাকাল আমাদের দিকে।
- রাই গিয়ে ঠিক রাজার সামনে কোমরে হাত দিয়ে
দাঁড়াল। রাজার বাঁ গালে ডান হাত দিয়ে বেশ জোরে একটা থাপ্পর মেরে বলল, কি নালিশ
করেছিস তুই মাকে? আমি দিদি হয়ে তোকে মারতে পারব না? তার জন্য তুই মাকে নালিশ করবি?
কি ভেবেছিস তুই? মার সামনে আমি তোকে মারতে পারব না? মারলে মা বাধা দেবে? এবার
বুঝবি নালিশ করার ফল, এতদিন ছোট ভাই ভেবে বাড়িতে মারতাম। এবার থেকে সবার সামনে
তোকে দাসের মতো মারব। স্কুলে, পাড়ায় সবাই তাকিয়ে দেখবে সেই মার।
- প্লিজ দিদি, রাগ কর না। আমি নালিশ করিনি
মাকে। শুধু এত অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না সেটা বলেছিলাম। আমি তো তোমার সব কথা
শুনি দিদি, আমি তো কোন অন্যায় করিনি। একটু আমার উপর দয়া কর প্লিজ। রাইয়ের দিকে
হাতজোড় করে কাতর স্বরে বলল রাজা।
জবাবে জুতো
পরা ডান পা তুলে রাজার মুখের উপর প্রবল জোরে একটা লাথি মারল রাই। রাজার মাথাটা
পাশের দেওয়ালে ঠুকে গেল সেই লাথি খেয়ে। এখন থেকে সবসময় তোর সাথে এইরকমই ব্যবহার
করব সবার সামনে। স্কুলে সবাই তোকে মার চাকর বলত বলে তোর সম্মানে লাগত। এখন থেকে
স্কুলে সবাই জানবে তুই আমার ক্রীতদাস, আমার পোষা কুত্তা। আমাকে রাগানোর ফল এবার
থেকে টের পাবি তুই।
রাজা মুখে
বোনের জুতো পরা পায়ের লাথি খেয়ে বোনের জুতো পরা পায়ের উপর নিজের মাথা নামিয়ে দিল।
বোনের সাদা স্নিকার পরা দুই পায়ের উপর পালা করে চুম্বন করতে করতে বলতে থাকল, -
আমার ভুল হয়ে গেছে দিদি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। রাজা নিজের যমজ বোন রাইয়ের
জুতো পরা পায়ের উপর চুম্বন করতে করতে ক্ষমা চেয়ে যেতে লাগল। আর তার জবাবে রাই
বারবার ওর মাথার উপর জুতো পরা পায়ে জোরে জোরে লাথি মারতে লাগল আমার সামনেই।
- এটাই তোর জায়গা, আমার জুতোর তলায়। আমি যদি
তোর মুখের উপর জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে মারতে তোকে মেরে ফেলি সেটা তোর পরম
সৌভাগ্য হবে মনে রাখবি এই কথাটা।
আমার ভিতরের
সমস্ত যুক্তিবোধ বলছিল এটা ঠিক হচ্ছে না, কিন্তু ভয়ানক এক অপ্রতিরধ্য নেশা সেই
যুক্তিবোধকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছিল আস্তাকুড়ে। সেই নেশা দেখতে চাইছিল আমার মেয়ের হাতে
ছেলেকে আরও অনেক বেশি অত্যাচারিত হতে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে রাজার মাথায় আর মুখে
জুতো পরা পায়ে জোরে জোরে লাথি মারা চালিয়ে গেল রাই, আর রাজা রাইয়ের জুতোর উপর
চুম্বন করতে করতে ওর কাছে ক্ষমা চাইতে লাগল। এরপর রাই কিছুক্ষনের জন্য থামল, একমনে
দেখতে লাগল ওর জুতো পরা পায়ের উপর চুম্বন করতে করতে যমজ ভাইয়ের ক্ষমা চাওয়া। রাজা
তখন হাটুগেড়ে বসে নিজের মাথাটা ওর যমজ বোন রাইয়ের জুতো পরা পায়ের উপর নামিয়ে দিয়ে
রাইয়ের জুতো পরা বাঁ পায়ের উপর চুম্বন করতে করতে ক্ষমা চাইছে ওর কাছে। হঠাত রাই
জুতো পরা ডান পা টা তুলে ভাইয়ের গালের উপর রাখল। তারপর দেয়াল ধরে ভাইয়ের বাঁ পাশের
গালের উপর উঠে দাঁড়াল। যত জোরে সম্ভব চাপ
দিতে লাগল ভাইয়ের গালের উপর নিজের জুতো পরা পা দিয়ে। কোন প্রতিবাদ ছাড়াই বিনা
অপরাধে সুন্দরী যমজ বোনের কাছ থেকে শাস্তি নিতে লাগল রাজা।
আমি
মোহাচ্ছন্ন হয়ে পরেছিলাম ওদের এই আচরনে। প্রায় ১০ মিনিট পর রাই যখন রাজার মুখ থেকে
নামল তখন আবার রাজার গালের উপর রাইয়ের কাদাভর্তি জুতোর তলার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ফুটে
উঠল।
জুতো পরা বাঁ
পা দিয়ে রাজার নাকের উপর জোরে একটা লাথি মেরে রাই বলল- তোর হাতের উপর পা রেখে রেখে
আমি চেয়ারে গিয়ে বসব।
অবাক হয়ে
দেখলাম রাজা একটা করে হাতের পাতা পেতে দিচ্ছে আর রাই তারুপর নিজের জুতো পরা একটা
পা রাখছে। তারপর সামনের দিকে রাজা আরেকটা হাতের পাতা পাতলে রাই তার উপর নিজের অন্য
জুতো পরা পা রাখছে। আবার রাজা আগের হাতের পাতা পেতে দিচ্ছে যাতে রাই আবার তার উপর
পা রাখতে পারে। এইভাবে রাই এগিয়ে গিয়ে নীল গদি মোড়া নরম চেয়ারটায় গিয়ে বসল। রাজার
বাঁ গালে জোরে একটা থাপ্পর মেরে বলল, জা টিভির রিওমোটটা এনে আমার হাতে দে। জবাবে
রাইয়ের জুতো পরা পায়ের উপর মাথা রেখে ওকে প্রনাম করে রাজা বলল – যাচ্ছি দিদি। আমি
বুঝতে পারছিলাম প্রবল ভয়ে রাজা ভিতরে ভিতরে কাঁপছে।
রাজা টিভির
রিমোটটা এনে রাইয়ের হাতে দিল। রাই টিভি চালিয়ে রাজার ডান গালে একটা জোরে থাপ্পর মেরে
বলল- আমার পায়ের তলায় শুয়ে পর।
রাজা সঙ্গে সঙ্গে আদেশ পালন করল। রাইয়ের জুতো
পরা পায়ের কাছে মাথা রেখে মেঝেতে শুয়ে পরল। রাই সাথে সাথে মুখে হাসি ঝুলিয়ে ওর
জুতো পরা পা দুটো ভাইয়ের মুখের উপর তুলে দিল। নিজের বাঁ পা টা রাখল ভাইয়ের কপালে
আরডান পা টা ভাইয়ের ঠোঁটের উপরে। ভাইয়ের মুখের উপর নিজেরকাদাভর্তি সাদা স্নিকারের
তলাটা ঘসতে লাগল রাই। রাজাকে আর কিছু বলতে হল না, ও নিজে থেকেই চাকরের মতো ওর
মুখের উপর রাখা সুন্দরী যমজ বোন রাইয়ের পা দুটো টিপতে লাগল।
৫ মিনিট পর জুতো পরা ডান পা দিয়ে ভাইয়ের নাকের
উপর একটা লাথি মেরে রাই আদেশ করল- এবার তোর পাপোশটা বের কর। আমি আমার জুতোর তলাটা
মুছব।
অবাক হয়ে
দেখলাম রাজা সত্যিই নিজের জিভটা যতটা সম্ভব বার করে দিল। আর তার উপরে নিজের জুতো
পরা ডান পায়ের তলাটা নামিয়ে দিল রাই। রাজার জিভের উপর ঘষে নিজের জুতোর তলা
পরিষ্কার করতে ও। রাজার জিভটা কুচকুচে কালো হয়ে যাচ্ছিল রাইয়ের জুতোর তলার ময়লায়।
এক বোন তার ভাইয়ের জিভের উপর নিজের নোংরা জুতোর তলার ময়লা মুছে পরিষ্কার করছে
ভাবতেই ভয়ানক সুখে আমি আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিলাম। রাই টিভি দেখতে দেখতে একমনে যেভাবে
রাজার জিভের উপরে নিজের ডান জুতোর তলা মুছে যাচ্ছিল আর রাজা ওর বাঁ পা টিপে
দিচ্ছিল তাতে বুঝতে পারছিলাম আমার অজান্তে রাই বহুদিন ধরে এভাবেই নিজের জুতোর তলা
পরিষ্কার করে।
১০ মিনিট পর
রাই জুতো পরা ডান পা টা রাজার গলার উপরে রাখল। তারপর জুতো পরা বাঁ পায়ের তলা
নামিয়ে দিল ভাইয়ের জিভের উপরে। একইভাবে ভাইয়ের জিভের উপর এমনভাবে বাঁ জুতোর তলা
ঘষে পরিষ্কার করতে লাগল মায়ের সামনে যেন ও কোন পাপোশে পা মুছছে!
১০ মিনিট পর
ভাইয়ের জিভের উপরে ঘষে বাঁ জুতোর তলাও নতুনের মতো পরিষ্কার করে ফেলল রাই। তারপর
ভাইয়ের নাকের উপর লাথি মেরে বলল- মনে রাখবি বোন মানে ভাইদের কাছে স্বয়ং দেবী। আমার
জুতোর তলার ময়লা তোর কাছে চরণামৃত। পুরোটা গিলে খাবি তুই। একটুও যদি বাইরে ফেলতে
দেখি লাথি মেরে তোর দাঁত ভেঙ্গে দেব আমি।
আমার সামনেই
রাইকে এভাবে ওকে ডমিনেট করতে দেখে রাজা মনে মনে ভয়ে কাপছিল বুঝতে পারছিলাম, আর আমি
যেন সুখের এক অজানা জগতে ডুবে যাচ্ছিলাম। রাজা রাইয়ের জুতোর তলায় চুম্বন করে বলল-
নিশ্চয়ই দেবী। তোমার জুতোর তলার সব ময়লা গিলে খাব আমি।
সত্যিই রাইয়ের জুতোর তলার সব ময়লা গিলে খেয়ে নিল
রাজা। তারপর রাজার কপালে একটা লাথি মেরে রাই আদেশ করল এবার ভাল চাকরের মতো প্রভুর
জুতোর উপরটাও চেটে পরিষ্কার করে দে। তারপর আমার শপিং করে আনা ড্রেস আর জুতো আলমারি
আর শ্যু র্যাকে গুছিয়ে রাখ।
- ঠিক আছে দিদি। যা তুমি বলবে, তাই করব। এই বলে
রাজা রাইয়ের জুতো পরা পায়ের উপর মাথা রেখে ওর জুতোর উপরটা চেটে পরিষ্কার করতে
লাগল।
এরপর থেকে
এইভাবে আমার সামনেই কারনে অকারনে রাজাকে ডমিনেট করত রাই। নিজের স্কুল টাস্ক সহ
লন্ড্রি, জুতো পালিশ, সব কাজ করাত। দিনের মধ্যে কয়েক ঘন্টা রাজার মুখের উপর চটি
পরা পা রেখে বসে ওকে দিয়ে পা টেপাত। কথায় কথায় ওকে থাপ্পর আর লাথি মারত। সামান্য
কারনে চামড়ার বেল্ট দিয়ে ওর পিঠে মেরে চাবুকের মতো দাগ করে দিত। স্কুল থেকে ফিরে
জিভ দিয়ে চাটিয়ে নিজের জুতোর তলা পরিষ্কার করাত ভাইকে দিয়ে। আর এসব ও তখন আমার
সমর্থনেই করত। রাইয়ের হাতে রাজাকে অত্যাচারিত হতে দেখে আমার মস্তিস্কের রিওয়ার্ড
সিস্টেমে ডোপামাইন উন্মাদের মতো দাপাদাপি করত। উফ, সে নেশা একদমই তুলনাহীন!
