Monday 1 April 2019

হ্যালুশিনেশন...

হ্যালুশিনেশন (লেখক: খোকা)।
শ্রাবন মাসের এক শনিবার রাত। বাইরে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে ভিশন জোরে। আমি ঘরের মেঝেতে হেলান দিয়ে বসে সুখে গাঁজায় টান দিচ্ছি। আজ পরিমানটা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেও থামতে ইচ্ছা করছে না। সকাল থেকেই লোডশেডিং। ইনভার্টারে এই ঘরে শুধু একটা ০.৫ ওয়াটের বালব সামান্য আলো ছড়াচ্ছে। আমার নেশায় ঢুলে পরা চোখে দেখছি একবার আলোটা অতি উজ্জ্বল আর আকারে বড় হয়ে উঠে ক্রমে নিভে যাচ্ছে ছোট হয়ে।একটু পরে আবার জ্বলে উঠছে। হ্যালুশিনেশন? অতিরিক্ত গাঁজা খাওয়ার ফলে আমার কি হ্যালুশিনেশন হচ্ছে? নাকি ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েট করছে বলে এরকম হচ্ছে সত্যিই?
ঠক, ঠক ঠক! কেউ কি দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে? নাকি আবার হ্যালুশিনেশন হচ্ছে আমার?
না! ওই তো!! আবার সেই আওয়াজ।
ঠক, ঠক ঠক!
সাথে এবার এক মহিলার মিষ্টি গলাও ভেসে এল। "কেউ আছেন? একটু হেল্প চাই। প্লিজ দরজা খুলুন।"
আমি উঠতে গেলাম। কিন্তু পারলাম না। গাঁজাটা আজ অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেছে। আমি উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। ওদিকে দরজার ঠক ঠক আওয়াজ এতক্ষনে জোর ধাক্কায় পরিনত হয়েছে।
সেই সাথে মহিলার মিষ্টি গলার আওয়াজ আমাকে যেন চুম্বকের মত আকর্ষন করছিল। আমি দুই পায়ে দাঁড়াতে না পেরে চার হাত পায়ে কুকুরের মত সামনের দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। দরজা ধরে কোন রকমে উঠে দাঁড়িয়ে আমি দরজার ছিটকিনি খুললাম।
সামনে এক মহিলা দাঁড়িয়ে। অন্ধকারে আমি তার বয়স ঠিক অনুমান করতে পারলাম না তখন।
" হঠাত গাড়িটার টায়ার পাংচার হয়ে গেল এখানে এসে। দুই ছোট মেয়েকে নিয়ে খুব বিপদে পরেছি। টায়ার পাল্টাতে একটু হেল্প করুন প্লিজ।" - মহিলা অনুরোধের সুরে বলল।
আমার তখন উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। কিন্তু এই মহিলাকে কি করে বলি আমি নেশাগ্রস্ত আছি?
" আ আমি টায়ার পাল্টাতে জানি না। প্লিজ আপনি অন্য কাউকে ডাকুন।" আমি আমতা আমতা করে বললাম।
" এখানে আশে পাশে আর কোন বাড়িতেই কেউ নেই তুমি ভালই জান। এক মহিলা তার দুই ছোট মেয়েকে নিয়ে অজানা জায়গায় বিপদে পরেছে জেনেও সাহায্য করতে চাইছ না। লজ্জা করে না?"
