Saturday 1 September 2012

প্রথম অফিসের অভিজ্ঞতা

কয়েক বছর আগের কথা। তখন আমি সদ্য mbbs pass করেছি। বয়স ২৫। পাশ করার পরে প্রথম চাকরি পেলাম বাড়ি থেকে ২৫ কিমি দূরের এক ছোট শহরে। এক ছোট্ট নতুন খোলা health centre এ। কন্ট্রাকচুয়াল চাকরি। সেন্টারে লোক বলতে আমিই প্রথম নিয়োগ পেলাম। আমার অধীনে ৩ জনের পরে নিয়োগ পাওয়ার কথা। একজন নার্স, একজন ফার্মাসিস্ট আর একজন গ্রুপ ডি। সবাই কন্ট্রাকচুয়াল সেখানে, এক বছরের চুক্তি। আমি জয়েন করার ১ সপ্তাহ পরে মৌমিতা নামের গ্রুপ ডি মেয়েটি জয়েন করতে এল। ওর বাবা লোকাল ক্ষমতাধর প্রোমোটার। ওর কাকু নেতা। ফলে নিজেদের বাড়ির ১৮ বছরের কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী মেয়েকে চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছে। যা হয় আর কি! এই পুরনো বিল্ডিং এ যে হাসপাতাল খুলেছে তাই এলাকার লোকে জানত না। ফলে আমাদের রোজ সকাল ১০ টায় আসা আর দুপুর ২ টোয় বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন কাজ নেই। মৌমিতা ক্ষমতাবান পরিবারের , সে এইটুকুই বা করবে কেন? সে সপ্তাহে ৩ দিন আসে। তাও সে ঢোকে ১১ টায় আর ১ টায় বেরিয়ে যায়। ফর্শা সুন্দরী মৌমিতার কাজ আমাকে এসিস্ট করার। কিন্তু কাজ হীন হাসপাতালে ব্যাপারটা হল উলটো। সকাল ১০ টায় এসে আমি রোজ গেট খুলে, ঘর ঝাঁট দিই। মৌমিতা সকাল ১১ টায় স্কুটি নিয়ে ঢুকছে দেখলে আমি বেরিয়ে গিয়ে ওর স্কুটি পার্ক করে দিই। ডাক্তারের বরাদ্দ ভাল চেয়ারটায় ও বসে। আমি নিজের টাকা দিয়েই রোজ ওকে পাশের দোকান থেকে চা বিস্কুট এনে খাওয়াই। নিজে চা বিস্কুট বয়ে এনে এমন ভাবে ওকে দিই যে কেউ দেখলে ভাববে আমি মৌমিতার চাকর বা অফিসে ও বস আর আমি ওর এসিস্টেন্ট। একদিন চায়ের দোকানদার জিজ্ঞাসাই করে ফেলল এখানে এটা কি খুলেছে। আমি বলল হাসপাতাল খোলা হবে। সে জিজ্ঞাসা করল আমি কি মৌমিতা ম্যাডামের এসিস্টেন্ট? কোন রকমে হ্যাঁ বলতে গিয়ে আমার লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেল। তবে আমার চেয়ে ৭ বছরের ছোট সুন্দরী মৌমিতাকে এইভাবে চাকরের মত সেবা করতে আমার ভালই লাগছিল। একদিন চায়ের কাপ ফেরত নিতে এসে চায়ের দোকানের লোকটা মৌমিতাকে জিজ্ঞাসা করে ফেলল " তুমি কি এখানকার অফিসার?" মৌমিতা হাসি মুখে বলল, " হ্যাঁ আর এ আমার এসিস্টেন্ট"! লোকটা কাপ নিয়ে চলে যেতে মৌমিতা বলল এখানে বসে বোর হই তো। তাই একটু মজা করলাম এর সাথে।" আমার এসিস্টেন্ট হয়ে আমার ওর প্রতি চাকরের মত ব্যাবহার মৌমিতা এত সহজে নিত আর মজা করে পরিস্থিতি সহজ করে দিত যে আমি অবাক হয়ে যেতাম। ও চেয়ারে বসে মোবাইল ইউজ করত আর আমি ঘর ঝাঁট দিতাম, মুছতাম। এমনকি ঘর পরিস্কার করার সময়ে ওর জুতো পরা পা এক হাতে তুলে ধরে জুতোর তলার মেঝে ঝাঁট দিতাম বা মুছতাম। মৌমিতার রি একশান ছিল যেন এটা খুবই নর্মাল! ১ টা বাজলে ও আমাকে বলত " এই, আমি বেরোব।" আমি উঠে ওর ব্যাগ হাতে নিয়ে স্কুটিতে রাখতাম। মৌমিতা বেরোলে ওর থেকে চাবি নিয়ে স্কুটি গেটের বাইরে বার করে দিতাম। মৌমিতার চেয়ে পোস্ট ও বয়সে বড় হয়েও ওর প্রতি এরকম চাকরের মত ব্যবহার করতে আমার ভীষনই ভাল লাগত। বর্ষাকালে একদিন ও কিটো জুতো পরে অফিসে এসেছিল। ওর কিটোর একটা ফিতে ছিঁড়ে গিয়েছিল। মৌমিতা আমাকে বলল, " এই অর্কদা, আমার জুতোর ফিতেটা ছিঁড়ে গিয়েছে। আমি হাঁটতে পারছি না। তুমি বাজারে গিয়ে মুচিটাকে ডেকে আন না।" " আমি ওকে ম্যাডাম বলে" চলে গেলাম। আসলে মৌমিতার জন্য কোন হিউমিলিএটিং কাজ করতে হলে আমার মুখ থেকে ওর প্রতি অটোমেটিক ম্যাডাম সম্বোধন বেরিয়ে আসত। আমি বাজারে গিয়ে মুচিকে বলতে সে বলল জুতো আমাদের নিয়ে আসতে হবে ওর কাছে। আমি একটু খুশি হয়েই ফিরে গেলাম। মৌমিতাকে গিয়ে বলতে ও মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে বলল, " অর্কদা, প্লিজ তুমি একটু সেলাই করে এনে দাও জুতোটা।" আমি নিজে থেকে মৌমিতার পায়ের কাছে বসে পরে বললাম, " তুমি তো হাঁটতেই পারছ না। আমাকে জুতোটা নিয়ে যেতে হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এতে আবার প্লিজ বলার কি আছে?" " ঠিক আছে। তবে আগে তুই আমার জন্য চা এনে দে।" আমার চেয়ে ৭ বছরের ছোট এসিস্টেন্ট মৌমিতা আমাকে তুই করে বলে অর্ডার করছে বলে আমার ভীষনই ভাল লাগল। আমি "নিশ্চয়ই ম্যাম" বলে চা আনতে ছুটলাম। চা কেক আর বিস্কুট এনে ম্যাডামের সামনের টেবিলে রেখে আমি জুতো খুলতে মৌমিতার পায়ের কাছে বসলাম। আমার ভয়ে বুক ধুক পুক করছিল। নিজে হাতে ওর পা থেকে জুতো খুলে নিয়ে যাওয়া বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো? আমাকে অবাক করে মৌমিতা বলল, " এই, আমার জুতোর তলায় কিন্তু প্রচুর কাদা লেগে। এই অবস্থায় নিয়ে গেলে আবার ফেরত পাঠিয়ে দেবে না তো?" আমি মৌমিতার কথা ধরে বললাম, " তাহলে আমি কাপড় দিয়ে মুছে নিয়ে যাচ্ছি। তাহলে আর ফেরত পাঠানোর চান্স থাকবে না। আমি উঠে কাপড় এনে আবার মৌমিতার পায়ের কাছে হাঁটুগেড়ে বসলাম। ও মোবাইল ইউজ করছে আর চা কেক খাচ্ছে। আর আমি ওর বস হয়ে ওর পায়ের কাছে বসে ওর পা থেকে জুতো খুলছি! ভাবতেই কি অদ্ভুত এক ভাল লাগা কাজ করল! আমি ওর কিটো জুতো পরা বাঁ পা টা দুই হাতে তুলতেই বুঝতে পারলাম বর্ষার পুরু কাদা ভর্তি জুতোর তলায়। আমি সাহস করে জিজ্ঞাসা করলাম পায়ে পরা অবস্থাতেই মুছে পরিস্কার করে নেব?" মৌমিতা তেমন মনযোগ না দিয়ে উত্তর দিল " তোর যাতে সুবিধা। আমার জুতো সেলাই হলেই হল।" আমি খুশি মনে মৌমিতার পায়ে পরা জুতো সময় নিয়ে কাপড় দিয়ে পালিশ করতে লাগলাম। অফিসে আমার এসিস্টেন্ট, আমার চেয়ে ৭ বছরের ছোট মেয়ের জুতো আমি কাপড় দিয়ে পালিশ করছি তার পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসে ভাবতেই কি তীব্র আনন্দ হচ্ছিল আমার! আমি বোধহয় একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেলেছিলাম। বাঁ কিটোটা পালিশ করার পরে যখন ডান কিটোটা করছি তখন চায়ের দোকানদার রামু এসে হাজির। ঘরে ঢুকে সে আমাকে এই অবস্থায় দেখে নিজের জর্দা খাওয়া কালচে দাঁত বের করে বলল, " তোমার এসিস্টেন্ট তো ভালই খেয়াল যত্ন করতেছে তোমার দেখতেছি।" মৌমিতা হাসি মুখে বলে " সে তো করবেই। ওটাই তো ওর কাজ!" রামু চলে যেতে আমি সাথে সাথে মৌমিতার দুই পা থেকে জুতো খুলতে লাগলাম। আমার দুই কান লজ্জায় গরম হয়ে গেছে তখন। মৌমিতা হাসতে হাসতে বলে, " এখন তো দারুন মজা হচ্ছে। কিন্তু যখন হাসপাতাল চালু হবে, ওরা জানবে তুই ডাক্তার আর আমি তোর এসিস্টেন্ট, তখন ওরা কি ভাববে জানি না।" আমি বললাম " হয়ত ভাববে তোমার বাবা কাকা নেতা, আর আমি তাই তোমাকে তেল দিয়ে খুশি রাখি চাকরিটা হাতে রাখতে।" মৌমিতা বলে " আমার কিন্তু তাই মনে হয়। নাহলে এভাবে আমাকে তেল দিবিই বা কেন তুই? আর কিই বা কারন থাকতে পারে? আমি আগে ভাবতাম ডাক্তার হলেই ভাল চাকরি বাঁধা। এখন দেখছি তা নয়। জেনারেল লাইনের মত ডাক্তারেরাও আমাদের পায়ে তেল মালিশ করছে!" এই বলে মৌমিতা হাসতে লাগল। ১৮ বছরের মেয়ের ইনোসেন্ট হাসি। ও ডমিনেন্ট, কিন্তু মারত্মক নয়। ও ভাবছে আমি চাকরি হাতে রাখতে ওকে তেল দিচ্ছি, আর কিছু না। আর ও সেটাকে অল্প এঞ্জয় করছে মাত্র। আমি " সে তো সত্যিই ম্যাডাম" বলে মৌমিতার জুতো খুলে উঠতে যাব তখন ও বলল, " আরে,জুতো খুলে নিলি, পা রাখার কিছু একটা তো দে।" আমি সরি ম্যাডাম বলে নিজের পিঠের ব্যাগটা নামিয়ে দিলাম ওর পায়ের কাছে। মৌমিতা ইয়ার্কির ছলে বলল এতে তো একটা পা রাখব। আর অন্যটা?" আমি নিজের মাথার হেলমেটটা ওর পায়ের কাছে মেঝেতে নামিয়ে দিলাম। মৌমিতা ওর পা দুটো আমার মাথার হেলমেট আর পিঠের ব্যাগের উপরে রেখে বসে মোবাইল ইউজ করতে লাগল। বাইরে তখন তুমুল বর্ষার বৃষ্টি। রাস্তা ঘাট ফাঁকা। আমি এক হাতে মৌমিতার জুতো আর অন্য হাতে ছাতা ধরে বাজারে মুচির কাছে চললাম। একটু যেতে আমার মৌমিতার প্রতি সাবমিসিভনেস অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠল। আমি ছাতাটা নিচু করে নামিয়ে মুখ ঢেকে প্রকাশ্য রাস্তায় মৌমিতার দুটো জুতোর উপর আর তলা চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিতে লাগলাম। কয়েক বার জিভ বার করে