Wednesday 1 March 2023

রাজু (১-৫) ...

রাজু.... 1...... (আমার অন্য অনেক গল্পের মত এটাও একটি Traumatic story. গল্পের মূল চরিত্রের সাবমিসিভনেসের উতসই এখানে ট্রমা। যা কিছু অমানবিক ও হওয়া উচিত নয় তা এই গল্পের মূল চরিত্রের সাথে হচ্ছে, যেমন বাস্তবেও আমার মত বহুজনের সাথেই শৈশবেই ঘটেছে। যার ফলাফল বেঁচে থাকার coping mechanism হিসাবে আমাদের মস্তিস্ক unconscious ভাবেই এই trauma কে enjoy করতে শুরু করে। আমাদের traumatised করা ব্যাক্তি ও ঘটনার প্রতি সাবমিসিভ হতে শুরু করে। এই গল্পেও তাই হয়েছে। unconsciously এরকম ঘটনা enjoy করা মানেই consciously এগুলোকে support করা এমন নয়। তবে এরকম ট্রমাটিক সমাজে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এরকম ট্রমাকে সাবমিসিভ ভাবে ফ্যান্টাসাইজ করা অপরিহার্য। আর সেখান থেকেই এরকম গল্পের উতপত্তি। যাদের এসব ভাল লাগে না তারা প্লিজ পড়বেন না)। "আমি একটা কাজ পেয়েছি মামা। অন্য রাজ্যে। কাল সকালেই বেড়িয়ে চলে যাব।'' সেটা ২০২১ সালের মে মাস। সারা দেশেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ তখন মারাত্মক আকার নিয়েছে। রোজই বহু মানুষ তাদের স্বজনকে হারাচ্ছে। সারা দেশ জুড়ে চলছে কঠোর লক ডাউন। এই অবস্থায় অন্য রাজ্যে কাজ পেয়েছি শুনে অবাক হওয়ারই কথা। মামা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল " চাকরি পেয়েছিস? এই সময়ে? কোথায়?'' আমি বাধ্য হয়ে ধীরে ধীরে পুরোটা স্বীকার করতে বাধ্য হলাম। ভাল চাকরি কিছু না। বলিউড অভিনেত্রী আলিয়ার চাকরের চাকরি। করতে মুম্বাই যেতে হবে আমাকে। যদিও সেই চাকরিও আমি পাইনি এখনো, ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞাপন দেখেই চলে যাচ্ছি এটা আর বললাম না। মামা শুনে একটু রেগেই গেল। দুঃখ আর রাগ মেশানো গলায় বলল, " তুই ওই ২০ বছর বয়সী ক্লাস ১০ ফেল মেয়ের চাকর হবি? তুই রাজ্যের বেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিস। কোভিডের কারনে আপাতত চাকরি হচ্ছে না কোথাও। একটু কষ্ট কর কয়েকদিন।" মামি পাশ থেকে বলল " আর কতদিন অপেক্ষা করবে? মাসের পর মাস তো কেটে যাচ্ছে। আর এখন তুমিও বেকার রাজুও ( আমার নাম) বেকার। আমরা কি এবার না খেয়ে থাকব?" আমি খুবই গরীব পরিবারের ছেলে। বাবা কারখানার শ্রমিক ছিল। কারখানাতে দুর্ঘটনায় যখন মারা যায় তখন আমার ৩ বছর মাত্র বয়স। মায়ের পেটে তখন পরের সন্তান। মা বাধ্য হয়ে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে গর্ভপাত করায়। আমার পরের ভাই বা বোন তাই আর পৃথিবীর আলো দেখেনি। মা আমাকে নিয়ে এরপরে নিজের একমাত্র ২ বছরের বড় দাদার বাড়িতে চলে আসে। এখানে মা শিপিং কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেয়। অনেক যত্ন নিয়ে, নিজে অনেক কষ্ট স্বীকার করে আমাকে পড়ায় মা। ইঞ্জিনিয়ার বানায়। কিন্তু এমনই ভাগ্য যে আমার পাশ করে বেরনোর বছরেই করোনা মহামারিতে দেশ স্তব্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় কে চাকরি দেবে? এর মধ্যেই গত মাসে মা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। শিপিং ইন্ড্রাস্ট্রিতে কোন প্রটেকশান ছাড়া বছরের পর বছর কাজ করায় মার ফুসফুস খুব দূর্বল ছিল। তার উপরে করোনার ধাক্কা মা আর নিতে পারেনি। মামা তার ছোট বোনকে খুব ভালবাসত। মামা বলে ''কারখানা গুলো যদি শ্রমিকদের সামান্য প্রটেকশান দিত তাহলে আজ তোর মায়ের ফুসফুসের এই দশা হত না। ৪০ বছর বয়সে দুনিয়া ছেড়ে চলেও যেতে হত না। কারখানা মালিকদের চাই শুধু মুনাফা। আমাদের গরীব মানুষের জীবনের কোন দাম তাদের কাছে নেই।" আমার মামা সত্যি খুব ভাল মানুষ। আমার মা আর আমাকে খুবই ভালবাসে। কিন্তু মামি একদমই সেরকম না। মামি দেখতে খুবই সুন্দরী। দেখে মনে হয় বয়স ৩৫ মত হবে। এত সুন্দর চেহারার এক মহিলা মামার মত এক টোটো চালককে কেন বিয়ে করেছিল জানি না। বিয়ের সময় মামা ভ্যান চালাত। মার আমাকে নিয়ে এই বাড়িতে ওঠা মামি কখনোই ভাল চোখে দেখেনি। আমার আর মায়ের সাথে সে খুবই দূর্ব্যাবহার করত মামা বাড়ি না থাকলে। মামার মেয়ে মিমির এখন বয়স ১৭। নিজের মাকে দেখে দেখে সেও আমাদের সাথে দূর্ব্যাবহার করতে শেখে। আশ্চর্য হল আমার মা এতে কখনো বাধা দেয়নি। মামি আর তার মেয়ের যাবতীয় দূর্ব্যাবহার মা হাসি মুখে সহ্য করত। আমাকে বলত, আমি বউদির বাড়িতে উড়ে এসে জুড়ে বসেছি। ওদের ঘর দখল করে থাকছি। প্রাইভেসিতে বাধা হচ্ছি। বউদি এসব সহ্য করে আমাকে থাকতে দিচ্ছে এই অনেক।" বউদি তো বটেই রেগে গেলে তার মেয়েও মায়ের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাত। গালে থাপ্পর মারত বেশি রাগ হলে। সাথে কটু কথা তো ছিলই। মা হাসি মুখে সহ্য করে নিত তুচ্ছ কারনে এইসব অত্যাচার। এমনকি আমাকে মামি বা মিমি মারলেও মা কিছু বলত না ওদের। পরে আমাকে বোঝাত এসব অল্পদিনের ব্যাপার। আমি পড়ালেখা করে চাকরি পেয়ে বাইরে চলে গেলে আমাকে আর এসব সহ্য করতে হবে না। হায় রে। সেই দিন মা দেখে যেতে পারল না! মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আমি মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পরি। এতদিন মা কারখানায় কাজ করে কিছু রোজগার করত। আমিও টিউশানি করে বেশ কিছু টাকা কামাতাম। মামি আর বোন তাই কটু ব্যাবহার করলেও আমাদের সহ্য করে নিত। কিন্তু এখন? একে মা নেই, তার উপর লকডাউনে টিউশানি সব বন্ধ। মামার টোটো চালানোও বন্ধ। সংসারে রোজগার নেই। মামি আর তার সুন্দরী মেয়ের আবার মেক আপ সহ অন্যান্য ভাবে টাকা ওড়ানোর অভ্যাস আছে। সেই অভ্যাসে টান পরতেই মামি ও তার মেয়ে মিমির আমার প্রতি ব্যাবহার দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছিল। খারাপ কথা তো মামার সামনেও বলত। মামা না থাকলে গায়েও হাত তুলত তুচ্ছ কারনে। সত্যি বলতে আমার এই কারনে মোটেই খারাপ লাগত না। কিন্তু মামিদের বাড়িতে আছি থাকছি খাচ্ছি অথচ এক টাকাও তাদের হাতে তুলে দিতে পারছি না এটা ক্রমে আমি আর মেনে নিতে পারছিলাম না। যদি মাস গেলে ১৫-২০ হাজার টাকাও মামি আর তার মেয়ের হাতে তুলে দিতে পারতাম তারপরে এই ব্যাবহার পেলে আমার মোটেও খারাপ লাগত না। নিজের অজান্তে হলেও মা এই সাবমিসিভ এটিচিউডের বিজ আমার মধ্যে বপন করে গিয়েছিল। আজ বিকালে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে এক website এ হঠাত একটা বিজ্ঞাপন চোখে পরে। বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী আলিয়া নিজের জন্য ব্যাক্তিগত চাকর নিয়োগ করবে। থাকা খাওয়া ফ্রি। মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন। চাকরকে সারা দিন রাত আলিয়ার যেকোন অর্ডার পালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইন্টারভিউ হবে ২১ মে। আজ থেকে ঠিক ১১ দিন পরে। আমি যে ঠিক কি পরিমান খুশি হয়েছিলাম বিজ্ঞাপনটা দেখে বলতে