মহিলা ঠিকই বলেছে। এটি এখন একটা পরিত্যক্ত নগরী। আগে এটি ছিল এক শিল্প নগরী। অনেকটা এলাকা জুড়ে তৈরী হয়েছিল বিভিন্ন সরকারী শিল্প কারখানা। শ্রমিক থেকে ম্যানেজার বিভিন্ন পোস্টের হাজার হাজার লোকে এখানে কোয়ার্টার বা বাড়ি বানিয়ে থাকত ৩০-৪০ বছর আগে। তারপর দেশে ক্রমে 'গনতন্ত্র' মজবুত হল। জন্ম নিতে লাগল একের পর এক নেতা। লাল-নীল- হলুদ- সবুজ-সাদা-কালো - গেরুয়া কত রঙের 'আদর্শ' নামক মুখোশ তাদের। কিন্তু 'আদর্শ' আলাদা হলেও সবার উদ্দেশ্য সেই একটাই, সাধারন মানুষের পেটে লাথি মেরে নিজের আখের গোছানো।
তারা বিভিন্ন অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে আখের গোছাতে লাগল। কেউ কারখানার যন্ত্রপাতি থেকে জানলা দরজা সব বেচে দিল। কেউ বেচে দিল আস্ত কারখানা। ক্রমে একে একে বন্ধ হতে লাগল সব কারখানা। এলাকা থেকে লোকে অন্যত্র চলে যেতে লাগল রুজি রুটির আশায়। আমার বাবাও গিয়েছিল। কিন্তু আর ফিরে আসেনি। মাও ক্রমে সেই শোকে মারা যায়। আমি তখন ফিজিক্সে এমএসসি পাস করে বেকার বসে আছি। আমার চারদিকে এককালীন জীবন্ত নগর এখন মৃত নগরীর মত পরে আছে। আমার বাইরে কোথাও গিয়ে থাকার টাকা ছিল না। আমার বাড়ির এক কিলোমিটারের মধ্যে তখন আর কেউ থাকে না। সন্ধ্যা হলেই এক অদ্ভুত আতংক আমাকে ঘিরে ধরত যেন। আতংক কাটাতেই প্রথমে সিগারেট আর তার পরে গাঁজার নেশায় ডুবে গিয়েছিলাম। এক মৃত নগরীতে এক কাল্পনিক জগতে দিন কাটাতে কাটাতে আমার মাথায় অবাস্তব চিন্তা ভর করত। ক্রমে সেই চিন্তা থেকে হরর ও হরর-ফেমডম লেখা শুরু করি ইংরেজিতে। পেটের দায়ে কয়েকটা হরর-ইরোটিকাও লিখেছিলাম। বিভিন্ন সাইটে সেরকম গল্প বিক্রী করে আমার দিব্যি কেটে যেতে লাগে। এক মৃত নগরীতে হ্যালুশিনেটিং ড্রাগ আর সুপারন্যাচারাল হরর গল্পের চিন্তায় সেই থেকে প্রায় ১০ বছর এইভাবেই কাটিয়ে দিয়েছি আমি।
আমার নেশাগ্রস্ত মাথা যেন পুরনো চিন্তায় হারিয়ে গিয়েছিল। সম্বিত ফিরতে তাকিয়ে দেখি মহিলা গাড়ির কাছে ফিরে গিয়ে তার দুই মেয়েকে বাইরে বের হতে বলছে। তারা বেরোতে মহিলা বলল আমি সাহায্য করতে চাই না। তাদেরই টায়ার চেঞ্জ করতে হবে।
গাড়ি থেকে টায়ার ও কিছু টুলস বার করে তারা তিনজনেই পিছনের টায়ারের কাছে পৌঁছালো। হঠাত আকাশে প্রচন্ড জোরে বিদ্যুৎ চমকালো। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম ওদের তিনজনের মুখ। মহিলার বয়স আমারই মত, ৩৫ এর কাছাকাছি। তার বড় মেয়ের বয়স ১৪-১৫ আর ছোট মেয়ের ১১-১২।
তিনজনই রোগা ফর্শা অপরুপ সুন্দরী। এত সুন্দরী তিনজন মেয়ে এই বৃষ্টির মধ্যে নিজেরা টায়ার ঠিক করবে আর আমি সাহায্য করব না তা হতেই পারে না। মেয়েদের প্রতি চিরকাল সাবমিসিভ আমার মন আমাকে বোঝাল যেভাবেই হোক ওদের সাহায্য করতে হবে।
" সরি ম্যাডাম, আমি যাচ্ছি হেল্প করতে। আপনারা চিন্তা করবেন না।" এই বলে আমি দরজা ছেড়ে সামনের রাস্তার দিকে এগোতে গেলাম। কিন্তু অতিরিক্ত নেশার ফলে টাল সামলাতে না পেরে পরে গেলাম। প্রবল বর্ষনে আমি তখন ভিজতে শুরু করেছি। সেই অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়েই আমি ওদের গাড়ির দিকে এগোতে লাগলাম। ছোট মেয়েটির হাতে একটা টর্চ ধরা। সে সেটা আমার দিকে ফোকাস করে ধরল। আর এই অবস্থায় আমাকে চার হাত পায়ে ওদের গাড়ির দিকে এগোতে দেখে ওরা তিনজনেই কিছুটা শব্দ করে হাসতে লাগল। আমি যে নেশাগ্রস্ত, আমার পক্ষে যে দুই পায়ে হাঁটা সম্ভব না এখন, সেটা ওদের জানা না থাকায় আমার আচরন ওদের অতি অদ্ভুত ও হাস্যকর লাগছে বলেই বোধ হল।