চাটলাম প্রভু মৌমিতার লাল কালো কিটোর তলা। তারপর জুতো দুটো নিজের মাথার উপরে রেখে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে বাজারের দিকে চললাম। নিজের টাকায় প্রভুর জুতো সেলাই করে আবার জুতো জোড়া মাথায় নিয়ে ফিরে এলাম। ফিরে এসে বারান্দায় আমি মৌমিতার জুতো মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে ছাতা বন্ধ করছি তখন মৌমিতা জানালা দিয়ে আমাকে এই অদ্ভুত পজিশানে দেখে হাসতে লাগল। ও হয়ত ভেবেছে আমি ওর জুতো মেঝেতে রাখার সাহস পাই নি। আর দুই হাত দিয়ে ছাতা বন্ধ করার প্রয়োজনে তাই ওর জুতো নিজের মাথায় রেখেছি! " ছাগল, বাইরে থেকে এসে ছাতা মেলে দিতে হয়। ও জুতো মাথায় নিয়ে ছাতা বন্ধ করছে!" মৌমিতা হাসিমুখে আমাকে বলল। ওর প্রতি আমার ভক্তি ও বেশ এঞ্জয় করছে বোঝা যাচ্ছে। "খুব হাওয়া দিচ্ছে ম্যাডাম। ছাতা এখানে খুলে রাখলে উড়ে যাবে।" " তাহলে ঘরের ভিতরেই মেলে দে। আর জুতোটা কেমন সেলাই করেছে দেখি।" আমি মৌমিতার পায়ের কাছে হাঁটুগেড়ে বসে আমার মাথায় রাখা ওর কিটো জুতো জোড়া ওর পায়ে পরিয়ে দিলাম। মৌমিতা বলল, " বাহ, দুটো জুতোই পুরো সেলাই করে এনেছিস দেখছি। তুই একটু মাথা মোটা আর ভিতু হলেও কাজের আছিস দেখছি।" এরপর দিন থেকে ঘর পরিস্কারের সাথে সাথে আমার কাজের তালিকায় নতুন একটা কাজ যোগ হল। মৌমিতার জুতো পরিস্কার। রোজ মৌমিতার পায়ে পরা জুতো কাপড় দিয়ে ঘসে ঘসে পালিশ করে দিতাম আমি। আমার চাকরি জীবনের রোজকার এই ১০-১৫ মিনিট আমার কাছে স্বর্গসুখ বলে মনে হত। মাস ৪-৫ এভাবে কাটার পরে খবর পেলাম আমাদের হাসপাতাল চালু হতে চলেছে। এলাকায় প্রচার করা হবে। ওষুধ আসবে। আর ফার্মাসিস্টও নিয়োগ করা হবে। আমার ভয়ে বুক ধুক পুক করতে লাগল শুনে। চা ওয়ালা রামুর মত যারা আমাকে মৌমিতার চাকর বা এসিস্টেন্ট বলে জানত তারা যদি শোনে আমি ডাক্তার তখন কি ভাববে? ফার্মাসিস্টের সামনে আমি মৌমিতার জুতো পালিশ করে দিলে তারই বা কি রি একশান হবে? তবে কি আর করা যাবে? এ তো হওয়ারই ছিল। অবশেষে একদিন হাসপাতালে সেই নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট ওষুধের গাড়িতে করে এসে হাজির। বান্ডিল বান্ডিল ওষুধ সব সাজিয়ে রাখা হল। তার নিয়োগ পত্র হাতে নিয়ে দেখি মেয়েটির নাম কমলা। ২৩ বছর বয়সী সদ্য পাশ করা ফার্মাসিস্ট। শ্যাম বর্না, সাধারন চেহারা। বাবা মারা যেতে অনেক নেতাকে ধরে টরে এই চাকরিটা নাকি পেয়েছে। এর সামনে কি আর আমি মৌমিতার জুতো পালিশ করতে পারব? উত্তেজনায় আমার বুক ধুক পুক করতে লাগল।

Sunday 1 July 2012

সাবমিসিভ বা ফেটিশিসম আছে এরকম অনেকের মনেই এই প্রশ্ন আসে, এটা কি রোগ, disease? এর জন্য কি চিকিতসা নেওয়া প্রয়োজন? 
