Tuesday 1 January 2019

হিমু ও তার দুই বোন....

আমার স্কুল জীবনে একবার একটা লেংটু অভিজ্ঞতা হয়েছিল পাবলিকলি। তখন আমি ক্লাস সিক্স,  গ্রামের একটি কো এড স্কুলে পড়ি। সেদিন লাস্ট পিরিয়ডের স্যার আসেনি, ফলে ছেলে মেয়ে সবাই মাঠে বেরিয়ে খেলছি। আমি তখন একটা গাছের ডাল ধরে দোল খাচ্ছিলাম। তখন পিছন থেকে এসে আমার ক্লাসমেট কাজিন বোন এসে এক টানে আমার হাফ প্যান্ট টেনে খুলে দে ছুট!  আমার সে যে কি লজ্জা! আমি এক লাফে নেমে প্রথমে ভাবলাম বোনকে ধরতে ছুটি, তারপরে আগে লম্বা শার্টটা দিয়ে লজ্জা ঢাকবো স্থির করলাম। কিন্তু শার্ট লম্বা হলেও তলার বোতাম ছেঁড়া, তাই পিছন দিক ঢাকা গেলেও নুংকু ঠিক বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমার দুই বন্ধু এসে পথ বাতলাল, " তুই গিয়ে বাথরুমে লুকিয়ে থাক, আমরা গিয়ে তোর প্যান্ট উদ্ধার করে আনছি। " আমি আশায় আশায় বাথরুমে গিয়ে ঢুকলাম।
 কিন্তু হায়, বিধি বাম। এক স্যার এসে একটু পরেই বলে গেল "তোদের আজ ছুটি, বাঁদরামো না করে বাড়ি যা সব।" ব্যাস, অন্য ছেলে মেয়েদের সাথে আমার কাজিন  বোন রিয়াও  আমার প্যান্টের কথা ভুলে নাচতে নাচতে বাড়ি চলে গেল! একটু পরে আমার বন্ধু মোটু তার মোটা মাথা দোলাতে দোলাতে এসে বাথরুমের দরজায় টোকা দিয়ে বলল " তোর বোন বাড়ি চলে গেছে। "
আমার তখন কি অবস্থা বুঝতেই পারছ। ইচ্ছা করছিল মোটুর মাথায় এক ঘা দিয়ে ওকে অজ্ঞান করে ওর প্যান্ট পরে বাড়ি যাই। কিন্তু ওর কোমর আমার তিন গুন, তাই এই প্ল্যান ক্যান্সেল করতেই হল। কোনরকমে গায়ের শার্ট খুলে কোমরে পেঁচিয়ে লজ্জা নিবারন করে বাড়ি ফিরলাম।
বাড়ি ফিরে দেখি রিয়া আমার চেয়ে দুই বছরের ছোট ক্লাস ফোরে পড়া ছোট বোন রিমার সাথে বাড়ির উঠোনে স্কুল ড্রেস পরে বসেই কাঁচা আম খাচ্ছে। আমাকে এই অবস্থায় দেখে ওর বোধহয় এতক্ষনে মনে পরল ও কি কান্ড করেছে! আর আমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার ছোট্ট বোন রিমা কেন জানি না হো হো করে হাসতে শুরু করেছে!
রিয়া ওর ব্যাগ খুলে আমার প্যান্টটা বার করে আমার দিকে ছুঁড়ে বলল "এই নে লেংটু হনু,  তোর প্যান্ট!" কিন্তু প্যান্টটা আমার একটু সামনে গিয়ে কাদার মধ্যে পরল। আর আমি সেটা ধরতে লাফাতে গেলাম যেই অমনি আমার কোমরে জড়ানো শার্ট খুলে সোজা নিচে! দুই বোনের সামনে এবার আমি পুরো লেংটু!
কি আর করি? কাদা থেকে প্যান্ট তুলে কোমরে পরতে পরতে প্রায় এক মিনিট লেগে গেল। আর এই পুরো সময় আমি আমার দুই বোনের সামনে পুরো লেংটু, আমার নুনু পুরো ওদের চোখের সামনে!!
ঘরে যেতেই মা কান ধরে এক থাপ্পর লাগাল। এই হনুমান, এত কাদা মেখে ঘরে ঢুকছিস কেন?"
