Tuesday 1 October 2019

হনু ও দুই রাজকন্যা



( Warning : mild CFNM). 

 আমার স্কুল জীবনে একবার একটা লেংটু অভিজ্ঞতা হয়েছিল পাবলিকলি। তখন আমি ক্লাস সিক্স, গ্রামের একটি কো এড স্কুলে পড়ি। সেদিন লাস্ট পিরিয়ডের স্যার আসেনি, ফলে ছেলে মেয়ে সবাই মাঠে বেরিয়ে খেলছি। আমি তখন একটা গাছের ডাল ধরে দোল খাচ্ছিলাম। তখন পিছন থেকে এসে আমার ক্লাসমেট কাজিন বোন এসে এক টানে আমার হাফ প্যান্ট টেনে খুলে দে ছুট! আমার সে যে কি লজ্জা! আমি এক লাফে নেমে প্রথমে ভাবলাম বোনকে ধরতে ছুটি, তারপরে আগে লম্বা শার্টটা দিয়ে লজ্জা ঢাকবো স্থির করলাম। কিন্তু শার্ট লম্বা হলেও তলার বোতাম ছেঁড়া, তাই পিছন দিক ঢাকা গেলেও নুংকু ঠিক বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমার দুই বন্ধু এসে পথ বাতলাল, " তুই গিয়ে বাথরুমে লুকিয়ে থাক, আমরা গিয়ে তোর প্যান্ট উদ্ধার করে আনছি। " আমি আশায় আশায় বাথরুমে গিয়ে ঢুকলাম।

কিন্তু হায়, বিধি বাম। এক স্যার এসে একটু পরেই বলে গেল "তোদের আজ ছুটি, বাঁদরামো না করে বাড়ি যা সব।" ব্যাস, অন্য ছেলে মেয়েদের সাথে আমার কাজিন বোন রিয়াও আমার প্যান্টের কথা ভুলে নাচতে নাচতে বাড়ি চলে গেল! একটু পরে আমার বন্ধু মোটু তার মোটা মাথা দোলাতে দোলাতে এসে বাথরুমের দরজায় টোকা দিয়ে বলল " তোর বোন বাড়ি চলে গেছে। "

আমার তখন কি অবস্থা বুঝতেই পারছ। ইচ্ছা করছিল মোটুর মাথায় এক ঘা দিয়ে ওকে অজ্ঞান করে ওর প্যান্ট পরে বাড়ি যাই। কিন্তু ওর কোমর আমার তিন গুন, তাই এই প্ল্যান ক্যান্সেল করতেই হল। কোনরকমে গায়ের শার্ট খুলে কোমরে পেঁচিয়ে লজ্জা নিবারন করে বাড়ি ফিরলাম। 

বাড়ি ফিরে দেখি রিয়া আমার চেয়ে দুই বছরের ছোট ক্লাস ফোরে পড়া ছোট বোন রিমার সাথে বাড়ির উঠোনে স্কুল ড্রেস পরে বসেই কাঁচা আম খাচ্ছে। আমাকে এই অবস্থায় দেখে ওর বোধহয় এতক্ষনে মনে পরল ও কি কান্ড করেছে! আর আমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার ছোট্ট বোন রিমা কেন জানি না হো হো করে হাসতে শুরু করেছে!

রিয়া ওর ব্যাগ খুলে আমার প্যান্টটা বার করে আমার দিকে ছুঁড়ে বলল "এই নে লেংটু হনু, তোর প্যান্ট!" কিন্তু প্যান্টটা আমার একটু সামনে গিয়ে কাদার মধ্যে পরল। আর আমি সেটা ধরতে লাফাতে গেলাম যেই অমনি আমার কোমরে জড়ানো শার্ট খুলে সোজা নিচে! দুই বোনের সামনে এবার আমি পুরো লেংটু!

কি আর করি? কাদা থেকে প্যান্ট তুলে কোমরে পরতে পরতে প্রায় এক মিনিট লেগে গেল। আর এই পুরো সময় আমি আমার দুই বোনের সামনে পুরো লেংটু, আমার নুনু পুরো ওদের চোখের সামনে!!

ঘরে যেতেই মা কান ধরে এক থাপ্পর লাগাল। এই হনুমান, এত কাদা মেখে ঘরে ঢুকছিস কেন?"

আমি উত্তর দিতে যাওয়ার আগেই শুনি, " যা, গাছে গাছে লাফিয়ে বেরা বরং, ওটাই তোকে মানায়।", তাকিয়ে দেখি আমার ক্লাস ফোরে পড়া বোন রিমা। রিমা আর রিয়াও ততক্ষনে মজা দেখতে ঘরে ঢুকে এসেছে।

আমি জানি রিয়ার আমার প্যান্ট খুলে নেওয়া আর সেটা নিয়ে আমাকে স্কুলে লেংটু করে বাড়ি চলে আসার ঘটনা মাকে বলে দিলে মা ওকেই বকবে। কিন্তু রিমা আর রিয়া ভালই জানে ওদের সাথে ছোটখাট ঝগড়া করলেও ওদের কখনো বকা বা মার আমি খাওয়াতেই পারি না। সেরকম হলে ওদের দোষ আমি নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিজে মার খাই, আর ওরা মজা দেখে। 

" তোরাই বল, হনুমানটাকে কি শাস্তি দেওয়া যায়। আমি আর পারি না এটাকে নিয়ে। মা হতাশ গলায় দুই বোনকে বলল।"

" এই হনু, যা কান ধরে উঠোনটা দশ চক্কর দে।" রিমা গম্ভীর গলায় আদেশ করল।

আমার বেশ ভাল লাগছিল বোনের শাসন। আমি বাধ্য ছেলের মত দুই কান ধরে উঠোন চক্কর দিতে লাগলাম ছুটে।

হঠাত কি যেন একটা অনুভব করলাম হাটুর কাছে। ভাল করে বোঝার আগেই দুম করে উল্টে পরলাম। আমার প্যান্টটা কোনভাবে খুলে পরেছে, আর তার ফলে প্যান্ট পায়ে বেধে উল্টে পরেছি আমি। 

কি করে প্যান্ট খুলল? আমি ভাল করে তাকিয়ে দেখি প্যান্টের বেল্ট টা নেই। আর আমার প্যান্টটা লুজ, তাই খুলে পরে গেছে। কিন্তু সকালে তো প্যান্টে বেল্ট ছিল। তাহলে রিয়াই ওটা খুলে কোথাও ফেলেছে!

ততক্ষনে আমি রিয়া আর রিমার হো হো হাসি দিব্বি শুনতে পাচ্ছি পাশ থেকে। আমি একে লেংটু তখন, তার উপর কান ধরা। আর দৌড়ানো অবস্থায় উল্টে পরায় আমার বেশ লেগেছেও! কিন্তু দাদার দুর অবস্থা দেখে দুই বোনের শুধু হাসিই পাচ্ছে! তার চেয়েও আশ্চর্য, দুই বোনের কাছে এই অপমান আমার এত ভাল লাগছে কেন?

রিয়া আর রিমা দুজনেই এবার আমার একদম কাছে এগিয়ে এল। রিয়া আমার কান ধরে টেনে তুলল আমাকে। নে, আবার চক্কর দে উঠোনে। এখনো ছয় বার। 

আর রিমা আমার প্যান্টের দিকে তাকিয়ে বলল " তোর বেল্ট কোথায় গেল হনু?"

আমি মাথা নিচু করে বললাম "রিয়া জানে।"

তাই শুনে রিয়া সাথে সাথে আমার দুই গালে পর পর দুটো থাপ্পর মেরে বলল, " তোর প্যান্টের বেল্ট, কোথায় আছে আমি কি করে জানব? "

আর রিমা মায়ের দিকে চেয়ে চেঁচিয়ে বলল, " মা, আজ দাদা প্যান্টের বেল্ট হারিয়ে এসেছে।"

মা ঘর থেকে চেঁচিয়ে বলল " উফ, এই হনুমানটাকে নিয়ে আর পারি না। এবার বেল্ট কিনে সেটা দিয়ে আগে ওর পিঠে কটা ঘা দিতে হবে। এখন তোরা ওর কান ধরে গালে কয়েকটা দে।" 

সেই শুনে রিয়া খুশি হয়ে আমার দুই গালে আরো দুটো থাপ্পর দিল। তারপর রিমাকে বলল, " নে, তুইও চড় মার হনুকে।"

রিমাও দিব্বি খুশি মনে আমার দুই গালে পর পর চারটে থাপ্পর মারল কান ধরে। আনার তখনো প্যান্ট পুরো খোলা।

এবার আমি প্যান্ট তুলতে নিচু হলাম। অমনি রিয়া আমার বুকে জুতো পরা পায়ে একটা লাথি মেরে বলল " প্যান্ট খুলে গেছে যখন তখন খুলেই দৌড়া। "

আমার দুই বোনের এই ব্যাবহার খুব ভাল লাগছিল। কিন্তু খোলা উঠোনে লেংটু হয়ে এতক্ষন দৌড়ালে বাইরের কেউ ঠিক দেখে নেবে। তাই বোনের আদেশ মানাটা ঠিক সহজ মনে হল না। আমি আমাকে লাথি মারা রিয়ার জুতো পরা পা দুটোর উপরে হাত রেখে রিকোয়েস্ট করলাম, " প্লিজ বোন, প্যান্ট পরে দোড়াতে দে প্লিজ।!" 

সাথে সাথে রিয়া আবার একটা লাথি মারল, এবার ওর জুতো পরা ডান পায়ে আমার মুখে। সাথে সাথে ওর দেখা দেখি রিমাও আমার মুখে ওর সাদা স্নিকার পরা দুই পা দিয়েই একটা করে লাথি মেরে বলল " তুই তো হনুমান। প্যান্ট খুলেই দৌড়া ওদের মত।" এই বলেই বোন হাসিতে ফেটে পরল।

আমি অগত্যা প্যান্ট খুলেই দৌড়াতে বাধ্য হলাম। কিন্তু বুদ্ধি করে দৌড়াতে দৌড়াতেই শার্টটা খুলে কোমরে বেঁধে নিলাম আগের মত। কিন্তু এই সময় কান ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় তার শাস্তি হিসাবে দশ পাক কম্পলিট করে দুই বোনের কাছে আসতেই ওরা মায়ের সামনেই দুই গালে একটা করে থাপ্পর মারল দুজনেই। 

আমি প্যান্ট পরে ঘরের দরজার কাছে আসতে মা বলল " তুই কি দুই বোনকে দেখে একটুও ভদ্রতা সভ্যতা শিখতে পারিস না? তোর স্বভাব দেখে তুই মানুষের বাচ্চা না বাঁদরের বাচ্চা বোঝা যায় না। আর তোর দুই বোনকে দেখ, সবাই ওদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নে, এবার তোর শার্ট প্যান্ট সাবান জলে ভিজিয়ে গামছা পরে নোংরা করা সামনের ঘরটা মোছ।" 

আমি মায়ের সব আদেশ পালন করলাম। যদিও সামনের ঘরটা দুই বোনই জুতো পরা পায়ে মাড়িয়ে নোংরা করেছে, আমি না।

এই কাজ টুকু সারতেই আমার বোন রিমা ভিতর থেকে ডাকল, " এই হনু, ভিতরে আয়"।

আমি যেতে দেখি দুই বোন বই খুলে পড়ার নাটক মারছে, যদিও সামনে টিভি খোলা।

রিমা গম্ভীর মুখে বলল, " আমরা পড়ায় ব্যাস্ত, তুই আমাদের জুতো খুলে পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দে। আর আমাদের স্কুল ড্রেস বাথরুমে একটা বালতিতে চোবানো আছে। তুই কেচে মেলে দিবি।"

দুই বোনের পায়ে জুতো পরানো বা খোলা নতুন কিছু না। ওরা প্রায়ই কিছু অজুহাত দিয়ে আমাকে দিয়ে এটা করায়। আমার আসলে ভালই লাগে বোনেরা আমার সাথে একটু প্রভুর মত চরন করলে। অবশ্য আজ আমি ওদের প্রতি বড্ড বেশিই সাবমিসিভ হয়ে পরেছিলাম। আমি ওদের জুতো খোলার সময়ে দুই বোনের জুতো পরা পায়েই মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। অবাক হয়ে দেখলাম দুই বোনই ওদের জুতো পরা পা আমার মাথার উপর রেখে আমাকে আশির্বাদ করল।

আমি ওদের এই আচরনে আরো বেশি সাবমিসিভ হয়ে পরলাম দুই বোনের প্রতি। যেই দুই বোন আমাকে ওকারনে অপমান করে সবার সামনে। 

আমি ওদের দুজনের জুতোর উপরই ভক্তিভরে চুম্বন করলাম। নাক ঘসলাম ওদের জুতোর উপর। তারপর ভাল করে ওদের জুতো পালিশ করে চকচকে করে তুলে রাখলাম। ওদের পায়ে ঘরে পরার চটিটা পরিয়ে দিতে রিয়া হেসে বলল তোর বেল্টটা আমার ব্যাগেই রাখা আছে। কিন্তু এখন পাবি না। কয়দিন বেল্ট ছাড়াই এই লুজ প্যান্ট পরে স্কুল কর। অনেক মজা হবে।" এই বলে আমার দিকে ফিরে চোখ মারল। আর তাই দেখে রিমাও হো হো করে হাসতে লাগল।

বলে কি রিয়া? এই প্যান্ট তো খুবই লুজ। স্কুলে সবার সামনে এমনিই খুলে গেলে তো মান সম্মান কিছুই আর থাকবে না!! আমি সেই কথা বলে রিমার দুই পা জড়িয়ে ধরে ওর পায়ে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলাম। আমার চোখেও এক্কটু জল চলে এল যেন।

কিন্তু রিয়া আর রিমা দুজনেই নিরুত্তাপ! আমার মাথায় চটি পরা পায়ে লাথি মেরে আমাকে সরিয়ে দিয়ে রিমা বলল, " হনুমানের আবার মান সম্মান!! যা ভাগ!! আর মনে রাখিস, আমাদের জামা ভাল করে কাচবি, যেন একটুও ময়লা না থাকে। আর স্নান সেরে ঘরব এসে আমাদের দুজনের হোম ওয়ার্ক ঠিক ঠাক করবি। একটা কাজেও একটুও গাফিলতি হলে তোর ওই বেল্ট দিয়ে তোরই পিঠের অবস্থা খারাপ করব আমরা!" এই বলে রিমাকে জড়িয়ে হো হো করে হাসতে লাগল রিয়া,, যেন খুব মজার কোন কথা বলেছে।

দুই বোনের কাছে এই অপমান আমার যে কি ভাল লাগছিল বলে বোঝাতে পারব না। রিয়া আর রিমা, দুই বোনকেই শাস্টাঙ্গে প্রনাম করে আমি স্নান ঘরে ঢুকলাম। ওদের জামা কাচতে হবে আগে।


দুই বোনের স্কুল ড্রেস ভাল করে কাচলাম প্রথমে। এরপর নিজের ড্রেস কেচে স্নান সেরে বেরোলাম। জামা শুকোতে দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি তখনো দুই বোন টিভি খুলে পড়ার নাটক করছে। আমি ঘরে ঢুকতে রিয়া আমার মুখে একটা খাতা ছুড়ে মেরে বলল , " নে, আমাদের হোম ওয়ার্ক করা শুরু কর। যদি একটাও ভুল হয় তাহলে তোর কান টেনে ছিঁড়ে নেব হনুমান, মনে থাকে যেন!"

দুই বোন আমার সাথে এই স্টাইলেই কথা বলতে অভ্যস্ত, আমারও খুব ভাল লাগে ওদের এই ব্যবহার। আমি খাতাটা তুলে মেঝেতে বসে পরলাম, সোফায় বসা দুই বোনের ঠিক পায়ের কাছে। রিয়ার হোম টাস্ক সেরে যখন রিমার হোম টাস্ক সারলাম তখন দেখি মা টিফিন হাতে ঘরে ঢুকল।

আমাকে রিমার বই খাতা খুলে অংক কষতে দেখে মা ভুরু কুচকে জিজ্ঞাসা করল, " তুই ক্লাস ৪ এর বই খুলে কি করছিস?"