এর জন্য প্রথমে বুঝে নেওয়া দরকার এগুলো কি। চিকিতসা বিজ্ঞানে এরকম প্রায় ৫৫০ ভিন্নধর্মী যৌন উতসাহ লক্ষ্য করা গেছে, যাদের মুল ৮ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এদের মধ্যে পরে সাবমিসিভনেস, ফুট ফেটিশিসম, BDSM সহ অন্যান্য তথাকথিত যৌন অস্বাভাবিকতা,এদের একত্রে বলে প্যারাফিলিয়া। অর্থাত, ফুট ফেটিশ, সাবমিসিভনেস বা BDSM চিকিতসা বিজ্ঞানের ভাষায় একরকম প্যারাফিলিয়া।
কারন: এটি এখনও সম্পুর্ন পরিষ্কার নয়, কিন্তু বর্তমান রিসার্চ বলছে এর উৎস ভ্রুন অবস্থায় মায়ের পেটে থাকাকালীন নিউরোএনাটমিক্যাল ডেভলপমেন্টে। প্যারাফিলিয়া থাকা বেশিরভাগ ব্যক্তির ভ্রুন অবস্থায় অত্যধিক ইস্ট্রোজেনের উপস্থিতিতে বেড়েছে, যার ফলে তার ব্রেনের কিছু গঠনগত পরিবর্তন ও নিউরোট্রান্সমিটার ও হরমোনের অনুপাতের তারতম্যের ফলে তার এই তথাকথিত অস্বাভাবিকতা। এর সাথে কম বয়সের বিভিন্ন চিন্তা ও মানসিকতা এর বিকাশে ভুমিকা রাখে।
* প্যারাফিলিয়া কি রোগ? এর কি চিকিতসা দরকার?
বর্তমান যুগে যেকোন মানসিক সমস্যার চিহ্নিতকরন, ক্লাসিফিকেশন, ও চিকিতসার জন্য যে ম্যানুয়াল বিশ্বব্যাপি প্রচলিত সেটা হল, american psychiatric association এর The Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders ( DSM). এর সর্বশেষ edition DSM 5 এ প্যারাফিলিয়া সম্পর্কে কি বলছে দেখা যাক।
DSM5 প্রথমেই paraphilia ও paraphilic disorder কে আলাদা করছে। প্যারাফিলিয়ার অর্থ ফেটিশ, bdsm এর মত তথাকথিত যৌন অস্বাভাবিকতা। এই বিষয়গুলি কাউকে যৌনভাবে উত্তেজিত করলে তার প্যারাফিলিয়া আছে। আর এগুলি কারো ক্ষেত্রে যদি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গিয়ে তাকে বা তার পার্টনারকে মানসিক চাপ, পীড়া বা উতকন্ঠার মধ্যে ফেলে তবে সেটা প্যারাফিলিক ডিসঅর্ডার। DSM5 অনুযায়ী যতক্ষন প্যারাফিলিয়া কাউকে মানসিক পীড়া বা চাপের মধ্যে না ফেলছে, যদি সে এটা নিয়ে খুশি থাকে এবং তার এই অভ্যাসের কারনে কারো ক্ষতি না হয় তাহলে সেটাকে রোগ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না বা এর চিকিতসার কোন প্রয়োজনও নেই।( অর্থাৎ যদি প্যারাফিলিয়া, প্যারাফিলিক ডিসঅর্ডারের পর্যায়ে না পৌছায় তবে চিকিতসার কোন প্রশ্নই নেই, কারন এটা রোগ হিসাবেই ধরা হবে না)।
এটা প্রাথমিকভাবে নিজেকেই বুঝতে হবে নিজের এই টান কি নিজের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় প্রায়ই? এটা কি অত্যধিক মানসিক পীড়নের কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, সেক্ষেত্রে সাইকোলজিস্টের স্মরনাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন আছে, অন্যথায় নেই।
*চিকিতসা :
চিকিতসার প্রয়োজন তখনই হবে যখন নিজে বা অন্য কেউ এর দ্বারা অত্যধিক মানসিক পীড়নের সম্মুখীন হবে বা দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হবে অত্যধিক প্যারাফিলিক চাহিদার জন্য। সেক্ষেত্রে সাইকোলজিস্টের কাছে গেলে চিকিতসা পদ্ধতি হিসাবে তিনি বিহেবিয়ারাল থেরাপি, ওষুধ বা উভয়ের কম্বিনেশন ব্যবহার করতে পারেন।
cognitive behavioral therapy তে আক্রান্তকে বিভিন্ন স্ট্রাটেজির মাধ্যমে প্যারাফিলিক চিন্তা থেকে দূরে সরে থাকতে শেখান হয়। আর ওষুধ দিয়েও মূলত যৌন উত্তেজনা কমানোর ব্যবস্থা করা হয়। আলাদা করে প্যারাফিলিক চিন্তা কমিয়ে মূলধারার যৌনচিন্তা বাড়াবে এরকম কোন ওষুধ নেই। এক্ষেত্রে মূলত SSRI বা এন্টিএন্ড্রোজেন গ্রুপের ওষুধ ব্যবহৃত হয় যারা জীবদেহের সামগ্রিক যৌন আচরন কমিয়ে দেয়।