ও শুধু নিজেই
ভাইয়ের উপর অত্যাচার করত না, ওর বান্ধবীদের দিয়েও করাত। ওর বান্ধবী পৃথা, মারিয়া
আর শবনম একইভাবে রাজাকে ডমিনেট করত, ওকে থাপ্পর আর লাথি মারত। রাজার মুখের উপর
জুতো পরা পা রেখে বসে ওকে দিয়ে পা টেপাত, নিজেদের জুতোর তলা ওকে দিয়ে চাটিয়ে
পরিষ্কার করাত। ওদের স্কুলে ক্লাসের সবার সামনেই যে রাই রাজাকে এইভাবে ডমিনেট করতে
শুরু করেছে সেটাও রাই এখন গর্ব করে বলত। রাজা শুধু আর অভিযোগ করার সাহস পেত না
ভয়ে। আমি বুঝতে পারছিলাম ব্যাপার ক্রমেই ভয়ানক হতে চলেছে, কিন্তু নেশায় আচ্ছন্ন
মানুষের মতো তাকে নিয়ন্ত্রন করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম।
রাই আর রাজা
একই স্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে। যদিও ওদের স্কুলে ছেলে আর মেয়েদের সেকশন আলাদা। টিফিন
পিরিয়ডে রোজ রাইয়ের নির্দেশে রাজাকে মেয়েদের ক্লাসরুমে যেতে হয়। সব মেয়ের সামনে
রাজাকে দিয়ে নিজের জুতোর তলা চাটায় রাই, জুতো পরা পায়ে রাজার মুখের সর্বত্র জোরে
জোরে লাথি মারে। মেঝেতে রাজার টিফিন ফেলে দিয়ে
সেটা জুতোর তলা দিয়ে মাড়িয়ে ক্লাস ভর্তি মেয়ের সামনে সেটা মেঝে থেকে চাটিয়ে খাওয়ায়
কুকুরের মতো। ক্লাসের অন্য মেয়েদেরও রাজাকে চাকরের মতো ব্যবহার করতে উতসাহ দেয় রাই। অন্য
মেয়েরাও রাজাকে দিয়ে জুতো চাটায়, ওর মুখে লাথি মারে, ওকে দিয়ে পা টেপায়।
তীব্র নেশায়
আমি আচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম, আর আমার সমর্থনে
প্রতিদিন রাজার উপরে ডমিনেশন বাড়াচ্ছিল রাই। হঠাত এই সোমবার স্কুল থেকে ফিরে রাজা
বমি করতে শুরু করে। ওর গায়ে অল্প জ্বর আসে। কিরকম
আচ্ছন্নের মত হয়ে গিয়েছিল ও, প্রলাপ
বকছিল। ওকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বাড়ি ফিরে রাইকে জিজ্ঞাসা করি রাজার কি
হয়েছে।
রাই হাসিমুখ
বলে কিছু না। রাজাকে নিয়ে স্কুলে আজ দারুন মজা হয়েছিল। আজ স্কুল টিফিনে ছুটি হয়ে
যায় । মাঠে একটু খেলার পর ক্লাসের প্রায় ৫০ জন মেয়ের সবাই রাজাকে দিয়ে নিজেদের
কদাভর্তি জুতোর তলা চাটিয়ে পরিষ্কার করিয়েছে। তারপর যার যত ইচ্ছা জুতোপরা পায়ে ওর
মুখে লাথি মেরেছে জোরে জোরে। আসলে আমিই অনুমতি দিয়েছি ওদের, আমার চাকরটাকে নিয়ে যা
খুশি করতে পারে ওরা। এত অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে গেছে হয়ত। ও তো একটা ছেলে, মেয়েদের
লাথি খেয়ে ও যদি মরেও যায় কি আসে যায় তাতে?
আমিও ছোট
থেকেই পুরুষবিদ্বেষী ছিলাম, কিন্তু এই পর্যায়ের বিদ্বেষ আমার কল্পনাতেও আসেনি
কোনদিন। বোন হয়ে ভাইয়ের উপর ইচ্ছামত অত্যাচার করা ঠিক আছে, তাই বলে জুতো পরা পায়ে
ভাইয়ের মুখের উপর লাথি মারতে মারতে তাকে মেরে ফেললেও তাতে কিছু যায় আসে না? এই
ঘটনাও আমাকে নেশাচ্ছন্ন করলেও আমি বুঝতে পারছিলাম এবার নেশাকে শাষন করার সময় এসে
গিয়েছে। নাহলে রাজাকে বাঁচাতে পারব না। হাজার হোক, আমি তো রাজারও মা। এইভাবে স্কুল
ভর্তি ক্লাসমেট মেয়েদের জুতো পরা পায়ের লাথি খেতে খেতে ছেলেকে মরতে দিতে পারি না
আমি কিছুতেই।
রাজা চারদিন
পর শুক্রবারে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল সকালে। অতজন মেয়ের জুতো পরা পায়ের লাথি খেয়ে
ওর নাকের হাড়ে চিড় ধরেছিল। আর অতজন মেয়ে নিজেদের জুতোর তলার ময়লা ওকে দিয়ে গিলে
খেতে বাধ্য করায় ওর পেটে ভয়ানক ইনফেকশন হয়েছিল। ওর কি হয়েছে সেটা হাসপাতালে বলা
সম্ভব ছিল না, ফলে আমাকে অনেক কষ্টে গল্প বানাতে হয়েছিল। এরপরও আমি রাইকে সরাসরি
বলতে পারিনি রাজার উপর অত্যাচার করা বন্ধ করতে। আসলে আমার ভিতর থেকেই এক অদম্য
আবেগ চাইছে না রাই রাজার উপর অত্যাচার করা বন্ধ করুক। আর এই ব্যাপারে রাইয়ের আবেগ
আরও অনেক বেশি । ও কিছুতেই ভাইয়ের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে রাজি হবে না। আমি শুধু
ওকে বলেছি, - রাজা একটু বেশি অসুস্থ। ওকে এক সপ্তাহিও বিশ্রাম করতে দে, তারপর ওকে
নিয়ে আবার যা খুশি করিস। আপাতত রাই রাজাকে দিয়ে তাই হোমটাস্ক, লন্ড্রি, জুতো পালিশ
বা পা টেপানোর বেশি কিছু করছে না। আর আমি নিজের সাথে লড়াই করছি। আবেগ বনাম যুক্তির
লড়াই। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি ছেলেদের উপর মেয়েদের ডমিনেশনের যে নেশা আমাকে গ্রাস
করেছে তাকে যুক্তি বা ছেলের প্রতি ভালবাসা দিয়ে আমি জয় করতে পারব না কারও সাহায্য
ছাড়া। আর কারও সাহায্যের কথা মনে হলে আমার প্রথমেই তোমার কথা মনে পরে। এখন তুমি যা
সিদ্ধান্ত নেবে আমি তাই করব”। দীর্ঘ সংলাপ সেরে আমি সীমার মুখের দিকে তাকালাম।
তিন......
“ আমি বুঝতে পারছি
ব্যাপারটা রাজার পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যাচ্ছে। তবু তুমি অকারনে চাপ নিও না বেশি।
একদিনে হঠাত করে সব ঠিক করা সম্ভব না। তোমার আর রাইয়ের মনে ছেলেদের প্রতি বিদ্বেষ
ও অনেক গভীর। এর জন্য সময় দিতে হবে। তোমার ছেলে মেয়ের সাথেও কথা বলতে হবে, কাউন্সেলিং
করাতে হবে। তারপরেই এমন সমাধান খুজে নিতে হবে যা সবার জন্য ভাল হবে। তুমি কিন্তু
একদিনে রাজার উপর রাইয়ের ডমিনেশন বন্ধ করার চেষ্টা কর না। তাহলে ব্যাপারটা রাইয়ের
উপর ভয়ানক মানসিক চাপ সৃস্টি করবে। এমনকি তোমার অবচেতন মনেও ভয়ানক চাপ সৃস্টি হবে
। তুমি ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দাও। আমি রাজা আর রাইয়ের সাথে কথা বলি। সময় লাগবে
একটু সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে। হতে পারে, সময় দিলে আর সঠিক কাউন্সেলিং করালে রাই
হয়ত রাজার উপর অত্যাচার বন্ধ করতে স্বেচ্ছায় রাজি হবে। তোমার মনের যেই অংশ রাজার
রাইয়ের হাতে অত্যাচারিত হতে দেখতে চাইছে সে যুক্তিবোধের নিয়ন্ত্রনে এসে এর সমাপ্তি
মেনে নেবে। য়াবার এরকমও হতে পারে, প্রথমে রাজার উপর রাই যেরকম অল্প মাত্রার
ডমিনেশন দেখাত সেইটুকু বজায় থাকবে। সেক্ষেত্রে সবার পক্ষেই ব্যাপারটা মেনে নেওয়া
সহজ হবে। আবার এরকমও হতে পারে, শষে যা সিদ্ধান্তে পৌছালাম , যেটা সবার পক্ষেই
বেস্ট হবে, সেটা এখনও কল্পনাও করতে পারছি না। এক কাজ করি, বিকালে আমি তোমাদের বাড়ি
যাই। ওই পরিবেশেই রাজা আর রাইয়ের সাথে প্রাথমিক কথা বলা দরকার। তারপর দরকার মতো
পরে আবার যাব। ওদের কয়েকবার আমার চেম্বারেও আনতে হবে কাউন্সেলিং এর জন্য।আজ বিকালে
তুমি ফ্রি আছ তো?”
-“হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। থ্যাংক
ইউ সীমা, আমি ওর হাত ধরে বললাম”।
“ এতে থ্যাংক্সের কি আছে।
বন্ধুরা তো একে অন্যের জন্য এইটুকু করবেই। তাহলে আজ বিকালে ঠিক ৬ টায় তোমাদের বাড়ি
পৌছাচ্ছি”।
“ থ্যাংক ইউ সীমাদি” আমি
বাইরে বেড়িয়ে আসতে আসতে বললাম।
“ আবার থ্যাংক্স বললে
কিন্তু মার খাবে তুমি” , সীমাদি হাসিমুখে বলল। “দাঁড়াও , আমার ড্রাইভারকে বলছি,
তোমাকে বাড়িতে পৌছে দেবে”।
“না, দরকার নেই, আমি বাসে
চলে যাব”।
‘ ধুর , ড্রাইভার তো বসেই
আছে গাড়ি নিয়ে। আবার বাসে যেতে যাবে কেন?