রিয়া তাই শুনে মা কে বলল, " জেঠি, হনুর যা লেভেল ওকে ক্লাস ১ থেকে আবার পড়াতে পারলে ভাল হয়। দেখবে ওর অবস্থা?"

এই বলে রিয়া আমার দিকে চেয়ে বলল " এই হনু, বল তো ১০ আর ১০ যোগ করলে কত হয়?"

আমি জানতাম রিয়া আমাকে নিয়ে মজা করছে। ও চায় আমি ভূল উত্তর দিই। তাই আমি মাথা চুলকে হাতের কড়া গুনে উত্তর দিলাম ১৮।

রিয়া তাই শুনে আমার গালে আলতো একটা থাপ্পর মেরে বলল " দেখ জেঠি, হনুর অবস্থা। ও তো এল্ফাবেট ও সব ভুলে গেছে। আজ স্কুলে abcd ও ঠিক করে বলতে পারে নি। " ওকে তাই আবার ক্লাস ফোর থেকে পড়াতে হবে বাড়িতে।"

মা তাই শুনে চিন্তিত গলায় বলল, " হনুর তো খুব খারাপ অবস্থা দেখছি। তুলিকে ( রিয়ার মায়ের নাম) বলতে হবে দেখছি।"

রিয়া বেশ ভারী গলায় বলল "তার দরকার নেই জেঠি। আমিই দেখিয়ে দেব ওকে পড়া। তবে পড়া না করে হনুগিরি করে বেড়ালে ও কিন্তু আমার কাছে মার খাবে। রিমার কাছেও খাবে। তুমি সেটা মেনে নিলে দেখবে দিব্বি ওকে মেরে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসব আমি।"

" মা বলল যত খুশি মারিস ওকে প্রয়োজন হলে। আমি তোকে কখনো বাধা দিয়েছি? আমি তো বরং তোকে বলি ওকে শাস্তি দিতে ও ভুল কিছু করলে। ও একটা আস্ত হনুমান, মার না খেলে মানুষ হবে না আমি জানি। "

মায়ের কথায় আমার একটুও খারাপ লাগল না। মা লুচি প্লেটে করে এনে দুই বোনকে দিল। রিমা বলল, " হনু কিন্তু লুচি খাবে না মা। ওকে কলা, আম, কাঁঠাল এইসব দাও। ও লেজ দুলিয়ে ফল খাক!" 

আমি জানি আমাকে হনুমানের মত ট্রিট করে দুই বোন মজা পায়। শুধু ওদের মজা দেওয়ার জন্যই আমি লুচি ছেড়ে শুধু ফল খেতে রাজি হয়ে গেলাম। আমার লুচি খেতে ভাল লাগে ঠিকই,,কিন্তু আমাকে নিয়ে মস্করা করতে পেরে দুই বোনের মুখে যে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে, সেটা দেখার মত ভাল আর কিছুতেই লাগে না!

কাকিমা বাড়ি ফিরল তার একটু পরেই। তখন রিমা আমার দিকে তাকিয়ে মুখে অদ্ভুত একটা হাসি ফুটিয়ে সুরেলা গলায় বলছে, " আয় হনুমান, কলা খা!" আর দুই বোন একে অপরকে জড়িয়ে হো হো করে হাসছে। 

আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি আমার বাবা শহরের এক প্রাইমারি স্কুলের টিচার। কাকু আর কাকিমা পাশের গ্রামের হাই স্কুলের টিচার। মা গৃহবধু, বাড়িতে থেকে আমাদের তিন ভাই বোনকে সামলায়। মা আর কাকিমা আবার আপন বোন। তবু আমি কাকিমাকে মাসি না বলে কাকিমাই বলি।

কাকিমা রিমার দিকে তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে বলল, " তুই আবার দাদার পিছনে লাগছিস? আর হিমু তুই রিমার বই খুলে বসে কেন? ও তোকে দিয়ে হোমওয়ার্ক করিয়ে নিচ্ছে নাকি?

মা কাকিমাকে বলল, " না রে তুলি। হনুটা ক্লাস ফোরের অংকও ভুল গেছে, সহজ যোগ ও পারে না। তাই ওকে শেখাতে বসেছে রিয়া।"

রিয়াও পাশ থেকে বলল " হ্যাঁ মা"। আমিও ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিলাম। 

কাকিমা মায়ের মত সহজে এই কথায় বিশ্বাস করল না। দুই বোন যে আমাকে বুদ্ধু বানিয়ে খাটায় আর আমি যে সেটা খুব সহজে মেনে নিই ওদের কথা মত, এটা কাকিমা একটু একটু বুঝতে শুরু করেছে ইদানিং।

কাকিমা বলল, " দেখি হিমু কতটা ভুলে গেছে পড়া। তোকে পরপর তিনটে কোশ্চেন করব। ১স্ট কোশ্চেনের যদি উত্তর দিতে পারিস তাহলে তোকে একটা সাইকেল কিনে দেব। বল, ৫ আর ৫ যোগ করলে কত হয়?"

আমি জানতাম আমাকে ভুল উত্তর দিতে হবে। আমি মাথা চুলকে অনেক নাটক করে বললাম "১৫?"।

কাকিমা হাসিমুখে বলল " হয়নি। কিচ্ছু পাবি না। এর পরের দুটো কোশ্চেনের উত্তর দিতে পারলে রিমা আর রিয়াকে দুটো ভাল সাইকেল কিনে দেব।"

এইবলে কাকিমা আমাকে ক্লাস ৬ এর পক্ষে বেশ কঠিন দুটো অংক দিল। আমি বুঝতে পারলাম কাকিমা,আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁদে ফেলেছে।

কিন্তু রিয়া আর রিমাকে নতুন সাইকেল পেতে সাহায্য করতে ইচ্ছা করল। আমার কাজের ফলে ওরা ওদের পছন্দের জিনিস পাবে ভেবে আনন্দ হতে লাগল খুব আমার। আমি অংক দুটো করে কাকিমাকে দিলাম। কাকিমা দেখে বলল, " এই তো ঠিক করেছিস।"

তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল " হিমুর আসল সমস্যা পড়ায় ফাঁকি দেওয়াও না, হনুগিরি করাও না। ওটা তোকে দুই মেয়ে ভুল বুঝিয়েছে। তবে ওর একটা বড় সমস্যা আছে। নাহলে নিজে সাইকেল পাওয়ার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিল আর দুই বোনকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য মাথা খাটিয়ে আরো কঠিন অংক করল কেন? ওর কিছু বড় সমস্যা আছে, নাহলে নিজে সব সুখ ছেড়ে দুই বোনকে সব দিতে চায় কেন আর ওদের কথায় ওঠে বসে কেন বুঝিনা। নাহলে এমনিতে ও খুবই ভাল ছেলে।"

পরদিন স্কুলে টিফিনের পিরিয়ডে আমার ক্লাস মনিটর বোন রিয়া আমাকে নিল ডাউন করে রাখল। আমি নাকি টিফিন খেতে গিয়ে নিচে ফেলে মেঝে নোংরা করেছি। আসলে সেই খাবার গুলো সব রিয়ারই ফেলা। তবু আমি খুশি মনে মেঝে পরিস্কার করে নিল ডাউন হলাম। ছেলেরা তখন সবাই বাইরে খেলছে আর মেয়েরা অনেকেই ঘরে বসে রিয়ার আমাকে নিয়ে মজা করা দেখছে।

১০ মিনিট পর রিয়া গম্ভির গলায় আদেশ করল " এবার কান ধরে উঠে দাঁড়িয়ে হনুমানের মত লাফ দিতে থাক হনু।" 

আমি রিয়ার আদেশে ক্লাসের প্রায় ১৫ টা মেয়ের সামনে তাই করতে লাগলাম। ৫-৬ টা লাফ দেওয়ার পরেই রিয়ার কোঁচকানো ভুরু দেখে বুঝলাম ও আশা করেছিল ও আমার বেল্ট খুলে রেখে দেওয়ায় আমি লাফ দিতে থাকলে আমার লুজ প্যান্ট খুলে মেঝেতে পরবে আর আমি এতগুলো মেয়ের সামনে লেংটু হয়ে যাব। আমি প্রায় ১০০ টা লাফ দিলাম, কিন্তু প্যান্ট খুলল না। আসলে আমি মোটা দড়ি দিয়ে প্যান্টটা কোমরে বেধে গিট দিয়ে প্যান্টের উপরটা ফোল্ড করে দড়িটা ঢেকে রেখেছিলাম। তাই প্যান্ট খোলে নি। কিন্তু রিয়ার মুখ দেখে বুঝলাম ও খুশি না! ও ভেবেছিল এতজন মেয়ের সামনে আমার প্যান্ট খুলে পরবে আর ওরা তাই নিয়ে বেশ হাসি মস্করা করবে!

ছুটির পরে আমি আর রিয়া একসাথে বেরোলাম স্কুল থেকে। রিমাও আমাদের স্কুলের গেটে এসে দাড়িয়েছিল। একসাথে বাড়ির পথ ধরলাম আমরা।

রিয়া হঠাত আমার কান ধরে বলল তুই কি অন্য কারো থেকে বেল্ট নিয়ে পরেছিস? এত লাফালি, তবু ঢোলা প্যান্ট খুলল না কেন তোর? এই বলে ও হাত দিয়ে আমার প্যান্টের বেল্ট বাঁধার অংশটা দেখল, আর দড়িটা ওর চোখে পরল। 

"তোর সাহস তো কম না হনু, তুই আমার অনুমতি ছাড়া কোমরে দড়ি বেঁধেছিস? খুব খারাপ কাজ করেছিস, ক্ষমা চা আমাদের কাছে।" এই বলে আমার গালে একটা থাপ্পর মারল রিয়া।

গ্রামের খোলা রাস্তায় আমার সাথে রিয়া এরকম ব্যাবহার করায় আমার খুবই ভাল লাগছিল। আমি রাস্তার মাঝেই ওদের পায়ের লাছে হাটুগেড়ে বসে দুই বোনের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। রিয়া এবার আমার কোমরে দুই ফোল্ড করে বাধা দড়ির একটা ফোল্ড খুলে দড়িটা হাতে ধরল। যেন আমি আসামী আর ও পুলিশ, আসামীকে কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

বাড়ির সামনে আসতে রিমা বলল, " এই হনু, গাছে উঠে আমাদের জন্য কাঁচা পাকা দুরকম আম, জামরুল, কাঁঠাল পেরে আন।.. দিদি, ওর কোমরের দড়িটা পিছনে লম্বা করে ছেড়ে দে। লেজের মত লাগবে, আর ওকেও পাক্কা হনুমান মনে হবে।" এই বলে হাসতে হাসতে দুই বোন ঘরে ঢুকল।

মা ওদের দেখে বলল, " তোরা দুজন ফিরছিস, হনুটা কই?"

রিমা বলল, " হনুমান যেখানে থাকে। এসেই গাছে উঠে পরেছে। তুমি ওর জন্য ফালতু কষ্ট কর মা, ওটা সত্যিই হনুমান, কোনদিন মানুষ হবে না।"

মা বাইরে এসে বলল, " উফ, এই হনুকে নিয়ে আর পারি না। স্কুল থেকে ফিরেই গাছে উঠে গেল। নেমে আয় বলছি।"

রিয়া পাশ থেকে বলল " ওর স্কুল থেকে ফিরেই গাছে ওঠা বন্ধ করার একটা উপায় আছে জেঠি। স্কুল থেকে ফেরার পর আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে তুলে রাখা থেকে জুতো খুলে দেওয়া সব ওর ডেইলি কাজের অংশ করে দেওয়া। ও যদি সেটা না করে গাছে গিয়ে ওঠে তাহলে আমরা ঘরে সেই সময় স্কুল জুতো পরেই ঘুরব। আর ও যখন গাছ থেকে নেমে ঘরে ঢুকবে তখন ও আমাদের জুতো খোলার সাথে সাথে ওর জন্য নোংরা হওয়া ঘরের মেঝেও মুছবে। সাথে আমাদের চড় লাথিও খাবে বেশি হনুগিরি করার জন্য।"

মা যেন একটু ভেবে বলল, " ভাল প্ল্যান করেছিস। নাহলে ও শুনবে না।"

এবার রিমা বলল, " এই হনু, মায়ের কথা শুনেছিস? এক্ষুনি নিচে নেমে আয়। নাহলে আমরা জুতো পরে ঘরের মেঝেয় ঘুরে বেরাবো আর তুই সেটা মুছতে বাধ্য হবি।"

আমি জানি বোন মুখে বললেও আসলে চায় না আমি এখনি নিচে নামি। ওরা দুই বোনই চায় আমাকে দিয়ে ওদের জুতোর ছাপ পরা ঘরের মেঝে মোছাতে। আর তারপর শাস্তি হিসাবে আমাকে চড় আর লাথি মারতে। তাছাড়া, আসলে আমি তো আর নিজের ইচ্ছায় গাছে উঠিনি। বোনেরা খাবে বলেই আম পাড়তে উঠেছি। এখন আমি বোনের খাওয়ার জন্য গাছ থেকে আম পাড়বো আর বোনেরস খাবে, আর তার শাস্তি হিসাবে বোনেদের হাতে মার খাব আমি! ভাবতেই ভিশন খুশি হয়ে উঠল আমার মন!

আমি রিমার আদেশ মত আম, জামরুল আর কাঁঠাল পারলাম। ঘরে ঢুকে ওদের কাছে শুনে আম কেটে দিলাম ওদের খাওয়ার জন্য। ততক্ষনে ওরা দুটো ঘরের মেঝে কাদায় ভরা জুতো পরা পায়ে মাড়িয়ে কাদায় ভরিয়ে ফেলছে। এমনকি মেঝেতে পাতা আমার বিছানা বালিশ পর্যন্ত ওদের জুতোর তলায় মাড়িয়েছে রিয়া আর রিমা। 

আমি পাশের ঘর থেকে ঘর মোছার বালতি আর ন্যাকড়া এনে ঘর মুছতে যাব, রিয়া আদেশ করল আগে ওদের জুতো খুলে দিতে। 

আজ দুই বোনের পায়েই সাদা স্নিকার পরা। আমি সোফায় বসা দুই বোনের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসলাম। প্রথমে রিমা আমার দুই গালে দুটো থাপ্পর মেরে বলল " এটা কিসের শাস্তি বলত?"

আমি বললাম " স্কুল থেকে ফিরে কাজ না করে গাছে ওঠার জন্য।"

এবার রিয়া আমাকে থাপ্পর মেরে বলল " আর তুই গাছে উঠেছিলি কেন?"

" রিমার আদেশে ফল পারতে", আমি বললাম।

" হু, তুই আদেশ মানলেও শাস্তি পাবি, না মানলেও পাবি। কারন তুই একটা হনুমান। আর রোজ দুই বেলা মার না খেলে হনুমানদের ল্যাজ খসে না।" এই বলে হো হো করে হাসতে লাগল রিয়া।

হাসি থামিয়ে রিয়া আমার মুখে দুই পায়ে দুটো লাথি মারল। ওর দেখা দেখি রিমাও একইভাবে দুটো লাথি মারল, কিন্তু তার একটা আমার নাকে সরাসরি লাগায় বেশ লাগল।

এরপরে আমি ওদের দুই বোনের জুতো একে একে খুলে দিলাম। প্রথমে রিমার জুতো আর মোজা খুলে পা ধুয়ে পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দিলাম। এরপরে রিয়ার জুতো মোজা খুলে পা ধুয়ে একইভাবে চটি পরিয়ে দিলাম। ওরা টিভি দেখতে দেখতে আমার পাড়া আম খেতে লাগল। আর আমি ওদের আম পেড়ে দেওয়ার অপরাধে ওদের জুতোর ছাপ পরা মেঝে মুছতে লাগলাম।

ঠিক তখনই কাকিমা ঘরে ঢুকল। আর আমাদের এই অবস্থায় দেখে বুঝতে বাকি রইল না যে দুই বোন ইচ্ছা করে ঘরের মেঝেয় জুতো পরে ঘুরে এখন আমাকে দিয়ে মেঝে মোছাচ্ছে!

কাকিমা বলল, " ওরে হিমু, তোকে হনু না বলে গাধা বলা উচিত। দুই বোন তোকে বোকা বানিয়ে যা খুশি কাজ করায় আর তুই খুশি মনে করিস।"

মা তখন ঘরে এসে বলল যে আমি স্কুল থেকে ফিরেই গাছে উঠেছিলাম, এটা তার শাস্তি।

কাকিমা বোনেদের দিকে তাকিয়ে বলল, " ওরা যে আম খাচ্ছে সেটা কে পারল তবে? ঘরে তো আর আম ছিল না।" 

রিমা বলল " দাদাই পেরেছে আজ। আমিই পারতে বলেছিলাম।"

" বাহ, হিমু তোদের জন্য স্কুল থেকে ফিরেই আম পাড়তে উঠবে। আর তার শাস্তি তোরাই উল্টে ওকে দিবি। কি বিচার! আর দিদি, তোকে যে এই দুই বিচ্ছু বোন যা খুশি বোঝায় তুই বুঝতে পারিস না?"

মা বলল, " হিমুই যদি কিছু না বলে সব মেনে নেয় তো কি করে বুঝব? ও তো বলতেই পারত ওকে বোন আম পাড়তে বলেছে। তাহলে তো আমি শাস্তি ওকে না দিয়ে রিমিকে দিতাম।"

এটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। আমার অত্ত সুন্দর মিষ্টি বোন রিমিকে মা শাস্তি দেবে শুনলে তো কষ্ট হবারই কথা! আমি মা কে বললাম রিমি আম খেতে চেয়েছে একটু, তাতে ওকে শাস্তি দেবে কেন মা? আর ঘর আমি মুছে দিচ্ছি এমনিই, স্নান করার আগে এটা কোন সমস্যাই না।"

কাকিমার চোখ এবার গেল আমার পিছন থেকে লেজের মত বেড়িয়ে থাকা দড়িটায়। "এইটা কি?" কাকিমা দড়িটার দিকে আঙুল তুলে বলল।

"ওটা হনুর লেজ", রিয়া পাশ থেকে ফোরন কাটল। 

" তুই চুপ কর। হিমু বল।"

আমি বললাম " আমার বেল্টটা হারিয়ে ফেলেছি। তাই দড়ি বেধেছি বেল্টের জায়গায়।"

মা তখন নিজে থেকেই কাল আমি স্কুলে কিভাবে বেল্ট হারিয়ে এসেছি বলল।

কাকিমা অবিশ্বাসের সুরে বলল, " বেল্ট তো কোমর থেকে খুলে পরে যায় না, গেল কোথায়।?" 

তারপর একটু ভেবে বলল, " আমার কিরকম সন্দেহ হচ্ছে।" এইবলে সোজা রিয়ার ব্যাগ খুলে ওর ব্যাগ থেকে আমার বেল্টটা বার করে আনল। 

" আমি জানতাম এটা তুইই লুকিয়েছিস। হিমু বেচারাকে ভাল ছেলে পেয়ে তোরা দুই বোন বড্ড অত্যাচার করছিস ওর উপরে।" 

রিয়া আম খেতে খেতে উত্তর দিল, " যার উপর করছি সে যদি খুশি মনে সেটা মেনে নেয় সেটাকে অত্যাচার বলে না।"

কাকিমা একটু রাগ দেখিয়ে বলল, " তুই বেশি কথা শিখে গিয়েছিস রিয়া।"

তখন মা বলল, " আরে, এত রাগ করছিস কেন তুলি? দুই বোন নাহয় দাদার সাথে একটু মজাই করে, তাতে কি হয়েছে? আমরাও ছোটবেলায় এভাবে আমাদের জেঠার ছেলেকে নিয়ে মজা করতাম ভুলে গিয়েছিস তুই? মেয়েরা বাচ্চা বয়সে বড় দাদাদের সাথে এরকম একটু আধটু করে। তাতে ছেলেরা তেমন কিছু মনে করে না।" 

" না রে দিদি, হিমুর উপরে ওরা তেমন অল্প সল্প না, অনেক বেশিই অত্যাচার করে। কিন্তু হিমু তাও কিছু বলে না কেন সেটাই আশ্চর্যের। এই রিয়া, হিমুর বেল্ট তোর ব্যাগে গেল কি করে বল তো?"

এবার রিয়া ইতস্তত করতে লাগল। স্কুলে সবার সামনে ও আমার বেল্ট সহ প্যান্ট খুলে সেটা নিয়ে বাড়ি চলে এসেছে আমাকে স্কুলে লেংটু করে রেখে, এটা বললে যে ও ভিশন বকা খাবে সেটা নিশ্চিত।

রিয়ার কাছে উত্তর না পেয়ে কাকিমা আমাকে জিজ্ঞাস করল। আমি বললাম, "আমি জানি না, আজ সকালে উঠে বেল্ট টা পেলাম না।"

মা তখন বলল, " কই, কাল স্কুল থেকে ফেরার পরেই তো রিমি বলল, " তুই বেল্ট হারিয়ে এসেছিস।"

এবার কি বলব আমার মাথায় আসল না আর। তখন কাকিমা আমার মুখের দিকে চেয়ে বলল, " আর তোর মুখে এত কাদা লাগা কেন?" 

" হনুমানের মুখে কাদা লেগে থাকবে না তো কি মেক-আপ লেগে থাকবে? তুমিও না মা, উল্টো পাল্টা কোশ্চেন কর শুধু।" রিয়া ওর মাকে থামাতে চেষ্টা করল।

"তুই চুপ কর রিয়া, দেখে তো মনে হচ্ছে জুতোর ছাপ। তোরা লাথি মেরেছিস নাকি ওর মুখে?"

" না কাকিমা, পা পিছলে ঘরের মেঝেয় পরে গিয়েছিলাম। গালটা মেঝেতে লেগেছিল, আর মেঝেতে বোনেদের জুতোর ছাপ পরেছিল, তাই লেগে গিয়েছে হয়ত মুখে।"আমি পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করি।

" ঠিক আছে, তুই যা করছিস কর এখন। তবে হিমু, তুই মনে রাখিস তোর সাথে দুই বোন কখনো খারাপ ব্যাবহার করছে মনে করলে আমাকে বলবি। বিশেষ করে এই রিয়াটা। ওটাকে কি করে সোজা করতে হয় আমি দেখব তারপর।"

আমি এবার কাকিমার পায়ের হাটুর একটু নিচে হাত রেখে পা জড়িয়ে ধরে বললাম, " প্লিজ কাকিমা, এরকম বলো না। রিয়া আর রিমা দুজনেই খুব ভাল মেয়ে। আমার সাথে মাঝে সাঝে সামান্য মজা করা হয়ত, এর বেশি কিছু না। প্লিজ তুমি এভাবে বলো না।" আসলে কাকিমা রিয়াকে শাস্তি দিতে পারে ভেবে আমি খুব ভয় পেয়ে গুয়েছিলাম।

আমার কাতর অনুরোধে কাকিমা প্রায় পুরো ঠান্ডা হয়ে গেল। বলল, " আচ্ছা বাবা। তোর খারাপ লাগে না যখন তখন আমি আর কিছু বলব না। তোরা তিন ভাই বোনে যা খুশি কর। আমি আর মাথা ঘামাব না। শুধু তোর কখনো খারাপ লাগলে বলিস। নে, আমায় ছাড় এবার।" 

আমি ছেড়ে দিতে কাকিমা নিজের ঘরে চলে গেল। আর আমি আবার ঘর মুছতে লাগলাম। রিমা রিয়াকে একবার খোঁচা দিল, তারপর দুজনে একটু ফিস ফিস করে কি কথা বলল। তারপর আমার দিকে হাসি মুখে চেয়ে রিয়া চোখ মারল। আমি বুঝতে পারলাম আমার কথা- ব্যাবহারে ও খুব খুশি।

আমার ঘর মোছা হতে রিমা বলল " এই হনু, এবার চল আমরা ঘোড়া ঘোড়া খেলি।"

এটা নতুন কিছু না। আমি ঘোড়া সাজলাম আর রিমা মালিক সেজে আমার পিঠে চড়ল। কিন্তু পিঠে উঠেই ও আমার চোখ বেঁধে দিল একটা গামছা দিয়ে। 

" নে, চল ঘোড়া, সামনের ঘর হয়ে বারান্দা দিয়ে উঠোনে চল।"

আমি স্বাভাবিক গতিতে এগনোর চেষ্টা করলাম চোখ বাধা অবস্থাতেই। আর কয়েক পা এগোতেই আমার মাথা দেওয়ালে খুব জোর ঠুকে গেল। বেশ লেগেছে কপালে! আর আমার দুর্গতি দেখে দুই বোন এক সাথে হো হো করে হাসতে লাগল। বোন ওর চটি পরা ডান পা দিয়ে আমার ডান গালে একটা আলতো করে লাথি মেরে বলল, " তুই হনু থেকে ঘোড়া হয়েছিস, অন্ধ না। দেখে চল।" ওদিকে আমার চোখ বাঁধা গামছার অপর প্রান্ত তখন বোনের হাতে ধরা!!

Monday 1 July 2019

অঙ্কিতা...

অঙ্কিতা...

ছোট থেকে অয়নের স্বপ্ন ছিল সে চ্যাম্পিয়ান রানার হবে, দেশের হয়ে পদক জিতবে। সে আন্ডার ১৬ তে ন্যাশনাল ইভেন্টে গোল্ড পায়। কিন্তু পরে চোট পেয়ে তার স্বপ্ন সফল করতে পারে না। পরে সে ফিজিক্যাল এজুকেশানের টিচার হয়ে একটা কোয়েড স্কুলে চাকরি পায়। তার স্বপ্ন হয় নিজে না পারা স্বপ্ন কোন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে দিয়ে পুরন করবে।
তিন বছর চাকরী করার পর সে খুঁজে পায় তাকে যার মধ্যে সে সেই সম্ভাবনা দেখতে পায়। ক্লাস ৫ এ পড়া বাচ্চা মেয়ে অঙ্কিতা। গরীব ঘরের রোগা, অপুষ্টিতে ভোগা মাঝারী বর্নের মেয়েটাকে দৌড়াতে দেখেই সে বোঝে তার চেয়ে প্রায় ১৮ বছরের ছোট এই মেয়েই পারে তার স্বপ্ন সফল করতে।
মেয়েটি মা মরা, বাবা মাতাল, সৎ মা তাকে সহ্য করতে পারে না। ক্রমে তার একের পর এক সব দায়িত্ব অয়ন নিজের কাঁধে তুলে নিতে থাকে। তার খাওয়া, তার পোষাক। তার দৌড়ানোর দামী জুতো, পোষাক, দামী সাপ্লিমেন্ট সব নিজের মাইনের টাকায় সে কিনে দিতে থাকে। প্রাক্টিশের পর রোজই অঙ্কিতা ক্লান্ত হয়ে পরত। তখন মাঠের উঁচু পাঁচিলে তাকে বসিয়ে তার রানিং শু পরা পা দুটো নিজের কাঁধে রেখে সবার সামনেই অন্তত ৩০ মিনিট ধরে টিপে দিত অয়ন।
এরপর একসাথে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার জন্য টিফিন রেডি করত। তারপর তাকে খেতে দিয়ে তার জুতো মোজা খুলে তার পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দিত। তারপর আবার অঙ্কিতার চটি পরা পা দুটো কোলে তুলে নিয়ে সে আরো ঘন্টা খানেক তার পা টিপে যেত যাতে তার পায়ের ক্লান্তি কেটে যায়। ক্লাস ৬ এ পড়ার সময় থেকেই এইভাবে স্যারের সেবা নিতে অভ্যস্ত হয়ে পরেছিল অঙ্কিতা।
এতে আর সে অস্বস্তি বোধ করত না। স্যারের বাড়িতেই বেশিরভাগ রাতও কাটাত সে। সে চাইলেও স্যার তাকে কোন কাজ করতে দিত না। প্রাক্টিশের বাইরে অঙ্কিতার যাতে কোন পরিশ্রম না হয় সেদিকে অয়নের কড়া নজর থাকত।
অঙ্কিতা এতে খুবই অভ্যস্ত হয়ে পরেছিল আস্তে আস্তে। এতটাই যে এতে তার অস্বস্তি হওয়া তো দূর, সে বেশ হাসিমুখেই দরকার মত স্যারকে দিয়ে কাজ করাত হুকুম করে। এক বোতল জল দরকার হলেও সে নিজে না নিয়ে তার আশ্রয়দাতা স্যারকেই হুকুম করত জল দিতে। নিজের জামা কাচা, জুতো পরিস্কার, পা থেকে জুতো খোলা সবই সে স্যারের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল। এমনকি সে যখন পড়ার টেবিলে বসে পড়ত, তখন স্যারকে নিজের পায়ের তলায় শুইয়ে পাও টিপিয়ে নিত অঙ্কিতা। স্যার মেঝেতে শুত টেবিলের নিচে আর সে নিজের চটি পরা পা দুটো স্যারের বুকে বা মুখে তুলে দিত। স্যার তার পা টিপে দিত আর সে টেবিলে বসে পড়ত।
এইভাবে স্যারের মুখের উপরে চটি পরা পা রেখে বসে স্যারকে দিয়ে পা টেপাতে টেপাতে পড়া খুবই উপভোগ করত অংকিতা। পড়তে পড়তে সে নিজের চটির তলা স্যারের সারা মুখে ঘসত। স্যারের নাক, গাল, কপাল, ঠোঁট সব নিজের চটি পরা দুই পায়ের তলা দিয়ে ঘসে খেলত অংকিতা। স্যার তাতে আরো খুশি হয়ে আরো ভক্তিভরে তার দুই পা টিপে দিত। স্যারের ভাব দেখে অংকিতার মনে হত যেন স্যার তার চাকর আর সেই স্যারের মনিব, প্রভু। তার দয়ার উপর নির্ভর করে স্যার বেঁচে আছে।
সে শুধু ঘরের চটি পরা পাই স্যারের মুখে রাখত তাই না। ক্লাস ৭ এ ওঠার পর একদিন প্রাক্টিশ থেকে বাড়ি ফেরার পরে স্যার তার স্নিকার পরা পা দুটো কোলে তুলে টিপে দিচ্ছিল। হঠাত অংকিতা নিজেই স্যারকে হুকুম করল তার পায়ের তলায় শুয়ে পরতে। তার স্যার অয়ন তার আদেশে সাথে সাথে তার পায়ের কাছে মাথা রেখে শুয়ে পরল। অংকিতা হাসিমুখে নিজের সাদা স্নিকার পরা পা দুটো স্যারের মুখের উপরে তুলে দিয়ে স্যারের মুখের উপরে নিজের জুতোর তলার ময়লা ঘসে মুছতে লাগল। স্যার বিনা আপত্তিতে তার ছাত্রীকে নিজের মুখটা পাপোষের মত ব্যাবহার করতে দিল। অংকিতার ভিশন ভাল লাগছিল এইভাবে স্যারকে ডমিনেট করতে। সে একটু পরে জুতো পরা ডান পায়ে স্যারের নাকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল,  " আমার পা টিপে দে এবার।" তার ছাত্রী এইভাবে তাকে ডমিনেট করায়,  তাকে তুই বলে সম্বোধন করায় অয়ন খুবই খুশি হয়েছিল। সে ভিশন ভক্তিভরে ওর মুখের উপরে রাখা  নিজের ছাত্রীর পা দুটো টিপে দিতে লাগল।
৩০ মিনিট এইভাবে স্যারকে দিয়ে পা টেপাতে টেপাতে স্যারের মুখটাকে পাপোষের মত ইউজ করল অংকিতা। জুতো পরা দুই পায়ে প্রায় ২০ টা লাথি মারল স্যারের মুখে। এরপর জুতো পরা পায়ে স্যারের মুখের উপরে উঠে প্রায় ১ মিনিট দাঁড়িয়ে রইল।  তারপর স্যারের মুখটা জুতো পরা পায়ের তলায় মাড়িয়ে পাশের ঘরে চলে গেল।
এরপর থেকে রোজই এইভাবে স্যারকে ডমিনেট করা শুরু করল অংকিতা। এতে সে যেমন মজা পেত, স্যারও যে এতে খুব খুশি হয় সেটাও বুঝত অংকিতা। শুধু চটি বা স্নিকার পরা পায়ে না, মেটাল স্পাইক পরা রানিং শু পরা পা স্যারের মুখে রেখে স্যারকে দিয়ে পা টেপাত সে মাঝে মাঝেই। সেই রানিং শু পরা পায়ে স্যারের মুখে লাথিও মারত অংকিতা, উঠে দাঁড়িয়ে পরত স্যারের মুখে। নেমে দাঁড়িয়ে সে অবাক হয়ে দেখত স্যারের মুখে মেটাল স্পাইক বসে গিয়ে দাগ তৈরি হয়েছে। স্যার এই তীব্র ব্যাথা হাসিমুখে সহ্য করত তো বটেই উলটে অংকিতার রানিং শু পরা পায়ে চুম্বন করে ওকে ধন্যবাদ দিত ওর উপরে অত্যাচার করার জন্য। এমনকি তার স্নিকার, রানিং শু, কিটো, চটি সবই স্যার ক্রমে জিভ দিয়ে চেটে পালিশ করে দেওয়া শুরু করল, এমনকি কাদায় ভরা জুতোর তলাও স্যার জিভ দিয়ে চেটে পালিশ করে দিত। তার প্রতি স্যারের এই প্রবল ভক্তি অংকিতাকে খুব খুশি করত। সে যত জোরে জোরে স্যারের মুখে লাথি মারত স্যার তত আরো বেশি তার সেবায় সঁপে দিত নিজেকে।
 এমনকি স্কুল মাঠে দৌড় প্রাক্টিশ শেষে যখন স্যার যখন পাঁচিলে বসা অংকিতার রানিং শু পরা পা দুটো কাঁধে নিয়ে টিপে দিত তখন প্রায় রোজই অংকিতা একটা জুতো পরা পা তুলে দিত স্যারের মাথার উপরে, সেই ক্লাস ৭ এ পড়ার সময় থেকেই। এ নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করত বটে, কিন্তু কখনো কোন সমস্যা হয়নি ওদের কারো। আসলে স্যার যে শুধু তাকে একজন সফল ক্রীড়াবিদ হিসাবে দেখতে চায়, আর তার জন্যই তার এত সেবা করে এটা সবাই জানত। আর এটাও সবাই জানত তার মধ্যে দেশকে আন্তর্জাতিক পদক এনে দেওয়ার সম্ভবনা আছে। আর কে না চায় তার স্কুলের একটা মেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় পদক পেয়ে দেশ ও স্কুলের নাম উজ্জ্বল করুক? সেই সুযোগে সে ক্রমে মাঠে পা টেপানোর সময়ে বিভন্ন অজুহাতে স্যারের বুকে বা মুখে জুতো পরা পায়ে লাথি মারাও শুরু করল। স্যার এতে তার মতই খুশি হত সবার সামনে তার কাছে অপমানিত হতে পেরে।
তবে আসল লক্ষ্য থেকে তার মন সরে নি। সেও স্কুলে পড়ার সময়ে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ান হল বিভিন্ন এজের ক্যাটেগরিতে। ছোট খাট চোট পেলেও স্যার সবসময় তাকে বেস্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে অনেক খরচ করে ট্রিটমেন্ট করাত। যেদিন অঙ্কিতা এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটারে গোল্ড জিতল সেদিন আনন্দের চোটে সে জীবনে প্রথমবার স্যারকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই কয়েকশো টিভি ক্যামেরার সামনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার রানিং শু পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করল তার স্যার অয়ন। এই কাজ স্যার এর আগে বিভিন্ন ইভেন্টে বহুবার করেছে সবার সামনেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক ইভেন্টে সে এটা আশা করেনি। তবে স্যারের তার প্রতি এই ভক্তি তাকে খুব খুশি করেছিল। সেও জবাবে অন্য ইভেন্টের মতই স্যারের মাথায় নিজের রানিং শু পরা ডান পা রেখে স্যারকে আশির্বাদ করল মিডিয়ার ক্যামেরার সামনেই।
স্যারের এই অদ্ভুত আচরনের কারন মিডিয়া তার কাছে জানতে চাইলে অঙ্কিতা বলল, " আপনারা ন্যাশনাল লেভেলের এথলেটিক্সের খোঁজ রাখলে আজ আর অবাক হতেন না। স্যার সেই স্কুলে আমি ক্লাস ৫ এ পড়ার সময় থেকেই আমি কোন ইভেন্টে গোল্ড পেলে এইভাবেই আমার জুতো পরা পায়ে মাথা রেখে আমাকে কৃতজ্ঞতা জানায়। স্যারের অপুর্ন স্বপ্ন সফল করার জন্য।"