পারব না। আলিয়ার বাবা বিরাট কারখানার মালিক শুনেছি। এমনকি আমার মা যেই কারখানায় কাজ করত তার মালিকও আলিয়ার বাবা। আমার মামার কথামত আমার মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই মুনাফালোভী আলিয়ার বাবাই। এইভাবে আমার মায়ের মত শ্রমিকদের প্রটেকশানের কোন ব্যাবস্থা না করেই তারা নাম মাত্র মজুরিতে কাজ করায়। তার প্রত্যক্ষ ফলে আমার বাবার মত বহু শ্রমিক দূর্ঘটনায় মারা যায়। আর আমার মায়ের মত আরো বহু শ্রমিক মারা যায় পরোক্ষ কারনে। এইভাবে গরীব মানুষের রক্ত চুষে তারা কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে। নিজের ছেলে মেয়েকে তারা রাজার হালে বড় করে। যেমন আলিয়া। সে বড় হয়েছে লন্ডনে। পড়েছে সবচেয়ে দামী স্কুলে। জীবন কাটিয়েছে সেভাবে যেভাবে ব্রিটেনের রাজা রানীরা কাটায়। তারপরে মাধ্যমিক পাশ না করেই সে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। আর তার বাবা কোটি কোটি টাকা খরচ করে সিনেমা প্রডিউস করে তাকে বলিউডের নায়িকা করে দিয়েছে। কি সহজ এদের জীবন! আমার বেড়ার ঘরের দেওয়ালে আলিয়া অনন্যার মত ৫ জন নায়িকার পোস্টার টাঙানো আছে। মামা সেগুলো দেখে রাগ ভরা কন্ঠে বলেছিল "তুই ঘরে শেষে এদের ছবি লাগিয়েছিস? এদের বাপের অনেক মানুষের রক্ত চোষা টাকা থাকতে পারে, এরা দেখতে সুন্দর হতে পারে, কিন্তু এরা আর যাই হোক মানুষ না। মানুষের কোন গুন এদের মধ্যে নেই।" মামার কথাটা আমার ভালই লেগেছিল শুনে। আমার চোখেও আলিয়া, অনন্যার মত নায়িকারা মানুষ নয়। বরং স্বয়ং ভগবান! আমি রোজ সকালে উঠে পোস্টারে ওদের জুতো পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করে ওদের কাছে হাত জোড় করে প্রার্থনা করি। হয়ত ভগবান সেই প্রার্থনা শুনেছে! আজ ভাগ্য সহায় হলে হয়ত আমি সত্যিই আলিয়ার ব্যাক্তিগত চাকর হতে পারব। হয়ত জীবনে একবার হলেও সুযোগ হবে আমার ভগবানের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করার! আমার মত গরীব তুচ্ছ এক মানুষ জীবনে এর চেয়ে বেশি কি চাইতে পারে? কিন্তু রাতে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে পরার উপক্রম হল। দেশে বাস ট্রেন সব বন্ধ। শুধু মুম্বাই ছাড়া বাইরের লোকের পক্ষে ওই ইন্টারভিউতে যাওয়াই সম্ভব না। আমি ভেঙে পরলাম সত্যিটা বুঝে। প্রভু আলিয়ার বিশাল পোস্টারের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে বসে কাঁদতে কাঁদতে শেষ রাতে ঘুমিয়ে পরেছিলাম। ভোর বেলা ঘুম ভাঙল এক অদ্ভুত চিন্তা মাথায় নিয়ে। এত পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে বাড়ি ফিরতে পারলে আমি আমার আরাধ্যা দেবীর চাকর হওয়ার জন্য এইটুকু কষ্ট করতে পারব না? সার্চ করে দেখলাম মুম্বাই আমাদের এখান থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে। আমাকে ১০ দিনের মধ্যে আমার ভাঙাচোরা সাইকেল চালিয়ে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। রোজ ২০০ কিমি করে টানা ১০ দিন! খুবই কঠিন, কিন্তু অসম্ভব না। আমি ভাল করে সকাল হতেই মামাকে বললাম আমি আজই একটু পরে সাইকেল নিয়ে মুম্বাই যাব। মামা আমাকে পাগলামি থেকে নিরস্ত করতে অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু মামি আর মিমি আমার এই প্ল্যানে উতসাহ দিচ্ছিল মামার সামনেই। মামা শেষে নিরস্ত হয়ে বলল " ঠিক আছে যা। তবে কোভিড কমলে ওই কাজ ছেড়ে চাকরির ইন্টারভিউ দিস মন দিয়ে। তুই পেয়েও যাবি। আর সেই কাজে মাইনেও অনেক বেশি। আর সম্মানও। এই বলে মামা আমার হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে বলল, " নে, এই সামান্য হাত খরচ টা রাখ।" আমি আর বেশি কথা না বলে রেডি হব বলে মামার ঘর থেকে বেরনোর সময় লক্ষ্য করলাম মামি আমার বোন মিমির কানে কানে কি যেন বলছে! তখন সকাল ১০ টা। আমি মামার দেওয়া ১০ হাজার আর নিজের সম্বল আড়াই হাজার টাকা নিয়ে আমার ভাঙা সাইকেল আর পিঠে একটা ছোট্ট ব্যাগ নিয়ে বেরোতে যাব তখন মিমি বলল, "তোর সাথে তো অনেকদিন আর দেখা হবে না দাদা। চল , তোকে রাস্তার মোড় পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।'' যে মামাতো বোন আমাকে মানুষ বলেই গ্রাহ্য করে না তার এরকম কথায় আমি অবাক হলাম। বোনের সাথে সামনের রাস্তার মোড় পর্যন্ত আসতেই বোন আমার গালে পরপর দুটো থাপ্পর মারল খোলা রাস্তায়। " বাবাকে ভুল বুঝিয়ে যেই টাকাটা ঝাড়লি সেটা বের কর।" আমি বিনা প্রতিবাদে ১০ হাজার টাকার পুরোটাই বের করে বোনের হাতে দিয়ে ওকে সরি বললাম। আমার ফর্শা সুন্দরী বোন টাকাটা পকেটে পুরে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। তারপর বলল, " তোর সাথে নিজের জমানো টাকা কত আছে?" আমি পকেট থেকে পুরো টাকাটা বার করে গুনলাম বোনের সামনে। ২৬৬০ টাকা মোট। 'এত টাকা দিয়ে কি করবি তুই? আমাকে ২০০০ টাকা দিয়ে দে। শপিং করব।" আমি সাইকেল রেখে খোলা রাস্তায় বোনের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসলাম। ওর দুই চটি পরা পায়ের উপরে হাত রেখে বললাম " প্লিজ বোন। অন্তত অর্ধেক টাকা আমাকে কাছে রাখতে দে। আমার তো যেতেই ১০ দিন লেগে যাবে। কোন কারনে কাজ না পেলে ফিরতে আরো ১০ দিন। আমাকে তো কিছু অন্তত খেতে হবে। সাইকেল খারাপ হলে সারাতে হবে। কাজ পেলে মাইনের পুরো টাকাটা আমি তোকেই পাঠিয়ে দেব। প্লিজ।" বোন যেন একটু ভাবল। তারপর আমার নিজের টাকা থেকে ১৫০০ টাকা তুলে নিয়ে বলল। ঠিক আছে। তোর উপর দয়া করে অল্পই নিলাম। যা পরে রইল তা দিয়ে তুই শুকনো পাউরুটি খেতে পারবি এই ১০ দিন ৩ বেলা। আমি এই টাকা দিয়ে আজ জোমাটোয় খাবার অর্ডার করব আর এক জোড়া জুতো কিনব। কাজ পেলে তুই স্যালারি পুরোটা আমাকে পাঠাবি কিন্তু।" আমার জন্য ১১৬০ টাকা ফেলে রাখাতেই ছোট বোনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমার মন ভরে গেল। আমি প্রকাশ্য রাস্তায় হাওয়াই চটি পরা আমার ৫ বছরের ছোট বোনের পায়ে মাথা রেখে শাস্টাঙ্গে প্রনাম করলাম। বোন আমার মাথার উপর চটি পরা ডান পা রেখে আমাকে আশির্বাদ করে ব্যাঙ্গাত্মক সুরে বলল " তুই যেই কাজটা করতে যাচ্ছিস সেটাই কিন্তু তোকে ভাল মানায়।"