Tuesday 24 March 2015

প্রভু সোহিনী

( ভূমিকা না পরে কেউ ব্লগে ঢুকবেন না । সম্পুর্ন ভূমিকা পড়ে তবেই গল্প, কমেন্ট পড়বেন বা নিজে কমেন্ট করবেন । অন্যথায় , আপনার কোন ভুল ধারনার জন্য আমি/ আমরা দায়ী থাকব না । ) 



আমার প্রভু সোহিনী কলেজে আমার ৩ বছরের জুনিয়ার । ওকে প্রথম যেদিন দেখি সেদিন থেকেই ওর সেবা করতে  চাওয়ার বেশী কিছু  আমি চাইনি   আমি অন্তর্মুখী হওয়া সত্যেও আশ্চর্যজনক ভাবে ওর সাথে আমার বেশ ভাব হয়ে যায় । আমি কলেজে টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম ।
একদিন ও আমার সঙ্গে খেলতে এলে আমি বলি, “তোর সঙ্গে আর কি খেলব ? তুই তো এমনিই হারবি”  
সোহিনী বলে ঠিক আছে , চ্যালেঞ্জ । তুমি জিতলে আমি আর কোনদিন কলেজে টি টি খেলব না । আর আমি জিতলে তুমি কি করবে”?
আমি বলি তুই যেখানে বলবি সেখানে নিয়ে গিয়ে খাওয়াব তোকে
ও ভুরু কুঁচকে বলে আর কিছু না?”
আমি হেসে বলি , “ঠিক আছে , তোর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করব তুই জিতলে
সোহিনী হেসে বলে চল , খেলা শুরু করি ।
ও খুব একটা ভাল খেলেনা , আমি ইচ্ছা করলেই জিতে যেতাম । কিন্তু সোহিনীর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করার সুযোগ কে হারাতে চায় ? আমি ইচ্ছা করেই হেরে গেলাম । সোহিনী ভুরু নাচিয়ে বলল আজ বিকেলে পার্কে গিয়ে সবার সামনে আমাকে প্রণাম করবে । তারপর বিকেলে মুভি দেখিয়ে রাতে খাইয়ে তবে তোমার ছুটি । উফফ, আমার যে কি আনন্দ হচ্ছিল !
সেটা ছিল জানুয়ারি মাস , সোহিনীর পরনে সাদা  জ্যাকেট , ছাই রঙের জিন্স , আর পায়ে সাদা স্নিকার । আমার ইচ্ছা করছিল রাস্তাতেই ওর পায়ে লুটিয়ে পরতে ।
পার্কে পৌঁছে ও সুন্দর ভঙ্গীতে গালে হাত দিয়ে বসল এক জায়গায় । আমাকে বলল একটা ফটো তুলতে । আমি তুললাম । ও মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল এবার তোমার আমাকে প্রণাম করার পালা ।
তখন বিকেল ৫ টা । পার্ক ভর্তি অনেক লোক ।  তাদের সামনেই আমি এগিয়ে গিয়ে সোহিনীর পায়ের সামনে হাটুগেরে বসলাম । সোহিনী একটা সিঁড়ির উপরের ধাপে বসে ছিল। ওর জুতো পরা বাঁ পা ও যেই সিড়িতে বসে তার নিচের ধাপে রাখা । ডান পা রাখা তার আরও একধাপ নিচে । আমি সোহিনীর সামনে হাটুগেরে বসায় অনেকেই কৌতূহলী দৃষ্টিতে আমাদের দেখতে লাগল । আমার ভীষণ ভাল লাগছিল এত লোকের সামনে সোহিনীকে প্রণাম করব ভেবে । আমি আসতে আসতে নিজের মাথাটা সোহিনীর জুতো পরা ডান পায়ের উপর রাখলাম । হাত বাড়িয়ে সোহিনীর পা টা জড়িয়ে ধরে ওর জুতোর উপর মাথা ঘসতে লাগলাম ।
একটা অপরিচিত মেয়ে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসে সোহিনী কে জিজ্ঞাসা করল ও তোমাকে প্রণাম করছে কেন ?
সোহিনী ওকে আমাদের বেটের কথা বলে মেয়েটাকে বলল ও আমাকে প্রণাম করছে এই অবস্থার একটা ভিডিও তুলে দেবে তুমি , প্লিজ ?
মেয়েটা বলল -  ঠিক আছে, দিচ্ছি । কিন্তু ওকে আমাকেও প্রণাম করতে হবে এরপর ।
সোহিনী হেসে বলল ওকে, নো প্রব্লেম । এই বলে ও মেয়েটির দিকে নিজের স্মার্ট ফোনটা বাড়িয়ে দিল ছবি তোলার জন্য । আমি তখন সোহিনীর জুতো পরা ডান পায়ের উপর পরম ভক্তিতে মাথা ঘষে চলেছি । অপরিচিত মেয়েটি আমাদের ভিডিও তুলতে লাগল । আর সোহিনী নিজের জুতো পরা বাঁ পাটা  আমার মাথার উপর রেখে ওর জুতোর তলাটা আমার মাথায় ঘসতে ঘসতে বলল, - এই তো , আরো ভক্তিভরে প্রণাম কর আমাকে ।
সোহিনী আমার মাথার উপর ওর বাঁ জুতোর তলা ঘষতে লাগল, আর আমি পরম ভক্তিভরে ওর ডান জুতোর উপর নিজের মাথা ঘসতে লাগলাম  মাঝে মাঝে চুম্বন করতে লাগলাম ওর ডান জুতোর উপর  পার্ক ভর্তি লোক অবাক হয়ে আমাদের দেখতে লাগল  কেউ কেউ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করল  সোহিনী ওর বাঁ পা টা আমার মাথার উপর স্থির করে বলল  নে তোকে আশীর্বাদ করছি , আর কখন পরীক্ষায় ফেল করবি না তুই  ওঠ এবার 
আমি ওর দুটো পা দুই হাতে ধরে ওর জুতোর উপর চুম্বন করে বললাম , - থ্যাঙ্ক ইউ সোহিনী । তারপর উঠে দাড়ালাম । যে মেয়েটা এতক্ষণ ভিডিও তুলছিল সে ফোনটা সোহিনীর হাতে দিয়ে বলল , এবার আমাকে প্রণাম করার পালা । মেয়েটা গিয়ে সোহিনীর পাশে বসে পরল । আমি তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটা ফরসা আর খুব সুন্দরী । আমি ওর সামনে হাটুগেরে বসে নিজের মাথাটা মেয়েটার পিঙ্ক স্নিকার পরা পায়ের উপর নামিয়ে দিলাম । নিজের মাথাটা ঘসতে লাগলাম অপরিচিত এই মেয়েটার জুতো পরা পায়ে ।

সেদিন ওদের দুজনকে মাল্টিপ্লেক্স এ সিনেমা দেখিয়ে রেস্টুরেন্টে খাইয়ে তবে ছাড়া পেলাম আমি । অন্য মেয়েটির নাম জাগ্রীতি, ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্টুডেন্ট । সোহিনী আমাকে বলল , এবার থেকে যখনি আমরা বলব , আমাদের খাওয়াতে বা সিনেমা দেখাতে , তখনি নিয়ে যেতে হবে । আর রোজ আমাদের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করতে হবে । আমরা টায়ার্ড হলে আমাদের পা টিপে দিতে হবে । নাহলে তোমার প্রণাম করার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে দেব ।  আমি রাস্তার মাঝখানে ওদের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে বললাম , এখন থেকে তোমরা যা বলবে , আমি তাই করব ।  


1 comment: