Saturday 1 April 2023

রাজু (৬-৯)....

রাজু ৬.... এই বলে আমার মুখে বুট পরা দুই পায়ে আরও কয়েকটা লাথি মারল আমার প্রভু আলিয়া। তারপরে আমার গলায় বাঁধা ডগ কলারটা হাতে ধরে পাশের ঘরের দিকে এগোতে লাগল। আমার স্বপ্নের আরাধ্যা দেবী আলিয়া আমার গলায় বাঁধা ডগ কলার ডান হাতে ধরে আমার সামনে হাঁটছে, আর আমি তার পিছনে পিছনে চার হাত পায়ে কুকুরের মত চলেছি তার কালো বুট পরা পায়ে চুম্বন করতে করতে। উফ, আমার সারাজীবনের সব স্বপ্ন যেন সত্যি হল আজ! শুধু যদি আমার প্রভু বোন মিমিকে পাঠানোর মত টাকার ব্যাবস্থা করতে পারতাম তাহলে আর কিছু চাওয়ার ছিল না এই জীবনে। এই একটাই দুঃখ রয়ে গেল জীবনে! " এই স্লেভ, তোর মন কোথায়? প্রভু আলিয়া তোকে দুইবার আদেশ দিল, তোর কানে ঢোকে না?" আমার মুখে মিশা ম্যামের খুব জোরে একটা লাথি আছড়ে পরতে আমি বাস্তবে ফিরে এলাম। সত্যিই তো, এখন আমার প্রভুদের সেবা করার সময়। আমি প্রভু মিশা আর আলিয়ার জুতো পরা পায়ে অনেকবার চুম্বন করে ক্ষমা চাইলাম। তারপর প্রভু আলিয়া আবার অর্ডার করল, "আমার টেবিলের নিচে শুয়ে পর।" প্রভুর আদেশ পালনের আগে তাকিয়ে দেখলাম এটা একটা বিশাল ডাইনিং রুম। ঘরের মাঝখানে দামী পাথরের তৈরি বিশাল এক ডাইনিং টেবিল, তার উপরে সোনা দিয়ে কাজ করা বিভিন্ন স্থানে। টেবিলের উপরে মোট কত রকমের পদ রাখা এক নজরে আমি গুনে শেষ করতে পারলাম না। ২৫-৩০ রকম পদ তো হবেই। সেগুলো সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আলিয়া ম্যামের সদ্য নিয়োগ করা চার জন চাকর। তাহলে ওরাই সার্ভ করবে। আর টেবিলের নিচে অলরেডি দুই জন দুটো টেবিলের তলায় শুয়ে আছে। একজনের বয়স ৪৫ এর কাছাকাছি, বেশ শক্ত সমর্থ পুরুষ। অন্য জন বেশ বুড়ো, বয়স ৭০ এর কাছাকাছি হবে। আমি টেবিলের তলায় শোয়ার আগেই আলিয়া আর মিশা ম্যাম গিয়ে টেবিলে বসে পরল। মিশা ম্যাম বসল ওই ৪৫ বছর বয়সী স্লেভের মুখে জুতো পরা পা রেখে। আর প্রভু আলিয়া বসল ৭০ বছর বয়সী বুড়ো স্লেভের মুখের উপরে বুট পরা পা রেখে বসে। আমি টেবিলের তলায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম আমার মুখে পা রেখে কে বসতে চলেছে? বেশি ভাবতে হল না। ঘর আলো করে ঘরে উপস্থিত হল প্রভু আলিয়ার ছোট বোন প্রভু জুলিয়া। প্রভু আলিয়ার বয়স ২০, আর তার ছোট বোন জুলিয়ার বয়স এখন ১২। এখনো বাচ্চা বাচ্চা চেহারা। পরনে গোলাপি টপ, কালো লেগিন্স, পায়ে গোলাপি স্নিকার্স। ফর্শা সুন্দরী মেয়েটিকে দেখলে ঠিক ৮ বছর আগের আলিয়া বলেই মনে হয়। জুলিয়া এসেই আমার মুখের উপরে ওর জুতো পরা পা দুটো তুলে দিয়ে আমার মুখে দুই পায়ে একটা করে লাথি মেরে বলল " তুই আমাদের নতুন স্লেভ?" আমি আমার নতুন প্রভুর দুই জুতোর তলায় একবার করে ভক্তিভরে চুম্বন করে বললাম " হ্যা প্রভু।" " জুলিয়া, ওর নাম রাজু। আর রাজু কুত্তা, আমার জুতোর তলায় যে স্লেভটা আছে ওর নাম রামু। আর আলিয়া ম্যামের জুতোর তলায় ও হল কালু স্লেভ। ও বয়সে আলিয়া ম্যামের দিদার থেকেও ২ বছরের বড়। ও প্রথমে আলিয়া ম্যামের দিদার স্লেভ ছিল। তারপরে ওর মায়ের। এখন ও আলিয়া আর জুলিয়া ম্যামের স্লেভ।" জুলিয়া ম্যাম আমার মুখে অকারনে খুব জোরে জোরে লাথি মারতে মারতে মিশা ম্যামকে বলল, " মিশাদি, দিদি তোমাকে কতবার বলেছে বলতো ওকে বা আমাদের ম্যাম না বলতে? তুমি তো আমাদের দিদির মতই। নিজের বোনের মত দেখবে আমাদের। আমাদের ম্যাম, প্রভু, ভগবান এসব তো এই চাকর আর স্লেভ গুলো বলবে।" আমি দেখলাম বাকি দুই স্লেভ রামু আর কালু ওদের মুখের উপরে রাখা মিশা আর আলিয়া ম্যামের পা টিপতে শুরু করেছে। আমিও আমার মুখের উপরে রাখা ১২ বছর বয়সী বাচ্চা ম্যাম জুলিয়ার জুতো পরা পা দুটো ভক্তিভরে টিপতে শুরু করলাম। চাকরেরা ৩ ম্যামকে খাবার সার্ভ করতে লাগল। আর ম্যামেরা স্লেভেদের সেবা নিতে নিতে রাজকীয় সব পদ খেতে লাগল। জুলিয়া ম্যাম খেতে খেতে বিনা কারনে আমার মুখে জোরে জোরে লাথি মারছিল। আর প্রভু জুলিয়া আমাকে যত মারছিল আমি তত বেশি ভক্তিভরে প্রভু জুলিয়ার জুতো পরা পা টিপছিলাম। খাওয়া শেষ হতে প্রভু আলিয়া আর জুলিয়া উঠে পাশের সোফায় আরাম করে বসল পাশের টেবিলে জুতো পরা পা তুলে দিয়ে। মিশা ম্যাম বেরিয়ে কোথায় যেন গেল। চাকর আর রামু স্লেভ পরে থাকা খাবার তুলে টেবিল পরিস্কার করতে লাগল। কালু স্লেভ উঠে প্রভু জুলিয়ার জুতোর তলায় মুখ ঘসতে লাগল। জুলিয়া ম্যাম তার অন্তত ৬ গুন বয়সী কালু স্লেভের মুখের উপরে প্রায়ই খুব জোরে জোরে লাথি মারতে লাগল। তাই দেখে আমিও উঠে একইভাবে আলিয়া ম্যামের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসে প্রভু আলিয়ার কালো বুট পরা পায়ের তলায় নিজের মুখ ঘসতে লাগলাম প্রভুর পায়ের উপর দুই হাত রেখে। প্রভুরা দুই বোন গল্প করতে লাগল নিজেদের মধ্যে। মিশা ম্যাম ফিরে এল ৩ টে বিশাল চেহারার বিদেশী কুকুর নিয়ে। ঘরে ঢুকে বলল "এদের আজ সকাল থেকে খেতে দেওয়া হয়নি। এখন দেখা যাক, আমাদের উচ্ছিষ্ট রাতের খাবার কাদের পেটে যায়। কুকুরের না স্লেভের? " এই বলে মিশা ম্যাম আলিয়া আর