সীমাদির সাত বছর বয়সী
মিষ্টি মেয়েটা তখন ওর পাশে এসে দাড়িয়েছে। আম,ই ওকে আদর করতে করতে কথা বলতে লাগলাম।
তারপর ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে এলে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম,
আমি ভিতরে ভিতরে বিষন্ন হয়ে পরছি। আমার মস্তিস্কের যুক্তিবোধের বাইরে থাকা বিশাল
অংশ চায়না রাই রাজার উপর এই অসহ্য অত্যাচার বন্ধ করুক। সে
বোধহয় খুশি হবে যদি আমার মেয়ে বুটজুতো পরা পায়ে ভাইয়ের মুখে লাথি মারতে মারতে তাকে
মেরে ফেলে। আমি গাড়ির নরম গদিতে হেলান দিয়ে বসলাম, হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি বেলা
সাড়ে বারোটা বাজে। আমি মনকে শক্ত করার চেষ্টা
করতে লাগলাম। ঠিক করলাম , সীমা সাইকোলজির জ্ঞান খাটিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি
মেনে নেব, রাজা আর রিয়াকেও মানতে বাধ্য করব, তা আমাদের যার যতই খারাপ লাগুক।
চার......
সীমা আমাদের বাড়িতে এল ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। প্রথমে একসাথে হলঘরে বসে আমরা চা জলখাবার খেলাম সবাই। আধ ঘন্টা পর সীমা বলল, “এবার ওদের দুইজনের সঙ্গে একটু
আলাদা করে কথা বলব। দেখি, কি নিয়ে এত সমস্যা হচ্ছে তোমাদের। প্রথমে রাইয়ের সাথে কথা বলি”।
আমি রনিকে ওর ঘরে যেতে বললাম। ও চলে গেল। আমি আর সীমা টেবিলের একপ্রান্তে
চেয়ারে বসলাম। রাই বসল অন্যদিকে। সীমা কেন আসছে সেটা আমি দুপুরেই ওদের দুই ভাই বোনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম
। সীমা সরাসরি মূল প্রসঙ্গে কথা শুরু করল।
“ রাই, যা জিগাসা করব প্লিজ
ঠিক উত্তর দিস। আমি চাই যাতে তোদের পরিবারে
সবাই সুখে থাকিস। আর আমিও মেয়ে, তাই আমি তকে ছেড়ে অকারনে রাজার দিকে সমর্থন দেব এমন ভাবিস না। আমি দুজনের ভালই চাই, যদি কোনক্ষেত্রে সম্ভব না হয়,
আমি আগে তোর ভাল চাইব, যাতে তুই খুশি হোক সেটাই
করতে বলব, এটা তুই নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারিস”।
সীমার স্নেহভরা কথা শুনে রাই একটু আশ্বস্ত হয়েছে
মনে হল।
“ এবার বল, রাজাকে তুই এভাবে
এত মারিস কেন? ও খারাপ হয়ে যাবে এই ভয়ে? নাকি ওকে মারতে ভাল লাগে বলে? নাকি ছেলেদের ঘৃণা করিস
বলে?”
রাই একটু চুপ করে থেকে কি ভাবল। তারপর বলল, “ সবগুলোই কারন। ওকে মারলে, আমার কথা শুনে চলতে বাধ্য করলে
ও আমার বাবা বা দাদুর মতো খারাপ হবে না এটা আগে খুব মনে হত। এখনও হয় কিছুটা। বাবা আর দাদু আমার আর মায়ের সাথে যা করেছে সেই কারনে ছেলেদের ভীষণ ঘৃণাও করি। কিন্তু মাঝের কারনটাই সবচেয়ে বড়। রাজা বাঁ যে কোন ছেলেকে মারতেই আমার ভীষন ভাল লাগে। অন্য মেয়ের হাতে মার খেতে দেখলেও ভাল লাগে। কিরকম এক অদ্ভুত নেশাচ্ছন্ন হয়ে পরি আমি । মনে হয় কোন অশরীরি আত্মা ভর করেছে আমার উপর। ভয়ানক অত্যাচার করতে ইচ্ছা হয় তখন ওর উপর, কোনভাবেই
আমি নিজেকে ঠেকাতে পারিনা তখন”।
“ কিন্তু এর ফলে রাজার কোন বিপদ হতে পারে সেটা
মনে হয় না?”
“ হয় মাঝে মাঝে, কিন্তু
যখন ওর মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে থাকি, ওর পিঠে সপাসপ বেল্টের
আঘাত করতে থাকি, বা ওকে দিয়ে আমার জুতোর তলা চাটিয়ে পরিষ্কার
করাই, তখন আমার নিজের উপর নিয়ন্ত্রন থাকে না পুরো, আমি এক গভীর নেশার জগতে ডুবে যাই। মনে হয় ততক্ষন ওর মুখে লাথি মারতে থাকি যতক্ষন ওর করোটি ফেটে ব্রেনটা বেরিয়ে এসে
আমার জুতোর তলায় পিষ্ট না হয়ে যায়। আমি এখন বেশি পরোয়াও করি
না। ভাইদের জায়গা বোনেদের জুতোর তলায় এটা আমি এখন মন থেকে বিশ্বাস
করি। মা যতই এখন আমাকে বাধা দিক এখন ,
আমি জানি মাও এটা বিশ্বাস করে। আমার লাথি খেতে খেতে যদি রাজা মরে যায় সেটা ওর সৌভাগ্য হবে। এইভাবেই ছেলেদের ছোট থেকে পায়ের নিচে রেখে বড় না করলে তারা আমার
বাবা আর দাদুর মতো খারাপ চরিত্রের হয়”।
“ তুই যখন জুতোপরা পায়ে লাথি মারিস রাজার মুখে
তখন তোর কি মনে হয়?”
“ মনে হয় এটাই রাজার সঠিক জায়গা, আমার জুতোর তলায়। মনে হয় লাথি মারতে মারতে
ওর মুখটা চুরমার করে না দিলে ও বড় হয়ে আরেকটা লম্পট হবে। মনে হয় বুটজুতো পরা পায়ে ছেলেদের মুখের উপর লাথি মারতে মারতে নাক, মুখ, দাঁত ভেঙ্গে দেওয়ার ওধিকার প্রত্যেকটা মেয়ের আছে। মনে হয় আরও জোরে লাথি মারি ওর মুখে ,
ঠিক ফুটবলের মতো। আরও জোরে, আরও জোরে, জত জোরে পারি
লাথি মারি ওর মুখে, যতক্ষন ওর শেষ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে না যায়”।
“ আমি অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম রাইয়ের কথায়। নিজের যমজ ভাই, যার সাথে একইসঙ্গে আমার গর্ভে
বেড়ে উঠেছে ও, তাকে এত ঘৃনা করে? আমি বুঝতে
পারছিলাম রাই মানসিকভাবে বিকৃত হয়ে পরছে, এর চিকিতসা জরুরি। সীমা সেই চিকিতসা সঠিকভাবে করে এতে ইতি টানতে পারবে এই বিশ্বাস
অবশ্য আমার ছিল।
সেই সাথে রাইয়ের এই উগ্র ছেলেদের ডমিনেট করার
মানসিকতা, নিজের বুটের তলায় ছেলেদের পিষে মারার ইচ্ছা
আমার দেহের প্রতিটি স্নায়ুকে অসম্ভব উত্তেজিত করে তুলছিল। এক তীব্র সুখের ঝড় আমাকে পাগল করে দিচ্ছিল যেন। সেই সাথে নিজের সাথে যুদ্ধ চালাচ্ছিলাম, মেয়ের কাছে ছেলের মার খাওয়া দেখতে আমার যতই ভাল লাগুক, আমি এতে আর হস্তক্ষেপ
করব না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সঠিক
মানুষের হাতেই দিয়েছি। সাইকোলজিস্ট সীমা যা সিদ্ধান্ত
নেবে তাই আমি মেনে নেব ভাল না লাগলেও। রাই আর রাজাকেও তাই মানতে হবে।
সীমা রাইকে আরও কিছু প্রশ্ন করল। প্রতিটির জবাবেই রাইয়ের উগ্র পুরুষবিদ্বেষ আর নিজের বুটের তলায়
বাবা ভাই সহ সমগ্র পুরুষ জাতিকে পিষে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশিত হল।এখন কিছুদিন ওকে রাজার উপর বেশি অত্যাচার করতে দিচ্ছি নাবলে আমার প্রতি রাগও
উগড়ে দিল কিছুটা। ও যে কিছুতেই রাজার উপর এক্সট্রিম ডমিনেশন একটুও কমাতে চাইবে না সেটা
ভালই বুঝতে পারলাম । সীমা কি ওকে বুঝিয়ে রাজি
করাতে পারবে? সঠিক নাহলেও এটাই সত্যি, আমি রাইকে রাজার চেয়ে অনেক বেশি ভালবাসি। রাজার বিপদের আশংকাতেও রাইয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার
পক্ষে কঠিন হবে বেশ।
এরপর রাইকে ওর ঘরে যেতে বলে রাজাকে ডাকা হল।
“ আচ্ছা রাজা, তোর কি মনে
হয় অকারনে তোর উপর বেশি অত্যাচার করে মা আর রাই?”
“ রাজা ভয়ে ভয়ে আমার দিকে তাকাল।
“ ভয় পাস না, যা সত্যি সেটাই
বল। তোরা কে কি ভাবিস সেটা শোনার জন্যই সীমা এসেছে আজ”, আমি বললাম।
“ হ্যাঁ , তাই মনে হয়। আমি তো কোন দোষ করি নি। মা আর দিদি যা বলে সব শুনে চলি। এরপরেও এইভাবে মারবে কেন
আমাকে? দিদি স্কুলে সবার সামনে এইভাবে মারে আমাকে,
অপমান করে। স্কুলে সবার সামনে আমার
মুখে লাথি মারে, জুতো চাটায়। ওদের ক্লাসের সব মেয়েকে উতসাহ দেয় একই কাজ করার জন্য। আমার কি ব্যাথা লাগে না, কষ্ট হয় না? আমার কি সবার সামনে এইভাবে অপমানিত হতে লজ্জা করে না? স্কুলের প্রত্যেকটা ছেলে আমাকে ক্ষেপায় এইজন্য, প্রত্যেকটা
মেয়ে এমনভাবে তাকায় আমার দিকে যেন আমি কুকুর। শুধু ছেলে হয়ে জন্মেছি বলে কেন এত অত্যাচার করে আমার উপর? ছেলে হয়ে জন্মানো কি এত বড় অপরাধ?”
রাজা ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল দুঃখ উগড়ে দিতে দিতে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, ছেলের
দুঃখ ছাপিয়ে মেয়েদের হাতে ওর অত্যাচারিত হওয়ার কথা শুনেই এক তীব্র আনন্দ আবার আমার
শরীরে ঢেউ তুলতে লাগল।
“ রাই আর তুই তো যমজ ভাই বোন। তাহলে ওকে দিদি
বলিস কেন? তুমি করেই বাঁ বলিস কেন?” সীমা জিজ্ঞাসা করল।
“ মা বলেছে দিদি আমার চেয়ে নাকি চার
সেকেন্ডের বড়। তাই আমি যেন ওকে দিদি বলি আর সম্মান দেখিয়ে তুমি করে বলি”।
“চিরদিনই কি রাই তোর সাথে এরকম ব্যবহার করে?”
“ আগে অনেক কম, করত যত দিন যাচ্ছে তত বেশি
করছে দিদি। আগেও আমাকে কারনে অকারনে মারত দিদি, নিজের সব কাজ করাত, রোজ সকালে ওর
পায়ে মাথা রেখে প্রনাম করতে হত। তার কিছুদিন পর থেকে রোজ সকালে দিদির পা ধুয়ে জল
খেতেও হয়। তবু সেটা তো আমি মেনে নিয়েছিলাম। কখনও সেভাবে বাধা দিইনি। তারপরেও কেন এভাবে অত্যাচার করে আমার উপর? আন্টি, তুমি মা আর দিদিকে একটু
বুঝিয়ে বল যেন আমার উপর একটু দয়া করে। এত অত্যাচার, অপমান কোন মানুষের পক্ষে সহ্য
করা সম্ভব না। প্লিজ আন্টি , প্লিজ”।
কথা বলতে বলতে কান্নায় যেন দম আটকে আসতে লাগল
রাজার, ওর দেহটা বারবার কেঁপে উঠতে লাগল।
রাজার সঙ্গে আরও কিছুক্ষন কথা বলে সীমা বলল “
এবার তুই নিজের ঘরে যা। তোর মায়ের সাথে কিছু কথা আছে”।
রাজা উঠে চলে গেল। রাজার মুখ দেখে মনে হল ও
কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে যে সীমা আর রাইকে ওর ওপর আগের মতো অত্যাচার করতে দেবে না।
রাজা উঠে চলে যেতে সীমা বলল ওদের সাথে আরেওও
অনেকদিন কথা বলতে হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে। দরকার হলে হিপনোটাইজ করে ভিতরের
অবচেতন মনের কথা বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতি বুধ আর শুক্রবার রাত ৮ টায়
ওদের নিয়ে আমার চেম্বারে যেও। ৩-৪ সপ্তাহ লাগবে হয়ত সব বুঝে বিশ্লেষণ করে
সিদ্ধান্তে আসতে, একটু বেশিও লাগতে পারে। এখন রাই কতটা ডমিনেট করছে রাজাকে?”
“ রাইকে বলেছি এখন যেন কোন কারনেই রাজাকে না
মারে। টুকটাক কাজ করানো, সে হোম টাস্ক বাঁ লন্ড্রি হোক, বাঁ টিভি দেখার সময় পা
টেপানো এইসবে অবশ্য বাধা দিইনি”।
“ ভাল করেছ। একবারে এর বেশি কিছু করলে রাইয়ের
উপরে কিন্তু খুব আঘাত পরবে। ও কিন্তু এই ডমিনেশনের উপর খুব ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গেছে।
এটা ওর কাছে পুরো নেশার মতো হয়ে দাড়িয়েছে। যদি সিদ্ধান্ত নিই , এইটুকুও বন্ধ করা
দরকার তাহলে সেটা খুবই কেয়ারফুলি আর স্লোলি করতে হবে”।
“ ঠিক আছে, তুমি যা বলবে সেটাই করব”, আমি
বললাম।
“ আচ্ছা, রাজার উপরে রাইয়ের অত্যাচার করার
কোন ভিডিও তোলা আছে তোমার কাছে?” সীমা জিজ্ঞাসা করল।
“হ্যাঁ, অনেক আছে। রাই রাজার উপর ডমিনেশনের
ভিডিও তুলে রাখতে চিরদিনই পছন্দ করে। পরে বান্ধবীদের দেখায়। সত্যি বলতে, আমারও ভাল
লাগত বলে আমি নিজেও বহুবার স্বেচ্ছায় ভিডিও করেছি”।
“ যতগুলো পারো বিভিন্ন রকমভাবে করা ডমিনেশনের
ভিডিও দিও আমাকে পরেরদিন। ঠিক কি করে রাই,
আর ওদের দুজনের এতে রিয়াকশনটা ভাল করে বুঝতে পারব তাহলে। আর এখন যে মাইল্ড ডমিনেশন
চালাচ্ছে রাই, সেটারও কয়েকটা ভিডিও নিয়ে যেও”।
“ আচ্ছা , ঠিক আছে। পরের
বুধবার তোমার চেম্বারে যখন যাব ওদের নিয়ে তখন ভিডিওগুলো নিয়ে যাব আমি”।
“ আচ্ছা, আজ আসি তাহলে। তুমি বেশি চিন্তা কর
না, সব ঠিক হয়ে যাবে। বুধবার দেখা হচ্ছে তাহলে”।
পাঁচ.....
এরপরে চার সপ্তাহ যেন একই রুটিন মেনে কাটল।
প্রথম চার সপ্তাহে সীমা কি ভাবছে, কি ডিশিসন নিতে পারে তার কিছুই বলল না । তার
প্রথম আভাস পেলাম চতুর্থ রবিবারে যখন ও আমা্দের ওদের বাড়িতে ডিনারে ডাকল।সারা
সন্ধ্যা অনেক গল্প হল। খাওয়া দাওয়ার পর আড়ালে ডেকে আমাকে সীমা বলল, “ আজ থেকে
রাজার উপর রাইয়ের ডমিনেশন করাটা পুরো বন্ধ করে দাও আপাতত। আমিই বলে দিচ্ছি ওদের।
এরফলে ওদের কি রিয়াকশন হয় সেটাও ফাইনাল ডিশিসন নেওয়ার আগে জানা দরকার। আর রাজাকে
এটাও বলে দিচ্ছি নিজের যমজ বোনকে ওর দিদি আর তুমি করে বলার দরকার নেই। ও রাইকে নাম
ধরে আর তুই করে বলতে পারে। এর ফলে তোমাদের তিনজনের প্রতিক্রিয়া কি দাঁড়ায় আমি
একবার দেখে নিতে চাই। আর এই সপ্তাহে প্রতিদিন রাত ৮ টায় আমার চেম্বারে এস। আমি
পরের রবিবারের মধ্যেই কোন ডিশিসনটা তোমাদের পক্ষে বেস্ট হবে সেটা জানিয়ে দেব”।
রাজা খবরটা শুনে স্বভাবতই খুব খুশি হল, একগাল হেসে “থ্যাংক ইউ আন্টি” বলল। রাই কিছুই
বলল না, চুপ করে কথাটা শুনল শুধু । ও যে খুব আঘাত পেয়েছে সীমার সিদ্ধান্তে, সেটা
ওর মুখ দেখেই আমি বুঝতে পারছিলাম। সীমা আন্টি এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে ও বোধহয় ভাবতে
পারেনি। আমিও যে মনে মনে খুব আঘাত পেয়েছিলাম সেটা অস্বীকার করতে পারব না। রাইকে
সত্যিই আমি রাজার চেয়ে অনেক বেশি ভালবাসি, রাজার যন্ত্রনা কমাতে গিয়ে রাইয়ের আনন্দ
সামান্য কমাতে দিতেও মন চায় না আমার। তাছাড়া, রাইয়ের হাতে রাজাকে অত্যাচারিত হতে
দেখার যে অদম্য নেশা, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে ভাবতেই এক তীব্র আতংক ঘিরে ধরছিল আমাকে,
যেটাকে জোর করে সামাল দিতে হচ্ছিল।
এই সপ্তাহে রোজই আমি রাজা আর রাইকে নিয়ে
সীমার চেম্বারে যেতাম। সীমা আলাদা আলাদা করে ওদের সাথে কথা বলত রোজ, আমার সাথেও
বলেছিল দুইদিন। শুক্রবার রাতে সীমা আমাকে আলাদা ডেকে নিয়ে বলল, “ রাই কি চায়, ওর
চিন্তা একদম পরিষ্কার এখন। কিন্তু রাজা কি চায় আপাতভাবে পরিষ্কার মনে হলেও ওর আচরন
কথা বলার ধরনে কোথাও একটা অস্বাভাবিকতা আছে মনে হচ্ছে। কাল ওকে একবার হিপনোটাইজ
করে দেখা দরকার। ওর মনে কোথাও জট পেকে থাকলে সেটা স্পষ্ট বুঝে নেওয়া দরকার এত বড়
একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে”।
“ মানুষকে তাহলে সত্যিই হিপনোটাইজ করা যায়?
আমার ধারনা ছিল না”।
“ হ্যাঁ, যায়। আসলেয়ামাদের মনের অনেক অংশ,
অনেক স্তর। আমরা যা বলি, ব চেতন মন যা ভাবে, সেটা অনেক স্তরে ফিল্টার হয়ে আসে। এক
বিশেষ রকমের অষুধ ও পরিবেশের মিলিত ব্যবহারে আমরা সেই ফিল্টারকে সাময়িকভাবে অকেজ
করে দিই। ফলে মানুষ পরিবেশ , পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে ‘ফিল্টারড’ কথা বলে সেটা
পরিবর্তিতহয়ে তার মাথায় আসা আসল চিন্তাটা আমরা জানতে পারি। তার অবচেতন মনের
চিন্তাটাও এইভাবে সামনে আনতে পারি আমরা। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজার
অবচেতন মনে অন্য কিছু চলছে কিনা একবার নিশ্চিন্ত হয়ে নেওয়া দরকার। তুমি কাল ওকে
সকাল এগারোটাতেই নিয়ে এস একবার, রাইকে নার দরকার নেই কাল। আমি চেষ্টা করব রবিবারের
মধ্যে ফাইনাল ডিশিসন নিয়ে তোমাকে জানিয়ে দেওয়ার”।
শনিবার সকালে সাড়ে দশটায় রাইকে বাড়ি রেখে
রাজাকে নিয়ে বেড়িয়ে এলাম সীমার চেম্বারের উদ্দেশ্যে। রাই এই সপ্তাহে অনেক মনমরা,
চুপচাপ হয়ে গেছে। রাজার মেজাজের অনেক উন্নতি হয়েছে, খুব হাসিখুশি লাগছে ওকে। যদিও
রাইইয়ের চুপচাপ হয়ে যাওয়া ওরও ভাল লাগেনি। বহুবার ও রাইয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা
করেছে, রাই কিছু না বলে এড়িয়ে গেছে। কয়েকবার তো দেখলাম রাজা নিজের গাল বাড়িয়ে নিয়ে
বলেছে, “ নে রাই, আমাকে মারলে তুই যদি খুশি হস, কথা বলিস তো মেরে নে একটু। আমি
কিছু মনে করব না”।
রাজাকে সীমার চেম্বারে দিয়ে আমি চলে এলাম।
বিকালে আনতে যাব। আমি স্কুল গেলাম না আর। দুপুরে খেতে খেতে রাই আমার দিকে তাকিয়ে
হঠাত বল, “ এটাই তাহলে তোমাদের শেষ সিদ্ধান্ত মা? আমি আর রাজা কে মারতে পারব না,
কোন হুকুম করতে পারব না? একটা ছেলে আর মেয়ের অধিকার সমান এটা তুমি বিশ্বাস কর
তাহলে? তুমি না নারীবাদী? বাবা আর দাদু কি করেছিল ভুলে গেছ তুমি? রাজা ওরকম হওয়ার
চেয়ে আমার কাছে মার খেয়ে মরে গেলে কি বেশি খারাপ হত?”
“ আমি কি বলব কিছু বুঝতে প্রছিলাম না। ভয়ানক
কান্না পাচ্ছিল আমার। আমি অস্ফুট স্বরে বললাম, আমি কিছু ঠিক করিনি রে রাই, সীমা যা
ঠিক করবে তাই হবে। ও সাইকোলজিস্ট, ওর কথা মেনে নিলে আমাদের সবারই ভাল হবে। আর তুই
এখনই এত ভাবিস না, ও এখনও ফাইনাল ডিশিস্পন তো নেয়নি”।
রাইকে আশা দিলেও আমি নিজেই তাতে বিশ্বাস করতে
পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, এখন যেরকম চলছে, সেটাই ফাইনাল ডিশিসন হতে চলেছে। এই
বাড়িতেও রাজা আর রাইয়ের চাকর থাকবে না, ওদের অধিক্র সমান হতে চলেছে।
বিকালে রাজাকে আনতে গেলাম। সীমা বলল, “ আমার
ড্রাইভারকে বলা আছে , তোমাদের বাড়িতে পৌছে দেবে। রাজার উপর এখনও ওষুধের একটু
প্রভাব ছে, ওর ঘুম কাটেনি, একটু খেয়াল রেখ । কি দেখেছি এখন আর বলছি না। কাল
সন্ধ্যায় এস আমার বাড়িতে , ফাইনাল ডিশিসন জানিয়ে দেব। আজ রাত আর কাল সকালটা একটু
ভেবে নিই”।
আমি উঠে এলাম। সীমার ড্রাইভার গাড়িতে আমাদের
বাড়ি পৌছে দিল। সত্যি, আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। সেই সাথে এক ভয় যেন কুড়ে
কুড়ে খাচ্ছিল আমাকে। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে লাগলাম যেন সীমা সিদ্ধান্ত
নেয় রাজা চাকরের মতো রাইয়ের সেবা করবে আবার। আগে যতটা করত ততটা নাহলেও, এই
সপ্তাহের আগের কয়েক সপ্তাহ রাই রাজাকে
দিয়ে যেটুকু সেবা করাচ্ছিল, অন্তত সেটুকু।
নাহলে সেটা আমি সহ্য করতে পারব না। তার চেয়েও বড় কথা , আমার আদরের মেয়ে রাই
সহ্য করতে পারবে না সেটা। আর রাজার ভালর জন্য আমি কোনমতেই রাইয়ের চোখের জল সহ্য
করতে পারব না।
পরেরদিন সকাল থেকেই অস্থির লাগছিল খুব, আর তর
সইছিল না। বিকাল চারটেয় সীমা ফোন করে বলল, “ তুমি আর রাই বিকাল ছয়টায় চলে এস।
রাজাকে এনো না। যা বলব সেটা তোমার আর রাইয়ের সামনেই বলব ঠিক করেছি”।
রাইকে ডাকায় আমি একটু অবাক হলাম। আমার ধারনা
ছিল যা বলার শুধু আমাকেই বলবে সীমা। বিশেষ করে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত যেখানে রাইয়ের
বিপক্ষে যাবে , সেটা সীমা কেন ওর সামনে বলতে চাইছে বুঝতে পারলাম না। ভাবলাম , হয়ত
ওকে বুঝিয়ে বলার দায়িত্বটা আমার উপর না ছেড়ে সাইকোলজিস্ট হিসাবে নিজেই নিতে চায়
সীমা, তাই।
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে মনমরা রাইকে নিয়ে আমি
বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রওনা হলাম সীমার বাড়ির উদ্দেশ্যে।
ছয়……
আমি, রাই আর সীমা একটা টেবিল ঘিরে গোলকরে বসেছিলাম
আলোচনার জন্য। আমাদের তিনজনের সামনে রাখে গরম কফির কাপ থেকে ধোঁয়া উঠছে। সীমার হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। সীমা সাধারনত স্মোক করে না, আজ কোনকারনে মানসিক অস্বস্তি
ঢাকতেই সম্ভবত সিগারেট ধরিয়েছে। প্রায় পাঁচ মিনিট আমি আর রাই চুপচাপ বসে কফি খেতে লাগলাম। সীমা সিগারেটটা
শেষ করে তার শেষ অংশটা কফির কাপে ফেলে শুরু করল, “ দেখ, কালকের আগে আমি সত্যিই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম। কোন সিদ্ধান্তটা
নিলে তোমাদের সবার পক্ষে ভাল হবে কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। যদিও অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম রাজার আচরনে কিছু অস্বাভাবিকতা
আছে। তাই ওকে হিপনোসিস
করে দেখতে চেয়েছিলাম । অবশেষে আমার ধারনাই সত্যি হল। কি পেলাম সেটা পরে বলছি। তবে এরফলে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
রাজার কথায় পরে আসছি। আগে তোমাদের ব্যাপারটা বলে দিই। তোমাদের সাথে নিজের বাবার ব্যবহার দেখে এবং ওর দাদুও প্রায় একই
কাজ করেছিল তোমার কাছে শুনে পুরুষবিদ্বেষী চিন্তা ওর মনে ছোট থেকেই গেঁথে যায় । সেই সাথে
তোমার মদতে ছোট থেকেই যমজ ভাইকে ওইভাবে ডমিনেট করার অধিকার ওর মানসিকতাকে সাধারন মেয়েদের
থেকে অনেকটা আলাদা করে দেয়। বলা যায় শি ইজ এডিক্টেড টূ ফিমেল ডমিনেশন। ভাইয়ের উপর প্রচন্ড অত্যাচার করা ওকে নেশাগ্রস্ত করে দেয় প্রায়, ভয়ানক
আনন্দ দেয়। এখন রাজার ভাল কথা ভেবে ওর এই আনন্দ কেড়ে নিলে সেটা ওর উপর ভয়ানক খারাপ প্রভাব
ফেলত। কাউন্সেলিং
ও মেডিসিনের প্রয়োগে সেটা কিছুটা কমানো গেলেও এটা ওকে ভয়ানক বিষন্ন করে ওর স্বাভাবিক
প্রানচ্ছল জীবনযাপনে বাধা দিত।
তোমা দিক থেকে দেখলেও ব্যাপারটা অনেকটা একই। ছোট থেকে
পুরুষদের থেকে খারাপ ব্যবহার পাওয়া তোমাকেও পুরুষবিদ্বেষী করে তুলেছে অনেকটাই। রাইয়ের হাতে
রাজাকে অত্যাচারিত হতে দেখে তুমি নেশাগ্রস্ত হয়ে পর, তোমার শরীরে যেন আনন্দের
ঢেউ ওঠে, যার উপর তোমার যুক্তিবোধের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। তুমি একইসাথে
ভাব এরফলে তোমার ছেলের ক্ষতি হচ্ছে, অথচ মেয়ের হাতে ছেলেকে ভয়ানক অত্যাচারিত হতে
দেখতে না পাওয়ার চিন্তা তোমাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে।
তিনটে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারতাম। এক, রাই
আর রাজার অধিকার সম্পুর্ন সমান হবে, রাই রাজাকে কোন হুকুম করতে
বা মারতে পারবে না আর। দুই, আগের কয়েক সপ্তাহ ওদের সম্পর্ক যেরকম ছিল সেটুকুই করতে দেওয়া হবে
রাইকে। রাজাকে দিয়ে ও ছোটখাটো কাজ, যেমন ঘর গোছান, হোমটাস্ক
বা লন্ড্রি করানো, জুতো পালিশ বা পা টেপানো চালিয়ে যেতে পারবে,
এর বেশি কিছু না। কথায় কথায় রাই রাজাকে মারতে পারবে না অকারনে।
আর তিন নম্বর সম্ভাবনা হল, এর আগের কয়েক মাস রাই
রাজাকে যেভাবে ব্যবহার করত সেটাই চালিয়ে যেতে দেওয়া হবে রাইকে, বরং আমরা রাইকে এতে উতসাহ দেব।
রাইয়ের দিক থেকে দেখলে ও তিন নম্বরটাই চাইবে কোন সন্দেহ নেই। এতেই ও খুশি
হবে, এতে ওর ক্ষতিও নেই কিছু। তোমার দিক থেকে দেখলে, তোমার মস্তিস্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স,
যা যুক্তিবোধের অধীন , সেই অংশ ভাবে তিন নম্বরটা
কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, এতে রাজার ভয়ানক ক্ষতি হচ্ছে। অপরদিকে , তোমার মস্তিস্কের লিম্বিক সিস্টেম সহ অন্যান্য অংশ, যা
আবেগ নিয়ন্ত্রন করে, সে চায় তিন নম্বরটাই সত্যি হোক। রাই রাজাকে
সারাজীবন ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করবে ভাব্লে তোমার মস্তিস্কের এই অংশ যে ভয়ানক উত্তেজিত
হয়ে সুখ সাগরে ভাসতে থাকে তুমিও স্বীকার করেছ।
এখন, তিন নম্বর সিদ্ধান্তের পক্ষে একটাই মুল বাধা,
এতে রাজার ক্ষতি হবে। রাজা বহুবার কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করেছে রাই যেন তার উপরে অত্যাচার
বন্ধ করে। এখন রাজার
সমস্ত সত্ত্বা কি তাই চায়? ওর আচরনে আমার একটু ধ্বন্দ লেগেছিল।
শনিবার তাই বিশেষ পরিবেশ সৃস্টি করে ওকে হিপনোটাইজ করেছিলাম। সাধারন অবস্থায়
মানুষ সত্যি কথা বা ভাললাগার
কথা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঠিক করে বলবে কিনা, অর্থাৎ কি বলবে সেটা
একরকম ফিল্টার হয়ে আসে। যেমন ধর, একজন চোর, সবাই সন্দেহ করছে সে চুরী করছে। সাধারন অবস্থায়
তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে যদিও জানে সে চুরি করেছে, তবু সে একরকম ফিল্টার
ব্যবহার করে বলবে সে সেটা গোপন করে বলবে, সে করেনি। কিন্তু হিপনোসিস করলে সে কোন অবস্থায়
কাকে কি বলছে সেটা সে কন্ট্রোল করতে পারেনা, অর্থাৎ কোন ফিল্টার
কাজ করে না। যেটা সত্যি সে সেটাই বলে দেয়।
রাজাকে হিপনোটাইজ করার আগে যতবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম, রাই
ওর উপর যখন অত্যাচার করে তখন কেমন লাগে ও প্রতিবার কেঁদে বলেছিল ভিশন ব্যথা লাগে। এবার হিপনোটাইজ
করার পর কি বলল ও স্টা শোন, আমি রেকর্ড করে রেখেছি”।
এই বলে সীমা ওর মোবাইল থেকে একটা ভিডিও প্লে করল। একটা অন্ধকার
ঘর তার মধ্যে রাজার মুখে একটা হাই পাওয়ারের আলো ফেলা। ওর হাতের শিরায় একটা আই ভি ক্যানুলা গোজা, উপরে
স্ট্যান্ডে ঝোলানো জার থেকে সম্ভবত তার মাধ্যমে ওর দেহে অর্ধ অচেতন করার অষুধ যাচ্ছে।
মোবাইল থেকে সীমার অদ্ভুত গম্ভীর অথচ মিষ্টি আওয়াজ ভেসে এল, “ রাই তো এখন তোকে আর একদম মারে না। এখন তাহলে ভাল আছিস তুই?”