"আমি এক্সট্রিমলি সরি ম্যাডাম। একজন পুরুষ থাকতে আপনারা কেন বৃষ্টিতে ভিজে টায়ার ঠিক করবেন? কিভাবে টায়ার চেঞ্জ করে আমাকে বলে দিন। আমি করে দিচ্ছি। আপনারা গাড়িতে উঠে বসুন। এভাবে ভিজলে আপনার আর আপনার বাচ্চাদের শরীর খারাপ হবে।"
মহিলা আবার হাসল। তারপর বলল " বৃষ্টিতে ভিজলে আমাদের কিছু হয়না। তুই এই টুলস গুলো পাশে নিয়ে পিছনের টায়ারের পাশে মাথা রেখে চিত হয়ে শো আগে।"
আমি মহিলার অর্ডার পালন করলাম সাথে সাথে। আমি শুতে মহিলা বলল " মিলি তুই ওকে বুঝিয়ে দে কিভাবে টায়ার চেঞ্জ করে। আর জুলি তুই টর্চ মেরে দেখ ও ঠিক করতে পারছে কিনা।" কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে বড় মেয়ে মিলি আমাকে বোঝাতে লাগল কিভাবে পুরনো টায়ার বের করে নতুন টায়ার লাগাবো। আমি ওর কথা শুনতে শুনতে বুকের উপরে কিসের যেন স্পর্শ পেলাম। বুট। ১৪-১৫ বছর বয়সী মিলি ওর চেয়ে ২০ বছরের বড় আমার বুকের উপরে লেদার বুট পরা ডান পা টা তুলে দিয়েছে। ঠিক তখনই একটা অদ্ভুত জিনিস দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। মহিলাটি প্যাকেট থেকে সিগারেট বার করে লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরালো। এই প্রবল বৃষ্টির মধ্যে! কিভাবে সম্ভব! সত্যিই কি এই প্রবল বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে ও? নাকি আমার হ্যলুশিনেশনের ফলে ভূল দেখছি আমি? শুধু সিগারেট ধরানোটাই হ্যালুশিনেশন? নাকি এই মহিলা ও তার দুই মেয়েকে নিয়ে যা দেখছি তার পুরোটাই হ্যালুশিনেশন? আসলে কিছুই নেই। গাঁজার নেশায় হয়ত পুরোটাই ভুল দেখছি আমি!
ঘোর ভাংলো কপালের উপরে আলতো আঘাতে। জুলি ওর লেদার বুট পরা ডান পা দিয়ে আলতো করে লাথি মেরেছে আমার কপালে।
" কি রে, দিদি বুঝিয়ে বলল তো। এবার কাজ শুরু কর।"
১১-১২ বছর বয়সী অচেনা মেয়ে জুলি তার তিন গুন বয়সী আমার কপালে বুট পরা পায়ে লাথি মেরে তুই সম্বোধন করে আমাকে প্রায় হুকুম করছে ফ্রিতে ওদের গাড়ি সারানোর জন্য!
মিলি আর জুলি ওদের বুট পরা পা আমার বুক আর কপালে তুলে দাঁড়ানোয় আমার একটুও খারাপ লাগেনি। কিন্তু জুলি ওর টর্চের আলো যেভাবে আমার মুখের উপরে ফেলেছিল তার জন্য আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। আমি " জ্বি ম্যাডাম, করছি" বলতে জুলি টর্চের আলো আমার মুখের উপর থেকে সরিয়ে টায়ারের উপরে ফেলল। কিন্তু ওর জুতো পরা ডান পা আলতো করে আমার কপালের উপর রেখেই দাঁড়িয়ে থাকল। আমি সেই অবস্থাতেই চুড়ান্ত নেশাগ্রস্ত মস্তিস্ক নিয়ে চেষ্টা করতে লাগলাম টায়ার বদলানোর।
আমি প্রথমে টায়ারের নাট লুজ করতে লাগলাম মিলির কথা মত। মহিলাটি সিগারেট টানতে টানতে দুই মেয়ের উদ্দেশ্যে বলল, " ও নেশা করে রয়েছে বুঝতে পারছিস নিশ্চয়ই। খেয়াল রাখিস নাট বেশি ঘুরিয়ে না ফেলে।"