জুলিয়া ম্যামের পাশে বসে কুকুর গুলোর গলার বেল্ট ছেড়ে দিল নিজের হাত থেকে। ম্যামেরা শুধু কুকুর বনাম স্লেভ লড়াই দেখে মজা নেবে বলে এটা করল বুঝতে অসুবিধা হয় না। আমি তাকিয়ে দেখতে লাগলাম কি হতে চলেছে। মেয়ে চাকর দুটো ততক্ষনে পাশের ঘরে গিয়ে ডাল রুটি খাচ্ছে। ছেলে চাকর দুটো প্রভুদের উচ্ছিস্ট ভাল ভাল সব খাবারের লোভে এখানেই আছে। কুকুর গুলো ছাড়া পেতেই সোজা গিয়ে খাবারের উপরে ঝাঁপিয়ে পরল। প্রভুরা যতটা মজা পাবে ভেবেছিল ততটা হল না। আসলে চাকরগুলো বিভিন্ন আমিশ ও নিরামিশ পদ আলাদা করে ফেলেছিল। হয়ত এরকম মিশা ম্যাম আগেও করেছে তাই মিশা ম্যামকে বাইরে যেতে দেখেই ওরা ব্যাপারটা আন্দাজ করেছিল। কুকুর গুলো সোজা গিয়ে আমিশ খাবারের উপরে হামলা করল। আর চাকর দুটোর সাথে মেঝেতে বসে প্রভুদের উচ্ছিস্ট নিরামিশ খাবার গুলো খেতে লাগল রামু স্লেভ। আলিয়া ম্যাম আমার মুখের উপরে লাথি মেরে বলল " তোরাও খেতে যা।" আমি আর কালু স্লেভ খাবারের দিকে যেতে যেতে শুনলাম মিশা ম্যাম বলছে, " স্লেভ গুলো খুব চালাক হয়ে গেছে।" আমি আর কালু স্লেভ বাকি ৩ জনের সাথে যোগ দিয়ে মেঝেতে বসে প্রভুদের উচ্ছিষ্ট নিরামিশ পদ গুলো তৃপ্তি করে খেতে লাগলাম। এরকম ভাল খাবার খাওয়া তো দূর, জীবনে আমি এদের নামও শুনিনি। মিনিট খানেক পরে ৩ প্রভুই এসে আমাদের সামনে দাঁড়াল। তারপর আমাদের চার দিকে গোল করে ঘুরতে লাগল ৩ প্রভু। আলিয়া ম্যাম হঠার জুতো পরা পায়ে এক চাকরের মুখে খুব জোরে লাথি মেরে বলল, " তোদের কি এগুলো খাওয়ার কথা নাকি ডাল রুটি?" মুখে প্রভু আলিয়ার লাথি খেয়ে চাকরটা সাথে সাথে প্রভুর জুতোর উপরে চুম্বন করে ক্ষমা চেয়ে বলল, " সরি প্রভু। আমরা ভাবলাম, " এসব খাবার তো ফেলাই যাবে। নিরামিশ গুলো তো কুকুরেও খাবে না। তাই কুকুরের অধম আমরা এগুলো খেয়ে নিই। তাছাড়া আপনাদের উচ্ছিষ্ট খাবার লোভটাও সামলাতে পারি নি মালকিন।" এবার জুলিয়া ম্যাম ওই চাকরটার মুখে লাথি মেরে বলল, " খুব বেশি কথা শিখেছিস তুই। তোকে পরে শিক্ষা দিতে হবে।" এরপর আমরা যতক্ষন খাবার খেলাম ততক্ষন ৩ প্রভু আমাদের লাথি আর বেল্টের বারি মেরে গেল। আমাদের পাশে কুকুর গুলো কিন্তু নিশ্চিন্তে খাবার খেতে লাগল। হবে নাই বা কেন? আমরা স্লেভরা তো সম্মানে ওই কুকুর গুলোরও নিচে। আর একটু ভাল খাবারের লোভে ছেলে চাকর দুটোও স্বেচ্ছায় নিজেদের আমাদের স্লেভেদের লেভেলে নিয়ে এসেছে! খাওয়া শেষ হতে আমাদের ৩ স্লেভকে কিছু না বলে আমাদের গলার ডগ কলার ধরে ৩ প্রভু তাদের সাথে নিয়ে চলল। আমাকে সাথে নিল প্রভু আলিয়া, কালুকে নিল প্রভু মিশা, আর রামুকে প্রভু জুলিয়া। আমাকে নিয়ে প্রভু আলিয়া সোজা তার বেডরুমে এল। আমার মুখে লাথি মেরে প্রভু বলল তার পা থেকে বুট খুলে দিতে। আমি দিলাম। প্রভুর পা থেকে বুট আর মোজা খুলে প্রভুর পায়ে ঘরে পরার লাল চটি পরিয়ে প্রভুর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। এরপর ১৫ মিনিট প্রভু আলিয়া সোফায় বসে আমার মুখের উপরে চটি পরা পা রেখে মোবাইল ঘাঁটল আর আমি ভক্তিভরে প্রভুর পা টিপে তার সেবা করলাম। তারপর প্রভু আলিয়া আমার গলায় বাঁধা ডগ কলারটা খাটের সাথে বেঁধে শুয়ে পরল। লাইট ফ্যান এসি এসবই অটোমেটেড প্রভুর ঘরে । প্রভু মোবাইলে স্লিপ মোড অন করতেই ঘরের লাইট নিজে থেকে অফ হয়ে খুব হালকা একটা নাইট ল্যাম্প অন হয়ে গেল। আমি আগে ছিলাম স্বাধীন মানুষ, তখন আমার ঘরে মাথার উপরে ফ্যানও ছিল না। আজ প্রভু আলিয়া ম্যামের স্লেভ হয়ে আমি এসি ঘরে ঘুমাচ্ছি! সে যতই গলায় ডগ কলার বাঁধা থাকুক না কেন! আজ প্রভুদের উচ্ছিষ্ট যে খাবার আমি খেলাম তেমন আমি স্বপ্নেও কোনদিন খাইনি! প্রভু আলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমি খাটের পাশে রাখা তার লাল চটি দুটো তুলে তার তলায় চুম্বন করতে লাগলাম। আর তখনই আমার মনে পরল আমার প্রথম প্রভু আমার মামাতো বোন মিমির কথা। আমি স্লেভ হয়ে আজ এসিতে ঘুমাচ্ছি, আর সে আমার প্রভু হয়ে এই গরমে সাধারন পাখার তলায় শুয়ে কষ্ট পাচ্ছে। তাকে সামান্য কিছু টাকা পাঠিয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে সাহায্য করতে পারব কিনা সেটাও জানি না। প্রভুরা কি সত্যিই আমার এই কাতর আবেদন রাখবে না? যেখানে প্রভু আলিয়া নিজে বলেছে মিমিকে আমার প্রভু আর ওর বোন হিসাবেই ভাল মানায়? আশা তো করাই যায়। আমি বুকে আশা নিয়ে প্রভু আলিয়া ম্যামের চটি দুটো নিজের মুখের উপরে রেখে ঘুমিয়ে পরলাম। রাজু ৭.... এসির ঠান্ডা বাতাসে জীবনে প্রথমবার ঘুমালাম সেই রাতে। ফলে গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিলাম। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল গলার উপরে খুব জোরে টান পরায়। চোখ খুলে দেখি আমার গলায় বাঁধা ডগ কলার হাতে ধরে খাটের ধারে পা ঝুলিয়ে বসে টানছে প্রভু আলিয়া। প্রভুর লাল চটি পরা বাঁ পা টা আমার কপালে রাখা আর ডান পা টা আমার বুকের উপরে। আমাকে চোখ খুলতে দেখে প্রভু আমার মুখে, ঠিক ঠোঁটের উপরে, চটি পরা ডান পা দিয়ে একটা লাথি মেরে বলল, " কেমন স্লেভ তুই? মনিব উঠে গেছে আর তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস?" আমি প্রভুর চটি পরা ডান পা টা দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলাম নিজের ঠোঁটের উপরে। তারপর প্রভু আলিয়ার পায়ে পরা চটির তলায় গাঢ় চুম্বন করতে করতে ক্ষমা চাইতে লাগলাম আমার প্রভু, আমার আরাধ্যা দেবী আলিয়ার কাছে। প্রভু আলিয়া প্রায় ২ মিনিট এইভাবে আমাকে ওর কাছে ক্ষমা চাইতে দিল। তারপর আমার নাকের উপর চটি পরা বাঁ পা দিয়ে পরপর দুটো লাথি মেরে বলল, " এবার উঠে বিল্ডিংয়ের স্লেভ সেকশানে গিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নে। তারপর চাকরদের সাথে মিলে ডাইনিং রুমে আমাদের ব্রেকফাস্ট রেডি কর।" আমি প্রভু আলিয়া দুই চটির তলায় পরপর ৮-১০ বার চুম্বন করে উঠে পরলাম। ফ্রেশ হয়ে কিচেনে গিয়ে দেখি চাকরেরা ততক্ষনে প্রভুদের খাবার রেডি করে ফেলেছে। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম এবার থেকে আমিও ভোর হওয়ার আগেই উঠে প্রভুদের সেবায় লেগে পরব। আজকেও আমাদের ৩ প্রভু আলিয়া, জুলিয়া আর মিশা ম্যাম আমাদের ৩ স্লেভের মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে বসে ব্রেকফাস্ট করল। ব্রেকফাস্ট শেষ হওয়ার পরে প্রভু জুলিয়ার ইচ্ছা হল আমাদের টর্চার করবে। কিন্তু সেটা খেলাচ্ছলে। হাজার হোক, এখনো ১২ বছরের বাচ্চা ও। প্রভু আলিয়া ওর বোনকে বুদ্ধি দিল চোর পুলিশ খেলাচ্ছলে আমাদের উপরে টর্চার করবে প্রভুরা। প্রথমে ৩ প্রভুর পায়ে চামড়ার বুট পরিয়ে দিলাম আমরা স্লেভরা। তারপরে আমাদের একটা করে সোনার হার দিয়ে প্রভু জুলিয়া বলল, " এই খেলায় তোরা হলি চোর। এই সোনার হার চুরি করে তোরা বিল্ডিংয়ের যেখানে খুশি লুকিয়ে রাখবি। আমরা পুলিশ। আমরা তোদের ধরে মেরে মেরে চুরির মাল বার করব। যে সবচেয়ে বেশিক্ষন আমাদের টর্চার সহ্য করতে পারবে চুরি স্বীকার না করে সেই স্লেভ হবে চ্যাম্পিয়ান। শুধু সেই আজ সকালে ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের লাঞ্চ পাবে। বাকি দুই স্লেভ রাত অবধি না খেয়ে থাকবি।" আমরা ৩ স্লেভ বিশাল বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় সোনার হার লুকিয়ে রাখলাম আমাদের বাচ্চা প্রভু জুলিয়ার আদেশে। এরপর ৩ জনে ডাইনিং রুমে ফিরে এলাম। প্রভুদের আদেশে মেঝেতে শুয়ে ঘুমানোর নাটক করলাম। ৩ প্রভু এগিয়ে এসে আমাদের গলার ডগ কলার হাতে ধরে নিজেদের বুট পরা পা আমাদের মুখের উপরে তুলে দিল। আমার মুখে পা রাখল মিশা ম্যাম। রামুর মুখে আলিয়া ম্যাম। আর কালু স্লেভের মুখে জুলিয়া ম্যাম। তারপরে বুট পরা পা দিয়ে আমাদের মুখে লাথি মারতে মারতে বলল, " চোরেদের দল! ভেবেছিলি চুরি করে আরামে ঘুমাবি! চল এবার থানায়, তোদের জামাই আদর করব!!" এই বলে আমাদের গলায় বাঁধা ডগ কলার ধরে টানতে টানতে পাশের একটা ঘরের দিকে নিয়ে চলল আলিয়া জুলিয়া আর মিশা ম্যাম। যেতে যেতে আলিয়া ম্যাম বলল, আমিও জুলিয়ার বয়সে স্লেভদের নিয়ে এরকম গেম খেলতাম। এতে বিভিন্ন ক্যারেক্টার প্লে করতে ফানও হয়। আবার অভিনয় করার অভ্যাসও হয়ে যায়।" পাশের রুমে পৌছাতে প্রভুরা আমাদের লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দিল। তারপর বুটপরা পায়ে মুখে, বুকে, পেটে লাথি মারতে লাগল আমাদের। চামড়ার শক্ত বুট পরা পায়ে লাথি মারলে যে কি ব্যাথা লাগে সে বলে বোঝানো সম্ভব না। নাকের উপরে একটা ওরকম লাথি খেলেই চোখে অন্ধকার দেখবে যে কেউ। আর প্রভুরা গায়ের জোরে বুট পরা পায়ে একের পর এক লাথি মেরে চলল আমাদের মুখে। আর জুলিয়া ম্যাম লাথি মারতে মারতে বলতে লাগল, " চোরের বাচ্চা! চুরির মাল কোথায় আছে বল। নাহলে আমাদের লাথি খেতে খেতেই মরতে হবে তোদের আজ।" মিশা ম্যাম বলল, " আলিয়া আর জুলিয়া ম্যামের পায়ে যেই বুট দুটো পরা সে দুটো কিন্তু মানুষের চামড়ায় তৈরি বুট। প্রভুদের এর আগে দুই স্লেভ ছিল কুরু আর ডুমু। একজন আফ্রিকান আরেকজন এদেশের গরীব আদিবাসী। এরকম ভাবে লাথি মেরে মেরেই দুই প্রভু ওদের মেরে ফেলে আগের বছর। তারপর ওদের গায়ের চামড়া দিয়ে বুট বানিয়ে পায়ে পরছে ওরা।" আমি শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম প্রথমে। তারপরে অবশ্য আমার কাছে ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগল! আজ যদি প্রভুদের লাথি খেতে খেতে আমি মরে যাই আর প্রভুরা আমার গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো বানিয়ে পরে সেটা কি সৌভাগ্যেরই না হবে আমার কাছে! প্রভু আলিয়া আমাদের লাথি আর চাবুকের বারি মারতে মারতে ওর ছোট বোন জুলিয়াকে বলল, " বোন, আমরা দুই বোন মানুষের চামড়ার তৈরি বুট জুতো পরেছি পায়ে। অথচ আমাদের দিদি মিশার পায়ে মানুষের চামড়ার বুট নেই। তাই চল, আজ লাথি মারতে মারতে একটা স্লেভকে মেরে ফেলি আমরা।" কথাটা শুনে প্রভু জুলিয়া খুব উতসাহ পেয়ে বলল, " ঠিক বলেছিস দিদি। এই কালু স্লেভটাকেই মারা যাক। ব্যাটা এমনিতেই বুড়ো হয়েছে। খালি রোগে ভোগে, ঠিক করে আমাদের সেবাও করতে পারে না সবসময়। আমাদের