অদ্ভুত যান্ত্রিক গলায় রাজার উত্তর এল, “ না আমি ভাল নেই একদম”।
“ কেন, রাই আর তোর অধিকার তো সমান হয়ে গেছে। তাহলে?”
“ সেটা তো ঠিক না। রাই একজন মেয়ে, ওর অধিকার আমার চেয়ে অনেক বেশি। আমার তো উচিত
ওকে প্রভুর চোখে দেখা, আরাধ্যা দেবীর চোখে দেখ। কিন্তু আমি
তা করি না, খুব খারাপ করি”।
“কেন করিস না তাহলে?”
“ দিদি যখন মারে তখন খুব লাগে। আমি সহ্য করতে পারি না, সবার সামনে মারলে অপমান
লাগে, যখন সবাই ভেঙ্গায় কি করে ওদের থামাব, কি করব বুঝতে পারি বা বলে। দিদি তো ঠিকই করে, আমাকে যখন খুশি মারার অধিকার দিদির আছে”।
“ দিদির কাছে ক্ষমা চাস না কেন তাহলে?”
“ আমি খুব দূর্বল আর খারাপ। নাহলে দিদিকে আমি বাধা দিতাম না। মেয়ে মানে ছেলেদের প্রভু। আমি জানি, ত্রবু বাধা দিই। আমার খুব
কষ্ট হয় পরে। ভিশন কষ্ট। মেয়েরা না
মারলে, না অপমান করলে ছেলেরা আমার বাবা বা দাদুর মতো খারাপ হয়ে যায়। আমি জানি, তবু
সহ্য করতে পারি না। বাধা দিই দিদিকে, মাকে নালিশ করি। পরে ভিশন
খারাপ লাগে, রাগ হয় নিজের উপর। আবার ভয় হয়, সবাই যদি আমাকে দিদির কুত্তা বলে ক্ষেপায় তখন
কি হবে? ঠিক কিসের ভয় তাও বুঝি না, অস্পষ্ট
একটা ভয়। সব মিলিয়ে খুব কষ্ট লাগে”।
“ কি করলে তোর কষ্ট কমবে?”
“ যদি সবার সামনে দিদির পায়ে মাথা রেখে ক্ষমা চাইতে পারতাম,
যদি দিদিকে বলতে পারতাম আমাকে দিয়ে স্কুলে, রাস্তায়
যেখানে খুশি জুতোর তলা চাটাতে। যদি দিদি আমার মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে মারতে আমার নাক, মুখ,
দাঁত সব ভেঙ্গে আমাকে অজ্ঞান করে দিত।কিন্তু আমি পারি না। আমি খুব দূর্বল, ভিতু। আর খুব খারাপও। দিদির উচিত জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে মারতে আমাকে মেরে ফেলা”।
আমি যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। রাইয়ের মুখে
বহুদিন পর চওড়া হাসি দেখে আমার মনটা অসম্ভব ভাল হয়ে যাচ্ছিল। উফ, তাহলে রাজার অবচেতন মনও চায় ওর যমজ বোনের ক্রীতদাস
হতে? তাহলে আমি আর কার জন্য এত লড়ে আমার আদরের মেয়েটাকে কষ্ট
দিচ্ছি এত , সেই সাথে নিজেকেও বঞ্চিত করছি এক আদিম সর্বগ্রাসী
নেশা থেকে?
সীমা ভিডিওটা শেষ করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “ এটাই ওর ভিতরের অবচেতন মনের কথা, যেটা এখনও ও লজ্জায়
বলতে পারে না। কিন্তু এটাই ওর অবচেতন মনের ইচ্ছা, যেটা সাধারন অবস্থায় ওর চেতন মনও জানে না। আর যাদের
মধ্যে এরকম চেতন ও অবচেতন মনের লড়াই চলে, তারা ভয়ানক কষ্টে থাকে, জীবন হয় উদ্দেশ্যহীন, কষ্টকর। ওকে এরথেকে
মুক্তি দেওয়ার একমাত্র উপায়, যেটা ওর অবচেতন মনে আছে, যেটা রাজার চেতন মন এখনও জানে না, সেটাকে সত্যি করার
ব্যাবস্থা করা। আমার মতে আমাদের উচিত এখন রাজাকে রাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া ওর সম্পত্তির মতো, ওর
ক্রীতদাস হিসাবে। সেটা রাইতো চায়ই, রাজার অবচেতন মনও তাই চায়। রাই রাজাকে
নিয়ে কি করবে সেটা ওর সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। এমনকি রাই রাজার মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে মারতে ওকে আজকেই
মেরে ফেললেও আমি ওর পাশে আছি, ডাক্তার ও সাইকোলজিস্ট হিসাবে কি করে অন্য ব্যাখ্যা
করে ওকে বাঁচাব সেটা আমার দায়িত্ব। তবে রাই বুদ্ধিমতী, ও এতটা করবে বলে মনে হয় না। রাজা তো ও
চাইলেই ওর সারাজীবনের স্লেভ হবে। সারাজীবন নিজে খেটে নিজের রোজকার প্রভু যমজ বোনের হাতে তুলে দেবে রাজা, আর
রাই তার বদলে ওর উপরে নিজের ইচ্ছামত অকথ্য অত্যাচার করতে পারবে সবার সামনে। আর টিনা, তুমিও
আর রাজার ভাল মন্দ নিয়ে মাথা ঘামিও না। এতে রাই খুশি, রাজাও আসলে এতেই খুশি হবে। তুমিও মনে
মনে সিদ্ধান্ত নাও, এখন থেকে তোমার একটাই সন্তান, তোমার মেয়ে রাই। রাজা শুধু তোমার মেয়ের ক্রীতদাস, আর কিছু না। আর এই চিন্তা তোমার দেহের কোষে কোষে যে সুখের ঝড় তোলে সেটাকে
এখন থেকে এঞ্জয় কর”।
“আমারও অনেকবার মনে হয়েছে রাজার ভিতর থেকে একটা অংশ যেন চায়
আমার হাতে মার খেতে, আমার সেবা করতে। ওর ভিতরে
যেন একটা লড়াই চলে। আচ্ছা আন্টি, ওর ওই চেতন মন কি কখনও ওর ওই অবচেতন মনের কথা
বুঝতে পারবে? ও কি কখন চেতন মন দিয়ে একইভাবে আমার স্লেভ হয়ে আমার
সেবা করতে চাইবে? উফ , দারুন হবে তাহলে!”
রাইকে এতক্ষন পরে কথা বলতে শুনলাম।
রাইয়ের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসল সীমা, তারপর
বলল, “ সম্ভবত পারবে। তার জন্য টিনার সাহায্য দরকার। বাড়িতে
ওকে প্রতি মুহুর্তে বুঝিয়ে দিতে হবে পুরুষ জাতির সৃষ্টিই হয়েছে মেয়েদের সেবা করার
জন্য। ওর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য যে তোর সেবা করা, বোনের লাথি খেয়ে মরে গেলেও যে
ভাইদের পুন্য হয় সেটা ওর মাথায় গেঁথে দিতে হবে।
তুই ইচ্ছা করলে আজ থেকেই আবার রাজার উপর অকথ্য অত্যাচার করা শুরু করতে
পারিস। ”।
“হঠাত করে আবার ভয়ানক অত্যাচার শুরু করলে কি রাজা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরবে না?”
, রাই জিজ্ঞাসা করল।
“ ও আজ হোক বা কাল ঠিকই বুঝবে ওর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য তোর সেবা করা। ততদিন
তোর ইচ্ছা হলে অল্প , বেশি বাঁ ভয়ানক বেশি, যেরকম খুশি ডমিনেট করতে পারিস ওকে। ও
এখন তোর ক্রীতদাস, তোর সম্পত্তি। ও সারা জীবন তোর ক্রীতদাস হয়ে থাকবে, চাকরি করে
অর্থ রোজকার করে তোর পায়ে সমর্পন করবে। তাই ওকে যত খুশি মার, তবে একটু খেয়াল রেখে।
যাতে তোর এই দামী সম্পত্তিটা পার্মানেন্টলি ড্যামেজ না হয়ে যায়”।
আমার মনটা ভয়ানক খুশি হয়ে উঠলো সীমার কথায়, আমি যেন হাফ
ছেড়ে বাঁচলাম রাইকে আর রাজার উপর অত্যাচার করা থেকে আটকাতে হবে না ভেবে। সেই সাথে
নিজের ছেলেকে নিজেরই মেয়ের হাতে ক্রীতদাস হতে দেখব, এই উত্তেজনায় আমি যেন ভিতরে
ভিতরে ফুটছিলাম।
“ আজ তাহলে আসি সীমা, তুমি পারলে এই সপ্তাহে একবার যেও
আমাদের বাড়ি”, আমি বললাম।
“ হ্যাঁ, অবশ্যই যাব। আর একটু দাঁড়াও, ড্রাইভারকে বলছি গাড়ি
করে পৌঁছে দেবে। আমাদের রাই তো এখন একজন দেবী, স্লেভ অউনার। ওকে কি সাধারন বাসে
যেতে দেওয়া যায়?”
ড্রাইভার গাড়ি নিয়েও আসতে আমরা উঠে পরলাম গাড়িতে। সীমা হেসে
বলল, “ রাই, এরপরের রবিবার তোরা সবাই আসিস দুপুরে, নিমন্ত্রন রইল”।
গাড়িতে উঠতেই রাই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, “ মা, কি আনন্দ
হচ্ছে আমার তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না। আমি কিন্তু সত্যিই রাজাকে স্লেভ বানাবো এবার। এটা তো আসলে
রাজাও চায়। তুমি এবার আর বাধা দেবে না কিন্তু”।
আমি আমার আদরের মেয়ের কপালে চুম্বন এঁকে দিয়ে বললাম, “ না
রে, সীমা যা বলল আমি সেভাবেই চলব। এখন থেকে রাজাকে রোজ বুঝিয়ে দেব তুই ওর চেয়ে
অনেক সুপিরিয়ার। তারপর আসতে আসতে একদিন ও তোর পুরো স্লেভই হয়ে যাবে”।
উফ, রাইকে কি করে বোঝাই আমি রাজাকে ওর স্লেভ হতে দেখব ভাবলেই
যেই নেশায় আচ্ছন্ন হই আমি তার সাথে ড্রাগেরও তুলনা চলে না। সে নেশা তুলনাহীন,
অদম্য!!
সাত......