ওদের মায়ের কথা শুনে মিলি ওর বুট পরা ডান পায়ে আমার বুকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল, " সাবধানে কর। জ্যাক লাগানোর আগে টায়ার পুরো খুলে ফেললে তোর নাট বল্টু সব খুলে দেব আমরা।"
ওর দিদির কথায় মজা পেয়ে জুলিও ওর বুট পরা ডান পা দিয়ে আমার নাকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল " মনে রাখিস কথাটা।"
আমার মাথা ঘুরছিল নেশায়। তার উপর ভয়ানক বৃষ্টিতে আরো কঠিন হয়ে উঠেছিল কাজটা। তবু আমি আসতে আসতে টায়ারের নাট ঘোরাতে লাগলাম। একটু পরে মিলি বলল, " হয়েছে। এবার জ্যাকটা লাগা।"
আমি পাশ ফিরে শুয়ে জ্যাকটা লাগানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু পারলাম না। তখন বুট পরা পায়ে মিলি আমার পিঠে একটা লাথি মেরে বলল, " সব কাজ শুয়ে শুয়ে হয় না রে মাতাল। উঠে চেষ্টা কর। "
আমি কোন রকমে উঠে বসতেই আমার বাঁ কাধে মিলি আর ডান কাঁধে জুলি ওদের বুট পরা একটা পা রেখে দাঁড়ালো। আমি সেই অবস্থায় মিলির কথা মত জ্যাকটা সেট করে পুরনো টায়ার খুলে নতুন টায়ারটা কোন রকমে বসালাম। তারপরে আবার শুয়ে পরে পাশ ফিরে টায়ারের নাট টাইট করতে লাগলাম। মিলি আর জুলি এবার ওদের বুট পরা বাঁ পা আমার পিঠ আর মাথার উপরে তুলে দাঁড়ালো। আমি টাইট দেওয়া শেষ করে সোজা হয়ে শুয়ে হাঁপাতে লাগলাম। আমার মাথা তখন প্রবলভাবে ঘুরছিল।
আমি সোজা হয়ে শুতে মিলি ওর বুট পরা ডান পা আমার বুকে আর জুলি ওর বুট পরা ডান পা আমার ঠোঁটের উপরে রেখে দাঁড়ালো। দুজনেই বুটের তলা দিয়ে আমার বুক আর ঠোঁট ঘসতে লাগল।
মহিলা ততক্ষনে সিগারেট শেষ করে ফেলেছে। সেও মিলির পাশে দাঁড়িয়ে ওর বুট পরা ডান পা আমার বুকের নিচের দিকে রেখে বলল, " ভাল করে টায়ারটা লাগিয়েছে কিনা একটু দেখে নে মিলি। মাতাল তো, বিশ্বাস করা যায় না।"
মায়ের কথায় মিলি ওর লেদার বুট পরা দুই পায়ে আমার বুকের উপরে উঠে দাঁড়ালো। ওর বাঁ পা আমার বুকে আর ডান পা আমার ঠিক গলার উপরে রেখে দাঁড়িয়ে ও একটু নিচু হয়ে টায়ারে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে লাগল লাগানো ঠিক হয়েছে কিনা। আর দিদিকে এইভাবে আমার বুকের উপরে উঠে দাঁড়াতে দেখে জুলিও মজা পেয়ে একইভাবে বুট পরা পায়ে উঠে দাঁড়ালো আমার মুখে। ওর বুট পরা বাঁ পা টা জুলি রাখল আমার ঠোঁট আর নাকের উপরে আর ডান পা টা কপালে। আমার বুক আর মুখের উপরে বুট পরা পায়ে দেহের সম্পুর্ন ভর রেখে দাঁড়িয়ে রইল মিলি আর জুলি। মিলি আমার গলায় আর জুলি আমার নাকের উপরে বুট পরা একটা করে পা রাখায় আমার নিশ্বাস নিতে ভিশন কষ্ট হতে লাগল। কিন্তু সেই কষ্টও কেন যেন না ভিশন ভাল লাগতে লাগল আমার। এই ভাল লাগা কি মিলি আর জুলির মত দুটো বাচ্চা সুন্দরী মেয়ের কাছে অপমানিত হওয়ার জন্য? নাকি দেহে অক্সিজেন সঞ্চালন কমে যাওয়াটাও একইসাথে ভিশন ভাল লাগছে আমার? আমি বুঝতে পারছি গলায় মিলির বুট পরা পায়ের চাপের জন্য আমার ক্যারোটিড আর্টারি আর মাথায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপ্লাই করতে পারছে না। যত সময় যাচ্ছে আমার মস্তিস্কে অক্সিজেন সাপ্লাই কমছে, বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান। একটা হালকা মাথা