লাথি খেয়ে মরলে ও সোজা স্বর্গে যাবে।" এই বলে কালু স্লেভের গলার কলার ডান হাতে ধরে খুব উতসাহে দুই পা দিয়ে কালুর মুখে গায়ের জোরে একের পর এক লাথি মারতে লাগল প্রভু জুলিয়া। আর প্রভু আলিয়া জুতো পরা পায়ে উঠে দাঁড়ালো কালুর গলার উপরে। দুই পা দিয়ে এমন জোরে গলা চেপে ধরল যে কালু স্লেভ অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে লাগল। এরপরে প্রভু আলিয়ার হাত ধরে প্রভু জুলিয়া বুট পরা পায়ে কালু স্লেভের মুখের উপরে লাফাতে লাগল। প্রায় ২০ মিনিট এই প্রবল অত্যাচার সহ্য করল কালু স্লেভ। তারপর প্রায় ৭৫ বছর বয়সী স্লেভ তার ১২ ও ২০ বছর বয়সী দুই প্রভুর অত্যাচার আর সহ্য করতে পারল না। তার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল পুরো। মিশা ম্যাম আমার মুখে লাথি মেরে বলল, " এই কুত্তা! দেখ তো স্লেভটা মরল কিনা?" আমি কালুর পালস চেক করে দেখি তখনো অতি ক্ষীন পালস পাওয়া যাচ্ছে। তার মানে, কালু স্লেভ অজ্ঞান হয়ে গেছে সম্ভবত। আমি সেকথা বলতে প্রভু জুলিয়া ওর দিদিকে বলল, " দিদি। এবার শেষটা তুই কর।" প্রভুরা দুই জন নিজেদের মধ্যে জায়গা বদল করল। প্রভু জুলিয়া কালুর গলার উপরে এসে দাঁড়াল। আর প্রভু আলিয়া নিজের বুট পরা বাঁ পা টা এমন ভাবে কালুর নাকের উপরে রেখে দাঁড়াল যাতে সে কিছুতেই একটুও নিশ্বাস নিতে না পারে। এই অবস্থায় প্রভু আলিয়া নিজের বুট পরা ডান পা দিয়ে ভিশন জোরে জোরে কালু স্লেভের মুখের উপরে লাথি মারতে লাগল। এইভাবে আরো ১০ মিনিট চলল। তারপর মিশা ম্যাম আবার আমার মুখে লাথি মেরে আমাকে কালুর পালস চেক করতে বলল। না, এবার আর সামান্যও পালস পাওয়া গেল না। মানে দুই প্রভু আলিয়া আর জুলিয়া মুখে লাথি মারতে মারতে কালু স্লেভকে মেরে ফেলল। সত্যি, প্রভুদের কাছে এইভাবে গরীব তুচ্ছ মানুষকে মেরে ফেলা কত ক্যাজুয়াল ব্যাপার! কালু মরে গেছে শুনে জুলিয়া ওর দিদির দিকে হাত বাড়িয়ে বলল, " অপারেশান সাকশেসফুল দি, হাইফাই! এবার মিশাদিও মানুষের চামড়ায় তৈরি বুট পরতে পারবে!" মিশাদি এবার রামু স্লেভের মুখে লাথি মেরে বলল, " এই জানোয়ার! যা গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে চিরু চামারকে নিয়ে আয়। বল, মানুষের চামড়া দিয়ে বুট বানাতে হবে। সব সরঞ্জাম নিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে!" রামু চলে গেল। আর ৩ প্রভু আমাকে চড়,লাথি, আর চাবুক মারতে লাগল একসাথে। একটা মানুষ যে এভাবে মরে গেল সেটা তাদের খুব আনন্দ দিয়েছে বোঝাই যাচ্ছিল। সত্যিই তো, আমাদের মত তুচ্ছ মানুষ এইভাবে প্রভুদের মত সুপিরিয়ার মানুষদের আনন্দ দিয়ে মরতে পারলে এই জীবনে আর কিই বা চাইতে পারি! পরের ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে চিরু চামার এসে কালু স্লেভের চামড়া ছাড়িয়ে মিশা ম্যামের জন্য এক চমৎকার কালো বুট জুতো বানিয়ে দিল। তারপর প্রভু আলিয়া বলল, " এই রামু আর রাজু স্লেভ। এই কালু স্লেভের লাশ টেনে নিচে নিয়ে যা। তারপর টুকরো টুকরো করে কেটে ডগ শেল্টারের কুকুর গুলোকে খেতে দে। তোদের চেয়ে কালু স্লেভ বেশি টর্চার সহ্য করেছে। তাই ওই খেলায় চ্যাম্পিয়ান হয়ে মরল। তোরা দুটো তাই রাতের আগে খাবার পাবি না। আর কাজ সেরে মুভি থিয়েটারে আসবি ছেলে চাকর দুটোকে নিয়ে। যা ভাগ।" এইবলে আমাদের লাথি মেরে নিজের ঘরে চলে গেল প্রভু। অত বড় আর ভারী ৩ টে সোনার গয়না আমরা কোথায় রেখেছি তা খোঁজও করল না প্রভুরা! কত লক্ষ টাকা দাম ওগুলোর কে জানে! সব মিলিয়ে ১০-২০ লাখ তো হবেই। সেটা প্রভুদের কাছে কতই না নগন্য! সত্যি কত বড়লোক প্রভুরা! ২০ লাখ টাকা তাদের কাছে হাতের ময়লা। তাদের সব কাজ স্লেভেরা করে। তারা পায়ে পরে মানুষের চামড়ায় তৈরি জুতো। স্লেভেদের লাথি মেরে খুন করে সেই লাশ নিজেদের পোষা কুকুরকে দিয়ে খাওয়ায় প্রভুরা। কি চমৎকার জীবন প্রভুদের! আমরা যে স্লেভ, এই নিয়ে আমার কোন দুঃখ নেই। এ বরং আমার কাছে খুব আনন্দের খবর। দুঃখ শুধু একটাই , আমার প্রভু বোন মিমি আর তার মা আমার মামিও যদি এরকম জীবন কাটাতে পারত কি ভালই না হত! আমরা দুই স্লেভ মিলে প্রভু আলিয়ার আদেশ মেনে কালু স্লেভের চামড়া ওপড়ানো নিস্প্রান দেহটা টেনে নিচে নিয়ে গেলাম। তারপর লাশটাকে টুকরো টুকরো করে কেটে ডগ শেল্টারে নিয়ে গিয়ে প্রভুদের পোষা বিভিন্ন বিদেশী জাতের কুকুরকে ভাগ করে খেতে দিলাম। তারা আমাদের সামনেই কালু স্লেভের লাশ চিবিয়ে খেতে লাগল। হয়ত একদিন আমিও দুই প্রভুর লাথি খেতে খেতে এভাবেই মরে যাব। আমার চামড়া দিয়ে বুট বানিয়ে কোন প্রভু নিজের পায়ে পরবে। আর আমার ছিন্ন ভিন্ন লাশ চিবিয়ে খাবে প্রভুদের পোষা কুকুর! উফ, ভাবতেই কি তীব্র আনন্দ হয়! আমি আর দিবাস্বপ্ন না দেখে চার চাকরকেই ডেকে সিনেমা থিয়েটারে এলাম। বাড়ির তিন তলার এই পার্সোনাল সিনেমা থিয়েটার যেকোন মাল্টিপ্লেক্সকে হার মানাবে হয়ত! সেখানে গিয়ে দেখি প্রভুদের বন্ধু সিনেমার নায়িকা অনন্যাও এসেছে। আমি প্রভু অনন্যাকে দেখেই তার পায়ে পরে গেলাম নিজে থেকে। তার পিংক স্নিকারে চুম্বন করতে করতে তার প্রতি ভক্তি প্রকাশ করতে লাগলাম। মুভি শুরু হল তারপর। কোন এক ইংলিশ মুভি। প্রভুরা চার জন বসল আমাদের মুখে পা রেখে। প্রভু অনন্যা বসল আমার মুখের উপরে পা রেখে। প্রভু মিশা পা রাখল রামুর মুখে। আর প্রভু আলিয়া আর জুলিয়া দুই ছেলে চাকরের মুখের উপরে বুট পরা পা রেখে বসল। দুই মেয়ে চাকর ওদের খাবার ড্রিংক্স এসব সাপ্লাই করা সহ বিভিন্ন ভাই ফরমাশ খাটতে লাগল। আর আমরা আমাদের মুখের উপরে রাখা প্রভুদের জুতো পরা পা টিপতে টিপতে তাদের জুতোর তলা জিভ দিয়ে চেটে পরিস্কার করতে লাগলাম। প্রভুরা আমাদের সেবা নিতে নিতে আমাদের মুখে লাথি মারতে লাগল ইচ্ছামত। আর সাথে খাবার ও ড্রিংক্স সহযোগে মুভি দেখতে লাগল। রাজু ৮.... বাড়ি থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে প্রভু আলিয়ার ক্রীতদাস হিসাবে নতুন জীবন চলতে লাগল আমার। প্রভু আলিয়া, জুলিয়া আর মিশার লাথি খেয়ে আর জুতো চেটে তার বদলে ওদের উচ্ছিষ্ট পরে থাকা খাবার পেতাম শুধু । অন্য স্লেভরাও তাই পেত। প্রভুদের এই রাজপ্রাসাদে মোট ৫ জন স্লেভ ছিল। আমাদের ৩ প্রভুর প্রত্যেকের ব্যাক্তিগত ১ জন করে স্লেভ। আমি আর রামু হলাম প্রভুদের ৩ জনের কমোন স্লেভ। রামুর মূল দায়িত্ব ছিল প্রভুদের ড্রেস রেডি করা আর গাড়ি ধোয়া। আর আমার দায়িত্ব ছিল ৩ প্রভুর সব জুতো জিভ দিয়ে চেটে পালিশ করে রাখা। শুধু ৩ প্রভু নয়, তাদের সব বান্ধবী ও বলিউডের অন্যান্য নায়িকাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে তাদের ভক্তি দেখাতে হত। একমাসের মধ্যেই বলিউডের সব নায়িকাকেই দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেল আমার। অনন্যা, দিপিকা, অনুষ্কা, জন্নত, সুহানা, কিয়ারা, শ্রদ্ধা, দিশা সহ সব বলিউডের নায়িকাই প্রায়ই প্রভু আলিয়ার বাড়িতে আসত পার্টি করতে। তাদের দেখামাত্রই আমি তাদের পায়ের উপর মাথা রেখে শুয়ে ভক্তিভরে প্রনাম করতাম, তাদের জুতোর উপরে চুম্বন করতে করতে তাদের শ্রদ্ধা জানাতাম। প্রভু নায়িকারা হাসিমুখে আমার মুখে লাথি মারত এর জবাবে। আর আমি জিভ দিয়ে চেটে তাদের পায়ে পরা জুতো নতুনের মত চকচকে করে দিতাম। লকডাউনের ফলে সিনেমার শুটিং বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল। সিনেমার শুটিং করার আনন্দ বা রাস্তায় পাব্লিক তাদের দেখে যেই ভক্তিপূর্ন রিএকশান দেয় সেটা প্রভু নায়িকারা সবাই মিস করছিল। ফলে তাদের মেজাজ একটু খারাপ থাকত প্রায়ই। আর এর শোধ তারা তুলত আমাদের স্লেভদের উপরে। যখন খুশি চাবুক দিয়ে মারা, বা বুট পরা পায়ে গায়ের জোরে মুখে একের পর এক লাথি মারা প্রভুদের কাছে ছিল নর্মাল ব্যাপার। প্রভুরা প্রায়ই ততক্ষন ধরে স্লেভদের উপরে টর্চার করত যতক্ষন তারা অজ্ঞান না হয়ে যায়। প্রভুদের হাতে এভাবে চরম অত্যাচারিত হতে পারা আমার চরম সৌভাগ্যের বিষয় বলে মনে হত। শুধু একটা কারনেই মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগত। সেটা হল আমার মামি আর তার মেয়ে মিমি। ওদের সাথে কতদিন যোগাযোগ নেই। প্রভুরা কি ওদের সাথে কন্টাক্ট করেছে? সম্ভবত না, করলে নিশ্চয়ই আমাকে জানাত। আমি বোনকে কথা দিয়েছিলাম মুম্বাই এসে কাজ নিয়ে প্রতি মাসে ওকে টাকা পাঠাব। সেই টাকা দিয়ে ও কিছুটা হলেও ফুর্তি করতে পারবে। কিন্তু না, সেই সৌভাগ্য হয়ত আর এ জীবনে হবে না। আগস্টের ১৫ তারিখ প্রভুদের বাড়িতে স্বাধীনতা দিবসের বিশাল পার্টি ছিল। প্রভুরা সবাই সারা রাত পার্টি করল। আমরা স্লেভরা প্রভুদের খাবার আর ড্রিংক সার্ভ করলাম। প্রভুরা নেশাচ্ছন্ন হয়ে সবার সামনেই আমাদের মেঝেতে উপুড় করে ফেলে গালের উপরে বুট পরা পা রেখে পিঠের উপরে চাবুকের বারি মারতে লাগল। পার্টিতে উপস্থিত সব অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজকেরা তাই দেখে এমন ভাবে হাসতে লাগল যেন খুব মজার কোন জিনিস হচ্ছে! স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত পার্টিতে প্রকাশ্যে একজন মানুষ আরেকজনের মুখের উপরে বুট পরা পা রেখে তার পিঠে একের পর এক চাবুকের ঘা মেরে তার পিঠ রক্তাক্ত করে দিচ্ছে এ দেখে অনেকের হয়ত বিস্ময়কর লাগতে পারে, কিন্তু আমার ক্রীতদাসের চোখে এ অতি স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে হতে শুরু করেছিল ততদিনে। পরের দিন আলিয়া, জুলিয়া আর মিশা ম্যাম এক বিখ্যাত পরিচালক আর প্রযোজকের সাথে মিটিং করতে বসল। সামনের মাসে তারা একসাথে এক নতুন হাই বাজেট মুভির শুটিং শুরু করবে। কোন সাস্পেন্স থ্রিলার মুভি। তাতে মূল চরিত্রে থাকবে দুই জোড়া বোন। আলিয়া আর জুলিয়া ম্যাম হবে একজোড়া বোন। আর অন্য জোড়া বোনের চরিত্রে থাকবে মিশা ম্যাম আর নতুন কোন এক কম বয়সী মেয়ে। জুলিয়া, মিশা ম্যাম আর সেই মেয়েটি এই মুভিতেই প্রথম অভিনয় করবে। আমার মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে বসে আলিয়া ম্যাম নতুন নায়িকার ফটো দেখাল প্রডিউসার আর ডিরেক্টরকে। তাদের খুব পছন্দ হল। সিনেমার সব কথা ফাইনাল হয়ে গেল। সেপ্টেম্বারের মাঝামাঝি শুটিং শুরু হবে ঠিক