Friday 1 September 2023

বিভূতি ও জয়তি

. বেতন চাওয়ায় কর্মীকে পায়ে পরার জুতো চাটালেন নারী ‘বস’! আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কলকাতা টাইমস ৩১ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৪৬ অভিযুক্ত বিভূতি ও জয়তি পাল বেতন চাইতে যাওয়াটাই যেন অপরাধ হয়েছিল কর্মচারীর। মারধর, গালিগালাজ, বাদ গেল না কিছুই। শুধু তাই নয়, বস তথা সংস্থার দুই মালিক তার মুখের উপরে বুট জুতো পরা পা রেখে তার তলা চাটতে বাধ্যও করেন! সাথে মুখের উপরে বুট পরা পায়ের একের পর এক লাথি! হেনস্থা এতটাই চরম পর্যায়ে হয়েছে যে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে ওই কর্মীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির এক সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তি তপন আঘাতের ফলে আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে প্রত্যক্ষদর্শী এক কর্মীর অভিযোগে তদন্ত করছে পুলিশ। সেই কর্মী পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর বিভূতি ও জয়তি পাল নামে ওই দুই নারীর খোঁজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু বাড়ি বা অফিস কোথাও তাকে পাওযা যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছিল পুলিশ। অন্য এক সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শিলিগুড়িতে পিউ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার গত ২ বছর ধরে মালিক পিউ পালের দুই মেয়ে, ২১ বছর বয়সী বিভূতি ও তার দিদি ২৩ বছর বয়সী জয়তি । গত অক্টোবর মাসে তার সংস্থায় তপন দাস নামে এক কর্মীকে নিযুক্ত করেন তারা । তপনের মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মাসেই তার চুক্তি আচমকা শেষ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাত্র ১৬ দিন কাজ করেছিলেন নীলেশ। ওই কয়েকদিনের বেতন চাইলেও কোনো উত্তর দেয়নি সংস্থাটি। গত বুধবার ওই বকেয়া টাকা চাইতে এক প্রাক্তন সহকর্মীকে নিয়ে ওই সংস্থার অফিসে যান নীলেশ। এরপরই তাকে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে বিভূতি পালের দিদি জয়তি পাল নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী। এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ওই কর্মী তপনকে টেনে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুরু হয় মারধর। লাথি, বেল্ট দিয়ে মার, ঘুষিও মারা হয়। জয়তির মার মুখ বুজে সহ্য করতে থাকে তপন বেতনের আশায়। এরপর সামনে আসেন বিভূতি। তিনি নিজের জুতা পরা পা ওই কর্মীর মুখের উপরে রেখে তাকে নিজের জুতা চাটতে বলেন। তপন বিনা প্রতিবাদে তার জুতো চাটতে থাকে। তখন দুই বোন পালা করে তপনের বুকে ক মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী তপনকে উঠে চলে আসতে বললেও সে দুই বসের লাথি খেতে খেতে তাদের পায়ে পরা বুট জুতো জিভ দিয়ে চাটতে থাকে আর তাদের জুতোর উপরে চুম্বন করতে করতে অনুরোধ করতে থাকে তার প্রাপ্য ৬০০০ টাকা তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তপনের অনুরোধে কান না দিয়ে দুই বোন তার বুকে ও মুখে টানা লাথি মারতে তাকে বুট পরা পায়ে। তপনকে দিয়ে নিজেদের বুটের তলা জিভ দিয়ে চেটে পালিশ করতে বাধ্য করে। তপনের বুকে বেল্ট দিয়ে আঘাতও করতে থাকে। তপন জ্ঞান হারানোর আগে পর্যন্ত তাকে এইভাবে মারতে থাকে তার দুই বস। ৩২ বছর বয়সী তপন তার দুই নারী বসের বুট পরা পায়ের লাথি খেতে খেতে শেষে জ্ঞান হারায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পিউ ইন্ডাস্ট্রির কর্মী রানা জানায় বয়সে ছোট দুই মেয়ে বসের লাথি খেয়ে তপনের নাক ফেটে রক্ত পরছিল তখন। সেই তখন তপনকে সেখান থেকে বের করে এনে এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। অভিযোগে সে জানায় দুই বোন কোন তুকতাক করার ফলেই তপন বিনা বাধায় সব অত্যাচার সেই সময় মেনে নিচ্ছিল। এরকম ঘটনা এর আগেও আরো ৩-৪ জন কর্মীর সাথে করেছে এই দুই নারী বস। কোন এক অজানা অলৌকিক তুকতাকের কারনে কর্মীরা সেভাবে কোন বাধা দেয় না বলে দাবী রানার। জ্ঞান ফেরার পরে তপন অবশ্য এই ঘটনা সম্পুর্ন অস্বীকার করেছে। সে দাবী করে তার দুই বস অতি ভাল মানুষ ও চাওয়া মাত্র তার বেতন দিয়ে দিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তির সময়ে তার মুখ জোড়া বুট জুতো পরা পায়ের ছাপ ও জিভ ভর্তি কাদা থাকার কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা সে দিতে পারে নি। কিন্তু আহত ব্যক্তি নিজে অভিযোগ অস্বীকার করায় পুলিশ f.i.r. তুলে নিয়েছে। এবং তারপরেই বিভুতি ও জয়িতা নিজের বাসভবনে ফিরে আসে। তারা এই ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। যদিও অন্তর্তদন্ত বলছে, দুই বোন সংস্থার মালিক হওয়ার পরে গত দুই বছরে এর আগেও অফিসের বিভিন্ন কর্মীকে মারধর ও অপমান করা, তাদের দিয়ে জুতো চাটানো বা বেতন না দেওয়ার মত বহু অভিযোগ দুই বোনের বিরুদ্ধে এর আগেও বহুবার এসেছে। কিন্তু কোন আশ্চর্য কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা প্রতিবারই অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। এর পিছনে দুই বোনের কালাযাদুর কোন অলৌকিক ক্ষমতা আছে নাকি অন্য কোন অজানা কারন তা এখনও অজানা। রানার দাবী অফিসের বর্তমান ৩ কর্মীকে দিয়ে এই দুই নারী বস রোজ নিজেদের জুতো চাটিয়ে পরিস্কার করায় ও ইচ্ছামত তাদের চড়, লাথি, ঘুসি, চাবুক মারে। যেকোন কারনেই হোক তারা সেটা মেনে নেয় কোন অভিযোগ বা আপত্তি ছাড়াই। রানা দুই বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় স্বভাবতই তাকে কম্পানি থেকে বরখাস্ত করেছে তার দুই বস। আর তপন নতুন এক চুক্তিতে অন্য এক পোস্টে কাজ পেয়েছে ওই কম্পানিতে। পুলিশ জানিয়েছে রানাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বা তপনকে চাকরি দেওয়া কোনটাই অপরাধ নয়। এমনকি তপন বা অন্য কর্মচারীরা অভিযোগ না করলে তাদের দিয়ে জুতো চাটানো বা লাথি মারার ঘটনা ঘটলেও সেটা আইনের চোখে অপরাধ নয় এবং পুলিশ এই নিয়ে কোন তদন্ত করবে না আর। ( গুজরাটের এক বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে লেখা এক খবরকে এডিট করে লেখা)।