আমি উত্তর দিতে যাওয়ার আগেই শুনি, " যা,  গাছে গাছে লাফিয়ে বেরা বরং, ওটাই তোকে মানায়।", তাকিয়ে দেখি আমার ক্লাস ফোরে পড়া বোন রিমা। রিমা আর রিয়াও ততক্ষনে মজা দেখতে ঘরে ঢুকে এসেছে।
আমি জানি রিয়ার আমার প্যান্ট খুলে নেওয়া আর সেটা নিয়ে আমাকে স্কুলে লেংটু করে বাড়ি চলে আসার ঘটনা মাকে বলে দিলে মা ওকেই বকবে। কিন্তু রিমা আর রিয়া ভালই জানে ওদের সাথে ছোটখাট ঝগড়া করলেও ওদের কখনো বকা বা মার আমি খাওয়াতেই পারি না। সেরকম হলে ওদের দোষ আমি নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিজে মার খাই, আর ওরা মজা দেখে।
" তোরাই বল, হনুমানটাকে কি শাস্তি দেওয়া যায়। আমি আর পারি না এটাকে নিয়ে। মা হতাশ গলায় দুই বোনকে বলল।"
" এই হনু, যা কান ধরে উঠোনটা দশ চক্কর দে।" রিমা গম্ভীর গলায় আদেশ করল।
আমার বেশ ভাল লাগছিল বোনের শাসন। আমি বাধ্য ছেলের মত দুই কান ধরে উঠোন চক্কর দিতে লাগলাম ছুটে।
হঠাত কি যেন একটা অনুভব করলাম হাটুর কাছে। ভাল করে বোঝার আগেই দুম করে উল্টে পরলাম। আমার প্যান্টটা কোনভাবে খুলে পরেছে, আর তার ফলে প্যান্ট পায়ে বেধে উল্টে পরেছি আমি।
কি করে প্যান্ট খুলল? আমি ভাল করে তাকিয়ে দেখি প্যান্টের বেল্ট টা নেই।  আর আমার প্যান্টটা লুজ, তাই খুলে পরে গেছে। কিন্তু সকালে তো প্যান্টে বেল্ট ছিল। তাহলে রিয়াই ওটা খুলে কোথাও ফেলেছে!
ততক্ষনে আমি রিয়া আর রিমার হো হো হাসি দিব্বি শুনতে পাচ্ছি পাশ থেকে। আমি একে লেংটু তখন, তার উপর কান ধরা। আর দৌড়ানো অবস্থায় উল্টে পরায় আমার বেশ লেগেছেও! কিন্তু দাদার দুরবস্থা দেখে দুই বোনের শুধু হাসিই পাচ্ছে! তার চেয়েও আশ্চর্য, দুই বোনের কাছে এই অপমান আমার এত ভাল লাগছে কেন?
রিয়া আর রিমা দুজনেই এবার আমার একদম কাছে এগিয়ে এল।  রিয়া আমার কান ধরে টেনে তুলল আমাকে। নে, আবার চক্কর দে উঠোনে। এখনো ছয় বার।
আর রিমা আমার প্যান্টের দিকে তাকিয়ে বলল " তোর বেল্ট কোথায় গেল হনু?"
আমি মাথা নিচু করে বললাম "রিয়া জানে।"
তাই শুনে রিয়া সাথে সাথে আমার দুই গালে পর পর দুটো থাপ্পর মেরে বলল, " তোর প্যান্টের বেল্ট, কোথায় আছে আমি কি করে জানব? "
আর রিমা মায়ের দিকে চেয়ে চেঁচিয়ে বলল, " মা, আজ দাদা প্যান্টের বেল্ট হারিয়ে এসেছে।"
মা ঘর থেকে চেঁচিয়ে বলল " উফ, এই হনুমানটাকে নিয়ে আর পারি না। এবার বেল্ট কিনে সেটা দিয়ে আগে ওর পিঠে কটা ঘা দিতে হবে। এখন তোরা ওর কান ধরে গালে কয়েকটা দে।"
সেই শুনে রিয়া খুশি হয়ে আমার দুই গালে আরো দুটো থাপ্পর দিল। তারপর রিমাকে বলল, " নে, তুইও চড় মার হনুকে।"
রিমাও দিব্বি খুশি মনে আমার দুই গালে পর পর চারটে থাপ্পর মারল কান ধরে। আমার তখনো প্যান্ট পুরো খোলা।
এবার আমি প্যান্ট তুলতে নিচু হলাম। অমনি রিয়া আমার বুকে জুতো পরা পায়ে একটা লাথি মেরে বলল " প্যান্ট খুলে গেছে যখন তখন খুলেই দৌড়া। "
আমার দুই বোনের এই ব্যাবহার খুব ভাল লাগছিল। কিন্তু খোলা উঠোনে লেংটু হয়ে এতক্ষন দৌড়ালে বাইরের কেউ ঠিক দেখে নেবে। তাই বোনের আদেশ মানাটা ঠিক সহজ মনে হল না। আমি আমাকে লাথি মারা রিয়ার কালো স্কুল শু  পরা পা দুটোর উপরে হাত রেখে রিকোয়েস্ট করলাম, " প্লিজ বোন, প্যান্ট পরে দোড়াতে দে প্লিজ।!"