ধরা, আরো বেশি মাথা ঘোরা আর এক অদ্ভুত বর্ননাতীত নেশার জগতে যেন তলিয়ে যাচ্ছিলাম আমি। এই অনুভুতি গাঁজার নেশার সাথে যুক্ত হয়ে কেমন এক বর্ণনাতীত অসাধারন সুখবোধ ছড়িয়ে দিচ্ছিল মস্তিস্কের প্রতিটা কোষে । প্রতিটা সেকেন্ড কাটছিল আর মিলি আর জুলির প্রতি আমার ভক্তি যেন সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল । যারা সম্পুর্ন অপরিচিত নিজের আড়াই তিন গুন বয়সী একজন হেল্প করতে আসা লোককে মায়ের সামনে এইভাবে ডমিনেট করতে পারে, এইভাবে তার মস্তিস্কে ছড়িয়ে দিতে পারে এক না পাওয়া নেশার সুখ, তাদের প্রতি ভক্তি ছাড়া আর কি অনুভুতি আসতে পারে? আমি সেই অবস্থাতেই হাত বাড়িয়ে মিলি আর জুলির পা দুটো পালা করে টেপার চেষ্টা করতে লাগলাম। আমার ঠোঁটের উপরে চেপে থাকা ১১-১২ বছর বয়সী জুলির বাঁ বুটের তলা জিভ দিয়ে চেটে পরিস্কার করার চেষ্টা করতে লাগলাম সেই সাথে। আর প্রতিটা মুহুর্তে ডুবে যেতে লাগলাম এক আগে কখনো না পাওয়া নেশার জগতে। সেই নেশার যতটা গাঁজা আর হাইপক্সিয়ার ফলে তার থেকেও বেশি হয়ত মিলি আর জুলির মত এত ছোট দুই সুন্দরী মেয়ের কাছে এইভাবে ডমিনেটেড হতে পেরে।
২-৩ মিনিট পরে মিলি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল, " হ্যাঁ মা, মাতালটা ঠিক করেই টায়ার লাগিয়েছে।"
ওদের মা আমার বুকের উপর থেকে পা সরিয়ে বলল, " ঠিক আছে গাড়িতে উঠে পর তাহলে।"
মহিলা গিয়ে গাড়ির সামনের ড্রাইভারের সিটে বসল। মিলিও গিয়ে পিছনের সিটে বসল। তারপর গাড়ির ভিতর থেকে বোনের দিকে কি একটা ছুঁড়ে দিয়ে বলল, " এই নে বোন।"
অন্ধকারের মধ্যে সেটা কি আমি ভাল বুঝতে পারলাম না। অথচ ওই অন্ধকারের মধ্যেই জুলি দিব্যি জিনিসটা ক্যাচ ধরে নিল। তারপর নিচু হয়ে ওর বুট পরা বাঁ পা রাস্তায় আর ডান পা আমারঠোঁটের উপরে রেখে দাঁড়িয়ে আমার দুই হাত সম্ভবত একটা দঁড়ি দিয়ে বাঁধতে লাগল। এরপর গাড়ির পিছনে গিয়ে ও দঁড়ির অপর প্রান্ত গাড়ির সাথে বেঁধে দিয়ে গাড়ির পিছনের সিটে উঠে পরল। কি হতে চলেছে সেটা আমার নেশাগ্রস্ত মস্তিস্ক বুঝতে পারল মহিলা গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার পর। গাড়ির স্টার্টের আওয়াজের সাথে একসাথে আমার কানে ভেসে এল মিলি আর জুলির হাসির শব্দ। আর সাথে সাথেই আমার হাতে প্রবল টান পরল। গাড়ির সাথে জুলি আমার হাত বেঁধে দেওয়ায় চলন্ত গাড়ির পিছনে রাস্তায় ঘসটাতে ঘসটাতে আমি পিচের রাস্তা দিয়ে চলতে লাগলাম। গাড়ির টানে আমি উপুড় হয়ে গিয়েছিলাম। আমার হাত দুটো চিলে গিয়েছিল দেহের সামনে আর আমার বুক, পেট রাস্তার সাথে ঘসা খেতে খেতে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল চামড়া খুলে যাবে ঘর্ষনের ফলে। অফ, সে কি যন্ত্রনা। নেশা কেটে কয়েক মুহুর্তের মধ্যে মাথায় যন্ত্রনার অনুভুতি ছাড়া আর কিছু থাকল না আমার।কিন্তু মিলি আর জুলি আমার সাথে কেন এরকম করল? শুধু কম বয়সী সুন্দরী মেয়ে হয়ে অনেক বড় এক পুরুষকে অকারনে নরক যন্ত্রনা দেওয়ার আনন্দের জন্য? তাও এমন একজনকে যে নির্জন রাস্তায় তাদের গাড়ির টায়ার বদল করতে সাহায্য করেছে? কি করে এত নিষ্ঠুর হতে পারে এ যুগের কম বয়সী সুন্দরী মেয়েরা?