হল। প্রভুদের ৩ জনের সাথে হাত মিলিয়ে পরিচালক আর প্রযোজক যখন ঘর থেকে বেরিয়ে গেল তখনো আমরা ৩ স্লেভ ৩ প্রভুর জুতো পরা পায়ের তলায় শুয়ে প্রভুদের পা টিপে চলেছি! " লকডাউনের পরের পৃথিবী আর আগের মত হবে না। তোদের মত স্লেভদের এরপর থেকে প্রকাশ্যেই স্লেভের মত ট্রিট করব আমরা। যেমন ২০০ বছর আগে নিগ্রো স্লেভদের করা হত ঠিক তেমন।" - আলিয়া ম্যামের এই কথা শুনে আমি ভিশন খুশি হয়ে ম্যামের জুতোর তলায় চুম্বন করতে করতে তাকে ধন্যবাদ দিতে লাগলাম। পরের মাসের শুরুতে আমাকে এক সপ্তাহের জন্য প্রভু অনন্যার কাছে ধার দিল প্রভু আলিয়া। প্রভু অনন্যা তার প্রধান স্লেভের বুড়ো বাবার গায়ের চামড়া জ্যান্ত অবস্থায় ছাড়িয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে বুট বানিয়েছিল। এই ভাবে কষ্ট দিয়ে বাবাকে মারা নাকি প্রধান স্লেভ মেনে নিতে পারে নি। আর প্রভু অনন্যা মেনে নিতে পারে নি তার নিজের পোষা স্লেভ তার কোন কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। বাবার চামড়া দিয়ে বানানো বুট পরা পায়ে ছেলের মুখে লাথি মারতে মারতে তাকেও মেরে ফেলে প্রভু অনন্যা। সত্যি, মাত্র ১৭ বছর বয়সী নায়িকা অনন্যাকে সিনেমার পর্দায় দেখলে মনে হয় romantic movie এর cute নায়িকা! সে যে এত cruel হতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন! এই ৭ দিন প্রভু অনন্যা আমার উপরে যা অত্যাচার করল তার আগের ১০০ দিনে আমার ৩ প্রভু মিলেও আমার উপরে এত অত্যাচার করেনি। সিলিং থেকে উলটো করে ঝুলিয়ে পিঠে চাবুক আর মুখে বুট পরা পায়ের লাথি, পিঠে সিগারেট আর গরম রডের ছ্যাঁকা, ব্লেড দিয়ে চামড়া কেটে সেই কাটা জায়গায় নুনের ছিটে দেওয়া, কি নয়? দিন শেষে এত অত্যাচারে শরীর ভেঙে পরত আমার। তবে রাত হলে প্রভু বদলে যেত। তখন প্রভু লাইট মিউজিক চালিয়ে ওয়াইন খেতে খেতে কারও সাথে একটা ভিডিও চ্যাট করত। আর আমি প্রভু অনন্যার চটি পরা পা দুটো মুখের উপরে নিয়ে তার চটির তলা চাটতে চাটতে তার পা টিপে দিতাম ভক্তিভরে। আর প্রভু অনন্যার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম, এত সুন্দর এক প্রভুর সেবা করার জন্য সব কষ্ট সহ্য করা যায়! সেপ্টেম্বারের ৮ তারিখ প্রভু আলিয়ার কাছে ফিরে এলাম আবার। ৭ দিন পর প্রভুকে দেখে প্রভু ভক্ত কুকুরের মত তার পায়ে মাথা ঘসতে লাগলাম আমি। প্রভু বলল, " সেপ্টেম্বারের ১৫ তারিখ আমাদের নতুন মুভির শুটিং শুরু হবে। তুই শুটিং ফ্লোরে সবার সামনে আমাদের সেবা করবি। তবে সবচেয়ে বেশি সেবা করবি আমাদের নতুন নায়িকার। সে মুম্বাই আসবে এই মাসের ১১ তারিখ। আমি সেদিনই তোকে ওই নতুন প্রভুর কাছে দিয়ে দেব তার সেবা করার জন্য। সেই এরপর থেকে তোর নতুন প্রভু হবে।" আমার শুনে বেশ খারাপ লাগল। আমি বহুদিন ধরেই প্রভু আলিয়াকে ভগবানের চোখে দেখি। আর এখানে আসার পর থেকে আমার ৩ প্রভু, আলিয়া, জুলিয়া আর মিশা ম্যামকে ৩ মাস ধরে সেবা করে মনে তাদের প্রতি অত্যাধিক ভক্তির জন্ম হয়েছিল। এবার তাহলে পার্মানেন্টলি প্রভুদের ছেড়ে যেতে হবে ভেবে বেশ দুঃখ লাগল। তবে শেষ দিন ৩ দিন নিজের শেষ রক্ত বিন্দু নিংড়ে আমার ৩ প্রভুর সেবা করে গেলাম। লকডাউনের পরে তখনো পাব্লিক ফ্লাইট চালু হয়নি দেশে। সেপ্টেম্বারের ১১ তারিখ প্রডিউসারের প্রাইভেট প্লেনে মুম্বাই আসার কথা নতুন নায়িকার, যে আমার ভবিষ্যত প্রভু হতে চলেছে। আমি সেদিন দুপুরে ফ্লাইট আসার এক ঘন্টা আগে থেকে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে এল সেই কাঙখিত মুহুর্ত! আমার নতুন প্রভুকে নিয়ে প্লেন এসে ল্যান্ড করল মুম্বাইয়ের এয়ারপোর্টে। আমি প্লেনের সিঁড়ির সামনে হাঁটুগেড়ে বসে আমার নতুন প্রভুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে দেখা পেলাম তার। পিংক টপ, কালো জিন্স আর পায়ে পিংক স্নিকার্স পরা আমার ফর্শা সুন্দরী প্রভু। বলিউডের নতুন ড্রিম গার্ল! প্রভু সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিল আর আমি অপলকে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। কোভিডের জন্য মুখে মাস্ক আর গরমের দুপুরে চোখে কালো রোদচশমা থাকায় আমি প্রভুর মুখের প্রায় কোন অংশই দেখতে পাচ্ছিলাম না। শুধু বুঝতে পারছিলাম আমার নতুন প্রভু অপরুপা সুন্দরী! প্রভু নিচে এসে নামতেই আমি এয়ারপোর্টে সবার চোখের সামনেই প্রভুর জুতো পরা পায়ে মাথা রেখে প্রনাম করলাম, তারপর তিন বার করে প্রভুর দুই জুতোর উপরে চুম্বন করে প্রভুর দিকে হাতজোড় করে বললাম " I am your new servant and slave mam". নতুন প্রভু আমার মুখে অবলীলায় একটা লাথি মেরে আমাকে একদিকে সরিয়ে দিয়ে বলল, " প্লেনের ভিতরে গিয়ে আমার লাগেজ গুলো নামিয়ে আন বুদ্ধু!" এ কি আমি ঠিক শুনলাম? এ যে আমার মামাতো বোন মিমির গলা!! প্রভু আলিয়া তার নতুন সিনেমার নায়িকার রোলে আমার বোনকে অভিনয় করার সুযোগ দিচ্ছে? আমি প্রভু আলিয়ার কাছে চেয়েছিলাম মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন, যাতে সেই টাকা পাঠিয়ে আমি আমার প্রভু মামাতো