সাথে সাথে রিয়া আবার একটা লাথি মারল, এবার ওর জুতো পরা ডান পায়ে আমার মুখে। সাথে সাথে ওর দেখা দেখি রিমাও আমার মুখে ওর সাদা স্নিকার পরা দুই পা দিয়েই একটা করে লাথি মেরে বলল " তুই তো হনুমান।  প্যান্ট খুলেই দৌড়া ওদের মত।" এই বলেই বোন হাসিতে ফেটে পরল।
আমি অগত্যা প্যান্ট খুলেই দৌড়াতে বাধ্য হলাম। কিন্তু বুদ্ধি করে দৌড়াতে দৌড়াতেই শার্টটা খুলে কোমরে বেঁধে নিলাম আগের মত। কিন্তু এই সময় কান ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় তার শাস্তি হিসাবে দশ পাক কম্পলিট করে দুই বোনের কাছে আসতেই ওরা মায়ের সামনেই  দুই গালে একটা করে থাপ্পর মারল দুজনেই।
আমি প্যান্ট পরে ঘরের দরজার কাছে আসতে মা বলল " তুই কি দুই বোনকে দেখে একটুও ভদ্রতা সভ্যতা শিখতে পারিস না? তোর স্বভাব দেখে তুই মানুষের বাচ্চা না বাঁদরের বাচ্চা বোঝা যায় না। আর তোর দুই বোনকে দেখ, সবাই ওদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নে, এবার তোর শার্ট প্যান্ট সাবান জলে ভিজিয়ে গামছা পরে নোংরা করা সামনের ঘরটা মোছ।"
আমি মায়ের সব আদেশ পালন করলাম। যদিও সামনের ঘরটা দুই বোনই জুতো পরা পায়ে মাড়িয়ে নোংরা করেছে, আমি না।
এই কাজ টুকু সারতেই আমার বোন রিমা ভিতর থেকে ডাকল, " এই হনু, ভিতরে আয়"।
আমি যেতে দেখি দুই বোন বই খুলে পড়ার নাটক মারছে, যদিও সামনে টিভি খোলা।
রিমা গম্ভীর মুখে বলল, " আমরা পড়ায় ব্যাস্ত, তুই আমাদের জুতো খুলে পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দে। আর আমাদের স্কুল ড্রেস বাথরুমে একটা বালতিতে চোবানো আছে। তুই কেচে মেলে দিবি।"
দুই বোনের পায়ে জুতো পরানো বা খোলা নতুন কিছু না। ওরা প্রায়ই কিছু অজুহাত দিয়ে আমাকে দিয়ে এটা করায়। আমার আসলে ভালই লাগে বোনেরা আমার সাথে একটু প্রভুর মত আচরন করলে। অবশ্য আজ আমি ওদের প্রতি বড্ড বেশিই সাবমিসিভ হয়ে পরেছিলাম। আমি ওদের জুতো খোলার সময়ে দুই বোনের জুতো পরা পায়েই মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। অবাক হয়ে দেখলাম দুই বোনই ওদের জুতো পরা পা আমার মাথার উপর রেখে আমাকে আশির্বাদ করল।
আমি ওদের এই আচরনে আরো বেশি সাবমিসিভ হয়ে পরলাম দুই বোনের প্রতি। যেই দুই বোন আমাকে অকারনে অপমান করে  সবার সামনে তাদের আমার প্রভু বলে মনে হতে লাগল কেন জানি!!
আমি ওদের দুজনের জুতোর উপরই ভক্তিভরে চুম্বন করলাম। নাক ঘসলাম ওদের জুতোর উপর। তারপর ভাল করে ওদের জুতো পালিশ করে চকচকে করে তুলে রাখলাম। ওদের পায়ে ঘরে পরার চটিটা পরিয়ে দিতে রিয়া হেসে বলল তোর বেল্টটা আমার ব্যাগেই রাখা আছে। কিন্তু এখন পাবি না। কয়দিন বেল্ট ছাড়াই এই লুজ প্যান্ট পরে স্কুল কর। অনেক মজা হবে।" এই বলে আমার দিকে ফিরে চোখ মারল। আর তাই দেখে রিমাও হো হো করে হাসতে লাগল।
বলে কি রিয়া? এই প্যান্ট তো খুবই লুজ। স্কুলে সবার সামনে এমনিই খুলে গেলে তো মান সম্মান কিছুই আর থাকবে না!! আমি সেই কথা বলে রিমার দুই পা জড়িয়ে ধরে ওর পায়ে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলাম। আমার চোখেও একটু জল চলে এল যেন।
কিন্তু রিয়া আর রিমা দুজনেই নিরুত্তাপ! আমার মাথায় চটি পরা পায়ে লাথি মেরে আমাকে সরিয়ে দিয়ে রিমা বলল, " হনুমানের আবার মান সম্মান!! যা ভাগ!!"
"আর মনে রাখিস, আমাদের জামা ভাল করে কাচবি, যেন একটুও ময়লা না থাকে। আর স্নান সেরে ঘরে এসে আমাদের দুজনের হোম ওয়ার্ক ঠিক ঠাক করবি। একটা কাজেও একটুও গাফিলতি হলে তোর ওই বেল্ট দিয়ে  তোরই পিঠের অবস্থা খারাপ করব আমরা!" এই বলে রিয়া রিমাকে জড়িয়ে হো হো করে হাসতে লাগল , যেন খুব মজার কোন কথা বলেছে।
দুই বোনের কাছে এই অপমান আমার যে কি ভাল লাগছিল বলে বোঝাতে পারব না। রিয়া আর রিমা, দুই বোনকেই শাস্টাঙ্গে প্রনাম করে আমি স্নান ঘরে ঢুকলাম। ওদের জামা কাচতে হবে আগে।


২....


দুই বোনের স্কুল ড্রেস ভাল করে কাচলাম প্রথমে। এরপর নিজের ড্রেস কেচে স্নান সেরে বেরোলাম। জামা শুকোতে দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি তখনো দুই বোন টিভি খুলে পড়ার নাটক করছে। আমি ঘরে ঢুকতে রিয়া আমার মুখে একটা খাতা ছুড়ে মেরে বলল , " নে, আমাদের হোম ওয়ার্ক করা শুরু কর। যদি একটাও ভুল হয় তাহলে তোর কান টেনে ছিঁড়ে নেব হনুমান, মনে থাকে যেন!"
