Thursday 1 July 2021

অশরীরি

( কাল্পনিক ফেমডম সিনেমার রিভিউ) বাংলা ফেমডম নিউজ ওয়েব ডেস্ক, আজকের খবর ; নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপারহিট "মায়াবী"র পর পরিচালক অর্নবের দ্বিতীয় সিনেমা "অশরীরী" মুক্তি পেয়েছে গত সপ্তাহে। প্রথম ছবির মত এই ছবিটিও দর্শকদের মুগ্ধ করে দুই বাংলার বক্স অফিসে ঝড় তুলতে শুরু করেছে। মায়াবীর মত "অশরীরী"ও অতিপ্রাকৃত ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সুপারন্যাচারাল ফেমডম থ্রিলার। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাভেদ হাসান জয়, রিত্বিকা, সাবাইনা আখতার সিমি, জ্বলন্ত খলিল, ও কৌস্তভ। সিনেমার শুরু হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জয় ও কর্ম জগতের বাইরে তার একাকিত্ব নিয়ে। কাজের বাইরে তার দিন কাটে নির্বান্ধব একাকিত্বে। সে বিয়েও করবে না, কারন সে ভোগে এক্সট্রিম রিজেকশন ফোবিয়ায়। বউ তাকে ভালবাসবে না, তাকে তাচ্ছিল্য করবে, তার মধ্যে এমন কিছু নেই যাতে কেউ তাকে ভালবাসবে এইরকম নেগেটিভ চিন্তা তাকে পিষে মারতে থাকে, তাই সে কাল্পনিক ফেমডম জগতে সময় কাটায়। ক্রমে একদিন অনলাইনে একটি বিজ্ঞাপন চোখে পরে তার। ৯৯% মানুষের মত গঠনের সেক্স বা লাভ পার্টনার ডলের বিজ্ঞাপন। এই পুতুলের চামড়া পুরোপুরি মানুষের মত, নারী পুতুল হলে তার দেহ স্পর্ষ করে কেউ নাকি বুঝতে পারবে না সে জীবিত না পুতুল। কিছু বিশেষ রেকর্ডেড বাক্য সে সময় উপযোগী স্থানে ব্যবহার করতে পারবে মানুষের মত। এর সাথে অত্যধুনিক মাত্রায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স থাকবে তার। দেখতে হবে হুবহু মানুষের মত। কেউ বেশি অর্থ খরচে রাজি থাকলে তার চাহিদা মত গড়নে পুতুল বানিয়ে চীন থেকে যেকোন দেশে সাপ্লাই করা হবে। এই অবস্থায় দেখা যায় জয় মধ্য তিরিশের জয় তার শৈশবের পরিচিত সিমির গড়নে পুতুল বানানোর অর্ডার দেয়। যার মুখ, চেহারা হবে অবিকল সিমির মত। সেক্স ডল না, ডমিনেটিং ডল। যে পুতুল তাকে ডমিনেট করতে বা মারতে পারবে। অন্যরকম চাহিদা ও বিশেষ চেহারা বানানোর জন্য প্রচুর খরচ হওয়া সত্বেও তাতে রাজি হবে জয়। এর মাঝে মাঝে ফ্লাশব্যাকে জয়ের ছোটবেলার ঘটনা দেখানো হবে। জয়ের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছে কৌস্তভ। জয় চিরদিনই মুখচোরা ছেলে, তার বন্ধু কম, বেশি কথা বলতে পারে না। তার বন্ধুও চিরদিন কম ছিল, গার্লফ্রেন্ডের তো প্রশ্নই নেই। সিমি তার চেয়ে প্রায় ৭ বছরের ছোট ছিল। তাদের পাশের বাড়িতে থাকত। সিমি ছিল সুন্দরী, আউটগোয়িং, টমবয় টাইপের মেয়ে। ছোটবেলায় নিজে থেকে সে জয়কে মারত। সিমির হাতে এই মার খাওয়া ভিশন উপভোগ করত জয়। সিমির বয়স যখন ৮-৯ থেকে ১১ পর্যন্ত, আর জয়ের ১৫-১৬ থেকে ১৮, ততদিন পর্যন্ত রেগুলার সিমি জয়কে ডেকে চড়, লাথি মারত। ছোট্ট সিমির হাতে জয়ের অত্যাচারের অনেক দৃশ্য দেখানো হবে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে। জয়ের