- এই বলে ও টাকা পকেটে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে লাগল। আমি উঠতে উঠতে খেয়াল করলাম পাড়ার কয়েকটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমার মামাতো বোনকে প্রনাম করা দেখছিল! যাই হোক, আমার হাতে বেশি সময় নেই। ১০ দিনের মধ্যে আমাকে ২০০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে মুম্বাই যেতে হবে নিজের স্বপ্ন সত্যি করতে। আমার প্রভু, আমার ভগবান আলিয়ার পার্সোনাল চাকর হতে পারলে এই জীবনে আর কিছু চাই না আমার। সেই সাথে মাইনের পুরো টাকাটাও আমি পাঠিয়ে দেব আমার স্বার্থপর মামি আর তার মেয়েকে। আমার কষ্টের টাকায় ওরা ফুর্তি করতে পারবে। ভাবতে ভাবতে আমি সাইকেল চালাতে শুরু করলাম। মে মাসের প্রবল তাপপ্রবাহ, মারন ব্যাধী আর লক ডাউন উপেক্ষা করে আমার গন্তব্য এখন ২০০০ কিমি দূরের মুম্বাই! 2.... ভগবান দর্শনের স্বপ্ন মানুষকে দিয়ে অনেক অসম্ভব কাজই করিয়ে নিতে পারে। আর আমার সামনে শুধু ভগবান দর্শনের স্বপ্ন ছিল না, ছিল নিজের হাতে আমার ভগবান আলিয়ার সেবা করার স্বপ্ন, ভগবান আলিয়ার পায়ে মাথা রেখে প্রনাম করার স্বপ্ন! সেই স্বপ্নের জোরে লকডাউনের মধ্যে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রবল গরমের মধ্যে শুধু শুকনো পাঁউরুটি আর কলের জল খেয়ে ১০ দিনের মধ্যে ভাঙা সাইকেল চেপে আমি ২০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে মুম্বাই চলে এলাম। আমার যাত্রা একদমই সহজ ছিল না। তবু ইন্টারভিউয়ের আগের রাতে ঠিক ২ টোর সময়ে আমি আলিয়ার বাড়ির সামনে পৌছালাম। বাড়ি তো না, বিশাল এক রাজপ্রাসাদ যেন। আর আমার চোখে সেটা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র মন্দির। যেখানে আমার পুজনীয় দেবী আলিয়া বাস করে! আলিয়ার বাড়ির সামনে পৌছে নিশ্চিন্ত হলাম। পরদিন সকাল ১১ টায় ইন্টারভিউ। আমি রাস্তার ফুটপাথে পথ কুকুরের পাশেই আমার ব্যাগটা মাথায় দিয়ে কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়ে নিলাম। সকাল হতে দেখি অন্তত ১০০০ জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছে। বলিউডের স্বপ্নের নায়িকার সেবা করার স্বপ্ন তো আছেই, তা ছাড়া লকডাউনের মধ্যে মাসে ১৫০০০ টাকা মাইনের চাকরি আর কোথায়ই বা পাবে গরীব মানুষে? তাই এত ভিড়। আলিয়ার অফিস থেকে সবাইকে একটা করে ফর্ম দেওয়া হল ফিল আপ করার জন্য। সেখানে নাম, পরিচয়, বয়স, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত চাকরের কাজের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চেয়েছে। শেষেরটা দেখে আমার ভয় হতে লাগল। আমার তো এ কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে কি আমার স্বপ্ন পুরন হবে না? জানতে পারলাম ১০০০ জনের বেশি চাকরি প্রার্থীর মধ্যে থেকে মোট ২ জন পুরুষ ও ২ জন মেয়েকে চাকরের পোস্টে নিয়োগ করা হবে। ফর্ম দেখে মোট ১০ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়েকে প্রাথমিক ভাবে বাছাই করে শুধু তাদেরই ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। দুপুর ১ টায় অঘটনের খবর পেলাম। যাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে তাদের নামের লিস্ট টাঙিয়ে দেওয়া হল। তার মধ্যে আমার নাম নেই। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরল। মনে হল আমার জীবনের আর কোন উদ্দেশ্য নেই। আমার প্রভু আমার আরাধ্যা দেবী আলিয়ার সেবা করা তো দূর, এতদূর এসেও তাকে একবার স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্যও হল না আমার। তাছাড়া মামাতো বোন মিমিকেও যে আমি কথা দিয়েছিলাম চাকরি পেয়ে প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকার পুরোটা আমি ওকে পাঠিয়ে দেব সেটাও তো আর সম্ভব হবে না। আমার রক্তজল করা টাকায় আমার সেলফিশ সুন্দরী বোনের মুখে হাসি ফোটাব সেটাও করতে পারলাম না। সত্যি, কি অযোগ্য আমি! নিজের উপরে খুব রাগ হচ্ছিল আমার। ভিশন কষ্ট হচ্ছিল। কিছু করার শক্তিও ছিল না আর। রাস্তার ধারে গিয়ে দেখি আমার পুরনো সাইকেলটাও নেই, কেউ চুরি করে নিয়েছে। আমার পকেটে পরে আছে ২০০ টাকা মাত্র। বাড়ি থেকে এত দূরের শহরে সম্পুর্ন কপর্দক শুন্য আমার বাঁচার আর কোন আশাই নেই। অবশ্য নিজে বাঁচার তেমন কোন ইচ্ছা আমার কোনদিনই নেই। আমার দুঃখ হল ক্ষুদ্র তুচ্ছ নগন্য এই আমি না সুযোগ পেলাম প্রভু আলিয়ার সেবা করার না মিমির কাছে টাকে পাঠিয়ে মিমি আর মামিকে খুশি করতে পারলাম। এ জীবন রেখেই বা কি লাভ আমার? হতাশ হয়ে রাস্তার ফুটপাথে শুয়ে পরলাম আমি। সারাদিন এভাবেই শুয়ে রইলাম। দুপুরের পর খাবার তো দূর, জলও স্পর্শ করি নি আমি। দুঃখ, ক্লান্তি, ভয়ানক মানসিক যন্ত্রনা থেকে আমি প্রায় অচেতন হয়ে ফুটপাথে শুয়ে রইলাম সারারাত। হয়ত এখানে শুয়ে এভাবে মৃত্যুই আমার ভবিষ্যত! ভোর ৬ টা নাগাদ হঠাত বাড়ির ভিতর থেকে একজন এসে আমার পাশে দাঁড়াল। মেয়ে। বয়স আমার মতই হবে ২২-২৩। ফর্শা, সুন্দর চেহারা। পরনে টপ, জিন্স। পায়ে সাদা মোজা আর সাদা স্নিকার্স। আমার পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইল, হাতে ধরা একটা ফর্মের দিকে কি যেন দেখল। তারপর আমাকে জিজ্ঞাসা করল "তোর নাম কি?" আমি বললাম " রাজু দাস ম্যাডাম।" জবাবে মেয়েটি কোন কথা না বলে নিজের জুতো পরা ডান পা টা আমার মুখের উপরে তুলে দিল। আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার মুখের উপরে নিজের জুতোর তলা ঘসতে লাগল আমার অচেনা প্রায় সমবয়সী সুন্দরী এই মেয়েটি। আমার কি যে ভাল লাগল বলে বোঝাতে পারব না। ১০-১৫ সেকেন্ড পরে আমি মেয়েটির জুতো পরা ডান পা টা দুই হাত দিয়ে নিজের মুখের উপরে আলতো করে চেপে ধরে ওর জুতোর তলায় চুম্বন করতে লাগলাম। এভাবে এক মিনিট কাটতে মেয়েটি আমার মুখ থেকে পা সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, " আমার নাম মিশা মুখার্জি। আমি আলিয়া ম্যামের পার্সোনাল সেক্রেটারি। তুই ভিতরে আয়। কথা আছে তোর সাথে।" আনন্দে আমার হৃদপিন্ড বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম হল প্রায় এই কথা শুনে। আমি কেন জানি মিশার পিছনে বেশ কিছুটা এগোলাম ৪ হাত পায়ে, ঠিক কুকুরের মত। মিশা আমাকে নিয়ে মূল "রাজপ্রাসাদের" বাইরে একটা অফিসে নিয়ে এল। নিজে গদি মোড়া চেয়ারে বসতে আমি ওর পায়ের কাছে মেঝেতে বসলাম। মিশা আমার মুখে একটা লাথি মেরে বলল 'আমার পায়ের নিচে শুয়ে পর।" আমি শুতে মিশা আমার মুখের উপরে জুতো পরা পা দুটো তুলে দিয়ে বলল, " আমার পা টিপে দে এবার।' আমি ভিশন খুশি মনে আমার মুখের উপরে রাখা মিশা ম্যামের জুতো পরা পা দুটো টিপে দিতে লাগলাম। সত্যি, আলিয়া ম্যামের পার্সোনাল সেক্রেটারি মিশা ম্যামের মত এত সুন্দরী একজন মেয়েকে এইভাবে সেবা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হতে লাগল। আমি ক্লান্ত শরীরে খুব মন দিয়ে মিশা ম্যামের পা দুটো টিপতে লাগলাম আর মিশা ম্যাম নিজের মোবাইল ইউজ করতে করতে আনমনে আমার মুখের সর্বত্র নিজের জুতোর তলা ঘসতে লাগল। এভাবে ১৫-২০ মিনিট কাটার পরে মিশা ম্যাম আমার মুখে লাথি মেরে বলল, " উঠে বস। কথা আছে।" আমি উঠে মিশা ম্যামের পায়ের কাছে বসলাম আবার। "তোর পরিচয় দে। আর কোথা থেকে কিভাবে আর কেন এই ইন্টারভিউ দিতে এলি বল।" আমি সংক্ষেপে নিজের জীবনের কথা, কোন পরিস্থিতিতে কত কষ্ট করে ভাঙা সাইকেলে করে ২০০০ কিমি পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছি সেটা বললাম। মিশা ম্যাম বলল, " চাকর নিয়োগ অলরেডি কম্পলিট হয়ে গেছে। তারপর কাল রাতে হঠাত আমার তোর ফর্ম টা চোখে পরে বাঙালি দেখে। এরপরে তুই ২০০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে এসেও চাকরির ইন্টারভিউয়েও ডাক পেলি না ভেবে খারাপ লাগে। আমি আলিয়া ম্যামের সাথে গিয়ে একবার কথা বলি। আলিয়া ম্যাম সব শুনে বলে তার আর চাকর লাগবে না। তবে তুই রাজি হলে ম্যাম তোকে পার্সোনাল স্লেভ বানাতে পারে। তুই স্লেভ মেন্টালিটির কিনা দেখার জন্যই আমি তোর মুখের উপর জুতো পরা পা রেখে তোকে দিয়ে পা টিপিয়ে পরীক্ষা করে নিলাম আগে। সেই পরীক্ষায় তুই পাশ করেছিস। এখন তুই চাইলেই সারা দেশের ড্রিম গার্ল আলিয়ার স্লেভ হতে পারিস। তোর মানুষের মত কোন অধিকার আর থাকবে না স্লেভ হলে। আলিয়া বা তার বান্ধবীরা ইচ্ছা হলেই তোকে চাবুক মারবে, বুট পরা পায়ে মুখে লাথি মারবে। জুতো চাটিয়ে পরিস্কার করাবে। ইচ্ছা হলেই কোন কারন ছাড়াই না খাইয়ে বেঁধে ফেলে রাখবে ঘরের এক কোনায়। ম্যামের ইচ্ছা হলে সারাদিন এক ফোটা জলও খেতে না দিয়ে তোকে দিয়ে সারাদিন রৌদ্রের মধ্যে কঠোর পরিশ্রমের কোন কাজ করাবে। আর এর বদলে এক টাকাও মাইনে পাবি না তুই। যতদিন বাঁচবি আলিয়া ম্যামের স্লেভ হয়ে তার জুতোর তলায় থাকবি। বল, তুই রাজি?" আনন্দে আমার চোখে জল চলে আসল। এ তো আমার স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর পরিনতি হচ্ছে আমার। তবে একটা শর্ত মানতে কষ্ট হল আমার। স্লেভ কোন মাইনে পাবে না এটা এমনিতে খুবই স্বাভাবিক। আমি আলিয়া ম্যামের স্লেভ মানে তার সম্পত্তি। সেখানে মাইনের কোন প্রশ্নই নেই। কিন্তু আমি যে আমার বোন মিমিকে কথা দিয়েছি ওকে মাস গেলে ১৫০০০ করে টাকা পাঠাব? ছোট থেকে তুচ্ছ কারনে আমার উপরে অত্যাচার করে আসা ছোট বোনকেও তো আমি ভিশন রেস্পেক্ট করি। টাকা পাঠিয়ে তার এটুকু সেবা করা থেকে বঞ্চিত থেকে যাব আমি তাহলে? আমি মিশা ম্যামের দিকে হাত জোড় করে মনের কথা বললাম। মিশা ম্যাম বলল এখন ১০ দিন তোকে আলিয়া ম্যামের ডগ শেল্টারে কুকুরদের সাথে কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। ১ জুন আলিয়া ম্যাম তোর সাথে দেখা করবে। তখন ম্যামকে বলিস এই কথা। দেখ তোর প্রভু আলিয়া ম্যাম কি বলে। এই বলে মিশা ম্যাম আমার গলায় একটা ডগ কলার পরিয়ে দিল। তারপরে আমার কলার ধরে কুকুরের মত আমাকে নিয়ে চলল ভগবান আলিয়ার রাজপ্রাসাদের পিছন দিকে। সেখানে লম্বা একটা বিল্ডিং এ পরপর ছোট ছোট ঘরে বিভিন্ন বিদেশী কুকুর বাঁধা আছে। সেরকমই একটা খুপরী ঘরে আমার স্থান হল। চারদিকে বিশাল চেহারার বিভিন্ন বিদেশী কুকুর। এদের মধ্যেই ডগ ফুড খেয়ে আমাকে ১০ দিন কাটাতে হবে। সত্যি, জীবন আমাকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এল! রাজ্যের শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে শেষে আমি ২০০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে এলাম ক্লাস ১০ ফেল বড়লোকের সুন্দরী মেয়ে বলিউডের হিরোইন আলিয়ার চাকর হওয়ার চাকরি করার জন্য। আর এখন আমাকে ১০ দিন কুকুর হয়ে কুকুরদের সাথে কুকুরের খাবার খেয়ে থাকতে হবে ১০ দিন পর আলিয়া ম্যামের স্লেভ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য। সত্যি বলতে নিজের এই পরিনতির জন্য আমার গর্বই হতে লাগল। আলিয়া ম্যাম আমার চোখে স্বয়ং ভগবান। তার স্লেভ হতে পারার চেয়ে বড় আর কি হতে পারে আমার জীবনে। শুধু আমার মামাতো বোন মিমিকে পাঠানোর মত কিছু টাকা দয়া করে আলিয়া ম্যাম দিলেই আমার এ জীবনে আর চাওয়ার কিছু নেই। রাজু ৩..... পরের ১০ দিন আমার ওই ডগ শেল্টারেই কাটল। ছোট একটা ঘরে গলায় কলার বাঁধা অবস্থায় পরে থাকা আর দিনে ৪ বার ডগ ফুড খাওয়া এই ছিল আমার কাজ। যদিও রোজ বিকালে আমাকে মিশা ম্যাম ৩০ মিনিটের জন্য ওয়াকে নিয়ে যেত। মিশা ম্যামের হাতে ধরা থাকত আমার গলায় বাঁধা ডগ কলার। ম্যামের হাতে থাকত একটা লম্বা বেত। আমি ম্যাডামের পিছন পিছন চার হাত পায়ে হাঁটতাম ঠিক কুকুরের মত। কোন কারনে আমি পিছিয়ে পরলে কখনো ম্যাম হাতের বেত দিয়ে আমার পিঠে মারত। কখনো আবার জুতো পরা পায়ে সোজা লাথি মারত আমার মুখে। আমি আদর্শ প্রভুভক্ত কুকুরের মত মিশা ম্যামের জুতোয় মাথা ঘসে ক্ষমা চেয়ে আবার চার হাত পায়ে চলতে শুরু করতাম। ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন + ট্রেনিং এর শেষে আমি একজন শিক্ষিত মানুষ নাকি সত্যিই কুকুর সেটাই আমার গুলিয়ে যেতে লাগল! ১ জুন আসতে সকাল থেকে আমি খুব এক্সাইটেড হয়ে রইলাম। আজ হয়ত আমার ভগবান দর্শনের স্বপ্ন সফল হবে! আমার স্বপ্নের দেবী আলিয়ার পায়ে কিভাবে প্রভুভক্ত কুকুরের মত মাথা ঘসব সেই স্বপ্নে বিভোর হয়েই আমার সারাদিন কাটল। বিকালে মিশা ম্যাম আমাকে ওয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিতে এল। আমার যেন তখন আর তর সইছিল না। আমি মিশা ম্যামের জুতোয় মাথা ঘসলাম একটু। তারপর ম্যামের দুই পায়ের জুতোর উপর একের পর এক চুম্বন করতে করতে জিজ্ঞাসা করলাম, " ম্যাম, আমার প্রভু আলিয়া ম্যামের দেখা কখন পাব আমি?" মিশা ম্যাম আমাকে কথা বলতে শুনে ভিশন রেগে গেল। আমাকে লাথি মেরে সোজা করে শুইয়ে আমার মুখের উপরে একের পর এক লাথি মারতে মারতে বলল, " তুই এখন একটা কুকুর। তুই ইচ্ছা হলে যত খুশি ঘেউ ঘেউ করতে পারিস, কিন্তু কোন কথা বলবি না। বুঝলি কুত্তা?" আমি আমার মুখের উপরে জোরে জোরে লাথি মারতে থাকা মিশা ম্যামের জুতো পরা ডান পা টা নিজের মুখের উপরে চেপে ধরে ম্যামের জুতোর তলায় একের পর এক চুম্বন করতে লাগলাম। খুব ইচ্ছা করছিল সরি বলে ক্ষমা চাইতে। কিন্তু, হায়! আমি যে কুকুর মাত্র! কোন কথা বলার উপায় নেই আমার!! ওয়াকের পর ম্যাম আমাকে আবার ঘরে রেখে গেল। আবার অনন্ত অপেক্ষা। রাত ৮.৩০ এ মিশা ম্যাম আবার এল। এসেই আমার গলার ডগ কলার ধরে বলল " তোর দেবী, তোর প্রভু আলিয়া ম্যাম তোকে নিয়ে যেতে বলল। কুকুরের মত যাবি। কুকুরের মতই আচরন করবি। আলিয়া ম্যাম কুকুর থেকে স্লেভ হতে বললে তখন কথা বলতে পারবি। তার আগে অবধি ঘেউ ঘেউ ছাড়া আর কোন শব্দ করবি না।" আমি যে কি খুশি হলাম বলে বোঝাতে পারব না। মিশা ম্যামের পায়ের সাদা স্নিকারের উপর চুম্বন করে নীরবে ম্যামকে ধন্যবাদ দিলাম। তারপর কুকুরের মত মিশা ম্যামের পিছন পিছন চার হাত পায়ে চলতে লাগলাম। ডগ শেল্টার থেকে বেরিয়ে ঢুকলাম সেই রাজপ্রাসাদ বা পবিত্র মন্দিরে যেখানে আমার পুজনীয় দেবী আমার প্রভু আলিয়া বাস করে। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশান এই এত্তবড় বিল্ডিং টা। লিফটে করে বিল্ডিং এর চার তলায় এসে পৌঁছালাম এক বিশাল হল ঘরে। কি সুন্দর দামী আসবাব দিয়ে সাজানো সে হলঘর। চোখ জুড়িয়ে যায় যেন। মিশা ম্যাম গিয়ে একটা সোফায় বসল। আমি ম্যামের পোষা কুকুরের মত ম্যামের জুতোর উপরে মাথা ঘসতে লাগলাম। ম্যাম একটু পরে জুতো পরা বাঁ পা টা আমার মাথার উপরে তুলে আমার মাথায় জুতোর তলা ঘসে আমাকে আদর করতে লাগল। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর এল সেই কাঙ্ক্ষিত মূহুর্ত। ঘর আলো করে ঘরে প্রবেশ করল এ দেশের অন্তত কয়েক কোটি মানুষের আরাধ্যা দেবী আলিয়া। ম্যাম এসে তার নরম গদি মোড়া আসনে বসে মিশা ম্যামের জুতোর নিচে থাকা আমাকে আগ্রহ নিয়ে দেখতে লাগল। তারপর মিশা ম্যামকে জিজ্ঞাসা করল, " Misha di , this is my slave, right?" " Yes mam" এই বলে মিশাদি আমার মাথায় আলতো করে একটা লাথি মেরে বলল " এই কুত্তা, তোর প্রভুর কাছে যা"। আমি চার হাত পায়ে আমার থেকে ২০ হাত দূরে থাকা প্রভু আলিয়ার দিকে যেতে যেতে শুনলাম প্রভু আলিয়া মিশাকে বলছে " Please don't call me mam Misha di.' প্রভু আলিয়াকে আমি খুব ক্রুয়েল ও ডমিনেটিং বলে কল্পনা করেছিলাম। মিশার উদ্দেশ্যে তার এরকম কথা শুনে আমার অদ্ভুত লাগল। তাহলে কি প্রভু আলিয়া বেশিরভাগ মেয়ের মতই সফট? আমার মনে আসা এই সন্দেহ যে কতটা ভূল সেটা প্রভু আলিয়ার পায়ের কাছে পৌছাতেই বুঝতে পারলাম। প্রভু আলিয়ার পরনে ছিল সাদা একটা টপ আর ফেডেড জিন্স। পায়ে মোজা আর কালো এক জোড়া চামড়ার বুট। ম্যাম বাইরে থেকে ফিরল সবে দেখে মনে হয়। আমি প্রভু আলিয়ার পায়ের এক হাত দূরত্বের মধ্যে আসতেই আমার বহু বছরের আরাধ্যা দেবী আলিয়া তার কালো বুট পরা ডান পায়ে আমার মুখে ভিশন জোরে একটা লাথি মারল। আমি বুঝলাম ম্যামের সফট কর্নার শুধু তাদের জন্য যারা তার যোগ্য। যেমন মিশা ম্যাম। আমাদের মত low creature দের জন্য ম্যাম extremely cruel. মুখে বুট পরা পায়ের লাথি খেয়ে আমি উলটে পরলাম মেঝেতে। প্রভু আলিয়া হাসি মুখে এগিয়ে এসে আমার মুখের উপরে বুট পরা ডান পা টা তুলে দিল। মিশা ম্যাম এগিয়ে এসে ততক্ষনে প্রভুর হাতে একটা চাবুক তুলে দিয়েছে। প্রভু আলিয়া আমার মুখের উপরে বুট পরা পা রেখে আমার বুকের উপরে একের পর এক চাবুকের বারি মারতে লাগল। এই প্রবল যন্ত্রনাও আমার যে কি ভাল লাগছিল বলে বোঝাতে পারব না। আমার স্বপ্নের দেবী আলিয়া আমার মুখের উপরে বুট পরা পা রেখে দাঁড়িয়ে আমার বুকে চাবুক মারছে আমার তখনো যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি দুই হাতে প্রভু আলিয়ার বুট পরা ডান পা টা নিজের মুখের উপরে চেপে ধরে প্রভুর জুতোর তলায় চুম্বন কিরতে লাগলাম। তারপর জিভ বার করে পোষা কুকুরের মতই আমার প্রভু আলিয়ার বুটের তলা চাটতে লাগলাম। নিজের সৌভাগ্য তখনো আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। কি যোগ্যতা আছে আমার প্রভু আলিয়ার জুতো চাটার? প্রভুর হাতে চাবুকের বারি খাওয়ার? নেই। তবু আমার প্রার্থনায় সারা দিয়ে ভগবানের অবতার বলিউডের নায়িকা প্রভু আলিয়া আমাকে তার সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। ৩-৪ মিনিট আমার বুকে চাবুক মেরে প্রভু আলিয়া চাবুকটা ছুঁড়ে ফেলে দিল। তারপর আমার মুখের উপরে রাখা বুট পরা ডান পা তুলে আমার মুখের সর্বত্র একের পর এক লাথি মারতে লাগল। শক্ত চামড়ার বুট পরা পায়ের একের পর এক লাথি খেয়ে যন্ত্রনায় আমি চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলাম। তবু সেই যন্ত্রনা আমার মনের আনন্দ কমাতে পারল না। স্বয়ং ভগবানের অবতার আলিয়া যদি এইভাবে আমার মুখে বুট পরা পায়ে লাথি মারতে মারতে আমাকে প্রানে মেরে ফেলে তার চেয়ে আনন্দের কি হতে পারে আমার কাছে। শুধু একটাই দুঃখ থেকে যাবে। আমার মামাতো বোন মিমিকে কথা দিয়েও মাসে মাসে টাকা পাঠাতে না পারার কষ্ট। আমার স্বার্থপর সুন্দরী কাজিন বোনটাকেও তো আমি খুবই ভক্তি করতাম! আমার মুখের উপরে বুট পরা দুই পায়ে অন্তত ১০০ টা লাথি মারল প্রভু আলিয়া। তারপর আবার গিয়ে নিজের গদি দেওয়া নরম চেয়ারে বসে আমাকে হিন্দি ও ইংরেজি মিশিয়ে বলল বলল, " জানি, তোর যোগ্যতা নেই। তবু আমি তোকে সুযোগ দিচ্ছি। আমার প্রতি তোর মনের যত ভক্তি আছে ৫ মিনিট ধরে প্রকাশ কর। তবে কুকুরের মত করে। কোন কথা বলবি না এখন।" আমি প্রবল ভক্তিতে প্রভুর বুট পরা পা দুটো নিজের দুই হাতের তালুর উপরে তুলে নিলাম। তারপর চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিতে লাগলাম প্রভুর দুটো জুতোকে। ৫ মিনিটে অন্তত ১০০০ বার চুম্বন করলাম আমার আরাধ্যা দেবী আলিয়ার দুই বুটের উপরে। ৫ মিনিট পরে প্রভু আলিয়া বলল, " এবার তোকে কুকুর থেকে আমার ক্রীতদাস হওয়ার অনুমতি দিলাম। এবার তুই আমার প্রশ্নের জবাব দিতে পারিস। বিনা পারিশ্রমিকে আমার ক্রীতদাস হতে রাজি তো তুই? তোর কিন্তু কোন অধিকার থাকবে না। ইচ্ছা হলে খেতে দেব। নাহলে না খাইয়ে দিনের পর দিন কাজ করাব তোকে দিয়ে। ইচ্ছা হলে লাথি মারতে মারতে মেরেও ফেলতে পারি তোকে। একবার স্লেভ কন্ট্রাক্টে সই করলে আর না করতে পারবি না। তাই ভেবে বলবি।" এটা আমার কাছে স্বপ্নের মত অফার। তা স্বত্ত্বেও আমি কি করে বোনের কথা ভুলি? আমি তাই প্রভুর পায়ে মাথা রেখে বললাম " এটা আমার কাছে স্বপ্ন প্রভু। তুমি আমার কাছে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং ভগবান। তোমার লাথি খেয়ে মারা যাওয়ার মত সৌভাগ্য আর কি হতে পারে আমার কাছে প্রভু? তবুও এই অধমের একটা আর্জি আছে। যদি একটু অনুগ্রহ করে শোনেন। " প্রভু আমাকে বলার অনুমতি দিলে আমি বললাম, " আমি অনাথ প্রভু। আমি মামার বাড়িতে থাকি। আমার মামাতো বোন খুব সুন্দরী ও স্বার্থপর। কিন্তু তাকেও আমি খুব শ্রদ্ধা করি। তাকে আমি কথা দিয়েছিলাম চাকরের চাকরি পেলে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা আমি তাকে পাঠাব। প্রভু, তোমার সেবা করার স্বপ্ন তো ছিলই, সাথে আমার কষ্টের টাকায় আমার নিষ্ঠুর সুন্দরী বোন ফুর্তি করবে এই স্বপ্ন নিয়ে এখানে এসেছিলাম। সেটা ব্যর্থ হলে আমার বোনের ফুর্তি করার টাকা থাকবে না এটাই আমাকে আসল কষ্ট দিচ্ছে।" তোর বোন কিরকম স্বার্থপর? কতটা নিষ্ঠুর? বল, শুনে দেখি।" আলিয়া ম্যাম আমার কাঁধে তার বুট পরা পা দুটো রেখে বলল। লক্ষ্য করিনি কখন মিশা ম্যাম এসে আমার পিছনের টেবিলে বসেছে। এবার সে আমার পিঠের উপরে তার স্নিকার পরা পা দুটো রেখে বলল, " সময় নিয়ে বল। লক ডাউনে আলিয়া ম্যামেরও তেমন কোন কাজ নেই। তাই শোনার অনেক সময় আছে।" আমি একটু দম নিয়ে বলতে শুরু করলাম। আমার জীবনের ইতিহাস ও তাতে আমার স্বার্থপর মামি ও তার মেয়ে মিমির অবদান। রাজু ৪... নিজের জীবনের এরকম ঘটনা হঠাত কারো সামনে বর্ননা করা সহজ নয়। তার উপর আলিয়া ম্যামকে বলতে গেলে হিন্দি বা ইংরেজিতে বলতে হবে। আমি জীবনে কখনো নন-প্রফেশনাল কথা বাংলা ছাড়া অন্য ভাষায় বলিনি। তার উপর এত দিনের ঘটনা কতটুকু বলব আর কতটা বলব না, সেটাও ঠিক করা কঠিন। ফলে আমি অসংলগ্ন ভাবে বিভিন্ন ঘটনা বলতে লাগলাম। ২ মিনিট যেতে না যেতেই আলিয়া ম্যাম জুতো পরা ডান পা তুলে আমার মুখে একটা সজোরে লাথি মেরে বলল, " তোকে প্রথম থেকে গুছিয়ে সব বলতে বলল না মিশাদি?" এই বলে আলিয়া ম্যাম এবার আমার মুখে বুট পরা বাঁ পায়ে আরও একটা লাথি মারল। আমি আমার মুখে লাথি মারা প্রভু