“ মা!!!”, রাই আমাকে জড়িয়ে ধরে আদুরে গলায়
বলল।
“ কি রে?”, আমিও আমার ১৩ বছর বয়সী ফর্শা,
সুন্দরী, মিষ্টি মেয়ের কপালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললাম।
“ চল না, বাড়ি ফেরার আগে একটু শপিং এ যাই। আজ
মন খুব খুশি। একটু শপিং এ যেতে ইচ্ছা করছে”।
আমি
মনে মনে ভাবছিলাম রাই আর রাজার ভবিষ্যত সম্পর্কের কথা। রাজা সারাজীবনের জন্য নিজের
যমজ বোনের ক্রীতদাস হতে যাচ্ছে আজ থেকে। মা হয়েও এতে আমার দুঃখ
তো নেই, বরং মন উথলে উঠছে আনন্দে। আর আমি মনে মনে ভাবছি রাই যাতে আরও সুখ
স্বাচ্ছন্দে দিন কাটাতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ওর মতো একটা দেবী, ক্রীতদাসের
মালিক পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ঘুরবে এটা সত্যিই মানা যায় না। এখন যেরকম এসি গাড়ির
নরম গদিতে হেলান দিয়ে বসে যাচ্ছে, এটাই মানায় ওকে। আমি ঠিক করলাম, এই মাসেই রাইকে
একটা গাড়ি গিফট দিতে হবে। আমি ড্রাইভিং জানি, তাই অসুবিধা হবে না। আর ওরা বড় হলে
রাইয়ের ক্রীতদাস রাজা তো থাকবেই ওকে ড্রাইভ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আমি নিজের ভাবনায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। রাইয়ের
প্রতি প্রবল ভালবাসায় মন ভরে উঠেছিল আমার। রাই আমার মেয়ে, আমার নিজের রক্ত। ওকে
আমি কিছুতেই জীবনে আমার মতো কষ্ট করতে দেব না। ও রাজকন্যার মতো আরামে বড় হবে। তার
জন্য নিজের ছেলে রাজাকে ক্রীতদাসের কষ্টকর জীবনে ঠেলে দিতে আমার একটুও কষ্ট হবে
না। অবশ্য কষ্টই বা কিসের? রাজার অবদমিত মনই যেখানে চায় নিজের সুন্দরী যমজ বোন
রাইয়ের ক্রীতদাস হতে!
“ কি হল মা, যাবে না? তুমি আমাকে এইটুকুও
ভালবাস না?” মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে রাই জিজ্ঞাসা করল।
“ নিশ্চয়ই যাব, সেটা আবার জিজ্ঞাসা করতে হয়
নাকি?”
ড্রাইভারকে রাইয়ের প্রিয় শপিং মলের সামনে
দাঁড়াতে বললাম। রাই প্রথমে জামা- প্যান্ট কিনল কয়েক জোড়া। আমিও দুটো চুড়িদার
কিনলাম। তারপর জুতোর দোকানে ঢুকল। ঘরে পরার ৩-৪ টে চটি, দু জোড়া স্নিকারের সাথে একটা কালো চামড়ার
মোটা সোলওয়ালা জুতোও কিনল রাই। এটা পরে রাই যখন রাজার মুখে জোরে জোরে লাথি মারবে
তখন কত ভাল লাগবে দেখতে সেটা ভাবতেও ভাল লাগছিল আমার। এরপর সে শপিং মলের যেদিকে
ঢুকল সেদিকে আগে কখনও যাইনি আমি। প্রথমে দুটো চামড়ার দামী চাবুক কিনল রাই, তারপর
দুটো সুন্দর ডগ কলার। রাই কি ওর ভাইকে এখন থেকে গলায় ডগ কলার পরিয়ে রাখবে? মুখে
বুট জুতো পরা পায়ে লাথি মারার সাথে সাথে ওর পিঠে যখন খুশি বেল্টের বারি মারবে? এই
১৩ বছর বয়সেই রাইয়ের ডমিনেটিং চিন্তা দেখে আমি মোহিত হয়ে গেলাম।
শপিং সেরে আমরা একটা ভাল রেস্টুরেন্টে খেতে
ঢুকলাম। রাই অনেক আইটেম অর্ডার করল। বহুদিন পর রাইকে এত আগ্রহ নিয়ে ডিনার সারতে
দেখে দারুন ভাল লাগছিল আমার।
কেনাকাটা আর খাওয়া সেরে আবার গাড়িতে এসে
বসলাম আমরা। ড্রাইভার গাড়ি চালাতে শুরু করল। থাক, এখন আর জিজ্ঞাসা করে লাভ নেই
রাইকে, একটু সাস্পেন্স থাকা ভাল। বাড়ি ফিরে রাই ঠিক কি ব্যবহার করবে রাজার সাথে
জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলাম গাড়িতে।
।
।
।
বাড়িতে পৌঁছলাম ঠিক রাত সাড়ে দশটায় ।
ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। আমি ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বেল বাজালাম।
রাজা প্রায় সাথে সাথেই দরজা খুলে দিল। রাই রাজার হাতে শপিঙের ব্যাগ গুলো ধরিয়ে বলল, “
যা, ভিতরে রেখে আয়”।
রাজা
বিনা তর্কে সেগুলো হাতে নিয়ে ভিতরের ঘরে রাখতে গেল। রাই ওর সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা
বলায় ওকে বেশ খুশি দেখাচ্ছিল। ও যখন জানবে
রাই এখন থেকে ওর সাথে কিরকম ব্যবহার করবে , তখন এই হাসি কিভাবে মিলিয়ে যাবে ভেবে
এক তীব্র উত্তেজনায় আমি ভাসতে লাগলাম।
রাই ভিতরে ঢুকে টিভির ঘরে নরম সোফায় গা এলিয়ে
দিয়ে বসল। আমিও ওর পাশে এসে বসলাম। রাজা
টিভির ঘরে এসে টিভির রিমোট দুটো এনে রাইয়ের হাতে দিল। তারপর রাইয়ের ঠিক পায়ের কাছে
মেঝেতে বসে পরে উতসুক দৃষ্টিতে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, “ সীমা আন্টি ফাইনালি কি
ডিশিসন নিল মা?”
আমি মুখ খোলার আগেই রাই রাজার বাঁ গালে বেশ
জোরে একটা থাপ্পর মেরে বলল, “ যখন সময় হবে ঠিকই বুঝতে পারবি কি ডিশিসন নিয়েছে। এখন
আমার পা ধোয়ার জল আর ঘরে পরার চটিটা নিয়ে আয় যা। আমার জুতো খুলে পা ধুয়ে দিবি”।
রাজা অবাক হয়ে একবার রাইয়ের দিকে আর একবার
আমার দিকে তাকালো। তারপর আর কোন প্রশ্ন না করেই রাইয়ের হুকুম পালন করার জন্য উঠে
চলে গেল।
একটু পরেই রাজা ফিরে এল আবার। সাথে গামলায়
জল, তোয়ালে আর রাইয়ের ঘরে পরার নীল চটিটা। রাজা ঠিক রাইয়ের পায়ের কাছে বসল এসে,
গামলা আর তোয়ালেটা পাশে রেখে রাইয়ের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসে ওর পা থেকে জুতো
খুলতে গেল। আর সঙ্গে সঙ্গেই রাইয়ের সাদা স্নিকার পরা ডান পায়ের তলা প্রবল জোরে
আছড়ে পরল রাজার নাক আর ঠোঁটের উপরে। রাজা একেবারেই প্রস্তুত ছিল না মুখে লাথি
খাওয়ার জন্য, তাই টাল সামলাতে না পেরে উল্টে পরে গেল। আর আমি অনুভব করলাম আমার
দেহের সর্বত্র যেন বিদ্যুতের স্রোত খেলে বেড়াচ্ছে!
রাজা মেঝেতে চিত হয়ে উল্টে পরেছিল, ওর
চোখদুটো ছিল ছাদের দিকে । রাই সোফা থেকে উঠে ঠিক রাজার মাথার কাছে দাঁড়াল, তারপর
জুতো পরা ডান পা টা তুলে দিল রাজার মুখের উপর । নিজের সাদা স্নিকারের তলাটা রাজার
ঠোঁট আর নাকের উপর ঘষতে ঘষতে বলল “আমি তোর কে হই?”
“ দ্দিদি!!!!!!!!”, রাইয়ের জুতোর তলায় চাপা
পরা রাজার ঠোঁটের ফাঁক থেকে অস্ফুট স্বরে কথাটা বেরিয়ে এল।
“ জন্মসুত্রে আমি তোর যমজ বোন । আর মনে
রাখিস, বোন মানেই ভাইদের কাছে প্রভু। আমি তোর প্রভু হই এই কথা যেন জীবনে কখনও না
ভুলিস তুই”, রাজার নাক আর ঠোঁটের উপর জুতো পরা ডান পায়ে আরেকটা লাথি মেরে বলল রাই।
রাজা
অবিশ্বাস্য চোখে রাইয়ের জুতোর তলা থেকে আমার দিকে চাইছিল। ওর চোখ বলছিল ও কিছুতেই
বিশ্বাস করতে পারছে না রাই আবার ওকে এইভাবে ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করছে, তাও ওদের
মায়ের সামনেই। ওর কাতর চোখ আমাকে অনুরোধ করছিল যেন রাইকে আমি ওর উপরে অত্যাচার করা
বন্ধ করতে বলি। কিন্তু যাবতীয় সংশয় আমি অনেক আগেই ঝেড়ে ফেলেছি মন থেকে, নিজের
ছেলেকে মেয়ের কাছে দাসত্ব করতে দেখে তাই এক সুখময় উত্তেজনা আমার দেহের কোষে কোষে
ছড়িয়ে পরতে লাগল। আর আমি রাজার উদ্দেশ্যে ঘোষনা করলাম, “ এখন থেকে তুই রাইয়ের
ক্রীতদাস, রাই তোর প্রভু। রাই তোর মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে মারতে তোকে মেরে
ফেললেও যেন তোকে বাধা দিতে না দেখি কোনদিন। বাধা দিলে ফল ভয়ংকর হবে মনে রাখিস”।
রাজা আর কোন বাধা দেওয়ার সাহস পেল না আমার
কথা শোনার পর। শুধু ওর চোখে মুখে এক ভয়ানক আতঙ্কের আভাস ফুটে উঠল আমার কথা শুনে।
য়ার রাই ওর সুন্দর মুখে আরো সুন্দর একটা মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে রাইয়্বের মুখের উপর
নিজের ডান জুতোর তলাটা ঘষতে লাগল। এই স্নিকার পরে ও বাইরে থেকে ফিরেছে এখনই , ফলে
তলাটায় বেশ নোংরা লেগে আছে আন্দাজ করতে পারছিলাম। রাই সেই নোংরা স্নিকারের তলা
রাজার মুখের সর্বত্র ঘষতে লাগল মুখে হাসি ঝুলিয়ে। রাজার ফর্শা মুখটা কালো হয়ে গেল
নিজের সুন্দরী যমজ বোন রাইয়ের জুতোর তলার ময়লায়। একটু পরে রাজার ঠিক নাকের উপরে জুতো
পরা ডান পা দিয়ে একটা লাথি মেরে রাই অর্ডার দিল, “ জিভটা বার করে দে কুত্তা। তোর
প্রভু জুতোর তলা মুছবে”।
রাজা একবারের জন্যও আপত্তি জানানোর সাহস পেল
না । নিজের সুন্দরী যমজ বোন রাইয়ের জুতোর তলা মোছার জন্য লম্বা করে বার করে দিল
নিজের জিভটা। চোখের সামনে আমার আদরের মেয়ে নিজের নোংরা জুতোর তলা নিজের যমজ ভাইয়ের
জিভের উপরে মুছে পরিষ্কার করবে ভাবতেই আমার দেহের প্রতিটা কোষে এড্রিনালিনের স্রোত
উন্মত্তের মতো দাপাদাপি করতে লাগল। আমার
সীমার কথা মনে পরে গেল। আমার দায়িত্ব প্রতি মুহুর্তে রাজাকে স্মরন করিয়ে দেওয়া
ছেলে মাত্রই মেয়েদের ক্রীতদাস, বোন মানেই ভাইদের প্রভু। রাজা যে রাইয়ের সম্পত্তি
ছাড়া আর কিছু না সেটা ভাবতেই প্রবল সুখের নেশায় আমি আচ্ছন্ন হয়ে পরতে লাগলাম।
“ সীমা আন্টি কি ডিশিসন নিয়েছে তুই জানতে
চাইছিলি না রাজা? ও সেই ডিশিসনই নিয়েছে যেটা ঠিক, যেটা আমার নিজেরই নেওয়া উচিত
ছিল। ছেলেদের জন্মই হয়ে যাতে তারা মেয়েদের সেবা করে তাদের জীবন সহজ করে তুলতে
পারে। তারা মেয়েদের সম্পত্তি , ক্রীতদাস আর কিছু না। ভাই মাত্রেই তার বোনের
ক্রীতদাস। আজ থেকে তুই রাইয়ের সম্পত্তি,
রাই তোর প্রভু, মালকিন। তোর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য রাইকে খুশি রাখা। রাইয়ের লাথি
খেয়ে তোর নাক মুখ ভাঙ্গুক , আর তুই মরেই যা, যেন কখনও তোকে বাধা দিতে না দেখি।
রাইয়ের প্রতি তোর ভক্তিতে যেন অভাব না হয় কখনো। রাইয়ের সব জুতো জিভ দিয়ে পালিশ
করতে যদি ভুলে যাস কখনও, তোর জন্য কি ভয়ানক শাস্তি অপেক্ষা করছে, তুই কল্পনাও করতে
পারবি না”।
আমার কথা শেষ করার অনেক আগেই রাই রাজার বার
করে দেওয়া জিভের উপরে নিজের ডান জুতোর তলা নামিয়ে দিয়েছে। নিজের নোংরা জুতোর তলা
এমন স্বাভাবিক ভঙ্গিতে যমজ ভাইয়ের জিভের উপরে ঘষছে অতি সুন্দরী রাই, যেন ও পাপোষের
উপরে ঘষে জুতোর তলা পরিষ্কার করছে! রাজার জিভটা বারবার কালো হয়ে যাচ্ছে রাইয়ের
জুতোর তলার ময়লায়, রাজা জিভটা মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে রাইয়ের জুতোর তলার ময়লাটা গিলে
আবার জিভটা বার করে দিচ্ছে রাইয়ের জুতোর তলা মোছার জন্য! উফ, আদর্শ ভাই বোনের
সম্পর্ক তো এরকমই হওয়া উচিত! যেখানে ভাই ক্রীতদাস আর বোন তার প্রভু!!
রাই মুখে হাসি ঝুলিয়ে প্রায় ৫ মিনিট নিজের
নোংরা জুতোর তলাটা রাজার জিভের উপরে ঘষে নিজের জুতোর তলা নতুনের মতো চকচকে করে
নিল। তারপর রাজার নাকের উপর জুতো পরা ডান পা দিয়ে একটা প্রবল জোরে লাথি মেরে বলল,
“ আমি তোর প্রভু, পুজনীয় দেবী। আমার জুতোর তলার ময়লা মানে তোর কাছে পুজোর প্রসাদ।
প্রসাদ পুরোটা গিলে খাবি, বাইরে ফেলতে দেখলে আজকেই লাথি মারতে মারতে তোকে মেরে
ফেলব”।
রাজার চোখে মুখে আতঙ্কের ছায়া ভাসছিল। রাইয়ের
কথা শেষ হওয়ার আগেই ও রাইয়ের ডান জুতোর তলায় গাঢ় চুম্বন করতে করতে বলতে লাগল, “ না
প্রভু, তুমি আমার জিভে জুতোর তলা মুছেছ এ তো আমার সৌভাগ্য। আমার সৌভাগ্য যে আমি
দেবী রাইয়ের জুতোর তলার ময়লা গিলে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি"।
রাজার আতঙ্কিত হাবভাব রাইয়ের মুখে দারুন একটা
হাসি ফুটিয়ে তুলল। রাই এবার ডান পা নামিয়ে জুতো পরা বাঁ পায়ের তলাটা রাজার বার করা
জিভের উপরে নামিয়ে দিল। তারপর একইভাবে রাজার জিভের উপরে নিজের বাঁ জুতোর তলা মুছে
যেতে লাগল রাই। আর রাজা মাঝে মাঝেই জিভটা মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে ওর প্রভু রাইয়ের
জুতোর তলার ময়লাটা গিলে ফেলে আবার পরিষ্কার জিভটা বার করে দিতে লাগল রাইয়ের জুতোর
তলা মোছার জন্য।
রাই
প্রায় ৫ মিনিট ধরে ওর বাঁ জুতোর তলাটা রাজার জিভে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলল। তারপর
হঠাতই জুতো পরা বাঁ পা টা তুলে রাজার কপালের উপরে প্রবল জোরে একটা লাথি মারল রাই।
রাজাকে সামলে নেওয়ার কোন সুযোগ না দিয়েই রাজার মুখ আর মাথার সর্বত্র জুতো পরা দুই
পায়ে রাই একের পর এক সজোরে লাথি মারতে লাগল। উফ, কি যে অকল্পনীয় সুখ মেয়ের হাতে
ছেলেকে অত্যাচারিত হতে দেখে! আমি রাইকে বাধা দেওয়া তো দূর, পাশের ঘর থেকে নতুন
কেনা চাবুক আর ডগ কলারটা নিয়ে এলাম রাইয়ের জন্য। রাজার মুখের সর্বত্র তখনও একইভাবে
লাথি মেরে চলেছে রাই, ওর সুন্দর মুখে ফুটে উঠেছে এক নিষ্ঠুর হাসি। রাজার নাক দিয়ে
রক্ত পরছে, চোখ দিয়ে জল ঝরছে। তবু ও সাহস পাচ্ছে না রাইকে ওর মুখে লাথি মারা
থামানোর অনুরোধ করতে। শুধু অসহায় মুখে রাইয়ের দিকে হাতজোড় করে শুয়ে মুখে একের পর
এক রাইয়ের জুতো পরা পায়ের লাথি খেয়ে চলেছে রাজা!
আমি এগিয়ে গিয়ে চাবুক আর ডগ কলারটা রাইয়ের হাতে
দিলাম। রাই আমাকে জড়িয়ে ধরে “ থ্যাংক ইউ মা” বলে আমার হাত থেকে জিনিস দুটো নিল।
তারপর ডান হাতে চামড়ার চাবুকটা নিয়ে জুতো পরা ডান পা টা ভাইয়ের মুখের উপরে তুলে
দিয়ে ভাইয়ের বুকে একের পর এক চাবুকের বারি মারতে লাগল। রাজার জামা চিড়ে গিয়ে ওর
বুকে একের পর এক বেল্টের লাল দাগ বসে যেতে লাগল। আর রাইয়ের ভয়ানক অত্যাচারী রুপ
দেখে এক অনিয়ন্ত্রিত নেশার জগতে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে লাগলাম।
প্রায়
৫ মিনিট রাজার বুকে চাবুক মেরে রাই রাজার মুখের উপরে জুতো পরা দুই পায়ে উঠে
দাড়ালো। আমি পাশে দাঁড়িয়ে ওর হাত দুটো ধরলাম যাতে ওর ব্যালেন্সে সুবিধা হয়। আর রাই
আমার হাত ধরে জুতো পরা পায়ে রাজার মুখের উপরে দাঁড়িয়ে লাফাতে শুরু করল! ও যতটা
পারে উঁচুতে লাফাচ্ছিল, আর জুতো পরা পায়ে ল্যান্ড করছিল ভাইয়ের মুখে। আর আমি ওদের
মা হয়ে আমার মেয়ের হাত ধরে সাহায্য করছিলাম যাতে ও আমারই ছেলের মুখের উপর এইভাবে
জুতো পরা পায়ে লাফাতে পারে! উফ, কি যে আনন্দ এতে! রাজা যদি আজ রাইয়ের কাছে মার
খেতে খেতে মরেই যায় তাহলেই যেন আমি সবচেয়ে খুশি হব!!
প্রায়
১০ মিনিট রাজার মুখের উপরে জুতো পরা পায়ে লাফালো রাই। আর রাজার মুখ থেকে অব্যক্ত
এক গোঙ্গানীর শব্দ ভেসে আসতে লাগল শুধু। শেষে রাই যখন নেমে দাড়ালো তখন রাজার নাক
আর ঠোঁট দিয়ে গলদল করে রক্ত বেরোচ্ছে, মুখ ফুলে আর রাইয়ের জুতোর তলার কাদায় এমন
চেহারা হয়েছে যে চেনা তো দূর , ও মানুষ না অন্য প্রানী সেটাই সন্দেহ হচ্ছে! রাই
নেমে দাড়াতেও রাজা লাশের মতো নিঃসাড় হয়ে পরে রইল। সত্যিই কি রাজা মরে গেল নাকি?
আমি
সাথে সাথে রাজার নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখলাম। হালকা নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারলাম।
যাক, তাহলে শুধু অচেতন হয়ে পরেছে! এখনও বেঁচে আছে আমার মেয়ের ক্রীতদাস!
আমার
মনে একটুও মায়া জাগল না নিজের ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে। বরং মনে মনে বললাম, আমার
কোন ছেলে নেই, শুধু একটা আদরের মেয়ে আছে, রাই। আর রাজা হল সেই আদরের মিষ্টি মেয়ের
ক্রীতদাস। রাইয়ের লাথি খেয়ে সে যদি মরেও যায় সেটা আমার কাছে উপভোগের বিষয়!
রাই
সেই অবস্থাতেই রাজার গায়ে লাথি মারতে মারতে ওকে সোফার পায়ের কাছে নিয়ে এল। তারপর
রাজার গলায় ডগ কলারটা পরিয়ে দিয়ে সেটা ধরে সোফায় বসল রাজার মুখের উপরে জুতো পরা পা
দুটো তুলে দিয়ে। রাজার অচেতন দেহের উপরে জুতোর তলা ঘষতে ঘসতে ও টিভির চ্যানেল
সার্ফ করতে লাগল। আমিও রাইয়ের পাশে সোফায় বসে টিভি দেখতে দেখতে আড়চোখে মেয়ের মুখের
হাসি লক্ষ্য করে আনন্দে ভাসতে লাগলাম।
“
মা, তুমিও ক্রীতদাসের গায়ের উপরে পা তুলে দাওনা আমার মতো প্লিজ?”
আমার
আদরের মেয়ের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারলাম না আমি। আমার চটি পরা পা দুটো অচেতন রাজার
বুকের উপরে তুলে দিয়ে বসলাম আমিও। রাই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার কাঁধে মাথা রেখে ওর
যমজ ভাই, ওর ক্রীতদাস রাজার মুখের উপর জুতোর তলা ঘষতে ঘষতে টিভি দেখতে লাগল। আর
আমি রাইয়ের প্রতি প্রবল ভালবাসায় ওর কপালে এঁকে দিলাম স্নেহচুম্বন।
No comments:
Post a Comment