দুই বোন আমার সাথে এই স্টাইলেই কথা বলতে অভ্যস্ত, আমারও খুব ভাল লাগে ওদের এই ব্যবহার। আমি খাতাটা তুলে মেঝেতে বসে পরলাম, সোফায় বসা দুই বোনের ঠিক পায়ের কাছে। রিয়ার হোম টাস্ক সেরে যখন রিমার হোম টাস্ক সারলাম তখন দেখি মা টিফিন হাতে ঘরে ঢুকল।
আমাকে রিমার বই খাতা খুলে অংক কষতে দেখে মা ভুরু কুচকে জিজ্ঞাসা করল, " তুই ক্লাস ৪ এর বই খুলে কি করছিস?"
রিয়া তাই শুনে মা কে বলল, " জেঠি, হনুর যা লেভেল ওকে ক্লাস ১ থেকে আবার পড়াতে পারলে ভাল হয়। দেখবে ওর অবস্থা?"
এই বলে রিয়া আমার দিকে চেয়ে বলল " এই হনু, বল তো ১০ আর ১০ যোগ করলে কত হয়?"
আমি জানতাম রিয়া আমাকে নিয়ে মজা করছে। ও চায় আমি ভূল উত্তর দিই। তাই আমি মাথা চুলকে হাতের কড়া গুনে উত্তর দিলাম ১৮।
রিয়া তাই শুনে আমার গালে আলতো একটা থাপ্পর মেরে বলল " দেখ জেঠি, হনুর অবস্থা। ও তো এল্ফাবেট ও সব ভুলে গেছে। আজ স্কুলে abcd ও ঠিক করে বলতে পারে নি। " ওকে তাই আবার ক্লাস ফোর থেকে পড়াতে হবে বাড়িতে।"
মা তাই শুনে চিন্তিত গলায় বলল,  " হনুর তো খুব খারাপ অবস্থা দেখছি। তুলিকে ( রিয়ার মায়ের নাম)  বলতে হবে দেখছি।"
রিয়া বেশ ভারী গলায় বলল "তার দরকার নেই জেঠি। আমিই দেখিয়ে দেব ওকে পড়া। তবে পড়া না করে হনুগিরি করে বেড়ালে ও কিন্তু আমার কাছে মার খাবে। রিমার কাছেও খাবে। তুমি সেটা মেনে নিলে দেখবে দিব্বি ওকে মেরে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসব আমি।"
" মা বলল যত খুশি মারিস ওকে প্রয়োজন হলে। আমি তোকে কখনো বাধা দিয়েছি? আমি তো বরং তোকে বলি ওকে শাস্তি দিতে ও ভুল কিছু করলে। ও একটা আস্ত হনুমান, মার না খেলে মানুষ হবে না আমি জানি। "
মায়ের কথায় আমার একটুও খারাপ লাগল না। মা লুচি  প্লেটে করে এনে দুই বোনকে দিল। রিমা বলল, " হনু কিন্তু লুচি খাবে না মা। ওকে কলা,  আম, কাঁঠাল এইসব দাও। ও লেজ দুলিয়ে ফল খাক!"
আমি জানি আমাকে হনুমানের মত ট্রিট করে দুই বোন মজা পায়। শুধু ওদের মজা দেওয়ার জন্যই আমি লুচি ছেড়ে শুধু ফল খেতে রাজি হয়ে গেলাম।  আমার লুচি খেতে ভাল লাগে ঠিকই,,কিন্তু আমাকে নিয়ে মস্করা করতে পেরে দুই বোনের মুখে যে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে,  সেটা দেখার মত ভাল আর কিছুতেই লাগে না!
কাকিমা বাড়ি ফিরল তার একটু পরেই। তখন রিমা আমার দিকে তাকিয়ে মুখে অদ্ভুত একটা হাসি ফুটিয়ে সুরেলা গলায় বলছে,  " আয় হনুমান,  কলা খা!" আর দুই বোন একে অপরকে জড়িয়ে হো হো করে হাসছে।
আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি আমার বাবা শহরের এক প্রাইমারি স্কুলের টিচার। কাকু আর কাকিমা পাশের গ্রামের হাই স্কুলের টিচার। মা গৃহবধু, বাড়িতে থেকে আমাদের তিন ভাই বোনকে সামলায়। মা আর কাকিমা আবার আপন বোন। তবু আমি কাকিমাকে মাসি না বলে কাকিমাই বলি।
কাকিমা রিমার দিকে তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে বলল, " তুই আবার দাদার পিছনে লাগছিস? আর হিমু তুই  রিমার বই খুলে বসে কেন? ও তোকে দিয়ে হোমওয়ার্ক করিয়ে নিচ্ছে  নাকি?
 মা কাকিমাকে বলল, " না রে তুলি। হনুটা ক্লাস ফোরের অংকও ভুল গেছে, সহজ যোগ ও পারে না। তাই ওকে শেখাতে বসেছে রিয়া।"
রিয়াও পাশ থেকে বলল " হ্যাঁ মা"। আমিও ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিলাম।
কাকিমা মায়ের মত সহজে এই কথায় বিশ্বাস করল না। দুই বোন যে আমাকে বুদ্ধু বানিয়ে খাটায় আর আমি যে সেটা খুব সহজে মেনে নিই ওদের কথা মত, এটা কাকিমা একটু একটু বুঝতে শুরু করেছে ইদানিং।
কাকিমা বলল,  " দেখি হিমু কতটা ভুলে গেছে পড়া। তোকে পরপর তিনটে কোশ্চেন করব। ১স্ট কোশ্চেনের যদি উত্তর দিতে পারিস তাহলে তোকে একটা সাইকেল কিনে দেব। বল,  ৫ আর ৫ যোগ করলে কত হয়?"