আলিয়ার দুই বুট পরা পায়ের উপরেই একবার করে চুম্বন করে ক্ষমা চেয়ে আবার শুরু করলাম। আমার জন্ম পশ্চিম বাংলার অত্যন্ত গরীব এক পরিবারে। বাবা ছিল প্রভু আলিয়ার বাবার মালিকানাধীন এক কারখানার শ্রমিক। একদিন বাবা ৩০-৪০ ফুট উঁচুতে উঠে এক মেশিন চালাচ্ছিল। কারখানায় শ্রমিকদের প্রটেকশানের জন্য কোন ইকুইপমেন্ট দিত না। হাত ফস্কে গেলেই মৃত্যু। বাবারও সেদিন তাই হল। অত উঁচু থেকে নিচে পরে মাথা থেঁতলে ব্রেইন বাইরে বেরিয়ে এল। আমার মা বাধ্য হয়ে ৩ বছর বয়সী আমাকে নিয়ে মামাবাড়িতে চলে গিয়ে কারখানায় কাজ নিল। প্রভু আলিয়া আবার আমার মুখে কালো বুট পরা পায়ে লাথি মেরে বলল, " তোর বা তোর বাবার মত তুচ্ছ জানোয়ারের প্রটেকশানের পিছনে টাকা খরচ মানে ফালতু খরচ। সেই টাকা দিয়ে আমার মত মেয়ের জুতোয় সোনা আর ডায়মন্ডের ডিজাইন করা হচ্ছে সেই টাকার সঠিক প্রয়োগ। আমি থাকলে তোর বাবার থেঁতলানো মুন্ডু থেকে বেরিয়ে আসা ব্রেইন আমি আমার এই বুটের তলায় মারাতাম।" প্রভু আলিয়ার আমার বাবার সম্পর্কে এরকম মন্তব্য আমার প্রভুর প্রতি ভক্তি আরো বাড়িয়ে তুলল। আমি প্রভুর বুট পরা দুই পায়ের তলায় একাধিক বার চুম্বন করতে করতে বললাম, " ঠিক বলেছ প্রভু। " তারপর দুই হাতে প্রভুর পা দুটো ধরে প্রভুর বুটের তলায় নিজের মুখটা বাধ্য পোষা কুকুরের মত ঘসতে লাগলাম। ৩০ সেকেন্ড এরকম করার পরে প্রভু আলিয়া আমার মুখে আবার লাথি মেরে বলল, " নে, অনেক ভক্তি দেখিয়েছিস। আবার গল্প শুরু কর।" প্রভু আলিয়া আবার ওর পা দুটো আমার কাঁধে রাখল। আমি বলতে থাকলাম আমার জীবনের ঘটনা। আমার মা একটা শিপিং ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাজ নিল। এই কারখানার যৌথ মালিক প্রভু আলিয়ার বাবা আর প্রভু অনন্যার বাবা। আমার মামা তখন ভ্যান চালায়। যেভাবেই হোক মামার সাথে তখন তার চেয়ে বেশ খানিকটা ছোট আমার মামির পরিচয় হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের ফর্শা সুন্দরী মামির প্রেমে পরে তাকে কিছুটা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ১৬ বছর বয়সী মামিকে পালিয়ে বিয়ে করে ঘরে আনে মামা। তখন মামার বয়স ২৩ মত হবে। এর দুই বছর পরে আমার মামাতো বোন জন্ম নেয়। মামা যদিও মামিকে খুব ভালবাসত কিন্তু সেই ভালবাসার কোন দাম মামির কাছে কিছুদিন পর থেকে আর থাকে না। দরিদ্র স্বামীর ভালবাসার পরিবর্তে তাকে কথায় কথায় অপমান করত মামি। এমনকি আমাকে আর মাকেও করত। তার ভালবাসা একমাত্র পেত তার মেয়ে মিমি। বড় হতে হতে মিমি পুরোপুরি তার মায়ের মত হয়ে উঠতে থাকে। চেহারায় সে মামির থেকেও সুন্দরী হয়ে ওঠে। আর স্বভাবেও হতে থাকে মামির মতই। সেও পরিবারে শুধু নিজের মাকেই ভালবাসত আর নিজের বাবা, পিসি, আর কাজিন দাদা আমাকে তুচ্ছ চোখে দেখত ও যা ইচ্ছা বলে অপমান করত। এমনকি মামা না থাকলে আমার বা মায়ের গায়ে হাতও তুলত মামি আর তার মেয়ে মিমি। মা আমাকে বলত, ' দোষ তো আমাদের। প্রথমে দাদা মিথ্যা বলে ফাঁসিয়ে বৌদিকে বিয়ে করল। তারপর আমরাই তো বৌদির ঘর দখল করে আছি। তাই ওরা আমাদের যা খুশি বলার বা মারার অধিকার রাখে। তুই এখন সব মুখ বুজে মেনে চল আর মন দিয়ে পড়। বড় হয়ে ভাল চাকরি পেলে তোকে আর এসব সহ্য করতে হবে না।' মিমি যেমন ওর মায়ের থেকে ডমিনেটিং স্বভাব পেয়েছিল আমি তেমনই আমার মায়ের থেকে পেয়েছিলাম খুব সাবমিসিভ স্বভাব। আমাকে মামি বা মিমি যাই বলুক বা মারুক আমার খারাপ লাগত না। ওদের আঘাত দিয়েছি বা ওদের ঘাড়ে বোঝা হয়ে আছি ভাবলে খারাপ লাগত। আমি স্বপ্ন দেখতাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাকরি পেয়ে মামি আর মিমিকে অনেক ভালভাবে রেখে এর প্রতিদান দেব। এটাই ছিল আমার পড়াশোনা করার আসল অনুপ্রেরনা। এই অনুপ্রেরনাতেই আমি সরকারী স্কুলে পড়ে বিনা টিউশানিতেই একবারেই রাজ্যের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চান্স পেয়ে গেলাম। এত ভাল খবর পেয়ে আমার প্রথম রিএকশান ছিল মা আর মামার সামনেই মামি আর ছোট বোনের পায়ে মাথা রেখে প্রনাম করে বলা তোমরা আমাদের জন্য অনেক করেছ। ভাল চাকরি পেয়ে চার বছর পরেই আমি এর প্রতিদান দেব। এরপর থেকে রোজই আমি মামি আর মিমির পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করতাম। মিমি তো কিছুদিন পর থেকে আমার মাথার উপরে চটি পরা পা রেখে আমাকে আশির্বাদও করত। তবে ও বা মামি তখনো মামার সামনে খুব বেশি বাজে কথা বলত না বা মারত না আমাকে বা আমার মাকে। আসলে ভিতর থেকে পাত্তা না দিলেও যেহেতু মামার রোজগারেই তখনো সংসার চলত তাই ওরা বেশি ঝামেলায় যেত না। এই সত্যিটা আমি বুঝেছিলাম যেদিন আমি চাকরি পেলাম সেদিন। সব ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মতই আমাদের কলেজেও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের campus interview হল। আমি সেখানে মাসে ৮০ হাজার টাকার একটা চাকরি পেয়ে গেলাম। আমরা পাশ করার পরে এক বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে নতুন চাকরি পাওয়াদের কম্পানিতে নিয়োগ করা হবে। আমি যে কি খুশি হয়েছিলাম বলতে পারব না। বাড়িতে ফিরেই আমি মামির পায়ে মাথা রেখে শাষ্টাঙ্গে প্রনাম করলাম। মামি মনে করিয়ে দিল ' আমার দয়ায় খেয়ে পরে এখানে পৌছেছিস ভুলে যাস না। প্রতি মাসে মাইনে পেয়েও অর্ধেক টাকা আমার হাতে দিবি।' মা বলল, ' নিশ্চয়ই বৌদি। তুমি আর মিমি তার চেয়েও বেশি ডিজার্ভ কর।' এই বলে নিজের চেয়ে ৫ বছরের ছোট বৌদির পায়ে মাথা রেখে প্রনাম করে ধন্যবাদ দিল মা। এরপর আমাদের বেড়ার ঘরে এসে মা বলল, ' আমাদের উপর বৌদি আর মিমি যত দয়া দেখিয়েছে সেটা কিন্তু ভাল চাকরি পেয়ে ভুলে যাস না রাজু। তোর টাকার উপর তোর চেয়েও বেশি অধিকার ওদের। তুই যতই রোজগার কর, মামি আর মিমির কথায় এখন যেমন ওঠবস করিস, এরপরেও সারাজীবন তাই করবি। এতেই তুই সুখে থাকবি।' মায়ের কথা শুনে আমি যে কি খুশি হলাম বলে বোঝাতে পারব না। মা এর আগে বলত এখন কষ্ট কর। ভাল চাকরি পেয়ে আলাদা ভাল ঘরে থাকবি। আমি তাই চাকরি পেয়েও ভয় পাচ্ছিলাম মা আমাদের আলাদা থাকার কথা বলবে। অথচ, এখন তার উলটো কথাই বলছে। সত্যি, মামি আর মিমি আমাদের সাথে যতই খারাপ ব্যাবহার করুক, সেটা যে কারনেই হোক আমার খুব ভাল লাগে। মায়েরও লাগে হয়ত। নাহলে এখন আলাদা থাকার সুযোগ পেয়েও মা কেন তার বৌদি ও ভাইঝির কন্ট্রোলে থেকে তাদের হাতে অপমানিত হওয়ার লাইফ স্বেছায় বেছে নেবে? মায়ের কথায় আমি ভিশন খুশি হলাম আর কল্পনা করতে লাগলাম এরপর থেকে মামি আর মিমি আমাদের সাথে আরো খারাপ ব্যাবহার করবে। মিমি তখন বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিল। ও ফিরল রাত ৯ টায়। কি সুন্দর দেখতে আমার ১৫ বছর বয়সী ফর্শা বোনটাকে। লাল টপ, জিন্স আর পায়ে সাদা মোজা আর সাদা স্নিকার্স পরা বোনকে অসম্ভব সুন্দরী লাগছিল। বোন এসে চেয়ারে বসতেই আমি