গালে থাপ্পর মারা, মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারার দৃশ্য থেকে জয়ের জিভে সিমির জুতোর তলা মোছার দৃশ্যও বাদ যাবে না ছবিতে। এরপর জয় ১৮ বছর বয়সে স্কুল পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পেয়ে বাইরে পড়তে চলে যাবে। প্রথম এক বছর পড়াশোনার চাপে বেশি বাড়ি আসতে পারত না সে অত দূর থেকে। ১ বছর পর যখন সে ভিশন মিস করবে সিমিকে, তার হাতে অত্যাচারিত হওয়াকে, তখন বাড়ি ফিরে সে দেখবে সিমিরা বাড়ি বিক্রী করে চলে গেছে। এরপর তার সিমির সাথে আর দেখা হবে না প্রায়। কয়েক বছর পর সে শুনবে সিমি কমিটেড হয়ে গেছে, নিজের লাইফ নিয়ে বিজি আছে। সিমির কাছে অত্যাচারিত হওয়ার আনন্দ সে খুব মিস করলেও আর তাকে সে বিরক্ত করবে না ঠিক করবে। জয় পুতুল পেতে প্রথম এক সপ্তাহ সে পুতুলটাকে খুব ভালবেসে ফেলবে। দেখতে হুবহু সেই সিমির মত, স্পর্শ করে বোঝাই যায় না এ রক্ত মাংসের মানুষ না! প্রোগ্রামিং মত সে জয়কে চড় লাথিও মারবে। কিন্তু ক্রমে জয়ের মনে হবে এ শুধু পুতুল না। পুতুল হলে ব্যাটারি রিমুভ করার পরেও সে হাত নাড়ছে কি করে? ক্রমে আতংক বাড়তে থাকবে জয়ের মনে। সে ব্যাটারি খুলে রাখবে পুতুলের। আর আতংকের সাথে দেখবে, সে শুধু হাতই নাড়ছে না, হাটছে, তাকে মারছে, হুকুম করছে অল্প! যেই কথা প্রোগ্রামিংয়ে ঢোকানো নেই সেই কথাও বলতে শুরু করেছে পুতুল! আত্মায় আগে বিশ্বাস না করলেও ক্রমে তার মনে হবে এর উপরে সত্যিই কোন অশরীরী ভর করেছে। এর হাত থেকে তার বাঁচার একমাত্র উপায় একে অনেক দূরে ফেলে আসা। কিন্তু যেই পুতুলকে দেখতে সম্পুর্ন সিমির মত তাকে সে ফেলবে কি করে? ক্রমে সে ঠিক করবে যা আছে তার কপালে তাই হবে। এই হুবহু সিমির মত দেখতে পুতুল তার প্রান নিলেও সে খুশি! সিনেমার এই গা ছমছমে ভয়ের অংশটি দারুন উপভোগ্য। পুতুল ক্রমে তার উপর সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন দেবে। একদিন তাকে দিয়ে জোর করে ড্রাইভ করিয়ে উত্তর ইউরোপের দেশ স্টেপ্টোনিয়ার ভিসা করিয়ে নিয়ে আসবে। তারপর তাকে একরকম বাধ্য করে স্টেপ্টোনিয়ার এক কম্পানিতে চাকরি নিয়ে সেই দেশে যেতে বাধ্য করবে। এতদিনে পুতুল ক্রমে অনেক কথাও বলতে শুরু করবে। ক্রমে সব রহস্য প্রকাশ হবে জয়ের কাছে। পুতুলের উপরে যার আত্মা ভর করেছে সে আর কেউ না, মৃত সিমির আত্মা! ক্রমে সিমির সেই আত্মা তাকে পুরো ঘটনা খুলে বলবে। ১৩ বছর বয়সে সে কমিটেড হয়েছিল ক্লাসমেট রাজার সাথে। কিন্তু ১৬ বছর বয়সে তার বাবা হঠাত মারা যায়, ফলে তার বয়স ১৮ এ পরতেই তার জেঠু জোর করেই তার বিয়ে দিয়ে দেয় স্বপন নামে ২৮ বছরের এক লোকের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বপন তার উপরে অত্যাচার শুরু করে। সেই অত্যাচার অনেক বাড়ে তাদের মেয়ে রিমির জন্মের পরে। কালো স্বপনের সাথে ফর্শা রিমির গায়ের রঙ বা চেহারায় মিল না থাকায় স্বপনের সন্দেহ হয়েছিল সে তার সন্তান