Monday 1 April 2019

হ্যালুশিনেশন...

হ্যালুশিনেশন (লেখক: খোকা)।
শ্রাবন মাসের এক শনিবার রাত। বাইরে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে ভিশন জোরে। আমি ঘরের মেঝেতে হেলান দিয়ে বসে সুখে গাঁজায় টান দিচ্ছি। আজ পরিমানটা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেও থামতে ইচ্ছা করছে না। সকাল থেকেই লোডশেডিং। ইনভার্টারে এই ঘরে শুধু একটা ০.৫ ওয়াটের বালব সামান্য আলো ছড়াচ্ছে। আমার নেশায় ঢুলে পরা চোখে দেখছি একবার আলোটা অতি উজ্জ্বল আর আকারে বড় হয়ে উঠে ক্রমে নিভে যাচ্ছে ছোট হয়ে।একটু পরে আবার জ্বলে উঠছে। হ্যালুশিনেশন? অতিরিক্ত গাঁজা খাওয়ার ফলে আমার কি হ্যালুশিনেশন হচ্ছে? নাকি ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েট করছে বলে এরকম হচ্ছে সত্যিই?
ঠক, ঠক ঠক! কেউ কি দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে? নাকি আবার হ্যালুশিনেশন হচ্ছে আমার?
না! ওই তো!! আবার সেই আওয়াজ।
ঠক, ঠক ঠক!
সাথে এবার এক মহিলার মিষ্টি গলাও ভেসে এল। "কেউ আছেন? একটু হেল্প চাই। প্লিজ দরজা খুলুন।"
আমি উঠতে গেলাম। কিন্তু পারলাম না। গাঁজাটা আজ অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেছে। আমি উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। ওদিকে দরজার ঠক ঠক আওয়াজ এতক্ষনে জোর ধাক্কায় পরিনত হয়েছে।
সেই সাথে মহিলার মিষ্টি গলার আওয়াজ আমাকে যেন চুম্বকের মত আকর্ষন করছিল। আমি দুই পায়ে দাঁড়াতে না পেরে চার হাত পায়ে কুকুরের মত সামনের দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। দরজা ধরে কোন রকমে উঠে দাঁড়িয়ে আমি দরজার ছিটকিনি খুললাম।
সামনে এক মহিলা দাঁড়িয়ে। অন্ধকারে আমি তার বয়স ঠিক অনুমান করতে পারলাম না তখন।
" হঠাত গাড়িটার টায়ার পাংচার হয়ে গেল এখানে এসে। দুই ছোট মেয়েকে নিয়ে খুব বিপদে পরেছি। টায়ার পাল্টাতে একটু হেল্প করুন প্লিজ।" - মহিলা অনুরোধের সুরে বলল।
আমার তখন উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। কিন্তু এই মহিলাকে কি করে বলি আমি নেশাগ্রস্ত আছি?
" আ আমি টায়ার পাল্টাতে জানি না। প্লিজ আপনি অন্য কাউকে ডাকুন।" আমি আমতা আমতা করে বললাম।
" এখানে আশে পাশে আর কোন বাড়িতেই কেউ নেই তুমি ভালই জান। এক মহিলা তার দুই ছোট মেয়েকে নিয়ে অজানা জায়গায় বিপদে পরেছে জেনেও সাহায্য করতে চাইছ না। লজ্জা করে না?"
মহিলা ঠিকই বলেছে। এটি এখন একটা পরিত্যক্ত নগরী। আগে এটি ছিল এক শিল্প নগরী। অনেকটা এলাকা জুড়ে তৈরী হয়েছিল বিভিন্ন সরকারী শিল্প কারখানা। শ্রমিক থেকে ম্যানেজার বিভিন্ন পোস্টের হাজার হাজার লোকে এখানে কোয়ার্টার বা বাড়ি বানিয়ে থাকত ৩০-৪০ বছর আগে। তারপর দেশে ক্রমে 'গনতন্ত্র' মজবুত হল। জন্ম নিতে লাগল একের পর এক নেতা। লাল-নীল- হলুদ- সবুজ-সাদা-কালো - গেরুয়া কত রঙের 'আদর্শ' নামক মুখোশ তাদের। কিন্তু 'আদর্শ' আলাদা হলেও সবার উদ্দেশ্য সেই একটাই, সাধারন মানুষের পেটে লাথি মেরে নিজের আখের গোছানো।
তারা বিভিন্ন অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে আখের গোছাতে লাগল। কেউ কারখানার যন্ত্রপাতি থেকে জানলা দরজা সব বেচে দিল। কেউ বেচে দিল আস্ত কারখানা। ক্রমে একে একে বন্ধ হতে লাগল সব কারখানা। এলাকা থেকে লোকে অন্যত্র চলে যেতে লাগল রুজি রুটির আশায়। আমার বাবাও গিয়েছিল। কিন্তু আর ফিরে আসেনি। মাও ক্রমে সেই শোকে মারা যায়। আমি তখন ফিজিক্সে এমএসসি পাস করে বেকার বসে আছি। আমার চারদিকে এককালীন জীবন্ত নগর এখন মৃত নগরীর মত পরে আছে। আমার বাইরে কোথাও গিয়ে থাকার টাকা ছিল না। আমার বাড়ির এক কিলোমিটারের মধ্যে তখন আর কেউ থাকে না। সন্ধ্যা হলেই এক অদ্ভুত আতংক আমাকে ঘিরে ধরত যেন। আতংক কাটাতেই প্রথমে সিগারেট আর তার পরে গাঁজার নেশায় ডুবে গিয়েছিলাম। এক মৃত নগরীতে এক কাল্পনিক জগতে দিন কাটাতে কাটাতে আমার মাথায় অবাস্তব চিন্তা ভর করত। ক্রমে সেই চিন্তা থেকে হরর ও হরর-ফেমডম লেখা শুরু করি ইংরেজিতে। পেটের দায়ে কয়েকটা হরর-ইরোটিকাও লিখেছিলাম। বিভিন্ন সাইটে সেরকম গল্প বিক্রী করে আমার দিব্যি কেটে যেতে লাগে। এক মৃত নগরীতে হ্যালুশিনেটিং ড্রাগ আর সুপারন্যাচারাল হরর গল্পের চিন্তায় সেই থেকে প্রায় ১০ বছর এইভাবেই কাটিয়ে দিয়েছি আমি।
আমার নেশাগ্রস্ত মাথা যেন পুরনো চিন্তায় হারিয়ে গিয়েছিল। সম্বিত ফিরতে তাকিয়ে দেখি মহিলা গাড়ির কাছে ফিরে গিয়ে তার দুই মেয়েকে বাইরে বের হতে বলছে। তারা বেরোতে মহিলা বলল আমি সাহায্য করতে চাই না। তাদেরই টায়ার চেঞ্জ করতে হবে।
গাড়ি থেকে টায়ার ও কিছু টুলস বার করে তারা তিনজনেই পিছনের টায়ারের কাছে পৌঁছালো। হঠাত আকাশে প্রচন্ড জোরে বিদ্যুৎ চমকালো। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম ওদের তিনজনের মুখ। মহিলার বয়স আমারই মত, ৩৫ এর কাছাকাছি। তার বড় মেয়ের বয়স ১৪-১৫ আর ছোট মেয়ের ১১-১২।
তিনজনই রোগা ফর্শা অপরুপ সুন্দরী। এত সুন্দরী তিনজন মেয়ে এই বৃষ্টির মধ্যে নিজেরা টায়ার ঠিক করবে আর আমি সাহায্য করব না তা হতেই পারে না। মেয়েদের প্রতি চিরকাল সাবমিসিভ আমার মন আমাকে বোঝাল যেভাবেই হোক ওদের সাহায্য করতে হবে।
" সরি ম্যাডাম, আমি যাচ্ছি হেল্প করতে। আপনারা চিন্তা করবেন না।" এই বলে আমি দরজা ছেড়ে সামনের রাস্তার দিকে এগোতে গেলাম। কিন্তু অতিরিক্ত নেশার ফলে টাল সামলাতে না পেরে পরে গেলাম। প্রবল বর্ষনে আমি তখন ভিজতে শুরু করেছি। সেই অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়েই আমি ওদের গাড়ির দিকে এগোতে লাগলাম। ছোট মেয়েটির হাতে একটা টর্চ ধরা। সে সেটা আমার দিকে ফোকাস করে ধরল। আর এই অবস্থায় আমাকে চার হাত পায়ে ওদের গাড়ির দিকে এগোতে দেখে ওরা তিনজনেই কিছুটা শব্দ করে হাসতে লাগল। আমি যে নেশাগ্রস্ত, আমার পক্ষে যে দুই পায়ে হাঁটা সম্ভব না এখন, সেটা ওদের জানা না থাকায় আমার আচরন ওদের অতি অদ্ভুত ও হাস্যকর লাগছে বলেই বোধ হল।
"আমি এক্সট্রিমলি সরি ম্যাডাম। একজন পুরুষ থাকতে আপনারা কেন বৃষ্টিতে ভিজে টায়ার ঠিক করবেন? কিভাবে টায়ার চেঞ্জ করে আমাকে বলে দিন। আমি করে দিচ্ছি। আপনারা গাড়িতে উঠে বসুন। এভাবে ভিজলে আপনার আর আপনার বাচ্চাদের শরীর খারাপ হবে।"
মহিলা আবার হাসল। তারপর বলল " বৃষ্টিতে ভিজলে আমাদের কিছু হয়না। তুই এই টুলস গুলো পাশে নিয়ে পিছনের টায়ারের পাশে মাথা রেখে চিত হয়ে শো আগে।"
আমি মহিলার অর্ডার পালন করলাম সাথে সাথে। আমি শুতে মহিলা বলল " মিলি তুই ওকে বুঝিয়ে দে কিভাবে টায়ার চেঞ্জ করে। আর জুলি তুই টর্চ মেরে দেখ ও ঠিক করতে পারছে কিনা।" কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে বড় মেয়ে মিলি আমাকে বোঝাতে লাগল কিভাবে পুরনো টায়ার বের করে নতুন টায়ার লাগাবো। আমি ওর কথা শুনতে শুনতে বুকের উপরে কিসের যেন স্পর্শ পেলাম। বুট। ১৪-১৫ বছর বয়সী মিলি ওর চেয়ে ২০ বছরের বড় আমার বুকের উপরে লেদার বুট পরা ডান পা টা তুলে দিয়েছে। ঠিক তখনই একটা অদ্ভুত জিনিস দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। মহিলাটি প্যাকেট থেকে সিগারেট বার করে লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরালো। এই প্রবল বৃষ্টির মধ্যে! কিভাবে সম্ভব! সত্যিই কি এই প্রবল বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে ও? নাকি আমার হ্যলুশিনেশনের ফলে ভূল দেখছি আমি? শুধু সিগারেট ধরানোটাই হ্যালুশিনেশন? নাকি এই মহিলা ও তার দুই মেয়েকে নিয়ে যা দেখছি তার পুরোটাই হ্যালুশিনেশন? আসলে কিছুই নেই। গাঁজার নেশায় হয়ত পুরোটাই ভুল দেখছি আমি!
ঘোর ভাংলো কপালের উপরে আলতো আঘাতে। জুলি ওর লেদার বুট পরা ডান পা দিয়ে আলতো করে লাথি মেরেছে আমার কপালে।
" কি রে, দিদি বুঝিয়ে বলল তো। এবার কাজ শুরু কর।"
১১-১২ বছর বয়সী অচেনা মেয়ে জুলি তার তিন গুন বয়সী আমার কপালে বুট পরা পায়ে লাথি মেরে তুই সম্বোধন করে আমাকে প্রায় হুকুম করছে ফ্রিতে ওদের গাড়ি সারানোর জন্য!
মিলি আর জুলি ওদের বুট পরা পা আমার বুক আর কপালে তুলে দাঁড়ানোয় আমার একটুও খারাপ লাগেনি। কিন্তু জুলি ওর টর্চের আলো যেভাবে আমার মুখের উপরে ফেলেছিল তার জন্য আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। আমি " জ্বি ম্যাডাম, করছি" বলতে জুলি টর্চের আলো আমার মুখের উপর থেকে সরিয়ে টায়ারের উপরে ফেলল। কিন্তু ওর জুতো পরা ডান পা আলতো করে আমার কপালের উপর রেখেই দাঁড়িয়ে থাকল। আমি সেই অবস্থাতেই চুড়ান্ত নেশাগ্রস্ত মস্তিস্ক নিয়ে চেষ্টা করতে লাগলাম টায়ার বদলানোর।
আমি প্রথমে টায়ারের নাট লুজ করতে লাগলাম মিলির কথা মত। মহিলাটি সিগারেট টানতে টানতে দুই মেয়ের উদ্দেশ্যে বলল, " ও নেশা করে রয়েছে বুঝতে পারছিস নিশ্চয়ই। খেয়াল রাখিস নাট বেশি ঘুরিয়ে না ফেলে।"
ওদের মায়ের কথা শুনে মিলি ওর বুট পরা ডান পায়ে আমার বুকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল, " সাবধানে কর। জ্যাক লাগানোর আগে টায়ার পুরো খুলে ফেললে তোর নাট বল্টু সব খুলে দেব আমরা।"
ওর দিদির কথায় মজা পেয়ে জুলিও ওর বুট পরা ডান পা দিয়ে আমার নাকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল " মনে রাখিস কথাটা।"
আমার মাথা ঘুরছিল নেশায়। তার উপর ভয়ানক বৃষ্টিতে আরো কঠিন হয়ে উঠেছিল কাজটা। তবু আমি আসতে আসতে টায়ারের নাট ঘোরাতে লাগলাম। একটু পরে মিলি বলল, " হয়েছে। এবার জ্যাকটা লাগা।"
আমি পাশ ফিরে শুয়ে জ্যাকটা লাগানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু পারলাম না। তখন বুট পরা পায়ে মিলি আমার পিঠে একটা লাথি মেরে বলল, " সব কাজ শুয়ে শুয়ে হয় না রে মাতাল। উঠে চেষ্টা কর। "
আমি কোন রকমে উঠে বসতেই আমার বাঁ কাধে মিলি আর ডান কাঁধে জুলি ওদের বুট পরা একটা পা রেখে দাঁড়ালো। আমি সেই অবস্থায় মিলির কথা মত জ্যাকটা সেট করে পুরনো টায়ার খুলে নতুন টায়ারটা কোন রকমে বসালাম। তারপরে আবার শুয়ে পরে পাশ ফিরে টায়ারের নাট টাইট করতে লাগলাম। মিলি আর জুলি এবার ওদের বুট পরা বাঁ পা আমার পিঠ আর মাথার উপরে তুলে দাঁড়ালো। আমি টাইট দেওয়া শেষ করে সোজা হয়ে শুয়ে হাঁপাতে লাগলাম। আমার মাথা তখন প্রবলভাবে ঘুরছিল।
আমি সোজা হয়ে শুতে মিলি ওর বুট পরা ডান পা আমার বুকে আর জুলি ওর বুট পরা ডান পা আমার ঠোঁটের উপরে রেখে দাঁড়ালো। দুজনেই বুটের তলা দিয়ে আমার বুক আর ঠোঁট ঘসতে লাগল।
মহিলা ততক্ষনে সিগারেট শেষ করে ফেলেছে। সেও মিলির পাশে দাঁড়িয়ে ওর বুট পরা ডান পা আমার বুকের নিচের দিকে রেখে বলল, " ভাল করে টায়ারটা লাগিয়েছে কিনা একটু দেখে নে মিলি। মাতাল তো, বিশ্বাস করা যায় না।"
মায়ের কথায় মিলি ওর লেদার বুট পরা দুই পায়ে আমার বুকের উপরে উঠে দাঁড়ালো। ওর বাঁ পা আমার বুকে আর ডান পা আমার ঠিক গলার উপরে রেখে দাঁড়িয়ে ও একটু নিচু হয়ে টায়ারে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে লাগল লাগানো ঠিক হয়েছে কিনা। আর দিদিকে এইভাবে আমার বুকের উপরে উঠে দাঁড়াতে দেখে জুলিও মজা পেয়ে একইভাবে বুট পরা পায়ে উঠে দাঁড়ালো আমার মুখে। ওর বুট পরা বাঁ পা টা জুলি রাখল আমার ঠোঁট আর নাকের উপরে আর ডান পা টা কপালে। আমার বুক আর মুখের উপরে বুট পরা পায়ে দেহের সম্পুর্ন ভর রেখে দাঁড়িয়ে রইল মিলি আর জুলি। মিলি আমার গলায় আর জুলি আমার নাকের উপরে বুট পরা একটা করে পা রাখায় আমার নিশ্বাস নিতে ভিশন কষ্ট হতে লাগল। কিন্তু সেই কষ্টও কেন যেন না ভিশন ভাল লাগতে লাগল আমার। এই ভাল লাগা কি মিলি আর জুলির মত দুটো বাচ্চা সুন্দরী মেয়ের কাছে অপমানিত হওয়ার জন্য? নাকি দেহে অক্সিজেন সঞ্চালন কমে যাওয়াটাও একইসাথে ভিশন ভাল লাগছে আমার? আমি বুঝতে পারছি গলায় মিলির বুট পরা পায়ের চাপের জন্য আমার ক্যারোটিড আর্টারি আর মাথায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপ্লাই করতে পারছে না। যত সময় যাচ্ছে আমার মস্তিস্কে অক্সিজেন সাপ্লাই কমছে, বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান। একটা হালকা মাথা ধরা, আরো বেশি মাথা ঘোরা আর এক অদ্ভুত বর্ননাতীত নেশার জগতে যেন তলিয়ে যাচ্ছিলাম আমি। এই অনুভুতি গাঁজার নেশার সাথে যুক্ত হয়ে কেমন এক বর্ণনাতীত অসাধারন সুখবোধ ছড়িয়ে দিচ্ছিল মস্তিস্কের প্রতিটা কোষে । প্রতিটা সেকেন্ড কাটছিল আর মিলি আর জুলির প্রতি আমার ভক্তি যেন সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল । যারা সম্পুর্ন অপরিচিত নিজের আড়াই তিন গুন বয়সী একজন হেল্প করতে আসা লোককে মায়ের সামনে এইভাবে ডমিনেট করতে পারে, এইভাবে তার মস্তিস্কে ছড়িয়ে দিতে পারে এক না পাওয়া নেশার সুখ, তাদের প্রতি ভক্তি ছাড়া আর কি অনুভুতি আসতে পারে? আমি সেই অবস্থাতেই হাত বাড়িয়ে মিলি আর জুলির পা দুটো পালা করে টেপার চেষ্টা করতে লাগলাম। আমার ঠোঁটের উপরে চেপে থাকা ১১-১২ বছর বয়সী জুলির বাঁ বুটের তলা জিভ দিয়ে চেটে পরিস্কার করার চেষ্টা করতে লাগলাম সেই সাথে। আর প্রতিটা মুহুর্তে ডুবে যেতে লাগলাম এক আগে কখনো না পাওয়া নেশার জগতে। সেই নেশার যতটা গাঁজা আর হাইপক্সিয়ার ফলে তার থেকেও বেশি হয়ত মিলি আর জুলির মত এত ছোট দুই সুন্দরী মেয়ের কাছে এইভাবে ডমিনেটেড হতে পেরে।