ক্রমে এই ভয়ানক নরক যন্ত্রনা এক অন্যরকম নেশায় আচ্ছন্ন করে তুলল আমাকে। প্রবল যন্ত্রনার অনুভুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আমার মস্তিস্ক এন্ডর্ফিন ক্ষরন করছিল উচ্চমাত্রায়। আর সেই এন্ডর্ফিন আমার মস্তিস্কে ইউফোরিয়ার অনুভুতি জাগিয়ে তুলছিল। ব্যাথার অনুভুতি ক্রমে কমে আসছিল আর দেহ তলিয়ে যাচ্ছিল নেশার এক অনাবিল সুখের জগতে। আর আমাকে এই প্রবল যন্ত্রনা মিলি ও জুলির মত দুই সুন্দরী মেয়ে সম্পুর্ন অকারনে দিচ্ছে সেই চিন্তা আমার নেশাকে যেন বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
ঝিম ধরা নেশাগ্রস্ত মস্তিস্কে আমি দেখছিলাম প্রবল বর্ষনের মধ্যে গাড়ির পিছনে বাঁধা অবস্থায় আমি রাস্তায় ঘসটাতে ঘসটাতে সামনে এগিয়ে চলেছি। রাস্তার দুইদিকে মৃত নগরী তার অলৌকিক অস্তিত্ব নিয়ে এই অদ্ভুত ঘটনা সবিষ্ময়ে প্রত্যক্ষ্য করে চলেছে। আমি রাস্তায় ঘসা খেতে খেতে পেরিয়ে চলেছি একের পর এক আধভাঙ্গা বাড়ি-ঘর-কলকারখানা।
কতক্ষন এভাবে চললাম জানা নেই। যখন গাড়ি থামল তখনো অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তাকিয়ে দেখি রাস্তার ডানদিক ফাঁকা মাঠ রাস্তার বাঁদিকে এক ভগ্নপ্রায় কারখানা।
মহিলা আর তার দুই মেয়ে একসাথে গাড়ি থেকে নামল। মহিলা আবার ওই প্রবল বর্ষার মধ্যেই লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরালো। জুলি নেমে গাড়িতে বাঁধা দঁড়িটা গাড়ি থেকে খুলে দিল। আমার হার তখনো একসাথে ওই দঁড়ির অপর প্রান্ত দিয়ে বাঁধা। আমি আশা করেছিলাম এটাও ওরা খুলে দেবে। কিন্তু মিলি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বুট পরা ডান পায়ে প্রবল জোরে আমার নাকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল, "ওঠ কুত্তা। আমাদের সাথে চল।"
আমি মন্ত্র মুগ্ধ পুতুলের মত উঠে দাঁড়ালাম মুখে মিলির বুট পরা পায়ের লাথি খেয়ে। মহিলা সিগারেট টানতে টানতে ভাঙা কারখানার গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকল। মিলি আর জুলিও ওদের মায়ের পিছন পিছন হাঁটতে লাগল, জুলির হাতে আমার হাতবাঁধা দড়িটার অপর প্রান্ত ধরা। আমিও আমার "তিন প্রভুকে অনুসরন করে ওদের পিছনে হাঁটতে লাগলাম।
কারখানার ভিতরে ঢুকে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ভগ্নপ্রায় এই কারখানায় কোন মানুষ থাকবে আমি আশা করিনি। কিন্তু তিন প্রভুর পিছন পিছন ঢুকে দেখি একতলায় অসংখ্য লোক। কারখানার মেশিন চলার শব্দ ভেসে আসছে আর শ্রমিকেরা সবাই কাজে ব্যস্ত৷
উপরে ওঠার সিঁড়ির মুখে পৌঁছাতে জুলি আমার হাত বাঁধা দড়ির অন্য প্রান্ত মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিল। তারপর এক লাফে আমার পিঠের উপরে উঠে পরল। মিলিও ছোট বোনের দেখাদেখি আমার পিঠের উপরে উঠে দাঁড়াল জুতো পরা পায়ে। মিলি দাঁড়িয়ে ছিল আমার পিঠের উপরে আর ওর ছোট বোন জুলির বাঁ পা ছিল আমার কাঁধের কাছে আর ডান পা আমার মাথার পিছন দিকে। আমি মাথাটা ডান দিকে ঘোরাতে জুলির ডান বুটের তলা আমার ডান গালে লাগল।
আমি অবাক হয়ে দেখলাম এই অবস্থায় অবলীলায় মহিলা আমাকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে উপরে নিয়ে যেতে শুরু করল, ওর দুই মেয়ে আমার পিঠে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়!
আমি যা দেখছি তা কি বাস্তব? নাকি নেশার ঘোরে অবাস্তব অভিজ্ঞতা অনুভব করে চিলেছি আমি, যার অস্তিত্ব নেই? নাকি সত্যিই কোন অলৌকিক জগতে প্রবেশ করেছি আমি?
আমাকে সিঁড়ি দিয়ে অবলীলায় উপরে টেনে নিয়ে গেল মহিলা। তারপর ওই অবস্থাতেই টানতে টানতে কারখানার অপর প্রান্তের সিঁড়ির দিকে টেনে নিয়ে গেল। ওর দুই মেয়ে তখনো বুট পরা পায়ে আমার পিঠে দাঁড়ানো এখানেও দেখলাম শ্রমিকেরা কাজ করে চলেছে, মেশিনের টানা যান্ত্রিক শব্দ একইভাবে হতে শুনলাম।
কারখানাটা যে এত উঁচু আর এত তলা তা আগে বাইরে থেকে খেয়াল করি নি আমি। মহিলা আমাকে একইভাবে টেনে উপরের তলাতে নিয়ে চলল। প্রতি তলায় মহিলা অকারনে আমাকে এক পাশের সিঁড়ি থেকে অন্য পাশে নিয়ে যাচ্ছিল। মাঝে একবার মিলি আর জুলি আমার পিঠের উপর থেকে নেমে একসাথে দুজনে মিলে লাথি মেরে আমাকে চিত হয়ে শুতে বলল। তারপর জুলি আমার বুকে আর মিলি আমার মুখে উঠে দাঁড়ালো জুতো পরা পায়ে। আরো কয়েক তলা উঠে মিলি আর জুলি স্থান বদলালো। এবার মিলি আমার বুকে আর জুলি আমার মুখে উঠে দাঁড়ালো বুট পরা পায়ে। আর ওদের মা আমাকে দঁড়ি ধরে টেনে ক্রমে আরো উপরের তলায় নিয়ে যেতে লাগল।
.
.
এরপর যত উপরে উঠব তত কারখানায় আমি বিভিন্ন সময়ের ঘটনা দেখব। এক তলায় ৫০-৬০ বছর আগের ঘটনা। যত উপরে যাব তত সময় এগোবে। ২০ তলার কাছে গিয়ে আমি ১০ বছর আগের ঘটনা দেখব। যখন কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। মহিলা আমাকে নিয়ে একটা ঘরে ঢুকবে যেখানে আমি দেখব এক শ্রমিক নেতাকে ঘুস দেওয়ার চেষ্টা হবে। সে নিতে রাজি না হওয়ায় তাকে গুলি করে মারবে।
এরপর মহিলা আমাকে ছাদে নিয়ে যাবে ও সে ও তার দুই মেয়ে অত্যাচার করে অত উচু কারখানার ছাদ থেকে ফেলে দেবে আমাকে।
ছাদে নিয়ে গিয়ে মহিলা আর তার দুই মেয়েই আমাকে চামড়ার বেল্ট খুলে মারবে, বুট পরা পায়ে সারা গায়ে লাথি মারবে। সবচেয়ে বেশি লাথি আছড়ে পরবে আমার মুখে, মিলি আর জুলির লেদার বুট পরা পায়ের! বিন্দুমাত্র দয়া না করে দুই বোনই আমার মুখের সর্বত্র গায়ের জোরে লাথি মেরে চলবে বুট পরা পায়ে।
প্রতিটা লাথি আমাকে ছাদের মাঝখান থেকে ঠেলে দিতে থাকবে ছাদের কিনারার দিকে। আতংক ক্রমে গ্রাস করতে থাকবে আমাকে। কিন্তু আমি ছাদের কিনারায় চলে এলেও থামবে না দুই বোন। মিলির এক লাথিতে আমি ছিটকে পরব ছাদের অন্তিম সীমানায়, পরক্ষনেই তার আরেকটা লাথি আছড়ে পরবে আমার মুখে। আমি ছাদ থেকে ছিটকে পরতে গিয়ে কোনক্রমে আকড়ে ধরব ছাদের একফুট উঁচু পাচিল। আমার সারা দেহ তখন ২০ তলা কারখানার ছাদ থেকে নিচে ঝুলছে, শুধু দুই হাতে পাঁচিল আঁকড়ে ধরে আমি আমার প্রভু মিলি আর জুলিকে বলার চেষ্টা করব, " প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে। প্লি..."
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ১১-১২ বছর বয়সী জুলির বুট পরা ডান পা শেষবারের মত সজোরে আঘাত করবে আমার ঠোঁটের উপরে। আমি আর টাল সামলাতে পারব না, আমার হাত ফসকে যাবে। আমি আতংকিত অবস্থায় দেখব আমার দেহটা ২০ তলা কারখানার ছাদ থেকে নিচের দিকে ভয়ানক জোরে ছুটে চলেছে। ভারহীন বস্তুর মত অনুভব হচ্ছে আমার নিজের দেহটাকে। আমি শেষবারের মত চোখ বন্ধ করলাম। এই২৫০- ৩০০ ফুট উঁচু কারখানা থেকে নিচে পরলে প্রানে বেঁচে যাওয়ার চান্স ০.১% ও থাকার কথা না।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার! পরদিন সকালে ঘুম ভেঙে আমি দেখব আমি কারখানার নিচে পরে আছি । গায়ে একটু ব্যথা হলেও কোন বড় আঘাত নেই। কালকের ঘটনা আমর মনে পরে যাবে। আর তখনই আমার মনে পরবে ওই মহিলাকে আমার কাকিমার মত দেখতে, আর মিলি ও জুলি নামে তার দুই মেয়ে ছিল। আর যার হত্যার দৃশ্য আমি কাল দেখলাম সে তো আমার একমাত্র কাকা। যার মৃত্যুর পরে অন্যান্য শ্রমিক নেতারা টাকা খেয়ে কোটিপতি হয়েছিল। আর কারখানা বেচে দেওয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক বন্যার জলের মত ভেসে গিয়েছিল। কাল গাঁজার নেশার ঘোরে আমি ওদের কাউকেই চিনতে পারিনি।
কিন্তু অনটনে পরে ও বাবা মায়ের মৃত্যুর ঘটনার শোকে আমিও কাকুর পরিবারের খোঁজ নিইনি আর। তবে কি তারা মারা গিয়েছিল? তাদের অশরীরি আত্মা কাল অত্যাচার করেছে আমার উপরে? আমি কোন সাহায্য করিনি ওদের দুর্দশার সময়ে, ওদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছি অবহেলা করে সেই রাগে?
তখনই আমার কাকুর মৃত্যু দৃশ্যটা মনে পরবে। একটা ক্ষীন আশায় আমি উপরে সেই ঘরে গিয়ে দেখব কাকুকে যে সোনার বান্ডিল ঘুস দিতে চেয়েছিল সেই লোক, সেটা তখনো সেই টেবিলের ড্রয়ারে পরে, যার মুল্য কোটির কাছে! লক্ষ কোটির কারখানা বন্ধের ব্যবসার মাঝে মাত্র এক কোটির সোনার কথা ভুলেই গিয়েছিল ওরা!
আমি সেটা নিয়ে ফিরে আসব। তবে কি কাকিমা আসলে আমার উপরে অত্যাচার করতে চায়নি? শুধু আমাকে সোনার বান্ডিলের খোজ দিতে চেয়েছিল? যাতে আর্থিকভাবে ভাল যায়গায় পৌঁছে আমি বিয়ে করে পরিবারের বংশপ্রদিপ রক্ষা করি ? নাকি পুরোটাই কাকতালীয়? কাল কিছুই ঘটেনি, পুরোটাই আমার নেশাগ্রস্ত মস্তিস্কের কল্পনা? আর সোনার খোজ পাওয়া নেহাত কাকতালীয়? নাহলে আমি ২০ তলা থেকে সত্যিই পরে গেলে বেঁচে গেলাম কি করে? তাও কোন আঘাত ছাড়াই?
তিন দিন পরে সোনা বেচে ভাল টাকা পেয়ে আমি স্থির করব এবার বিয়ে করে সংসার করলে মন্দ হয় না। খুশি মনে আবার গাঁজায় টান দেব তিন দিন গ্যাপের পর। আর তখনই আবার সেই আগের বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া অমাবস্যার রাতের মত একই ছন্দে আমি দরজায় সেই আওয়াজ শুনব। ঠক, ঠক-ঠক!