ভক্তি ভরে এগিয়ে এসে ওর পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসে ওর জুতো পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করে বললাম ' আমি একটা চাকরি পেয়েছি বোন।' বোন আমার মাথার উপরে জুতো পরা বাঁ পা রেখে আমাকে আশির্বাদ করে বলল ' বাহ, মাইনে কত?' আমি বললাম ' ৮০ হাজার।' আমি মাথা তুলে বসতেই বোন আমার আর ওর মায়ের সামনেই জুতো পরা ডান পায়ে আমার মুখে লাথি মেরে বলল ' জয়েন কবে হবে?' আমি বললাম অন্তত বছর দেড়েক দেরী আছে বোন। এখনো আমার ফোর্থ ইয়ার পড়া বাকি। তারপরে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে জয়েন হবে হয়ত।' ' এত দেরী শুনে বোন একটু অসন্তুষ্ট হল প্রথমে। তারপরে আমার মুখে আবার লাথি মেরে বলল, ' আমার পায়ের তলায় শুয়ে আমার পা টিপে দে।' আমি বোনের পায়ের তলায় শুতে বোন ওর জুতো পরা পা দুটো আমার মুখের উপরে তুলে দিল। বাইরে থেকে ফেরায় ওর জুতোর তলা ধুলো কাদায় ভর্তি। সেই নোংরা জুতোর তলার ময়লা আমার মামাতো বোন মিমি আমার মুখে ঘসে পরিস্কার করতে লাগল ওর আর আমার মায়ের সামনেই। আমার মা বা মামি কেউ কোন আপত্তি করল না! আমি বোনের জুতো পরা পা দুটো ভক্তিভরে টিপে দিতে লাগলাম আর বোন আমার মুখে জুতোর তলা ঘসতে ঘসতে কি যেন ভাবতে লাগল। একটু ভেবে বোন বলল ' ঠিক আছে। ৮০ হাজার টাকা অনেক। তুই প্রতি মাসে মাইনে পেয়েই পুরো টাকা আমার একাউন্টে ট্রান্সফার করবি। এরপরে তোর যাতায়াত খাওয়া এসবের জন্যও যে টাকা লাগবে সেটার জন্য আমার পায়ে ধরে রিকোয়েস্ট করবি। আমার ইচ্ছা হলে দেব, নাহলে দেব না। বুঝলি?'এই বলে বোন আমার ঠোঁটের উপরে একটা বেশ জোরে লাথি মারল। আমি আমাকে লাথি মারা বোনের ডান জুতোর তলায় একটা গাঢ় চুম্বন করে বললাম ' হ্যাঁ প্রভু।' মামি আমার মাস মাইনের অর্ধেক চেয়েছিল। আর তার মেয়ে পুরোটাই চাইছে। এই ১৫ বছর বয়সেই ও এত ডমিনেটিং হয়ে গেছে দেখে খুবই ভাল লাগছিল আমার। আমার মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে বসে আমাকে দিয়ে পা টেপাতে টেপাতে আমার মাইনের টাকার পুরোটাই দাবী করা মামাতো বোনকে আমার তখন স্বংং ভগবান বলে মনে হচ্ছিল। স্বয়ং ভগবান স্বর্গ থেকে নেমে এলে যতটা ভক্তি নিয়ে তার সেবা করতাম ততটাই ভক্তি নিয়ে আমি আমার সুন্দরী স্বার্থপর বোনের সেবা করতে লাগলাম আমার মা আর মামির সামনেই। রাজু ৫.... সেদিন মামা টোটো চালিয়ে ফিরল রাত ১০ টায়। তখনো বোন আমার মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে চেয়ারে বসে মোবাইল ঘাঁটছে। মামা এই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠল যেন। ' এ এ এসব কি হচ্ছে? এই মিমি, তুই... ' মা মামাকে কথা শেষ করতে না দিয়ে বলল, ' দাদা, রাজু খুব ভাল চাকরি পেয়েছে আজ। মাসে ৮০ হাজার টাকা মাইনে। আর মাত্র দেড় দুই বছর। তারপরে আমাদের আর কোন কষ্ট থাকবে না।' ' বাহ, এ তো খুব ভাল খবর। কিন্তু যে এত ভাল চাকরি পেল তার সাথে মিমি এটা কি করছে? জুতো শুদ্ধু পা একেবারে দাদার মুখের উপরে তুলে দিয়ে দাদাকে দিয়ে পা টেপাচ্ছে? তোরা কি দেখতে পাচ্ছিস না নাকি আমিই ভুল দেখছি?' ' না, তুমি ঠিকই দেখছ বাবা। আমার জুতো পরা পা দাদার মুখের উপরেই রেখেছি।' মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে খুব শান্ত স্বরে বলল মিমি।' ' কেন? পা কি দাদার মুখে রাখার জিনিস?' মামা খুবই রেগে যাচ্ছিল বাকি সবার নির্লিপ্ত আচরনে। ' দাদা, শান্ত হ। এত রাগের কিছু নেই। মনে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্সে ভাল rank করে রাজু প্রথম কি করেছিল? বৌদি আর মিমির পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম।' ' সেটাও আশ্চর্য। তবু মেনে নেওয়া যায়? কিন্তু এটা কি?' মামা রাগী গলায় প্রশ্ন করল। ' রাজু আমার আর মিমির পা ধরে কাতর গলায় অনুরোধ করে বলল, ' তোমাদের দয়ায় আজ আমি এখানে পৌছেছি মামি। আজকের এই আনন্দের দিনে প্লিজ তোমাদের সেবা করে তার প্রতিদান দেওয়ার সুযোগ দাও। প্লিজ!' এবার আজকের এত আনন্দের দিনে দাঁড়িয়ে যে ছেলেটা বছরের পর বছর এত কষ্ট করে আমাদের পরিবারের ভাগ্য বদলে দিল, তার এই অনুরোধটা ফেলে দিই কি করে বলো?' মামির মুখের মুচকি হাসিই বলে দিচ্ছে মামি এই কথা গুলো বানিয়ে বলে কতটা মজা পাচ্ছে?' ' রাজু নিজে অনুরোধ করেছে মিমিকে ওকে এইভাবে ট্রিট করতে? কেন? ও কি পাগল নাকি?' মামার গলায় অবিশ্বাসের সুর। ' পাগল দাদা নয়, পাগল তুমি বাবা। দাদা পাগল হলে তোমার মত টোটো চালাত, এত ভাল চাকরি পেত না। আমাদের মা মেয়েকে ভগবানের মত ভক্তি শ্রদ্ধা করে বলেই ও জীবনে কিছু করতে পেরেছে।' আমার মুখের উপরে নিজের জুতোর তলা ঘসতে ঘসতে আমার মামাতো বোন মিমি ওর বাবাকে বলল। মামা অনেকটা মিইয়ে গেল। তারপরেও আহত গলায় বলল, ' তোরা খুব স্বার্থপর মিমি। আমি জানি এসব তুই আর তোর মা মিলে করছিস রাজুকে নিজেদের কন্ট্রোলে রাখতে।' ' স্বার্থপর ওরা না দাদা। এই পরিবারে কেউ কখনো স্বার্থপর আচরন করলে সেটা তুই করেছিস। মিথ্যা বলে বৌদিকে বিয়ে করে। বৌদিকে এই গরীব পরিবারে এনে তুই বৌদিকে কত কষ্ট দিয়েছিস, মিমির মত একটা এত সুন্দর মেয়ে কত কষ্ট পেয়ে বড় হচ্ছে তুই জানিস?' অত্যন্ত সাবমিসিভ নরম স্বভাবের মাকে এরকম আক্রমনাত্মক গলায় তার প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল আপন দাদাকে আক্রমন করতে দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমার মা এটা করছে শুধুমাত্র যাতে নিজের ছেলেকে নিজের ভাইঝির জুতোর নিচে দেখতে পারে তার জন্য, ভাইঝি আর তার মা যাতে আমাদের কষ্টের বিনিময়ে ভবিষ্যতে ফুর্তি করতে পারে তার জন্য! ভাবতে অবাক লাগলেও ভিশন ভাল লাগল আমার। আমি আমার মামাতো বোন মিমির জুতোর তলায় গাঢ় চুম্বন করতে করতে ওর পা টিপে সেবা করতে লাগলাম মামা, মামি আর মায়ের সামনে। মামা কিছুক্ষন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। তারপরে অত্যন্ত আহত গলায় বলল, ' তুই আমাকে এটা বলতে পারলি বোন? হয়ত ভালবেসে হারানোর ভয়ে আমি ওকে মিথ্যা বলেছিলাম আমার পেশার ব্যাপারে। কিন্তু সেটাই কি সব? আমি তো ভাত কাপড়ের কোন অভাব হতে দিইনি ওদের? তুই কিছু না করলেও তোর বা রাজুর ভাত কাপড়ের অভাব হতে দিতাম না। আমি তোদের সবাইকেই খুব ভালবাসি। শুধু আমি খেটে খাওয়া গরীব বলে আমার ভালবাসার কি কোন দাম নেই কারো কাছেই?' এই বলে মামা মায়ের উত্তরের অপেক্ষা না করেই নিজের ঘরে চলে গেল। এরপর থেকে আমার বোন মা,মামি, মামা সবার সামনেই প্রকাশ্যে আমাকে এইভাবেই ট্রিট করতে লাগল। বাড়ির সবার সমর্থনের কারনে মামাও আর কিছু বলত না তেমন। একা চার জনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিই বা করবে সে? মামি আর মিমি মামার সামনেই আমাকে আর মাকে যা ইচ্ছা বলত যত ইচ্ছা গায়ে হাত তুলত। বোন তো বিনা কারনে রোজ মায়ের লম্বা চুল মুঠো করে ধরে আমার মায়ের দুই গালে