২-৩ মিনিট পরে মিলি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল, " হ্যাঁ মা, মাতালটা ঠিক করেই টায়ার লাগিয়েছে।"
ওদের মা আমার বুকের উপর থেকে পা সরিয়ে বলল, " ঠিক আছে গাড়িতে উঠে পর তাহলে।"
মহিলা গিয়ে গাড়ির সামনের ড্রাইভারের সিটে বসল। মিলিও গিয়ে পিছনের সিটে বসল। তারপর গাড়ির ভিতর থেকে বোনের দিকে কি একটা ছুঁড়ে দিয়ে বলল, " এই নে বোন।"
অন্ধকারের মধ্যে সেটা কি আমি ভাল বুঝতে পারলাম না। অথচ ওই অন্ধকারের মধ্যেই জুলি দিব্যি জিনিসটা ক্যাচ ধরে নিল। তারপর নিচু হয়ে ওর বুট পরা বাঁ পা রাস্তায় আর ডান পা আমারঠোঁটের উপরে রেখে দাঁড়িয়ে আমার দুই হাত সম্ভবত একটা দঁড়ি দিয়ে বাঁধতে লাগল। এরপর গাড়ির পিছনে গিয়ে ও দঁড়ির অপর প্রান্ত গাড়ির সাথে বেঁধে দিয়ে গাড়ির পিছনের সিটে উঠে পরল। কি হতে চলেছে সেটা আমার নেশাগ্রস্ত মস্তিস্ক বুঝতে পারল মহিলা গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার পর। গাড়ির স্টার্টের আওয়াজের সাথে একসাথে আমার কানে ভেসে এল মিলি আর জুলির হাসির শব্দ। আর সাথে সাথেই আমার হাতে প্রবল টান পরল। গাড়ির সাথে জুলি আমার হাত বেঁধে দেওয়ায় চলন্ত গাড়ির পিছনে রাস্তায় ঘসটাতে ঘসটাতে আমি পিচের রাস্তা দিয়ে চলতে লাগলাম। গাড়ির টানে আমি উপুড় হয়ে গিয়েছিলাম। আমার হাত দুটো চিলে গিয়েছিল দেহের সামনে আর আমার বুক, পেট রাস্তার সাথে ঘসা খেতে খেতে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল চামড়া খুলে যাবে ঘর্ষনের ফলে। অফ, সে কি যন্ত্রনা। নেশা কেটে কয়েক মুহুর্তের মধ্যে মাথায় যন্ত্রনার অনুভুতি ছাড়া আর কিছু থাকল না আমার।কিন্তু মিলি আর জুলি আমার সাথে কেন এরকম করল? শুধু কম বয়সী সুন্দরী মেয়ে হয়ে অনেক বড় এক পুরুষকে অকারনে নরক যন্ত্রনা দেওয়ার আনন্দের জন্য? তাও এমন একজনকে যে নির্জন রাস্তায় তাদের গাড়ির টায়ার বদল করতে সাহায্য করেছে? কি করে এত নিষ্ঠুর হতে পারে এ যুগের কম বয়সী সুন্দরী মেয়েরা?
ক্রমে এই ভয়ানক নরক যন্ত্রনা এক অন্যরকম নেশায় আচ্ছন্ন করে তুলল আমাকে। প্রবল যন্ত্রনার অনুভুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আমার মস্তিস্ক এন্ডর্ফিন ক্ষরন করছিল উচ্চমাত্রায়। আর সেই এন্ডর্ফিন আমার মস্তিস্কে ইউফোরিয়ার অনুভুতি জাগিয়ে তুলছিল। ব্যাথার অনুভুতি ক্রমে কমে আসছিল আর দেহ তলিয়ে যাচ্ছিল নেশার এক অনাবিল সুখের জগতে। আর আমাকে এই প্রবল যন্ত্রনা মিলি ও জুলির মত দুই সুন্দরী মেয়ে সম্পুর্ন অকারনে দিচ্ছে সেই চিন্তা আমার নেশাকে যেন বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
ঝিম ধরা নেশাগ্রস্ত মস্তিস্কে আমি দেখছিলাম প্রবল বর্ষনের মধ্যে গাড়ির পিছনে বাঁধা অবস্থায় আমি রাস্তায় ঘসটাতে ঘসটাতে সামনে এগিয়ে চলেছি। রাস্তার দুইদিকে মৃত নগরী তার অলৌকিক অস্তিত্ব নিয়ে এই অদ্ভুত ঘটনা সবিষ্ময়ে প্রত্যক্ষ্য করে চলেছে। আমি রাস্তায় ঘসা খেতে খেতে পেরিয়ে চলেছি একের পর এক আধভাঙ্গা বাড়ি-ঘর-কলকারখানা।
কতক্ষন এভাবে চললাম জানা নেই। যখন গাড়ি থামল তখনো অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তাকিয়ে দেখি রাস্তার ডানদিক ফাঁকা মাঠ রাস্তার বাঁদিকে এক ভগ্নপ্রায় কারখানা।
মহিলা আর তার দুই মেয়ে একসাথে গাড়ি থেকে নামল। মহিলা আবার ওই প্রবল বর্ষার মধ্যেই লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরালো। জুলি নেমে গাড়িতে বাঁধা দঁড়িটা গাড়ি থেকে খুলে দিল। আমার হার তখনো একসাথে ওই দঁড়ির অপর প্রান্ত দিয়ে বাঁধা। আমি আশা করেছিলাম এটাও ওরা খুলে দেবে। কিন্তু মিলি আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বুট পরা ডান পায়ে প্রবল জোরে আমার নাকের উপরে একটা লাথি মেরে বলল, "ওঠ কুত্তা। আমাদের সাথে চল।"
আমি মন্ত্র মুগ্ধ পুতুলের মত উঠে দাঁড়ালাম মুখে মিলির বুট পরা পায়ের লাথি খেয়ে। মহিলা সিগারেট টানতে টানতে ভাঙা কারখানার গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকল। মিলি আর জুলিও ওদের মায়ের পিছন পিছন হাঁটতে লাগল, জুলির হাতে আমার হাতবাঁধা দড়িটার অপর প্রান্ত ধরা। আমিও আমার "তিন প্রভুকে অনুসরন করে ওদের পিছনে হাঁটতে লাগলাম।
কারখানার ভিতরে ঢুকে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ভগ্নপ্রায় এই কারখানায় কোন মানুষ থাকবে আমি আশা করিনি। কিন্তু তিন প্রভুর পিছন পিছন ঢুকে দেখি একতলায় অসংখ্য লোক। কারখানার মেশিন চলার শব্দ ভেসে আসছে আর শ্রমিকেরা সবাই কাজে ব্যস্ত৷
উপরে ওঠার সিঁড়ির মুখে পৌঁছাতে জুলি আমার হাত বাঁধা দড়ির অন্য প্রান্ত মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিল। তারপর এক লাফে আমার পিঠের উপরে উঠে পরল। মিলিও ছোট বোনের দেখাদেখি আমার পিঠের উপরে উঠে দাঁড়াল জুতো পরা পায়ে। মিলি দাঁড়িয়ে ছিল আমার পিঠের উপরে আর ওর ছোট বোন জুলির বাঁ পা ছিল আমার কাঁধের কাছে আর ডান পা আমার মাথার পিছন দিকে। আমি মাথাটা ডান দিকে ঘোরাতে জুলির ডান বুটের তলা আমার ডান গালে লাগল।
আমি অবাক হয়ে দেখলাম এই অবস্থায় অবলীলায় মহিলা আমাকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে উপরে নিয়ে যেতে শুরু করল, ওর দুই মেয়ে আমার পিঠে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়!
আমি যা দেখছি তা কি বাস্তব? নাকি নেশার ঘোরে অবাস্তব অভিজ্ঞতা অনুভব করে চিলেছি আমি, যার অস্তিত্ব নেই? নাকি সত্যিই কোন অলৌকিক জগতে প্রবেশ করেছি আমি?
আমাকে সিঁড়ি দিয়ে অবলীলায় উপরে টেনে নিয়ে গেল মহিলা। তারপর ওই অবস্থাতেই টানতে টানতে কারখানার অপর প্রান্তের সিঁড়ির দিকে টেনে নিয়ে গেল। ওর দুই মেয়ে তখনো বুট পরা পায়ে আমার পিঠে দাঁড়ানো এখানেও দেখলাম শ্রমিকেরা কাজ করে চলেছে, মেশিনের টানা যান্ত্রিক শব্দ একইভাবে হতে শুনলাম।
কারখানাটা যে এত উঁচু আর এত তলা তা আগে বাইরে থেকে খেয়াল করি নি আমি। মহিলা আমাকে একইভাবে টেনে উপরের তলাতে নিয়ে চলল। প্রতি তলায় মহিলা অকারনে আমাকে এক পাশের সিঁড়ি থেকে অন্য পাশে নিয়ে যাচ্ছিল। মাঝে একবার মিলি আর জুলি আমার পিঠের উপর থেকে নেমে একসাথে দুজনে মিলে লাথি মেরে আমাকে চিত হয়ে শুতে বলল। তারপর জুলি আমার বুকে আর মিলি আমার মুখে উঠে দাঁড়ালো জুতো পরা পায়ে। আরো কয়েক তলা উঠে মিলি আর জুলি স্থান বদলালো। এবার মিলি আমার বুকে আর জুলি আমার মুখে উঠে দাঁড়ালো বুট পরা পায়ে। আর ওদের মা আমাকে দঁড়ি ধরে টেনে ক্রমে আরো উপরের তলায় নিয়ে যেতে লাগল।
.
.
এরপর যত উপরে উঠব তত কারখানায় আমি বিভিন্ন সময়ের ঘটনা দেখব। এক তলায় ৫০-৬০ বছর আগের ঘটনা। যত উপরে যাব তত সময় এগোবে। ২০ তলার কাছে গিয়ে আমি ১০ বছর আগের ঘটনা দেখব। যখন কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। মহিলা আমাকে নিয়ে একটা ঘরে ঢুকবে যেখানে আমি দেখব এক শ্রমিক নেতাকে ঘুস দেওয়ার চেষ্টা হবে। সে নিতে রাজি না হওয়ায় তাকে গুলি করে মারবে।
এরপর মহিলা আমাকে ছাদে নিয়ে যাবে ও সে ও তার দুই মেয়ে অত্যাচার করে অত উচু কারখানার ছাদ থেকে ফেলে দেবে আমাকে।
ছাদে নিয়ে গিয়ে মহিলা আর তার দুই মেয়েই আমাকে চামড়ার বেল্ট খুলে মারবে, বুট পরা পায়ে সারা গায়ে লাথি মারবে। সবচেয়ে বেশি লাথি আছড়ে পরবে আমার মুখে, মিলি আর জুলির লেদার বুট পরা পায়ের! বিন্দুমাত্র দয়া না করে দুই বোনই আমার মুখের সর্বত্র গায়ের জোরে লাথি মেরে চলবে বুট পরা পায়ে।
প্রতিটা লাথি আমাকে ছাদের মাঝখান থেকে ঠেলে দিতে থাকবে ছাদের কিনারার দিকে। আতংক ক্রমে গ্রাস করতে থাকবে আমাকে। কিন্তু আমি ছাদের কিনারায় চলে এলেও থামবে না দুই বোন। মিলির এক লাথিতে আমি ছিটকে পরব ছাদের অন্তিম সীমানায়, পরক্ষনেই তার আরেকটা লাথি আছড়ে পরবে আমার মুখে। আমি ছাদ থেকে ছিটকে পরতে গিয়ে কোনক্রমে আকড়ে ধরব ছাদের একফুট উঁচু পাচিল। আমার সারা দেহ তখন ২০ তলা কারখানার ছাদ থেকে নিচে ঝুলছে, শুধু দুই হাতে পাঁচিল আঁকড়ে ধরে আমি আমার প্রভু মিলি আর জুলিকে বলার চেষ্টা করব, " প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে। প্লি..."
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ১১-১২ বছর বয়সী জুলির বুট পরা ডান পা শেষবারের মত সজোরে আঘাত করবে আমার ঠোঁটের উপরে। আমি আর টাল সামলাতে পারব না, আমার হাত ফসকে যাবে। আমি আতংকিত অবস্থায় দেখব আমার দেহটা ২০ তলা কারখানার ছাদ থেকে নিচের দিকে ভয়ানক জোরে ছুটে চলেছে। ভারহীন বস্তুর মত অনুভব হচ্ছে আমার নিজের দেহটাকে। আমি শেষবারের মত চোখ বন্ধ করলাম। এই২৫০- ৩০০ ফুট উঁচু কারখানা থেকে নিচে পরলে প্রানে বেঁচে যাওয়ার চান্স ০.১% ও থাকার কথা না।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার! পরদিন সকালে ঘুম ভেঙে আমি দেখব আমি কারখানার নিচে পরে আছি । গায়ে একটু ব্যথা হলেও কোন বড় আঘাত নেই। কালকের ঘটনা আমর মনে পরে যাবে। আর তখনই আমার মনে পরবে ওই মহিলাকে আমার কাকিমার মত দেখতে, আর মিলি ও জুলি নামে তার দুই মেয়ে ছিল। আর যার হত্যার দৃশ্য আমি কাল দেখলাম সে তো আমার একমাত্র কাকা। যার মৃত্যুর পরে অন্যান্য শ্রমিক নেতারা টাকা খেয়ে কোটিপতি হয়েছিল। আর কারখানা বেচে দেওয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক বন্যার জলের মত ভেসে গিয়েছিল। কাল গাঁজার নেশার ঘোরে আমি ওদের কাউকেই চিনতে পারিনি।
কিন্তু অনটনে পরে ও বাবা মায়ের মৃত্যুর ঘটনার শোকে আমিও কাকুর পরিবারের খোঁজ নিইনি আর। তবে কি তারা মারা গিয়েছিল? তাদের অশরীরি আত্মা কাল অত্যাচার করেছে আমার উপরে? আমি কোন সাহায্য করিনি ওদের দুর্দশার সময়ে, ওদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছি অবহেলা করে সেই রাগে?
তখনই আমার কাকুর মৃত্যু দৃশ্যটা মনে পরবে। একটা ক্ষীন আশায় আমি উপরে সেই ঘরে গিয়ে দেখব কাকুকে যে সোনার বান্ডিল ঘুস দিতে চেয়েছিল সেই লোক, সেটা তখনো সেই টেবিলের ড্রয়ারে পরে, যার মুল্য কোটির কাছে! লক্ষ কোটির কারখানা বন্ধের ব্যবসার মাঝে মাত্র এক কোটির সোনার কথা ভুলেই গিয়েছিল ওরা!
আমি সেটা নিয়ে ফিরে আসব। তবে কি কাকিমা আসলে আমার উপরে অত্যাচার করতে চায়নি? শুধু আমাকে সোনার বান্ডিলের খোজ দিতে চেয়েছিল? যাতে আর্থিকভাবে ভাল যায়গায় পৌঁছে আমি বিয়ে করে পরিবারের বংশপ্রদিপ রক্ষা করি ? নাকি পুরোটাই কাকতালীয়? কাল কিছুই ঘটেনি, পুরোটাই আমার নেশাগ্রস্ত মস্তিস্কের কল্পনা? আর সোনার খোজ পাওয়া নেহাত কাকতালীয়? নাহলে আমি ২০ তলা থেকে সত্যিই পরে গেলে বেঁচে গেলাম কি করে? তাও কোন আঘাত ছাড়াই?
তিন দিন পরে সোনা বেচে ভাল টাকা পেয়ে আমি স্থির করব এবার বিয়ে করে সংসার করলে মন্দ হয় না। খুশি মনে আবার গাঁজায় টান দেব তিন দিন গ্যাপের পর। আর তখনই আবার সেই আগের বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া অমাবস্যার রাতের মত একই ছন্দে আমি দরজায় সেই আওয়াজ শুনব। ঠক, ঠক-ঠক!