বোনকে কিছু হেল্প করতে পারি। আর ৩ মাস সেই প্রসঙ্গে একটা কথাও না বলে আজ প্রভুরা আমার সুন্দরী স্বার্থপর নিষ্ঠুর বোনকে সিনেমার নায়িকার রোল করার সুযোগ দিল! এখন বোনকে আর মাসে ১৫ হাজার দিয়ে চালাতে হবে না, প্রতি মাসে ১৫ লাখ টাকা সে খুব সহজেই ওড়াতে পারবে। সারা দেশের ড্রিম গার্ল হবে আমার মামাতো বোন। সারা দেশের কত অগুন্তি ভক্ত ছেলে ঘরের দেওয়ালে আমার বোনের ফটো টাঙিয়ে বোনের সেই ফটোকে প্রনাম করবে আমার মত! সত্যি, আমার মামাতো বোনের মত সুন্দরী,স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর মেয়েরা এরকম লাইফই ডিজার্ভ করে। আমি প্লেন থেকে প্রভু বোনের লাগেজ নামিয়ে তার জন্য পাঠানো বিশাল এসি গাড়িতে তুললাম। বোনকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে এসেছিল মিশা ম্যাম। আমি লাগেজ গাড়িতে তুলে মিশা ম্যাম আর প্রভু বোনের জুতো পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম প্রকাশ্য রাস্তায়। মিশা ম্যাম আমার মুখে লাথি মেরে মুচকি হেসে বলল -" তোর বোনকে নায়িকা হিসাবে দেখে কেমন লাগছে রাজু স্লেভ?" আমি বেশি কিছু বলতে পারলাম না। শুধু মিশা ম্যামের জুতোর উপরে বারবার ভক্তিভরে চুম্বন করতে করতে তাকে "thank you mam" বলতে লাগলাম।" তারপর আমার দুই প্রভু মিমি আর মিশা গাড়ির পিছনের সিটে পাশাপাশি বসল। আর আমি গাড়ির পিছনের সিটে বসা আমার বোন মিমির জুতো পরা পায়ের কাছে মাথা রেখে শুয়ে পরলাম। বোন ওর জুতো পরা পা দুটো তুলে দিল আমার মুখের উপরে। আর মিশা ম্যাম ওর সাদা স্নিকার্স পরা পা দুটো রাখল আমার বুকে। ড্রাইভার গাড়ি চালাতে লাগল আর আমি আমার মুখ আর বুকের উপরে রাখা দুই প্রভু মিমি আর মিশার জুতো পরা পা দুটো ভক্তিভরে টিপতে লাগলাম। আমার স্বার্থপর মামাতো বোন আমার নতুন প্রভু আর সে আমার সাহায্যেই আজ বলিউডের নায়িকা হতে চলেছে এটা জেনে যে কি খুশি লাগছিল আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমার প্রভু মামাতো বোন মিমি আমার মুখের উপরে ঘসে নিজের জুতোর তলার ময়লা পরিস্কার করতে লাগল। আর আমি ভক্তিভরে আমার প্রভু বোন মিমির জুতো পরা পা দুটো টিপে চললাম, ঠিক যেভাবে রোজ বাড়িতে সবার সামনে ওর সেবা করতাম এক বছর আগে! রাজু ৯... দিনগুলো এরপর যেন স্বপ্নের মত কাটতে লাগল! আমার মামাতো বোন মিমিকে এক বিশাল এপার্টমেন্ট ও দুটো দামী গাড়ি দিয়েছিল সিনেমার প্রডিউসার। ও এখন বিগ বাজেট বলিউড মুভির নায়িকা। এটুকু তো ওর লাগবেই। সাথে বেশ অনেক চাকরও ছিল। আর আমি থাকলাম ঘোষিত ভাবে মিমির স্লেভ হয়ে। মামা ও মামিও কিছুদিন বাদে প্রডিউসারের প্লেনে করে মুম্বাই এল। মামি তার মেয়ের সাথে একই ফ্লাটে উঠল। দিন গুলো যেন আবার পুরনো দিনের মতই কাটতে লাগল আমার। সিনেমার শুটিং শুরুর আগে দিনের বেশিরভাগ সময়ই মিমি জুতো বা চটি পরা পা আমার মুখের উপরে রেখে বসে আমাকে দিয়ে পা টেপাত। কখনো মামি তার মেয়ের জায়গা নিয়ে আমার সেবা নিত। বাকি চাকরেরাও মন দিয়ে তাদের দুই মালকিনের সেবা করত। সত্যি, আমার স্বার্থপর মামি আর তার মেয়ে এরকম লাইফ স্টাইলই ডিজার্ভ করে! মামার ভাগ্যে লেখা ছিল এর সম্পুর্ন বিপরীত চিত্র। মামি আর মিমি মামার নাম করে বহুলোকের থেকে কয়েক বছর ধরে ধার নিয়ে আসছিল নিজেদের ফুর্তি করার টাকা জোটাতে । এরপর লকডাউনে মামার কাজ করা ও রোজগারও সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধার শোধ দেওয়ার কোন সুযোগই হয়নি মামার। মামার সামনে দুটো উপায় ছিল। হয় আত্মহত্যা করা নাহয় নিজেকে স্লেভের মত বিক্রি করে দেওয়া। আত্মহত্যা করলে তার দেনা তার বউ ও মেয়ের উপরে বর্তাবে এই চিন্তায় সে সেটাও করতে পারছিল না। উপায় শেষ অবধি তার মেয়ে মিমিই দেখায়। নিজের বাবাকে ৩০ লাখ টাকায় সম্পুর্ন স্লেভ হিসাবে বিক্রি করে দেয় আলিয়া ম্যামের কাছে। এখন মামার মেয়ে বলিউডের নায়িকা। আর মামা বলিউডের আরেক নায়িকা প্রভু আলিয়ার পারিবারিক স্লেভ! মামা এখন স্লেভ হয়ে আলিয়া, জুলিয়া আর মিশা ম্যামের সেবা করে সারাদিন, ঠিক যেভাবে আমি করতাম কয়েক দিন আগেও! অবশ্য শুনেছি মন থেকে মামা স্লেভারি মেনে না নেওয়ায় আর ধনী- গরিব, সাদা-কালো নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী হওয়ায় প্রভুরা তার উপরে আরো অনেক বেশি অত্যাচার করত। শুধু প্রভু আলিয়ারাই নয়। মিমিও তার নিজের বাবার উপরে অত্যাচার করতে ছাড়েনি। মাঝে ৩ দিনের জন্য প্রভু মিমি নিজের বাবাকে স্লেভ হিসাবে নিজের এপার্টমেন্টে নিয়ে আসে। তারপর অকথ্য অত্যাচার করে ৩ দিন ধরে, নিজের বাবার উপরেই। মুখে বুট পরা পায়ে গায়ের জোরে লাথি, চাবুকের আঘাত, থাপ্পর, ঘুসি কি মারেনি? যে মামা তার মেয়েকে প্রানের চেয়েও বেশি ভালবাসত সে মেয়ের বুট পরা পায়ে মাথা রেখে কাতর কন্ঠে ক্ষমা চাইছিল মেয়ের কাছে আর তাকে থামতে বলছিল। কিন্তু মিমি তাতে থামেনি। দয়া, মায়া এসব কোনদিনই মিমি বা তার মায়ের মধ্যে ছিল না। তার বাবা যত অসহায়ের মত তার বুটের উপর চুম্বন করে ক্ষমা চাইছিল তত সে আরো বেশি জোরে বাবার মুখে