নয় হয়ত। চুড়ান্ত অবিশ্বাসী স্বপন একদিন হত্যা করে সিমিকে। এখন সে থাকে স্টেপ্টোনিয়ায়, নতুন বউ নিয়ে। রিমিও তাদের সাথে থাকে। স্বপন রিমির উপরে এখনও ভয়ানক অত্যাচার করে। সিমি চায় এর বদলা নিতে। সে এতদিন কোন উপায় পাচ্ছিল না। কিন্তু তার মত দেখতে এই পুতুল আসার পর তার উপরে ভর করে ক্রমে পুতুল দেহ নিয়ে কথা বলা, চলাফেরা সে রপ্ত করে। তাছাড়া এত বছর পরে যেখানে তার লাভার রাজাও তাকে ভুলে সংসার করছে, সেখানে তার প্রতি জয়ের এই টান তাকে বিশ্বাস যুগিয়েছে, রিমিকে পরে কার হাতে মানুষ করার দায়িত্ব দিয়ে সে শান্তি পাবে সে সেটাও খুজে পেয়েছে। এরপর সিমির অশরীরী আত্মার সাথে মিলে কিভাবে জয় হত্যা করবে স্বপনকে সেটা নিয়েই এগোয় পরবর্তী গল্প। টানটান থ্রিলারের শেষে স্বপনের মৃত্যু হয়। অত্যাচারিত রিমিকে শেষে স্টেপ্টোনিয়ার আইন মেনে দত্তক নেয় জয়। সিমি শেষে বলে, " ভেবেছিলাম এই কাজ সেরে আমি মুক্তি পাব। কিন্তু ইচ্ছা করছে না। যতদিন তোরা আছিস , এই পুতুলের মধ্যেই থাকব আমি। রিমি আর তোর সাথে সুখের সংসারের সাধ নেব। আর যে আমার স্পর্শ আর আমার হাতে অত্যাচার তুই মিস করেছিস আমি ১১ বছরে পরার পর থেকে, সেটাই রিমির মাধ্যমে পুরন করাব আমি। রিমিকে দেখতে হুবহু সেই বয়সী আমার মত, আর ওর বয়সও ১১ হবে কিছুদিন পরেই। এখন তুই ওর বাবা, আর সেই সাথে ওর চাকর আর দাসও। তুই ওর যত্ন নিবি ওর বাবার মত, সেই সাথে মারও খাবি ওর হাতে, যেইভাবে ২০ বছর আগে খেতিস আমার হাতে!" সিনেমার শেষ হবে রিমির হাতে জয়ের অত্যাচারিত হওয়ার দৃশ্য দিয়ে। রিমির চরিত্রেও অভিনয় করেছে সাবাইনা আখতার সিমি, আর সিমির বড়বেলার অশরীরী চরিত্রে রিত্বিকা। দুজনেই অপুর্ব অভিনয় করে মন ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের। বিশেষ করে জয় বা কৌস্তভের উপরে অকথ্য অত্যাচারের দৃশ্যে। পরিচালক ২ ঘন্টা ২০ মিনিটের সিনেমায় প্রায় ৫০ মিনিট ধরে পর্দায় শুধু সিমি আর রিত্বিকার হাতে জয় ও কৌস্তভের মার খাওয়ার দৃশ্য দেখিয়েছেন, সেখানে সিমি বা রিমির ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বপনের অত্যাচারের একটি দৃশ্যও সরাসরি না দেখিয়ে শুধু সিমির মুখ দিয়ে বলিয়েছেন। গোটা সিনেমাটিই অনবদ্য, অভিনয় থেকে মিউজিক, সিনেমাটোগ্রাফি থেকে গল্প সবই অসাধারন। তবে অবশ্যই সিনেমার সবচেয়ে বড় আকর্শন ওই ৫০ মিনিট, যেখানে সিমি ও রিত্বিকার হাতে পুরুষদের অকথ্যভাবে অত্যচারিত হতে দেখা যাবে। গলা টেপা, চড়, ঘুষি, লাথি, চাবুক, ফেমডমের কোন উপকরনই সিনেমায় বাদ দেন নি পরিচালক। আর দর্শকদের তা কত ভাল লেগেছে তার প্রমান দিচ্ছে বক্স অফিস। দুই বাংলা মিলে এক সপ্তাহতেই ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে এই অতিপ্রাকৃত ফেমডম থ্রিলারটি। ( এই পেজের সমস্ত পোস্টই এন্টারটেইনমেন্টের জন্য লিখিত ১০০% ফেক/মিথ্যা। এটিও অন্য পোস্টের মতই ১০০% মিথ্যা সংবাদ, শুধু ফেমডম পছন্দ করা পাঠকদের উপভোগের জন্য লিখিত)।