Tuesday 1 January 2019

হিমু ও তার দুই বোন....

আমার স্কুল জীবনে একবার একটা লেংটু অভিজ্ঞতা হয়েছিল পাবলিকলি। তখন আমি ক্লাস সিক্স,  গ্রামের একটি কো এড স্কুলে পড়ি। সেদিন লাস্ট পিরিয়ডের স্যার আসেনি, ফলে ছেলে মেয়ে সবাই মাঠে বেরিয়ে খেলছি। আমি তখন একটা গাছের ডাল ধরে দোল খাচ্ছিলাম। তখন পিছন থেকে এসে আমার ক্লাসমেট কাজিন বোন এসে এক টানে আমার হাফ প্যান্ট টেনে খুলে দে ছুট!  আমার সে যে কি লজ্জা! আমি এক লাফে নেমে প্রথমে ভাবলাম বোনকে ধরতে ছুটি, তারপরে আগে লম্বা শার্টটা দিয়ে লজ্জা ঢাকবো স্থির করলাম। কিন্তু শার্ট লম্বা হলেও তলার বোতাম ছেঁড়া, তাই পিছন দিক ঢাকা গেলেও নুংকু ঠিক বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমার দুই বন্ধু এসে পথ বাতলাল, " তুই গিয়ে বাথরুমে লুকিয়ে থাক, আমরা গিয়ে তোর প্যান্ট উদ্ধার করে আনছি। " আমি আশায় আশায় বাথরুমে গিয়ে ঢুকলাম।
 কিন্তু হায়, বিধি বাম। এক স্যার এসে একটু পরেই বলে গেল "তোদের আজ ছুটি, বাঁদরামো না করে বাড়ি যা সব।" ব্যাস, অন্য ছেলে মেয়েদের সাথে আমার কাজিন  বোন রিয়াও  আমার প্যান্টের কথা ভুলে নাচতে নাচতে বাড়ি চলে গেল! একটু পরে আমার বন্ধু মোটু তার মোটা মাথা দোলাতে দোলাতে এসে বাথরুমের দরজায় টোকা দিয়ে বলল " তোর বোন বাড়ি চলে গেছে। "
আমার তখন কি অবস্থা বুঝতেই পারছ। ইচ্ছা করছিল মোটুর মাথায় এক ঘা দিয়ে ওকে অজ্ঞান করে ওর প্যান্ট পরে বাড়ি যাই। কিন্তু ওর কোমর আমার তিন গুন, তাই এই প্ল্যান ক্যান্সেল করতেই হল। কোনরকমে গায়ের শার্ট খুলে কোমরে পেঁচিয়ে লজ্জা নিবারন করে বাড়ি ফিরলাম।
বাড়ি ফিরে দেখি রিয়া আমার চেয়ে দুই বছরের ছোট ক্লাস ফোরে পড়া ছোট বোন রিমার সাথে বাড়ির উঠোনে স্কুল ড্রেস পরে বসেই কাঁচা আম খাচ্ছে। আমাকে এই অবস্থায় দেখে ওর বোধহয় এতক্ষনে মনে পরল ও কি কান্ড করেছে! আর আমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার ছোট্ট বোন রিমা কেন জানি না হো হো করে হাসতে শুরু করেছে!
রিয়া ওর ব্যাগ খুলে আমার প্যান্টটা বার করে আমার দিকে ছুঁড়ে বলল "এই নে লেংটু হনু,  তোর প্যান্ট!" কিন্তু প্যান্টটা আমার একটু সামনে গিয়ে কাদার মধ্যে পরল। আর আমি সেটা ধরতে লাফাতে গেলাম যেই অমনি আমার কোমরে জড়ানো শার্ট খুলে সোজা নিচে! দুই বোনের সামনে এবার আমি পুরো লেংটু!
কি আর করি? কাদা থেকে প্যান্ট তুলে কোমরে পরতে পরতে প্রায় এক মিনিট লেগে গেল। আর এই পুরো সময় আমি আমার দুই বোনের সামনে পুরো লেংটু, আমার নুনু পুরো ওদের চোখের সামনে!!
ঘরে যেতেই মা কান ধরে এক থাপ্পর লাগাল। এই হনুমান, এত কাদা মেখে ঘরে ঢুকছিস কেন?"
আমি উত্তর দিতে যাওয়ার আগেই শুনি, " যা,  গাছে গাছে লাফিয়ে বেরা বরং, ওটাই তোকে মানায়।", তাকিয়ে দেখি আমার ক্লাস ফোরে পড়া বোন রিমা। রিমা আর রিয়াও ততক্ষনে মজা দেখতে ঘরে ঢুকে এসেছে।
আমি জানি রিয়ার আমার প্যান্ট খুলে নেওয়া আর সেটা নিয়ে আমাকে স্কুলে লেংটু করে বাড়ি চলে আসার ঘটনা মাকে বলে দিলে মা ওকেই বকবে। কিন্তু রিমা আর রিয়া ভালই জানে ওদের সাথে ছোটখাট ঝগড়া করলেও ওদের কখনো বকা বা মার আমি খাওয়াতেই পারি না। সেরকম হলে ওদের দোষ আমি নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিজে মার খাই, আর ওরা মজা দেখে।
" তোরাই বল, হনুমানটাকে কি শাস্তি দেওয়া যায়। আমি আর পারি না এটাকে নিয়ে। মা হতাশ গলায় দুই বোনকে বলল।"
" এই হনু, যা কান ধরে উঠোনটা দশ চক্কর দে।" রিমা গম্ভীর গলায় আদেশ করল।
আমার বেশ ভাল লাগছিল বোনের শাসন। আমি বাধ্য ছেলের মত দুই কান ধরে উঠোন চক্কর দিতে লাগলাম ছুটে।
হঠাত কি যেন একটা অনুভব করলাম হাটুর কাছে। ভাল করে বোঝার আগেই দুম করে উল্টে পরলাম। আমার প্যান্টটা কোনভাবে খুলে পরেছে, আর তার ফলে প্যান্ট পায়ে বেধে উল্টে পরেছি আমি।
কি করে প্যান্ট খুলল? আমি ভাল করে তাকিয়ে দেখি প্যান্টের বেল্ট টা নেই।  আর আমার প্যান্টটা লুজ, তাই খুলে পরে গেছে। কিন্তু সকালে তো প্যান্টে বেল্ট ছিল। তাহলে রিয়াই ওটা খুলে কোথাও ফেলেছে!
ততক্ষনে আমি রিয়া আর রিমার হো হো হাসি দিব্বি শুনতে পাচ্ছি পাশ থেকে। আমি একে লেংটু তখন, তার উপর কান ধরা। আর দৌড়ানো অবস্থায় উল্টে পরায় আমার বেশ লেগেছেও! কিন্তু দাদার দুরবস্থা দেখে দুই বোনের শুধু হাসিই পাচ্ছে! তার চেয়েও আশ্চর্য, দুই বোনের কাছে এই অপমান আমার এত ভাল লাগছে কেন?
রিয়া আর রিমা দুজনেই এবার আমার একদম কাছে এগিয়ে এল।  রিয়া আমার কান ধরে টেনে তুলল আমাকে। নে, আবার চক্কর দে উঠোনে। এখনো ছয় বার।
আর রিমা আমার প্যান্টের দিকে তাকিয়ে বলল " তোর বেল্ট কোথায় গেল হনু?"
আমি মাথা নিচু করে বললাম "রিয়া জানে।"
তাই শুনে রিয়া সাথে সাথে আমার দুই গালে পর পর দুটো থাপ্পর মেরে বলল, " তোর প্যান্টের বেল্ট, কোথায় আছে আমি কি করে জানব? "
আর রিমা মায়ের দিকে চেয়ে চেঁচিয়ে বলল, " মা, আজ দাদা প্যান্টের বেল্ট হারিয়ে এসেছে।"
মা ঘর থেকে চেঁচিয়ে বলল " উফ, এই হনুমানটাকে নিয়ে আর পারি না। এবার বেল্ট কিনে সেটা দিয়ে আগে ওর পিঠে কটা ঘা দিতে হবে। এখন তোরা ওর কান ধরে গালে কয়েকটা দে।"
সেই শুনে রিয়া খুশি হয়ে আমার দুই গালে আরো দুটো থাপ্পর দিল। তারপর রিমাকে বলল, " নে, তুইও চড় মার হনুকে।"
রিমাও দিব্বি খুশি মনে আমার দুই গালে পর পর চারটে থাপ্পর মারল কান ধরে। আমার তখনো প্যান্ট পুরো খোলা।
এবার আমি প্যান্ট তুলতে নিচু হলাম। অমনি রিয়া আমার বুকে জুতো পরা পায়ে একটা লাথি মেরে বলল " প্যান্ট খুলে গেছে যখন তখন খুলেই দৌড়া। "
আমার দুই বোনের এই ব্যাবহার খুব ভাল লাগছিল। কিন্তু খোলা উঠোনে লেংটু হয়ে এতক্ষন দৌড়ালে বাইরের কেউ ঠিক দেখে নেবে। তাই বোনের আদেশ মানাটা ঠিক সহজ মনে হল না। আমি আমাকে লাথি মারা রিয়ার কালো স্কুল শু  পরা পা দুটোর উপরে হাত রেখে রিকোয়েস্ট করলাম, " প্লিজ বোন, প্যান্ট পরে দোড়াতে দে প্লিজ।!"
সাথে সাথে রিয়া আবার একটা লাথি মারল, এবার ওর জুতো পরা ডান পায়ে আমার মুখে। সাথে সাথে ওর দেখা দেখি রিমাও আমার মুখে ওর সাদা স্নিকার পরা দুই পা দিয়েই একটা করে লাথি মেরে বলল " তুই তো হনুমান।  প্যান্ট খুলেই দৌড়া ওদের মত।" এই বলেই বোন হাসিতে ফেটে পরল।
আমি অগত্যা প্যান্ট খুলেই দৌড়াতে বাধ্য হলাম। কিন্তু বুদ্ধি করে দৌড়াতে দৌড়াতেই শার্টটা খুলে কোমরে বেঁধে নিলাম আগের মত। কিন্তু এই সময় কান ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় তার শাস্তি হিসাবে দশ পাক কম্পলিট করে দুই বোনের কাছে আসতেই ওরা মায়ের সামনেই  দুই গালে একটা করে থাপ্পর মারল দুজনেই।
আমি প্যান্ট পরে ঘরের দরজার কাছে আসতে মা বলল " তুই কি দুই বোনকে দেখে একটুও ভদ্রতা সভ্যতা শিখতে পারিস না? তোর স্বভাব দেখে তুই মানুষের বাচ্চা না বাঁদরের বাচ্চা বোঝা যায় না। আর তোর দুই বোনকে দেখ, সবাই ওদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নে, এবার তোর শার্ট প্যান্ট সাবান জলে ভিজিয়ে গামছা পরে নোংরা করা সামনের ঘরটা মোছ।"
আমি মায়ের সব আদেশ পালন করলাম। যদিও সামনের ঘরটা দুই বোনই জুতো পরা পায়ে মাড়িয়ে নোংরা করেছে, আমি না।
এই কাজ টুকু সারতেই আমার বোন রিমা ভিতর থেকে ডাকল, " এই হনু, ভিতরে আয়"।
আমি যেতে দেখি দুই বোন বই খুলে পড়ার নাটক মারছে, যদিও সামনে টিভি খোলা।
রিমা গম্ভীর মুখে বলল, " আমরা পড়ায় ব্যাস্ত, তুই আমাদের জুতো খুলে পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দে। আর আমাদের স্কুল ড্রেস বাথরুমে একটা বালতিতে চোবানো আছে। তুই কেচে মেলে দিবি।"
দুই বোনের পায়ে জুতো পরানো বা খোলা নতুন কিছু না। ওরা প্রায়ই কিছু অজুহাত দিয়ে আমাকে দিয়ে এটা করায়। আমার আসলে ভালই লাগে বোনেরা আমার সাথে একটু প্রভুর মত আচরন করলে। অবশ্য আজ আমি ওদের প্রতি বড্ড বেশিই সাবমিসিভ হয়ে পরেছিলাম। আমি ওদের জুতো খোলার সময়ে দুই বোনের জুতো পরা পায়েই মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। অবাক হয়ে দেখলাম দুই বোনই ওদের জুতো পরা পা আমার মাথার উপর রেখে আমাকে আশির্বাদ করল।
আমি ওদের এই আচরনে আরো বেশি সাবমিসিভ হয়ে পরলাম দুই বোনের প্রতি। যেই দুই বোন আমাকে অকারনে অপমান করে  সবার সামনে তাদের আমার প্রভু বলে মনে হতে লাগল কেন জানি!!
আমি ওদের দুজনের জুতোর উপরই ভক্তিভরে চুম্বন করলাম। নাক ঘসলাম ওদের জুতোর উপর। তারপর ভাল করে ওদের জুতো পালিশ করে চকচকে করে তুলে রাখলাম। ওদের পায়ে ঘরে পরার চটিটা পরিয়ে দিতে রিয়া হেসে বলল তোর বেল্টটা আমার ব্যাগেই রাখা আছে। কিন্তু এখন পাবি না। কয়দিন বেল্ট ছাড়াই এই লুজ প্যান্ট পরে স্কুল কর। অনেক মজা হবে।" এই বলে আমার দিকে ফিরে চোখ মারল। আর তাই দেখে রিমাও হো হো করে হাসতে লাগল।
বলে কি রিয়া? এই প্যান্ট তো খুবই লুজ। স্কুলে সবার সামনে এমনিই খুলে গেলে তো মান সম্মান কিছুই আর থাকবে না!! আমি সেই কথা বলে রিমার দুই পা জড়িয়ে ধরে ওর পায়ে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলাম। আমার চোখেও একটু জল চলে এল যেন।
কিন্তু রিয়া আর রিমা দুজনেই নিরুত্তাপ! আমার মাথায় চটি পরা পায়ে লাথি মেরে আমাকে সরিয়ে দিয়ে রিমা বলল, " হনুমানের আবার মান সম্মান!! যা ভাগ!!"
"আর মনে রাখিস, আমাদের জামা ভাল করে কাচবি, যেন একটুও ময়লা না থাকে। আর স্নান সেরে ঘরে এসে আমাদের দুজনের হোম ওয়ার্ক ঠিক ঠাক করবি। একটা কাজেও একটুও গাফিলতি হলে তোর ওই বেল্ট দিয়ে  তোরই পিঠের অবস্থা খারাপ করব আমরা!" এই বলে রিয়া রিমাকে জড়িয়ে হো হো করে হাসতে লাগল , যেন খুব মজার কোন কথা বলেছে।
দুই বোনের কাছে এই অপমান আমার যে কি ভাল লাগছিল বলে বোঝাতে পারব না। রিয়া আর রিমা, দুই বোনকেই শাস্টাঙ্গে প্রনাম করে আমি স্নান ঘরে ঢুকলাম। ওদের জামা কাচতে হবে আগে।