একের পর এক থাপ্পর মারত। থাপ্পর মারা শেষ হলে মা তার ভাইঝির পায়ে মাথা রেখে প্রনাম করে তাকে ধন্যবাদ দিত। আর আমাকে তো বোন নিজের স্লেভের চোখেই দেখত। যখন খুশি চড় লাথি যা খুশি মারত। বাইরে থেকে ফিরে আমার মুখে আর জিভের উপরে ঘসে নিজের জুতোর তলা পরিস্কার করত বোন। আমার মুখটা ছিল ওর কাছে পাপোষ আর ফুটস্টুল মাত্র। আর বোন যত আমার সাথে সবার সামনে ক্রীতদাসের মত ব্যাবহার করত ততই ও আমার চোখে ভগবান হয়ে উঠতে লাগল। বোন বা মামি আগে আমার বা মায়ের সাথে এত খারাপ ব্যাবহার করত না, বিশেষ করে মামার সামনে। হয়ত তার রোজগারেই খেতে হবে বলে। কিন্তু আমি জয়েন করতে দেরী থাকলেও আমি চাকরি পাওয়ার পর থেকে মামাকে পাত্তা দেওয়া সম্পুর্ন বন্ধ করে দিয়েছিল মামি আর মিমি। হয়ত আমাকে সম্পুর্ন ওদের নিয়ন্ত্রনে এনে সম্পুর্ন স্লেভ করে তুলতে পারলে আমার মাইনের টাকায় ওরা যত খুশি ফুর্তি করতে পারবে এই কারনেই আরও বেশি এগ্রেসিভ হয়ে উঠেছিল মামি আর মিমি, বিশেষ করে মিমি। আর এই পরিবর্তনে আমি, মা, মামি, মিমি সবাই খুব খুশি ছিলাম। শুধু মামাই এই পরিবর্তন ঠিক মানতে পারছিল না। কথায় আছে কুকুরের পেটে ঘি আর গরীবের পেটে সুখ বেশিদিন সয় না। আমাদের তাই হল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে এ দেশে অন্য বহু দেশের মতই কোভিড নামের মহামারী হানা দিল। দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যে অনলাইন পরীক্ষা দিয়ে ডিগ্রী পেয়ে গেলাম বছরের শেষ দিকে। কিন্তু এর মধ্যে কম্পানি জয়েন করাবে তো? ২০২১ এর শুরুর দিকে কোভিড কম থাকায় খুব আশায় ছিলাম। কম্পানি থেকে অবশেষে মেল পেলাম ফেব্রুয়ারিতে। সব ঠিক থাকলে মে মাসে কলকাতাতেই চাকরিতে জয়েন করব আমি। কিন্তু কোথায় কি? এপ্রিলে দেশ জুড়ে কোভিডের পরের ঢেউ ভয়ানক হয়ে উঠল। মা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল। শিপিং ইন্ড্রাস্ট্রিতে বিনা প্রটেকশানে প্রায় ২০ বছর কাজ করায় মার ফুসফুস খুব দূর্বল হয়ে গিয়েছিল। মা আর কোভিডের ধাক্কা সহ্য করতে পারল না। এপ্রিলের ১৮ তারিখ মা মারা গেল। তার ৪-৫ দিন আগে থেকেই মা খুব অসুস্থ হয়ে পরেছিল। সেই অবস্থাতেই মা ১৪ তারিখ ফোনে আমাকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করাল চাকরিতে জয়েন করে যেন আমি মামি আর মিমিকে ভুলে না যাই। ওরা আমাদের জন্য অনেক করেছে। সেই কৃতজ্ঞতায় আমার ওদের ভগবানের চোখে দেখা উচিত। আর আমি এইভাবে চললেই সুখী থাকব। তাই আমি যেন নিজেকে ওদের পায়ের নিচেই রাখি চিরদিন। মৃত্যু পথযাত্রী মাকে আমি কথা দিলাম। কিন্তু হায়, ১৮ তারিখ আমার জীবনে দুটো ভয়ানক দু:সংবাদ এল। মেইল করে কম্পানি থেকে বলল কোভিড ও লকডাউনের মধ্যে প্রয়োজন না থাকায় আপাতত আমার চাকরি বাতিল হচ্ছে। পরে কখনো প্রয়োজন হলে জানানো হবে। আর বিকালে খবর এল মা আর বেঁচে নেই! তখন আমার মামাও কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। যদিও তার অবস্থা অত সিরিয়াস নয়। আমি বাড়ি ফিরে মামি আর মিমিকে আমার মায়ের মৃত্যু আর চাকরি যাওয়ার খবর একসাথে দিলাম। আমার মায়ের মৃত্যুতে তাদের যা প্রতিক্রিয়া হল সাধারন লোকে পাড়ার রাস্তার কুকুর মরলেও তার চেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়! কিন্তু আমার চাকরি যাওয়ার খবরে তাদের রিএকশান হল ভয়ানক। আমাকে কান ধরে টেনে এনে এক ধাক্কায় মেঝেতে ফেলে দিল মিমি। তারপর চটি পরা বাঁ পা আমার গলার উপরে রেখে উঠে দাঁড়িয়ে ডান পা দিয়ে আমার মুখে একের পর এক ভিশন জোরে জোরে লাথি মারতে মারতে বোন বলল, ' চাকরি নেই বললেই হল? তোর উপর বিশ্বাস করে বাবার সাথে পাঙ্গা নিয়েছি আর তার সেভিংসের সামান্য টাকাও উড়িয়েছি। এখন লকডাউনে বাবা বাড়ি ফিরেও টোটো চালাতে পারবে না। আমাদের ফুর্তি করা তো দূর, চলবে কি করে এখন? ইচ্ছা করছে তোর মুখে লাথি মারতে মারতে তোকে মেরে ফেলে তোদের অপদার্থ মা আর ছেলের লাশ ভাগাড়ে গিয়ে ফেলে আসি। আমার বোনের উপরে একটুও রাগ হচ্ছিল না। রাগ হচ্ছিল নিজের উপরে। আমি বোনের চটির তলায় চুম্বন করে ক্ষমা চাইতে চাইতে কথা দিলাম আমি ২-৩ মাসের মধ্যে চাকরি খুজে জয়েন করবই। যদিও জানতাম , সেটা সহজ কাজ নয়। মায়ের শেষকৃত্য করার জন্য মামা ঈর একাউন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলতে বলেছিল। মায়ের একাউন্টে ছিল তার ২০ বছর ধরে জমানো ৪৫ হাজার মত। মামি আর মিমি বলল সেই টাকা ওদের হাতে তুলে দিয়ে আমার মায়ের দেহ ভাগাড়ে ফেলে আসতে। আরও বলল জুন মাসের মধ্যে চাকরি জোগাড় করতে না পারলে লাথি মেরে বাড়ি থেকে বার করে দেবে। কোভিডে এত লোক মারা যাচ্ছিল আর সবার আর্থিক অবস্থা এত খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে অনেক লোকই কিছু না করে প্রিয় জনের লাশ গঙ্গার তীরে রেখে চলে আসছিল। আমিও মায়ের মৃতদেহ নিয়ে তাই করলাম। মায়ের মৃতদেহ সতকারে মন দেওয়ার চেয়ে তার শেষ আজ্ঞা পালন করা বেশি গুরুত্বপুর্ন মনে হল আমার। আর তার শেষ আদেশ ছিল নিজের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে আমার স্বার্থপর মামি আর তার মেয়ে মিমির সেবা করা! মামা রোগ সারিয়ে ফেরার পরে মামি আর বোন তার সামনে আমার সাথে ঠিক ততটাই খারাপ ব্যাবহার করত যতটা আমি চাকরি পাওয়ার আগে করত। কিন্তু মামা না থাকলে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ব্যাবহার করত। কিন্তু সে ব্যাবহার কয়েক মাস আগের মত নয়। তারা আমার উপরে আশাহত ছিল এটাই আমাকে আসল ব্যাথা দিত, তাদের মারা বা কটু কথা নয়। এরপরে আলিয়া ম্যামের চাকরের জন্য দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখে আমি ডেসপারেট হয়ে মে মাসের ১০ তারিখ বাড়ি থেকে ভাঙা সাইকেল চালিয়ে ২০০০ কিমি পথ পেরিয়ে মুম্বাই চলে এলাম। আমার এই জার্নিতে মামার সমর্থন না থাকলেও মামি আর মিমির সমর্থন ছিল। তারা শুধু আমার মাস পাইনে পেলেই খুশি ছিল। আমিও তাই। হয়ত সরাসরি তাদের আর সেবা করতে পাব না। কিন্তু তার চেয়ে তাদের টাকা পাঠিয়ে স্বচ্ছল জীবন কাটাতে সাহায্য করা আমার বেশি জরুরী মনে হল। আর মামি আর মিমির সরাসরি সেবা করতে না পারলেই বা কি? ভগবানের অবতার স্বয়ং প্রভু আলিয়ার চাকর হতে পারছি যেখানে আমি? এই বলে আমি আমার জীবনের গল্প শেষ করে আলিয়া ম্যামের দুই বুটের উপরে একবার করে চুম্বন করে তার মুখের দিকে তাকালাম। "বাহ! তোর বোন তো সত্যিই অসাধারন। ওকে তোর প্রভু আর আমার বোন হিসাবেই ভাল মানাবে যদিও। এই বলে সে মিশা ম্যামকে বলল, " মিশাদি, ওর বোন মিমির পুরো নাম,, ঠিকানা, ফোন নাম্বারটা নোট করে নিয়ে আমাকে দিও।" এই কথা বলে আমার মুখে লাথি মেরে উঠে দাঁড়িয়ে প্রভু আলিয়া আমাকে বলল, " এই স্লেভ। খাবার ঘরে চল আমাদের সাথে। আমি আর মিশাদি খাব আর তুই সার্ভ করবি প্রথমে। তারপরে আমাদের পরে থাকা এঁটো খাবার স্লেভের মত পরে খাবি তুই। নে,চল।" ( চলবে)।