আমি জানতাম আমাকে ভুল উত্তর দিতে হবে। আমি মাথা চুলকে অনেক নাটক করে বললাম "১৫?"।
কাকিমা হাসিমুখে বলল " হয়নি। কিচ্ছু পাবি না। এর পরের দুটো কোশ্চেনের উত্তর দিতে পারলে রিমা আর রিয়াকে দুটো ভাল সাইকেল কিনে দেব।"
এইবলে কাকিমা আমাকে ক্লাস ৬ এর পক্ষে বেশ কঠিন  দুটো অংক দিল। আমি বুঝতে পারলাম কাকিমা,আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁদে ফেলেছে।
কিন্তু রিয়া আর রিমাকে নতুন সাইকেল পেতে সাহায্য করতে ইচ্ছা করল। আমার কাজের ফলে ওরা ওদের পছন্দের জিনিস পাবে ভেবে আনন্দ হতে লাগল খুব আমার। আমি অংক দুটো করে কাকিমাকে দিলাম। কাকিমা দেখে বলল, " এই তো ঠিক করেছিস।"
তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল " হিমুর আসল সমস্যা পড়ায় ফাঁকি দেওয়াও না, হনুগিরি করাও না। ওটা তোকে দুই মেয়ে ভুল বুঝিয়েছে। তবে ওর একটা বড় সমস্যা আছে। নাহলে নিজে সাইকেল পাওয়ার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিল আর দুই বোনকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য মাথা খাটিয়ে আরো কঠিন অংক করল কেন? ওর কিছু বড় সমস্যা আছে, নাহলে নিজে সব সুখ ছেড়ে দুই বোনকে সব দিতে চায় কেন আর ওদের কথায় ওঠে বসে কেন বুঝিনা। নাহলে এমনিতে ও খুবই ভাল ছেলে।"
পরদিন স্কুলে টিফিনের পিরিয়ডে আমার ক্লাস মনিটর বোন রিয়া আমাকে নিল ডাউন করে রাখল। আমি নাকি টিফিন খেতে গিয়ে নিচে ফেলে মেঝে নোংরা করেছি। আসলে সেই খাবার গুলো সব রিয়ারই ফেলা। তবু আমি খুশি মনে মেঝে পরিস্কার করে নিল ডাউন হলাম। ছেলেরা তখন সবাই বাইরে খেলছে আর মেয়েরা অনেকেই ঘরে বসে রিয়ার  আমাকে নিয়ে মজা করা দেখছে।
১০ মিনিট পর রিয়া গম্ভির গলায় আদেশ করল " এবার কান ধরে উঠে দাঁড়িয়ে হনুমানের মত লাফ দিতে থাক হনু।"
আমি রিয়ার আদেশে ক্লাসের প্রায় ১৫ টা মেয়ের সামনে তাই করতে লাগলাম। ৫-৬ টা লাফ দেওয়ার পরেই রিয়ার কোঁচকানো ভুরু দেখে বুঝলাম ও আশা করেছিল ও আমার বেল্ট খুলে রেখে দেওয়ায় আমি লাফ দিতে থাকলে আমার লুজ প্যান্ট খুলে মেঝেতে পরবে আর আমি এতগুলো মেয়ের সামনে লেংটু হয়ে যাব। আমি প্রায় ১০০ টা লাফ দিলাম,  কিন্তু প্যান্ট খুলল না। আসলে আমি মোটা দড়ি দিয়ে প্যান্টটা কোমরে বেধে গিট দিয়ে প্যান্টের উপরটা ফোল্ড করে দড়িটা ঢেকে রেখেছিলাম।  তাই প্যান্ট খোলে নি। কিন্তু রিয়ার মুখ দেখে বুঝলাম ও খুশি না! ও ভেবেছিল এতজন মেয়ের সামনে আমার প্যান্ট খুলে পরবে আর ওরা তাই নিয়ে বেশ হাসি মস্করা করবে!
ছুটির পরে আমি আর রিয়া একসাথে বেরোলাম স্কুল থেকে। রিমাও আমাদের স্কুলের গেটে এসে দাড়িয়েছিল। একসাথে বাড়ির পথ ধরলাম আমরা।
রিয়া হঠাত আমার কান ধরে বলল তুই কি অন্য কারো থেকে বেল্ট নিয়ে পরেছিস? এত লাফালি,  তবু ঢোলা প্যান্ট খুলল না কেন তোর? এই বলে ও হাত দিয়ে আমার প্যান্টের বেল্ট বাঁধার অংশটা দেখল, আর দড়িটা ওর চোখে পরল।
"তোর সাহস তো কম না হনু, তুই আমার অনুমতি ছাড়া কোমরে দড়ি বেঁধেছিস? খুব খারাপ কাজ করেছিস, ক্ষমা চা আমাদের কাছে।" এই বলে আমার গালে একটা থাপ্পর মারল রিয়া।
গ্রামের খোলা রাস্তায় আমার সাথে রিয়া এরকম ব্যাবহার করায় আমার খুবই ভাল লাগছিল। আমি রাস্তার মাঝেই ওদের পায়ের লাছে হাটুগেড়ে বসে দুই বোনের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। রিয়া এবার আমার কোমরে দুই ফোল্ড করে বাধা দড়ির একটা ফোল্ড খুলে দড়িটা হাতে ধরল। যেন আমি আসামী আর ও পুলিশ, আসামীকে কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাড়ির সামনে আসতে রিমা বলল, " এই হনু, গাছে উঠে আমাদের জন্য কাঁচা পাকা দুরকম আম, জামরুল, কাঁঠাল পেরে আন।.. দিদি, ওর কোমরের দড়িটা পিছনে লম্বা করে ছেড়ে দে। লেজের মত লাগবে, আর ওকেও পাক্কা হনুমান মনে হবে।" এই বলে হাসতে হাসতে দুই বোন ঘরে ঢুকল।
মা ওদের দেখে বলল,  " তোরা দুজন ফিরছিস, হনুটা কই?"
রিমা বলল,  " হনুমান যেখানে থাকে। এসেই গাছে উঠে পরেছে। তুমি ওর জন্য ফালতু কষ্ট কর মা, ওটা সত্যিই হনুমান,  কোনদিন মানুষ হবে না।"
মা বাইরে এসে বলল, " উফ, এই হনুকে নিয়ে আর পারি না। স্কুল থেকে ফিরেই গাছে উঠে গেল। নেমে আয় বলছি।"
রিয়া পাশ থেকে বলল " ওর স্কুল থেকে ফিরেই গাছে ওঠা বন্ধ করার একটা উপায় আছে জেঠি। স্কুল থেকে ফেরার পর আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে তুলে রাখা থেকে জুতো খুলে দেওয়া সব ওর ডেইলি কাজের অংশ করে দেওয়া। ও যদি সেটা না করে গাছে গিয়ে ওঠে তাহলে আমরা ঘরে সেই সময় স্কুল জুতো পরেই ঘুরব। আর ও যখন গাছ থেকে নেমে ঘরে ঢুকবে তখন ও আমাদের জুতো খোলার সাথে সাথে ওর জন্য নোংরা হওয়া ঘরের মেঝেও মুছবে। সাথে আমাদের চড় লাথিও খাবে বেশি হনুগিরি করার জন্য।"
মা যেন একটু ভেবে বলল, " ভাল প্ল্যান করেছিস। নাহলে ও শুনবে না।"
এবার রিমা বলল, " এই হনু, মায়ের কথা শুনেছিস? এক্ষুনি নিচে নেমে আয়। নাহলে আমরা জুতো পরে ঘরের মেঝেয় ঘুরে বেরাবো আর তুই সেটা মুছতে বাধ্য হবি।"
আমি জানি বোন মুখে বললেও আসলে চায় না আমি এখনি নিচে নামি। ওরা দুই বোনই চায় আমাকে দিয়ে ওদের জুতোর ছাপ পরা ঘরের মেঝে মোছাতে। আর তারপর শাস্তি হিসাবে আমাকে চড় আর লাথি মারতে। তাছাড়া,  আসলে আমি তো আর নিজের ইচ্ছায় গাছে উঠিনি। বোনেরা খাবে বলেই আম পাড়তে উঠেছি। এখন আমি বোনের খাওয়ার জন্য গাছ থেকে আম পাড়বো আর বোনেরা খাবে, আর তার শাস্তি হিসাবে বোনেদের হাতে মার খাব আমি! ভাবতেই ভিশন খুশি হয়ে উঠল আমার মন!
আমি রিমার আদেশ মত আম, জামরুল আর কাঁঠাল পারলাম। ঘরে ঢুকে ওদের কাছে শুনে আম কেটে দিলাম ওদের খাওয়ার জন্য। ততক্ষনে ওরা দুটো ঘরের মেঝে কাদায় ভরা জুতো পরা পায়ে মাড়িয়ে কাদায় ভরিয়ে ফেলছে। এমনকি মেঝেতে পাতা আমার বিছানা বালিশ পর্যন্ত ওদের জুতোর তলায় মাড়িয়েছে রিয়া আর রিমা।
আমি পাশের ঘর থেকে ঘর মোছার বালতি আর ন্যাকড়া এনে ঘর মুছতে যাব, রিয়া আদেশ করল আগে ওদের জুতো খুলে দিতে।
আজ দুই বোনের পায়েই সাদা স্নিকার পরা। আমি সোফায় বসা দুই বোনের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসলাম। প্রথমে রিমা আমার দুই গালে দুটো থাপ্পর মেরে বলল " এটা কিসের শাস্তি বলত?"
আমি বললাম " স্কুল থেকে ফিরে কাজ না করে গাছে ওঠার জন্য।"
এবার রিয়া আমাকে থাপ্পর মেরে বলল " আর তুই গাছে উঠেছিলি কেন?"
" রিমার আদেশে ফল পারতে", আমি বললাম।
" হু, তুই আদেশ মানলেও শাস্তি পাবি, না মানলেও পাবি। কারন তুই একটা হনুমান। আর রোজ দুই বেলা মার না খেলে হনুমানদের ল্যাজ খসে না।" এই বলে হো হো করে হাসতে লাগল রিয়া।
হাসি থামিয়ে রিয়া আমার মুখে দুই পায়ে দুটো লাথি মারল। ওর দেখা দেখি রিমাও একইভাবে দুটো লাথি মারল, কিন্তু তার একটা আমার নাকে সরাসরি লাগায় বেশ লাগল।
এরপরে আমি ওদের দুই বোনের জুতো একে একে খুলে দিলাম। প্রথমে রিমার জুতো আর মোজা খুলে পা ধুয়ে পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দিলাম। এরপরে রিয়ার জুতো মোজা খুলে পা ধুয়ে একইভাবে চটি পরিয়ে দিলাম। ওরা টিভি দেখতে দেখতে আমার পাড়া আম খেতে লাগল। আর আমি ওদের আম পেড়ে দেওয়ার অপরাধে ওদের জুতোর ছাপ পরা মেঝে মুছতে লাগলাম।
ঠিক তখনই কাকিমা ঘরে ঢুকল। আর আমাদের এই অবস্থায় দেখে বুঝতে বাকি রইল না যে দুই বোন ইচ্ছা করে ঘরের মেঝেয় জুতো পরে ঘুরে এখন আমাকে দিয়ে মেঝে মোছাচ্ছে!
কাকিমা বলল, " ওরে হিমু, তোকে হনু না বলে গাধা বলা উচিত। দুই বোন তোকে বোকা বানিয়ে যা খুশি কাজ করায় আর তুই খুশি মনে করিস।"
মা তখন ঘরে এসে বলল যে আমি স্কুল থেকে ফিরেই গাছে উঠেছিলাম, এটা তার শাস্তি।
কাকিমা বোনেদের দিকে তাকিয়ে বলল, " ওরা যে আম খাচ্ছে সেটা কে পারল তবে? ঘরে তো আর আম ছিল না।"
রিমা বলল " দাদাই পেরেছে আজ। আমিই পারতে বলেছিলাম।"
" বাহ, হিমু তোদের জন্য স্কুল থেকে ফিরেই আম পাড়তে উঠবে। আর তার শাস্তি তোরাই উল্টে ওকে দিবি। কি বিচার! আর দিদি, তোকে যে এই দুই বিচ্ছু বোন উল্টোপাল্টা যা খুশি বোঝায় তুই বুঝতে পারিস না?"
মা বলল,  " হিমুই যদি কিছু না বলে সব মেনে নেয় তো কি করে বুঝব? ও তো বলতেই পারত ওকে বোন আম পাড়তে বলেছে। তাহলে তো আমি শাস্তি ওকে না দিয়ে রিমাকে দিতাম।"
এটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। আমার অত্ত সুন্দর মিষ্টি বোন রিমাকে মা শাস্তি দেবে শুনলে তো কষ্ট হবারই কথা! আমি মা কে বললাম রিমা আম খেতে চেয়েছে একটু, তাতে ওকে শাস্তি দেবে কেন মা? আর ঘর আমি মুছে দিচ্ছি এমনিই, স্নান করার আগে এটা কোন সমস্যাই না।"
কাকিমার চোখ এবার গেল আমার পিছন থেকে লেজের মত বেড়িয়ে থাকা দড়িটায়। "এইটা কি?" কাকিমা দড়িটার দিকে আঙুল তুলে বলল।
"ওটা হনুর লেজ", রিয়া পাশ থেকে ফোরন কাটল।
" তুই চুপ কর। হিমু বল।"
 আমি বললাম " আমার বেল্টটা হারিয়ে ফেলেছি। তাই দড়ি বেধেছি বেল্টের জায়গায়।"
মা তখন নিজে থেকেই বলল কাল আমি স্কুলে  বেল্ট হারিয়ে এসেছি ।
কাকিমা অবিশ্বাসের সুরে বলল, " বেল্ট তো কোমর থেকে খুলে পরে যায় না, গেল কোথায়।?"
তারপর একটু ভেবে বলল, " আমার কিরকম সন্দেহ হচ্ছে।" এইবলে সোজা রিয়ার ব্যাগ খুলে ওর ব্যাগ থেকে আমার বেল্টটা বার করে আনল।
" আমি জানতাম এটা তুইই লুকিয়েছিস। হিমু বেচারাকে ভাল ছেলে পেয়ে তোরা দুই বোন বড্ড অত্যাচার করছিস ওর উপরে।"
রিয়া আম খেতে খেতে উত্তর দিল,  " যার উপর করছি সে যদি খুশি মনে সেটা মেনে নেয় সেটাকে অত্যাচার বলে না।"
কাকিমা একটু রাগ দেখিয়ে বলল, " তুই বেশি কথা শিখে গিয়েছিস রিয়া।"
তখন মা বলল, " আরে, এত রাগ করছিস কেন তুলি? দুই বোন নাহয় দাদার সাথে একটু মজাই করে, তাতে কি হয়েছে? আমরাও ছোটবেলায় এভাবে আমাদের জেঠার ছেলেকে নিয়ে মজা করতাম ভুলে গিয়েছিস তুই? মেয়েরা বাচ্চা বয়সে বড় দাদাদের সাথে এরকম একটু আধটু করে। তাতে ছেলেরা তেমন কিছু মনে করে না।"
" না রে দিদি, হিমুর উপরে ওরা তেমন অল্প সল্প না, অনেক বেশিই অত্যাচার করে। কিন্তু হিমু তাও কিছু বলে না কেন সেটাই আশ্চর্যের। এই রিয়া, হিমুর বেল্ট তোর ব্যাগে গেল কি করে বল তো?"
এবার রিয়া ইতস্তত করতে লাগল। স্কুলে সবার সামনে ও আমার বেল্ট সহ প্যান্ট খুলে সেটা নিয়ে বাড়ি চলে এসেছে আমাকে স্কুলে লেংটু করে রেখে, এটা বললে যে ও ভিশন বকা খাবে সেটা নিশ্চিত।
রিয়ার কাছে উত্তর না পেয়ে কাকিমা আমাকে জিজ্ঞাসা করল। আমি বললাম, "আমি জানি না, আজ সকালে উঠে বেল্ট টা পেলাম না।"
মা তখন বলল, " কই, কাল স্কুল থেকে ফেরার পরেই তো রিমা বলল, " তুই বেল্ট হারিয়ে এসেছিস।"
এবার কি বলব আমার মাথায় আসল না আর। তখন কাকিমা আমার মুখের দিকে চেয়ে বলল, " আর তোর মুখে এত কাদা লাগা কেন?"
" হনুমানের মুখে কাদা লেগে থাকবে না তো কি মেক-আপ লেগে থাকবে? তুমিও না মা, উল্টো পাল্টা কোশ্চেন কর শুধু।" রিয়া ওর মাকে থামাতে চেষ্টা করল।
"তুই চুপ কর রিয়া, দেখে তো মনে হচ্ছে জুতোর ছাপ। তোরা লাথি মেরেছিস নাকি ওর মুখে?"
" না কাকিমা, পা পিছলে ঘরের মেঝেয় পরে গিয়েছিলাম। গালটা মেঝেতে লেগেছিল, আর মেঝেতে বোনেদের জুতোর ছাপ পরেছিল, তাই লেগে গিয়েছে হয়ত মুখে।"আমি পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করি।
" ঠিক আছে, তুই যা করছিস কর এখন। তবে হিমু, তুই মনে রাখিস তোর সাথে দুই বোন কখনো খারাপ ব্যাবহার করছে মনে করলে আমাকে বলবি। বিশেষ করে এই রিয়াটা। ওটাকে কি করে সোজা করতে হয় আমি দেখব তারপর।"
আমি এবার কাকিমার পায়ের হাটুর একটু নিচে হাত রেখে পা জড়িয়ে ধরে বললাম, " প্লিজ কাকিমা, এরকম বলো না। রিয়া আর রিমা দুজনেই খুব ভাল মেয়ে। আমার সাথে মাঝে সাঝে সামান্য মজা করা হয়ত, এর বেশি কিছু না। প্লিজ তুমি এভাবে বলো না।" আসলে কাকিমা রিয়াকে শাস্তি দিতে পারে ভেবে আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
আমার কাতর অনুরোধে কাকিমা প্রায় পুরো ঠান্ডা হয়ে গেল। বলল, " আচ্ছা বাবা। তোর খারাপ লাগে না যখন তখন আমি আর কিছু বলব না। তোরা তিন ভাই বোনে যা খুশি কর। আমি আর মাথা ঘামাব না। শুধু তোর কখনো খারাপ লাগলে বলিস। নে, আমায় ছাড় এবার।"
আমি ছেড়ে দিতে কাকিমা নিজের ঘরে চলে গেল। আর আমি আবার ঘর মুছতে লাগলাম। রিমা রিয়াকে একবার খোঁচা দিল, তারপর দুজনে একটু ফিস ফিস করে কি কথা বলল। তারপর আমার দিকে হাসি মুখে চেয়ে রিয়া চোখ মারল। আমি বুঝতে পারলাম আমার কথা- ব্যাবহারে ও খুব খুশি।
আমার ঘর মোছা হতে রিমা বলল " এই হনু,  এবার চল আমরা ঘোড়া ঘোড়া খেলি।"
এটা নতুন কিছু না।  আমি ঘোড়া সাজলাম আর রিমা মালিক সেজে আমার পিঠে চড়ল। কিন্তু পিঠে উঠেই ও আমার চোখ বেঁধে দিল একটা গামছা দিয়ে।
" নে, চল ঘোড়া, সামনের ঘর হয়ে বারান্দা দিয়ে উঠোনে চল।"
আমি স্বাভাবিক গতিতে এগনোর চেষ্টা করলাম চোখ বাধা অবস্থাতেই। আর কয়েক পা এগোতেই আমার মাথা দেওয়ালে খুব জোর ঠুকে গেল। বেশ লেগেছে কপালে! আর আমার দুর্গতি দেখে দুই বোন এক সাথে হো হো করে হাসতে লাগল। বোন ওর চটি পরা ডান পা দিয়ে আমার ডান গালে একটা আলতো করে লাথি মেরে বলল, " তুই হনু থেকে ঘোড়া হয়েছিস, অন্ধ না। দেখে চল।" ওদিকে আমার চোখ বাঁধা গামছার অপর প্রান্ত তখন বোনের হাতে ধরা!!