২....


দুই বোনের স্কুল ড্রেস ভাল করে কাচলাম প্রথমে। এরপর নিজের ড্রেস কেচে স্নান সেরে বেরোলাম। জামা শুকোতে দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি তখনো দুই বোন টিভি খুলে পড়ার নাটক করছে। আমি ঘরে ঢুকতে রিয়া আমার মুখে একটা খাতা ছুড়ে মেরে বলল , " নে, আমাদের হোম ওয়ার্ক করা শুরু কর। যদি একটাও ভুল হয় তাহলে তোর কান টেনে ছিঁড়ে নেব হনুমান, মনে থাকে যেন!"
দুই বোন আমার সাথে এই স্টাইলেই কথা বলতে অভ্যস্ত, আমারও খুব ভাল লাগে ওদের এই ব্যবহার। আমি খাতাটা তুলে মেঝেতে বসে পরলাম, সোফায় বসা দুই বোনের ঠিক পায়ের কাছে। রিয়ার হোম টাস্ক সেরে যখন রিমার হোম টাস্ক সারলাম তখন দেখি মা টিফিন হাতে ঘরে ঢুকল।
আমাকে রিমার বই খাতা খুলে অংক কষতে দেখে মা ভুরু কুচকে জিজ্ঞাসা করল, " তুই ক্লাস ৪ এর বই খুলে কি করছিস?"
রিয়া তাই শুনে মা কে বলল, " জেঠি, হনুর যা লেভেল ওকে ক্লাস ১ থেকে আবার পড়াতে পারলে ভাল হয়। দেখবে ওর অবস্থা?"
এই বলে রিয়া আমার দিকে চেয়ে বলল " এই হনু, বল তো ১০ আর ১০ যোগ করলে কত হয়?"
আমি জানতাম রিয়া আমাকে নিয়ে মজা করছে। ও চায় আমি ভূল উত্তর দিই। তাই আমি মাথা চুলকে হাতের কড়া গুনে উত্তর দিলাম ১৮।
রিয়া তাই শুনে আমার গালে আলতো একটা থাপ্পর মেরে বলল " দেখ জেঠি, হনুর অবস্থা। ও তো এল্ফাবেট ও সব ভুলে গেছে। আজ স্কুলে abcd ও ঠিক করে বলতে পারে নি। " ওকে তাই আবার ক্লাস ফোর থেকে পড়াতে হবে বাড়িতে।"
মা তাই শুনে চিন্তিত গলায় বলল,  " হনুর তো খুব খারাপ অবস্থা দেখছি। তুলিকে ( রিয়ার মায়ের নাম)  বলতে হবে দেখছি।"
রিয়া বেশ ভারী গলায় বলল "তার দরকার নেই জেঠি। আমিই দেখিয়ে দেব ওকে পড়া। তবে পড়া না করে হনুগিরি করে বেড়ালে ও কিন্তু আমার কাছে মার খাবে। রিমার কাছেও খাবে। তুমি সেটা মেনে নিলে দেখবে দিব্বি ওকে মেরে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসব আমি।"
" মা বলল যত খুশি মারিস ওকে প্রয়োজন হলে। আমি তোকে কখনো বাধা দিয়েছি? আমি তো বরং তোকে বলি ওকে শাস্তি দিতে ও ভুল কিছু করলে। ও একটা আস্ত হনুমান, মার না খেলে মানুষ হবে না আমি জানি। "
মায়ের কথায় আমার একটুও খারাপ লাগল না। মা লুচি  প্লেটে করে এনে দুই বোনকে দিল। রিমা বলল, " হনু কিন্তু লুচি খাবে না মা। ওকে কলা,  আম, কাঁঠাল এইসব দাও। ও লেজ দুলিয়ে ফল খাক!"
আমি জানি আমাকে হনুমানের মত ট্রিট করে দুই বোন মজা পায়। শুধু ওদের মজা দেওয়ার জন্যই আমি লুচি ছেড়ে শুধু ফল খেতে রাজি হয়ে গেলাম।  আমার লুচি খেতে ভাল লাগে ঠিকই,,কিন্তু আমাকে নিয়ে মস্করা করতে পেরে দুই বোনের মুখে যে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে,  সেটা দেখার মত ভাল আর কিছুতেই লাগে না!
কাকিমা বাড়ি ফিরল তার একটু পরেই। তখন রিমা আমার দিকে তাকিয়ে মুখে অদ্ভুত একটা হাসি ফুটিয়ে সুরেলা গলায় বলছে,  " আয় হনুমান,  কলা খা!" আর দুই বোন একে অপরকে জড়িয়ে হো হো করে হাসছে।
আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি আমার বাবা শহরের এক প্রাইমারি স্কুলের টিচার। কাকু আর কাকিমা পাশের গ্রামের হাই স্কুলের টিচার। মা গৃহবধু, বাড়িতে থেকে আমাদের তিন ভাই বোনকে সামলায়। মা আর কাকিমা আবার আপন বোন। তবু আমি কাকিমাকে মাসি না বলে কাকিমাই বলি।
কাকিমা রিমার দিকে তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে বলল, " তুই আবার দাদার পিছনে লাগছিস? আর হিমু তুই  রিমার বই খুলে বসে কেন? ও তোকে দিয়ে হোমওয়ার্ক করিয়ে নিচ্ছে  নাকি?
 মা কাকিমাকে বলল, " না রে তুলি। হনুটা ক্লাস ফোরের অংকও ভুল গেছে, সহজ যোগ ও পারে না। তাই ওকে শেখাতে বসেছে রিয়া।"
রিয়াও পাশ থেকে বলল " হ্যাঁ মা"। আমিও ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিলাম।
কাকিমা মায়ের মত সহজে এই কথায় বিশ্বাস করল না। দুই বোন যে আমাকে বুদ্ধু বানিয়ে খাটায় আর আমি যে সেটা খুব সহজে মেনে নিই ওদের কথা মত, এটা কাকিমা একটু একটু বুঝতে শুরু করেছে ইদানিং।
কাকিমা বলল,  " দেখি হিমু কতটা ভুলে গেছে পড়া। তোকে পরপর তিনটে কোশ্চেন করব। ১স্ট কোশ্চেনের যদি উত্তর দিতে পারিস তাহলে তোকে একটা সাইকেল কিনে দেব। বল,  ৫ আর ৫ যোগ করলে কত হয়?"
আমি জানতাম আমাকে ভুল উত্তর দিতে হবে। আমি মাথা চুলকে অনেক নাটক করে বললাম "১৫?"।
কাকিমা হাসিমুখে বলল " হয়নি। কিচ্ছু পাবি না। এর পরের দুটো কোশ্চেনের উত্তর দিতে পারলে রিমা আর রিয়াকে দুটো ভাল সাইকেল কিনে দেব।"
এইবলে কাকিমা আমাকে ক্লাস ৬ এর পক্ষে বেশ কঠিন  দুটো অংক দিল। আমি বুঝতে পারলাম কাকিমা,আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁদে ফেলেছে।
কিন্তু রিয়া আর রিমাকে নতুন সাইকেল পেতে সাহায্য করতে ইচ্ছা করল। আমার কাজের ফলে ওরা ওদের পছন্দের জিনিস পাবে ভেবে আনন্দ হতে লাগল খুব আমার। আমি অংক দুটো করে কাকিমাকে দিলাম। কাকিমা দেখে বলল, " এই তো ঠিক করেছিস।"
তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল " হিমুর আসল সমস্যা পড়ায় ফাঁকি দেওয়াও না, হনুগিরি করাও না। ওটা তোকে দুই মেয়ে ভুল বুঝিয়েছে। তবে ওর একটা বড় সমস্যা আছে। নাহলে নিজে সাইকেল পাওয়ার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিল আর দুই বোনকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য মাথা খাটিয়ে আরো কঠিন অংক করল কেন? ওর কিছু বড় সমস্যা আছে, নাহলে নিজে সব সুখ ছেড়ে দুই বোনকে সব দিতে চায় কেন আর ওদের কথায় ওঠে বসে কেন বুঝিনা। নাহলে এমনিতে ও খুবই ভাল ছেলে।"
পরদিন স্কুলে টিফিনের পিরিয়ডে আমার ক্লাস মনিটর বোন রিয়া আমাকে নিল ডাউন করে রাখল। আমি নাকি টিফিন খেতে গিয়ে নিচে ফেলে মেঝে নোংরা করেছি। আসলে সেই খাবার গুলো সব রিয়ারই ফেলা। তবু আমি খুশি মনে মেঝে পরিস্কার করে নিল ডাউন হলাম। ছেলেরা তখন সবাই বাইরে খেলছে আর মেয়েরা অনেকেই ঘরে বসে রিয়ার  আমাকে নিয়ে মজা করা দেখছে।
১০ মিনিট পর রিয়া গম্ভির গলায় আদেশ করল " এবার কান ধরে উঠে দাঁড়িয়ে হনুমানের মত লাফ দিতে থাক হনু।"
আমি রিয়ার আদেশে ক্লাসের প্রায় ১৫ টা মেয়ের সামনে তাই করতে লাগলাম। ৫-৬ টা লাফ দেওয়ার পরেই রিয়ার কোঁচকানো ভুরু দেখে বুঝলাম ও আশা করেছিল ও আমার বেল্ট খুলে রেখে দেওয়ায় আমি লাফ দিতে থাকলে আমার লুজ প্যান্ট খুলে মেঝেতে পরবে আর আমি এতগুলো মেয়ের সামনে লেংটু হয়ে যাব। আমি প্রায় ১০০ টা লাফ দিলাম,  কিন্তু প্যান্ট খুলল না। আসলে আমি মোটা দড়ি দিয়ে প্যান্টটা কোমরে বেধে গিট দিয়ে প্যান্টের উপরটা ফোল্ড করে দড়িটা ঢেকে রেখেছিলাম।  তাই প্যান্ট খোলে নি। কিন্তু রিয়ার মুখ দেখে বুঝলাম ও খুশি না! ও ভেবেছিল এতজন মেয়ের সামনে আমার প্যান্ট খুলে পরবে আর ওরা তাই নিয়ে বেশ হাসি মস্করা করবে!
ছুটির পরে আমি আর রিয়া একসাথে বেরোলাম স্কুল থেকে। রিমাও আমাদের স্কুলের গেটে এসে দাড়িয়েছিল। একসাথে বাড়ির পথ ধরলাম আমরা।
রিয়া হঠাত আমার কান ধরে বলল তুই কি অন্য কারো থেকে বেল্ট নিয়ে পরেছিস? এত লাফালি,  তবু ঢোলা প্যান্ট খুলল না কেন তোর? এই বলে ও হাত দিয়ে আমার প্যান্টের বেল্ট বাঁধার অংশটা দেখল, আর দড়িটা ওর চোখে পরল।
"তোর সাহস তো কম না হনু, তুই আমার অনুমতি ছাড়া কোমরে দড়ি বেঁধেছিস? খুব খারাপ কাজ করেছিস, ক্ষমা চা আমাদের কাছে।" এই বলে আমার গালে একটা থাপ্পর মারল রিয়া।
গ্রামের খোলা রাস্তায় আমার সাথে রিয়া এরকম ব্যাবহার করায় আমার খুবই ভাল লাগছিল। আমি রাস্তার মাঝেই ওদের পায়ের লাছে হাটুগেড়ে বসে দুই বোনের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম করলাম। রিয়া এবার আমার কোমরে দুই ফোল্ড করে বাধা দড়ির একটা ফোল্ড খুলে দড়িটা হাতে ধরল। যেন আমি আসামী আর ও পুলিশ, আসামীকে কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাড়ির সামনে আসতে রিমা বলল, " এই হনু, গাছে উঠে আমাদের জন্য কাঁচা পাকা দুরকম আম, জামরুল, কাঁঠাল পেরে আন।.. দিদি, ওর কোমরের দড়িটা পিছনে লম্বা করে ছেড়ে দে। লেজের মত লাগবে, আর ওকেও পাক্কা হনুমান মনে হবে।" এই বলে হাসতে হাসতে দুই বোন ঘরে ঢুকল।
মা ওদের দেখে বলল,  " তোরা দুজন ফিরছিস, হনুটা কই?"
রিমা বলল,  " হনুমান যেখানে থাকে। এসেই গাছে উঠে পরেছে। তুমি ওর জন্য ফালতু কষ্ট কর মা, ওটা সত্যিই হনুমান,  কোনদিন মানুষ হবে না।"
মা বাইরে এসে বলল, " উফ, এই হনুকে নিয়ে আর পারি না। স্কুল থেকে ফিরেই গাছে উঠে গেল। নেমে আয় বলছি।"
রিয়া পাশ থেকে বলল " ওর স্কুল থেকে ফিরেই গাছে ওঠা বন্ধ করার একটা উপায় আছে জেঠি। স্কুল থেকে ফেরার পর আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে তুলে রাখা থেকে জুতো খুলে দেওয়া সব ওর ডেইলি কাজের অংশ করে দেওয়া। ও যদি সেটা না করে গাছে গিয়ে ওঠে তাহলে আমরা ঘরে সেই সময় স্কুল জুতো পরেই ঘুরব। আর ও যখন গাছ থেকে নেমে ঘরে ঢুকবে তখন ও আমাদের জুতো খোলার সাথে সাথে ওর জন্য নোংরা হওয়া ঘরের মেঝেও মুছবে। সাথে আমাদের চড় লাথিও খাবে বেশি হনুগিরি করার জন্য।"
মা যেন একটু ভেবে বলল, " ভাল প্ল্যান করেছিস। নাহলে ও শুনবে না।"
এবার রিমা বলল, " এই হনু, মায়ের কথা শুনেছিস? এক্ষুনি নিচে নেমে আয়। নাহলে আমরা জুতো পরে ঘরের মেঝেয় ঘুরে বেরাবো আর তুই সেটা মুছতে বাধ্য হবি।"
আমি জানি বোন মুখে বললেও আসলে চায় না আমি এখনি নিচে নামি। ওরা দুই বোনই চায় আমাকে দিয়ে ওদের জুতোর ছাপ পরা ঘরের মেঝে মোছাতে। আর তারপর শাস্তি হিসাবে আমাকে চড় আর লাথি মারতে। তাছাড়া,  আসলে আমি তো আর নিজের ইচ্ছায় গাছে উঠিনি। বোনেরা খাবে বলেই আম পাড়তে উঠেছি। এখন আমি বোনের খাওয়ার জন্য গাছ থেকে আম পাড়বো আর বোনেরা খাবে, আর তার শাস্তি হিসাবে বোনেদের হাতে মার খাব আমি! ভাবতেই ভিশন খুশি হয়ে উঠল আমার মন!
আমি রিমার আদেশ মত আম, জামরুল আর কাঁঠাল পারলাম। ঘরে ঢুকে ওদের কাছে শুনে আম কেটে দিলাম ওদের খাওয়ার জন্য। ততক্ষনে ওরা দুটো ঘরের মেঝে কাদায় ভরা জুতো পরা পায়ে মাড়িয়ে কাদায় ভরিয়ে ফেলছে। এমনকি মেঝেতে পাতা আমার বিছানা বালিশ পর্যন্ত ওদের জুতোর তলায় মাড়িয়েছে রিয়া আর রিমা।
আমি পাশের ঘর থেকে ঘর মোছার বালতি আর ন্যাকড়া এনে ঘর মুছতে যাব, রিয়া আদেশ করল আগে ওদের জুতো খুলে দিতে।
আজ দুই বোনের পায়েই সাদা স্নিকার পরা। আমি সোফায় বসা দুই বোনের পায়ের কাছে হাটুগেড়ে বসলাম। প্রথমে রিমা আমার দুই গালে দুটো থাপ্পর মেরে বলল " এটা কিসের শাস্তি বলত?"
আমি বললাম " স্কুল থেকে ফিরে কাজ না করে গাছে ওঠার জন্য।"
এবার রিয়া আমাকে থাপ্পর মেরে বলল " আর তুই গাছে উঠেছিলি কেন?"
" রিমার আদেশে ফল পারতে", আমি বললাম।
" হু, তুই আদেশ মানলেও শাস্তি পাবি, না মানলেও পাবি। কারন তুই একটা হনুমান। আর রোজ দুই বেলা মার না খেলে হনুমানদের ল্যাজ খসে না।" এই বলে হো হো করে হাসতে লাগল রিয়া।
হাসি থামিয়ে রিয়া আমার মুখে দুই পায়ে দুটো লাথি মারল। ওর দেখা দেখি রিমাও একইভাবে দুটো লাথি মারল, কিন্তু তার একটা আমার নাকে সরাসরি লাগায় বেশ লাগল।
এরপরে আমি ওদের দুই বোনের জুতো একে একে খুলে দিলাম। প্রথমে রিমার জুতো আর মোজা খুলে পা ধুয়ে পায়ে ঘরে পরার চটি পরিয়ে দিলাম। এরপরে রিয়ার জুতো মোজা খুলে পা ধুয়ে একইভাবে চটি পরিয়ে দিলাম। ওরা টিভি দেখতে দেখতে আমার পাড়া আম খেতে লাগল। আর আমি ওদের আম পেড়ে দেওয়ার অপরাধে ওদের জুতোর ছাপ পরা মেঝে মুছতে লাগলাম।
ঠিক তখনই কাকিমা ঘরে ঢুকল। আর আমাদের এই অবস্থায় দেখে বুঝতে বাকি রইল না যে দুই বোন ইচ্ছা করে ঘরের মেঝেয় জুতো পরে ঘুরে এখন আমাকে দিয়ে মেঝে মোছাচ্ছে!
কাকিমা বলল, " ওরে হিমু, তোকে হনু না বলে গাধা বলা উচিত। দুই বোন তোকে বোকা বানিয়ে যা খুশি কাজ করায় আর তুই খুশি মনে করিস।"
মা তখন ঘরে এসে বলল যে আমি স্কুল থেকে ফিরেই গাছে উঠেছিলাম, এটা তার শাস্তি।
কাকিমা বোনেদের দিকে তাকিয়ে বলল, " ওরা যে আম খাচ্ছে সেটা কে পারল তবে? ঘরে তো আর আম ছিল না।"
রিমা বলল " দাদাই পেরেছে আজ। আমিই পারতে বলেছিলাম।"
" বাহ, হিমু তোদের জন্য স্কুল থেকে ফিরেই আম পাড়তে উঠবে। আর তার শাস্তি তোরাই উল্টে ওকে দিবি। কি বিচার! আর দিদি, তোকে যে এই দুই বিচ্ছু বোন উল্টোপাল্টা যা খুশি বোঝায় তুই বুঝতে পারিস না?"
মা বলল,  " হিমুই যদি কিছু না বলে সব মেনে নেয় তো কি করে বুঝব? ও তো বলতেই পারত ওকে বোন আম পাড়তে বলেছে। তাহলে তো আমি শাস্তি ওকে না দিয়ে রিমাকে দিতাম।"
এটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। আমার অত্ত সুন্দর মিষ্টি বোন রিমাকে মা শাস্তি দেবে শুনলে তো কষ্ট হবারই কথা! আমি মা কে বললাম রিমা আম খেতে চেয়েছে একটু, তাতে ওকে শাস্তি দেবে কেন মা? আর ঘর আমি মুছে দিচ্ছি এমনিই, স্নান করার আগে এটা কোন সমস্যাই না।"
কাকিমার চোখ এবার গেল আমার পিছন থেকে লেজের মত বেড়িয়ে থাকা দড়িটায়। "এইটা কি?" কাকিমা দড়িটার দিকে আঙুল তুলে বলল।
"ওটা হনুর লেজ", রিয়া পাশ থেকে ফোরন কাটল।
" তুই চুপ কর। হিমু বল।"
 আমি বললাম " আমার বেল্টটা হারিয়ে ফেলেছি। তাই দড়ি বেধেছি বেল্টের জায়গায়।"
মা তখন নিজে থেকেই বলল কাল আমি স্কুলে  বেল্ট হারিয়ে এসেছি ।
কাকিমা অবিশ্বাসের সুরে বলল, " বেল্ট তো কোমর থেকে খুলে পরে যায় না, গেল কোথায়।?"
তারপর একটু ভেবে বলল, " আমার কিরকম সন্দেহ হচ্ছে।" এইবলে সোজা রিয়ার ব্যাগ খুলে ওর ব্যাগ থেকে আমার বেল্টটা বার করে আনল।
" আমি জানতাম এটা তুইই লুকিয়েছিস। হিমু বেচারাকে ভাল ছেলে পেয়ে তোরা দুই বোন বড্ড অত্যাচার করছিস ওর উপরে।"
রিয়া আম খেতে খেতে উত্তর দিল,  " যার উপর করছি সে যদি খুশি মনে সেটা মেনে নেয় সেটাকে অত্যাচার বলে না।"
কাকিমা একটু রাগ দেখিয়ে বলল, " তুই বেশি কথা শিখে গিয়েছিস রিয়া।"
তখন মা বলল, " আরে, এত রাগ করছিস কেন তুলি? দুই বোন নাহয় দাদার সাথে একটু মজাই করে, তাতে কি হয়েছে? আমরাও ছোটবেলায় এভাবে আমাদের জেঠার ছেলেকে নিয়ে মজা করতাম ভুলে গিয়েছিস তুই? মেয়েরা বাচ্চা বয়সে বড় দাদাদের সাথে এরকম একটু আধটু করে। তাতে ছেলেরা তেমন কিছু মনে করে না।"
" না রে দিদি, হিমুর উপরে ওরা তেমন অল্প সল্প না, অনেক বেশিই অত্যাচার করে। কিন্তু হিমু তাও কিছু বলে না কেন সেটাই আশ্চর্যের। এই রিয়া, হিমুর বেল্ট তোর ব্যাগে গেল কি করে বল তো?"
এবার রিয়া ইতস্তত করতে লাগল। স্কুলে সবার সামনে ও আমার বেল্ট সহ প্যান্ট খুলে সেটা নিয়ে বাড়ি চলে এসেছে আমাকে স্কুলে লেংটু করে রেখে, এটা বললে যে ও ভিশন বকা খাবে সেটা নিশ্চিত।
রিয়ার কাছে উত্তর না পেয়ে কাকিমা আমাকে জিজ্ঞাসা করল। আমি বললাম, "আমি জানি না, আজ সকালে উঠে বেল্ট টা পেলাম না।"
মা তখন বলল, " কই, কাল স্কুল থেকে ফেরার পরেই তো রিমা বলল, " তুই বেল্ট হারিয়ে এসেছিস।"
এবার কি বলব আমার মাথায় আসল না আর। তখন কাকিমা আমার মুখের দিকে চেয়ে বলল, " আর তোর মুখে এত কাদা লাগা কেন?"
" হনুমানের মুখে কাদা লেগে থাকবে না তো কি মেক-আপ লেগে থাকবে? তুমিও না মা, উল্টো পাল্টা কোশ্চেন কর শুধু।" রিয়া ওর মাকে থামাতে চেষ্টা করল।
"তুই চুপ কর রিয়া, দেখে তো মনে হচ্ছে জুতোর ছাপ। তোরা লাথি মেরেছিস নাকি ওর মুখে?"
" না কাকিমা, পা পিছলে ঘরের মেঝেয় পরে গিয়েছিলাম। গালটা মেঝেতে লেগেছিল, আর মেঝেতে বোনেদের জুতোর ছাপ পরেছিল, তাই লেগে গিয়েছে হয়ত মুখে।"আমি পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করি।
" ঠিক আছে, তুই যা করছিস কর এখন। তবে হিমু, তুই মনে রাখিস তোর সাথে দুই বোন কখনো খারাপ ব্যাবহার করছে মনে করলে আমাকে বলবি। বিশেষ করে এই রিয়াটা। ওটাকে কি করে সোজা করতে হয় আমি দেখব তারপর।"
আমি এবার কাকিমার পায়ের হাটুর একটু নিচে হাত রেখে পা জড়িয়ে ধরে বললাম, " প্লিজ কাকিমা, এরকম বলো না। রিয়া আর রিমা দুজনেই খুব ভাল মেয়ে। আমার সাথে মাঝে সাঝে সামান্য মজা করা হয়ত, এর বেশি কিছু না। প্লিজ তুমি এভাবে বলো না।" আসলে কাকিমা রিয়াকে শাস্তি দিতে পারে ভেবে আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
আমার কাতর অনুরোধে কাকিমা প্রায় পুরো ঠান্ডা হয়ে গেল। বলল, " আচ্ছা বাবা। তোর খারাপ লাগে না যখন তখন আমি আর কিছু বলব না। তোরা তিন ভাই বোনে যা খুশি কর। আমি আর মাথা ঘামাব না। শুধু তোর কখনো খারাপ লাগলে বলিস। নে, আমায় ছাড় এবার।"
আমি ছেড়ে দিতে কাকিমা নিজের ঘরে চলে গেল। আর আমি আবার ঘর মুছতে লাগলাম। রিমা রিয়াকে একবার খোঁচা দিল, তারপর দুজনে একটু ফিস ফিস করে কি কথা বলল। তারপর আমার দিকে হাসি মুখে চেয়ে রিয়া চোখ মারল। আমি বুঝতে পারলাম আমার কথা- ব্যাবহারে ও খুব খুশি।
আমার ঘর মোছা হতে রিমা বলল " এই হনু,  এবার চল আমরা ঘোড়া ঘোড়া খেলি।"
এটা নতুন কিছু না।  আমি ঘোড়া সাজলাম আর রিমা মালিক সেজে আমার পিঠে চড়ল। কিন্তু পিঠে উঠেই ও আমার চোখ বেঁধে দিল একটা গামছা দিয়ে।
" নে, চল ঘোড়া, সামনের ঘর হয়ে বারান্দা দিয়ে উঠোনে চল।"
আমি স্বাভাবিক গতিতে এগনোর চেষ্টা করলাম চোখ বাধা অবস্থাতেই। আর কয়েক পা এগোতেই আমার মাথা দেওয়ালে খুব জোর ঠুকে গেল। বেশ লেগেছে কপালে! আর আমার দুর্গতি দেখে দুই বোন এক সাথে হো হো করে হাসতে লাগল। বোন ওর চটি পরা ডান পা দিয়ে আমার ডান গালে একটা আলতো করে লাথি মেরে বলল, " তুই হনু থেকে ঘোড়া হয়েছিস, অন্ধ না। দেখে চল।" ওদিকে আমার চোখ বাঁধা গামছার অপর প্রান্ত তখন বোনের হাতে ধরা!!