লাথি মারছিল। মামিও অত্যাচার করছিল নিজের স্বামীর উপরে। আমার দেখে ভাল লাগছিল, আবার খারাপও লাগছিল মাঝে মাঝে। মামার মত নিপাট ভাল মানুষের কি এরকম ব্যাবহার পাওয়া উচিত? অবশ্য আমি জানি এটা এই পৃথিবীতে ব্যাতিক্রম কিছু না। এই পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ গোলামি করছে দেনার দায়ে পরে। আর সেটা লিগাল স্লেভারি। টাকা ধার নিয়ে শোধ দিতে না পেরে কোন পরিবার বংশ পরাক্রমে খেটে চলেছে "তার প্রভু"র বাড়িতে। কোন শিশু জন্ম থেকে রোদ জল ঝড়ে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছে ইঁটভাটায়, কারন ৫ পুরুষ আগে তার পূর্ব পুরুষ তার মালিকের পরিবারের থেকে ধার নিয়ে নাকি শোধ দেয়নি। সে ধার কত টাকা তার কোন লেখা ঝোকা নেই, তারা জানেও না। শুধু জানে, যে আইন হল তাদের বংশ পরম্পরায় এইভাবে গোলামী করতে হবে। নাহলে পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে টাকা ধার নিয়ে শোধ না দেওয়ার অপরাধে। আর জেলের ভিতরে যা হবে তাদের সাথে তার চেয়ে বাইরের দুনিয়ার যেকোন শাস্তি অনেক ভাল। তবে মামার সাথে এদের পার্থক্য শুধু স্লেভারির ধরনে। মামাকে প্রভুরা স্লেভ করেছে তার গলায় মোটা লোহার শেকল পরিয়ে। যেমনটা ২০০-৩০০ বছর আগে আফ্রিকা থেকে কালো স্লেভ এনে বাজারে বিক্রির আগে সাদারা করত। তারপর সময় বদলেছে। wired telephone যেমন সময়ের সাথে বদলে wireless mobile হয়ে গেছে, মূলত একই জিনিস হলেও পার্থক্য শুধু চোখে দেখতে পাওয়া তারে, স্লেভারিতেও সময়ের সাথে বদল এসেছে। এ যুগের নিও-লিবারাল ইকোনমিতে স্লেভেদের গলার শিকল অদৃশ্য থাকে, wireless mobile এর মত। কিন্তু কাজের দিক থেকে wireless mobile যেমন পুরনো wired mobile এর চেয়েও বেশি effective, এ যুগের স্লেভারিও তাই। এ যুগে ক্ষমতাবান মানুষ, গরীব মানুষকে দিয়ে আরো effective ভাবে দাসত্ব করায়, নিও-লিবারাল যুগের তথাকথিত গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থার নামাবলী গায়ে জড়িয়ে। আমার বা মামার মত খুব কম জনকেই সরাসরি স্লেভারি করার মত কাজ করতে হয়। প্রভু আলিয়া যেদিন মামাকে নিতে এল, সেদিন মিমির এপার্টমেন্টে যেন চাঁদের হাট বসে গেল। বলিউডের প্রায় সব নায়িকা এসে উপস্থিত। আমি একবার এর বুটে চুমু খাই তো পরক্ষনেই অন্য কারো জুতোয়! আর আমার বোন সবার সামনে নিজের বাবার মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে বসে কথা বলতে লাগল! প্রভু আলিয়া আমার বোনের খুব প্রশংসা করল সবার সামনে। তারপর বলল -"মিমির থেকে আমাদের একটা জিনিস শেখা উচিত। সেটা হল স্লেভারি জিনিসটা মানুষকে দিয়ে লুকিয়ে করানোর কোন মানে নেই। আমরা এটা করতাম এই ভুল ধারনা থেকে যে সত্যিটা বুঝতে পারলে গরীব কুশ্রী মানুষেরা বিদ্রোহ করবে। কিন্তু সেটা ঠিক নয় এটা মিমিকে দেখে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি। ওর মত কনফিডেন্টলি ট্রিট করলে রাজুর মত ৯০% লুজারই নিজের ইচ্ছায় আমাদের স্লেভ হবে। আমাদের সরাসরি সেবা করে সুখ পাবে। যেটা দূর থেকে ওদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে ওরা পায় না। আমরাও টর্চার করার আনন্দটা মিস করি। তাই পুরনো স্লেভারির যুগের মত আমাদের ডিরেক্ট স্লেভারিতেই ফিরে যাওয়া উচিত। যেখানে আমাদের মত উইনারেরা রাজুর মত লুজারদের প্রকাশ্যে আবার কেনা বেচা করবে। আমরা দাসেদের উপরে যত খুশি অত্যাচার করব। আর এর সপক্ষের আদর্শ আবার মিডিয়ায় প্রচার শুরু হবে, যেমনটা ২০০ বছর আগে হত। এটা আমাদের পক্ষে যতটা ভাল, দাসেদের পক্ষেও ভাল। আমাদের চাবুকের ঘা বা বুট পরা পায়ের লাথি খেয়ে আমাদের বুটে কিস করে ক্ষমা চাইতে পারলে দাসেরা যে আনন্দ পায় সেটা থেকে ওদের বঞ্চিত করার কোন মানে হয় না। আর যেটা প্রচার করা হয়, মানুষ তাতেই বিশ্বাস করে। ফলে সব মিডিয়া যদি আবার স্লেভারির আদর্শ প্রচার করে, আমাদের মত নায়িকারা যদি মিডিয়ায় সাক্ষাতকার দিই জুতো পরা পা স্লেভেদের মুখের উপরে রেখে বসে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সবাই এটাকেই নর্মাল বলে মেনে নেবে। রাস্তায় গরীব মানুষ শুয়ে থাকবে, আমরা নায়িকারা তাদের মুখের উপরে জুতো পরা পা রেখে হেঁটে যাব, ইচ্ছা হলেই ওদের লাথি মারব। আমাদের নামে মন্দির বানিয়ে দেবী বলে পুজো করবে সাধারন গরীব জনতা। আমরাই হব ৯৫% লোকের পুজনীয় দেবী, মালিক ও প্রভু।" উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে প্রভু আলিয়ার প্রস্তাবে সমর্থন দিল। ঠিক হল সিনেমার শুটিং শুরুর আগে যে প্রমোশান হবে সেখানে সিমেমার চার নায়িকা, প্রভু মিমি, মিশা, জুলিয়া আর আলিয়া সবাই প্রকাশ্যে জুতো পরা পা কোন স্লেভের মুখের উপরে রেখে পা টেপাতে টেপাতে কথা বলবে। আর সিনেমার গল্পের মাধ্যমেও স্লেভারির সপক্ষে প্রচার শুরু হবে! সেদিনই ঠিক হয়ে গেল যে আর ৩ দিন পরে প্রমোশান আর ৭ দিন পর থেকে সিনেমার শুটিং শুরু হবে। এটাই বলিউডের প্রথম মুভি যা স্লেভারিকে সাপোর্ট করে ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছে!